নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অন্তর ভাঙা এক যুবক! সহজেই বুঝে যাই কান্নার সুরে-দুঃখটা কত গভীর,অনুভবে শিহরিত হই বাস্তব কত কঠিন, কতটা নির্মম হতে পারে মানুষ! shapnaneer.com \'স্বপ্ননীড়\'।।

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরনো ডায়েরী থেকে- নয়ন (পর্ব-২)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

তুই যে আমার সুখের পাখি

তুই যে আমার সুখের পাখি,
তোকে আমি কোথায় রাখি।
মনের খাঁচায় যতন করে,
রাখবো তোকে ভালোবেসে।
ভুল বুঝিয়া যাস’না দূরে,
দিস’না রে তুই আমায় ফাঁকি।

সকাল বিকাল মনের ঘরে,
দেখি আমি শুধুই তোরে।
তুই ছাড়া এই ত্রিভুবনে,
কে আছে আর আমায় বোঝে।
কাছে দূরে যেথায় থাকি,
তোকেই আমি ভালোবাসি।
তুই যে আমার সুখের পাখি।।

নিশি জাগি একলা ঘরে,
তুই যে থাকিস অনেক দূরে।
পারিনা তোর পাশে যেতে,
যদি আমায় দাও ফিরিয়ে।
প্রতি রাতে একলা কাঁদি,
তোরে ছাড়া কেমনে থাকি।
তুই যে আমার সুখের পাখি।।


কতটা ভালোবাসা আর বিরহ ছিল তা কি আর পুরোপুরি বোঝানো যায়…। উপরের লেখাটি সম্ভবত ৯৭ বা ৯৮ সালের মধ্যেই লিখেছিলাম। এই কবিতার মতো লেখাটা দেখে মোটামুটি বুঝেছি, বিরহ যাতনা আর কিসের এত কষ্ট প্রতিটি পাতা জুড়ে। তার প্রেমে যেমন সুখী মনে করেছি, আবার তাকে হারানোর ভয়েও পুড়েছি প্রতিনিয়ত। রাত হলে ঘরে একা একা ভাবতাম আর কাঁদতামও অনেক সময়। দুই পরিবারই আমাদের সম্পর্ক মেনে নিতে বিরোধী ছিল। তার ফ্যামিলি নিয়ে যতটা না ভাবতাম তারচেয়েও বেশি ভয়ে ছিলাম আমার ফ্যামিলি নিয়ে, আমার আব্বাকে। কান্নার কারণটা এটাও একটা বড় কারণ ছিল। আমার কাছে মনে হতো, আমাকে নিয়ে আমার সুখের চিন্তা কেউ করেনা। না ভালোবাসার মানুষ, না আমার পরিবারের কেউ। তাই, তখন ভালোবাসার সুখ যেমন ছিল, বিরহ কষ্ট আর হারানো ভয়ে আমাকে পুড়তে হয়েছে সবসময়।

নিচের লেখাটি মনে আছে ২০০২ইং সালের শেষদিকে লিখেছিলাম। তখন ঢাকায় থাকি। তখন আমি বিয়ে করেছি। কিন্তু, বিয়ের পরও কেমন যেন অসুখী মনে হয়েছিল নিজেকে। আর এই অসুখী ভাবটা আমার অনেকদিন পর্যন্ত পুড়িয়েছে। জীবনের প্রথম ভালোবাসা হারানোর পর যতো প্রিয় আর আপনজনের সঙ্গেই থাকা হোক, সেই প্রথম প্রেম হারানোর যন্ত্রণা কভু শেষ হতে চায় না। অনেকেই পারে নিজেকে পাল্টে নিতে। কিন্তু, আমার মতো অনেকেই হয়তো ভুলতে পারেনা…..! সেসময়ের কি সব অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘুরেছে তা নিচের লেখার প্রশ্ন গুলোতে সামান্য আচ্ করা যেতে পারে….

মিলেনা….

মানুষ কিসের আশায় পথ চলে বলতে পারেন…?
কেউ কি কখনো চলার শেষ খুঁজে পায়….!
আচ্ছা, বিশ্বাস কি…?
এটা কি টাকায় পাওয়া যায কখনো…?

নয়ন অনেক আশার মালা গাঁথে
মনের ঘরে চুপিচুপি।
নয়ন একটা নিরাপদ আশ্রয় চায়,
চায় ভালোবাসার মতো নিষ্পাপ একটি মন।
এখনো সে আশায় পথ চলতে চায়…।
নয়ন নিরাশ আর হতাশার ছত্রছায়ায় পড়ে আছে।
কিন্ত কেন….?

আচ্ছা- কেউ যদি প্রতারণা করে,
নয়ন কেন পারেনা
তার ভালোবাসার সাথে প্রতারণা করতে…?
অনেকেই তো মনের মূল্য দেয় না,
তারা তো ভালোই থাকে সবার কাছে…!
নয়ন যে সত্যিই প্রতারিত তাতেও তার সন্দেহ,
এটা শুধু তার মনের ভ্রান্ত ধারণা মাত্র।
এটা কি সত্যি নাকি ভুল…?

