নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

টানিম

তড়িৎ প্রকৌশলী। টুইটার : https://twitter.com/mztanim88

টানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা - কলকাতা (ভ্রমন বিষয়ক) দরকারী তথ্য সহ পর্ব - ২

২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪১

প্রথম পর্ব

ঢাকা - কলকাতা (ভ্রমন বিষয়ক) দরকারী তথ্য সহ



আপনাকে কলকাতার এসি বাস মারকুইজ স্ট্রিট নামিয়ে দিবে । ঐখানে সোহাগ, গ্রীন লাইন, সৌদিয়া সব বাসের কাউন্টার পাবেন । বাস থেকে নেমেই আপনি হোটেল খূজতে পারেন । যদি হোটেল খোজার আগেও খিদে লেগে যায় তবে আপনে সোজা মারকুইজ স্ট্রিট এ হাটা ধরবেন । মানুষজন কে জিগ্ষেস করবেন কস্তুরী রেস্টুরেন্ট ট কৈ ?



আমার দেখা কলকাতার সবচেয়ে ভালো বাংলা খাবার পাবেন এইখানে। দারুন সব মেনু । দামও কম । অবশ্যই একবেলা এইখানে খাবেন । অনুরোধ থাকলো । ওদের কচু চিংড়ি / পাবদা ঝোল / ডাল/ আলুর দম / চিকেন ভর্তার স্বাদ চরম । পরিবেশও খুব ভালো । দোতলায় বসবেন । ম্যাক্সিমাম বাংলাদেশী পাবেন এই হোটেলে ।



যাই হোক , খাওয়া দাওয়া হলে বের হয়ে , আশে পাশে প্রচুর ফোরেক্স পাবেন । যদি ডলার ভাংগাতে চান , দেরী না করে একটা ঢুকে পড়বেন । রেট দেখবেন এবং সার্টিফিকেট নিবেন । সীমে টাকা না থাকলে রিচার্জ করেনিন ।



এখন হোটেল খুজবার পালা । হাটলেই সামনে পাবেন , সারদার স্ট্রিট , মির্জা গালিব স্ট্রিট , হার্টফোর্ড লেন , কলিন লেন .... অনেক লেন । সবখানেই হোটেল আছে । পরিবেশ দেখুন , ভালো মন্দ বাচ বিচার করে একটাতে উঠে পড়ুন । আমার উপদেশ হলো , কস্তুরী রেস্টুরেন্টের আশেপাশে কোন হোটেল উঠবেন । যাতে খাবার জন্য কষ্ট করতে না হয়। এমন হোটেলে থাকবেন যাতে ৫-১০ মিনিট হেটে কস্তুরী রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায় । আপনাদের খুব উপকার হবে । আর রাস্তা নিয়েও মাথা ঘামাতে হবে না ।



হোটেল পেয়ে গেলে রেস্ট নিন । অবশ্যই চা খাবেন । ওরা আমাদের মতো কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে চা বানায় না । ওরা গরূর দুধের মাঝে চা পাতা দিয়ে দারুন একটা চা বানায় । চোখ বন্ধ করে খেতে পারেন । কস্তুরী রেস্টুরেন্ট এর ঠিক বিপরীত রোড ধরে হাটলে আমেরিকান সাবওয়ে পাবেন । ইচ্ছা হলে একটা সাব খেয়ে দেখেতে পারেন । ভালো লাগবে ।





একটু কষ্ট করে হাটলেই পাবেন , পার্ক স্ট্রিট । ওদের অফিস আর শপিং পাড়া । গুচি, আরমানি, রেমন্ড , টাইটান কি নেই ঐখানে । সব কিছুর শোরুম আছে । কেনাকাটা শুরু করতে পারেন ।



শাড়ী কিনতে চাইলে একটু কষ্ট করে ১৫০-২০০ রূপী খরচ করে গড়িয়া হাট যাবেন । পুরাই শাড়ীর জগত । বাংলা / হিন্দী/ ইংলিশ যা ইচ্ছা বলেন । ওরা সবই বুঝে ।





আজ এই পর্যন্ত । আগামীতে আবারও কিছু লিখব ভ্রমন বিষয়ক ।



মনে রাখবেন :



১। শপিং করতে গেলে আপনার দামের রেন্জ বলে দিন , ওরা ঐ রেন্জের বেস্ট প্রোডাক্ট আপানকে দিবে ।

২। কোন ভাবেই মাথা গরম করবেন না । দামে না পোষালে কিনবেন না । দেখবেন আপনার থেকে আপনার দোকানী বেশি কষ্ট পাচ্ছে ।

৩। দালাল ধরবেন না । হলুদ ট্যাক্সি অথবা অটো ব্যবহার করূন । নিরাপদ থাকবেন ।





ধন্যবাদ

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৭

টানিম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

আমি ইহতিব বলেছেন: উপকারী পোস্ট। শাড়ির জন্য গড়িয়াহাট মনে রাখতে হবে। :)

০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৯

টানিম বলেছেন: হাহাহাহা । মনে রাখুন । আমি আম্মুর জন্য এক খানা নিয়ে আসছিলাম । আর গেলো বছর দিল্লী থেকে ২ খানা আম্মার জন্য আনছিলাম । ভালো । ধর্মতলা, পার্লস্ট্রিট এও কিছু দোকান পাবেন । ঘুরতে পারেন । ধন্যবাদ

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

লিখেছেন বলেছেন: khub bhalo hochche

০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১০

টানিম বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সংকলনে যাচ্ছে ...
অভিনন্দন ...

২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:০৯

টানিম বলেছেন: ধন্যবাদ মুনতাসির নাফিস ভাই । ভালো লাগলো ব্যাপারটা ।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৬

জিএমফাহিম বলেছেন: হোটেলে কেমন খরচ পড়বে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.