নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

টানিম

তড়িৎ প্রকৌশলী। টুইটার : https://twitter.com/mztanim88

টানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কথা বলাটা ট্যাবু !

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

লেখাটা খুব ভালো লাগলো তাই শেয়ার না দিয়ে পারলাম না ।



‘কোটার বিষয়টি বেশ জটিল। এবং এই গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল বিষয়টি আনফরচুনেটলি কোনো সরকারই অ্যাড্রেস করেনি। আমি আমার অভিজ্ঞতার দিয়ে বলছি এই কারণে যে, বুঝতে সুবিধা হবে। আপনি যে কমিটির কথা বলছিলেন, আমি পিএসসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর দেখলাম যে, কোটার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু এর কোনো স্টাডি নেই। তারপর আমরা একটি স্টাডি কমিশন করালাম। এবং কমিশন করালাম বাংলাদেশের দু’জন জায়ান্ট গবেষক বা এই লাইনে যারা কাজ করেছেন, তাদের কে দিয়ে। একজন হলো ড. আকবর আলী খান এবং আরেক জন হলো কাজী রকিব উদ্দিন, যিনি বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তারা দু’জনে অনেক খাটাখাটি করলেন এবং আমি তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা দিলাম। সেই সময় আমি পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলাম। এবং তারা একটি খুব ইনোসেন্ট বাট পরিকম্প্রিহেনসনসিপ রিপোর্ট দিল। তারা যে রিপোর্টটি দিলেন। সেই রিপোর্টের উপর ৫টি সেমিনার করলাম। ঢাকায় দু’টি এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাতেও রিপোর্টটির বিষয়বস্তু নিয়ে সেমিনার করলাম।’



বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের মধ্যরাতের টকশো ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ অনুষ্ঠানে সঞ্চালক সাংবাদিক গোলাম মোর্তুজার প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন সাবেক কেবিনেট সচিব ও সাবেক পিএসসির চেয়ারম্যান সা’দত হোসাইন।







ড: সা’দত বলেন, সেই সেমিনারগুলোতে যে আলাপ-আলোচনা হলো, তার ভিত্তিতে একটি রিকমিন্ডেশন তৈরি করলাম। সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, সেমিনারটি কাদেরকে নিয়ে করা হয়েছে। জবাবে পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, সেমিনারে পিএসসির লোকজন ছিল, জার্নালিস্ট ছিল, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিল, মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং এমনকি ভবিষ্যৎ বিসিএস পার্টিসিপেন্টদেরকেও সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।



ড. আকবর আলী খান এবং কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ অত্যন্ত ইনোসেন্ট ওয়েতে প্রেজেন্ট করলেন। তারা কিছু রিকমিন্ডেশন দিলেন। সেই রিকমিন্ডেশনগুলোতে কোনো প্রকার কাউকে খুশি বা অখুশি করার জন্য কিছু করেন নি।



এখানে খেয়াল রাখতে হবে, আমি, ড: আকবর আলী খান এবং কাজী রকিব উদ্দিন তিনজনই মুক্তিযোদ্ধা। এবং তিন জনেরই ১৪ বছর করে কারাদন্ড হয়েছিল। বাংলাদেশে বেশি লোকের এত বেশি কারাদণ্ড হয়নি। আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধে চলে গেলাম। মুক্তিযুদ্ধ করতাম। তখন আমাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হলো এবং ১৪ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। পাকিস্তান সরকার আমাদের সব বাজেয়াপ্ত করল।



বিশেষজ্ঞরা বললেন, কোটা প্রথা উঠানো যাবে না। উনারা কিন্তু সারা পৃথিবীর যত দেশে কোটা আছে, তার মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেশের যেমন ইন্ডিয়া, পাকিস্থান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া এবং সাউথ আফ্রিকার কোটার নিয়মগুলো পর্যালোচনা করেছেন। সবদেশেই কোটা আছে। উনারা দুজনই বললেন কোটা উঠানো যাবে না। তবে কোটা পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন। কারণ অনেকগুলো কোটা পূর্ণ হয় না। মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজাতি কোটা ফিলাপ হয় না।



উনারা যখন সাবমিট করলেন। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর আওয়ামীলীগ বা মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসল। ক্ষমতায় আসার পর এদের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধার ব্যাপারে খুব খুব কট্টর, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় খুবই স্পর্শকাতর। তারা কিন্তু অভিযোগ করল। কেন আমরা স্টাডিটা করালাম।



সঞ্চালক বলেন, আপনাদের যে রিপোর্ট ছিল সেখানে আসলে কোটা নিয়ে কি বলা ছিল? জবাবে ড. সা’দত বলেন, রিপোর্টে কোটার পুনর্বিন্যাস করার জন্য বিভিন্ন ফর্মুলা উল্লেখ করা হয়েছিল। প্রত্যেকটি সেমিনারেই কোটার পুনর্বিন্যাসের ব্যপারে সকলে একমত হয়েছিল। যাতে মেধার মুল্যায়ন হয়। সেই জিনিসটা করা উচিত।



মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা বলল, এ ধরনের স্টাডি কেন করা হলো? এ ধরনের স্টাডি করাই অন্যায়। আমি আমার দুয়েক জন বন্ধুবান্ধব যারা সরকারের মধ্যে আছে, তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, উনারা কেন এটাকে অন্যায় বলছেন। তাদের মধ্যে একজন আমাকে বলল, আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আপনি কেন এটা টাচ করতে গেলেন? এটা নাড়াচাড়া করতে গেলেন?



মুক্তিযোদ্ধা যে কোটা আছে, যেভাবেই পুনর্বিন্যাস করা হোক না কেন তাতে কোটার পরিমাণ কমে যাবে। তার কথাটি কিন্তু সত্য।



খালি অংশ যদি মেধা থেকে পূর্ণ করা হয় তাহলে একটা খারাপ কী? যেটা বিএনপি বা ৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকার সময় খালি অংশ মেধাক্রম থেকে পূরণ করা হত। তখন আমার বন্ধু বলল, আমরা যে জিনিসটি পেয়েছি, তা কেন ছেড়ে দেব? তার কথা হলো, আমরা একটি বাড়ি পেয়েছি। বাড়ি খালি পড়ে আছে। তাই বলে অন্যকে কেন দিয়ে দিব। এটা খুব সেনসেটিভ ইস্যু।



আমাদের সময় ।



ধন্যবাদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.