আচ্ছা, আকাশে যদি মেঘ জমে
তাহলে হয়’তো বৃষ্টি ঝরবে ভাবাই যায়।
মাঝেমাঝে ঝড়ও তো নেমে আসে…!
আবার সেই মেঘ সরে সূর্যও তো ভাসে আকাশে।
মিলছে না, নয়নের কিচ্ছু আর মিলেনা,
এর কোন উত্তর খুঁজে পায় না….!


আরেকটা পাতায় দেখি, কিছু স্মৃতিচারণা করা। এর কিছুদিন আগেই আমরা গিয়েছিলাম পাহাড়ে ঘুরতে। তিনদিন দুই রাত্রির অনেক মধুর স্মৃতি যেমন আছে তেমনি অনেক কষ্টও আছে মিশে। তার কয়েক মাস পরেই তার সাথে আমার সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়। আমাকে সে ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। সেই সময়টা আমাকে অনেক পুড়িয়েছে। সে আসবে আমার কাছে যেমন বিশ্বাস ছিল মনে, তেমনি ভয়ও ছিল প্রচুর। যদিও প্রায় সাত বছরের সময়ে আমার সাথে অনেকবার সে অভিমান করে চলে গেছে। কিন্তু থাকতে পারেনি কোনওসময় বেশিদিন। ঠিক কিছুদিন পর ফিরে এসেছে আমার বুকে। বলেছে, আমার ভুল হয়েছে, তুমি রাগ করো না প্লীজ। তার এইরকম ফিরে আসাতে সবসময় আমার সব বিরহ কষ্ট যন্ত্রণা মুহূর্তেই হারিয়ে গেছে। সুখের স্বপ্নে মেতেছি আবার দুজনা….

নিচের লেখাটি ২০০০ই সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে লিখেছিলাম। আবারও মিনতি রাগ করে চলে যাওয়ার পর সময়টুকুতে।

এই’তো সেদিন

এই’তো সেদিন
দুজন বসেছিলাম ঝর্ণার পাশে।
তোমার কুলে মাথা রেখে শুয়েছিলাম।
একা থাকার বিরহ যন্ত্রণার কথাগুলো বলতেই,
দুচোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল জল।
সেদিন, কতনা সোহাগে মুছে দিলে চোখদুটি…।
দুজনার বুকে ছিল গভীর ভালোবাসা,
দুচোখে স্বপ্ন ছিল, মনে কতো আশা…
এখনো মনে হয় সেই দিনগুলি।
এত মধুর সেই ক্ষণ মাত্র কয়দিনেই
মুছে গেল ওই পাষাণ হৃদয় থেকে!
আমি তো পারিনা,
কি করে বলো সেই সুখটুকু ভুলি…!

চলে গেলে তুমি
দিয়ে গেলে একবুক হতাশা।
এই মন পুড়িয়ে, সব স্মৃতি মাড়িয়ে,
সেই সুখ প্রেম তুমি,
এত সহজেই কিভাবে পারো ভুলতে…!

বলেছিলাম বাবা তোমার হবে না রাজি।
তুমি শান্তনা দিলে, তাতে হয়েছে’টা কি…
আমি তো আছি, থাকবো তোমারি,
জীবন মরণে তোমাকেই মানি গো স্বামী।

ওগো আমার সুখের পাখি….
সেই কথাগুলো কি আর এখন
হয় না তোমার মনে…?


সে যখনই আমার সাথে অভিমান করে চলে গেছে, আমার দুনিয়া বিষাদে ভরে থাকতো তার ফিরে আসার আগ পর্যন্ত। মনের কষ্টগুলো একমাত্র কাছের বন্ধুরাই বুঝতো। আর যদি কেউ বুঝতো সে ওই উপরওয়ালা। রাত গভীরেও বসে থাকতাম খোলা আকাশের নিচে। গাইতাম আছে যতো বিরহের গান। মাঝেমধ্যে নিজের কথাগুলোও সাজিয়ে গান গাইতে চেষ্টা করতাম। তেমনি একটি গানের মতো হয়তো সাজাতে চেয়েছিলাম হয়তো, লেখা দেখে তেমনই মনে হচ্ছে….

নিচের লেখাটা ১৯৯৮ইং সালে লেখা, তারিখটা উল্লেখ না থাকায় দিতে পারলাম না।

হৃদয়ের কান্না

পিরিতি পিরিতি বিষম পিরিতি
পিরিতি গলার মালা।
অন্তর পুড়িয়া কয়লা করিয়া
বাড়ায় মনের জ্বালা।।

নয়নে রাখিয়া তোমার ও’নয়ন
বলেছিলে তুমি জীবন ও মরণ।
কি সুখের আশায় আমাকে ভুলিয়া,
অন্যের বুকে আজ বাঁধিলে বাসা।।

ভালোবাসার এক রঙিন মহল
ভাঙিয়া দিয়ে গেলে তুষেরি দহন।
কেন’রে এতো হইলে পাষাণ,
পৌঁছে না কি এই হৃদয়ের কান্না।।


‘৯৮ইং সালে প্রায় ৭/৮ মাস তার সাথে আমার দেখা হয়নি। কোন যোগাযোগ করতে পারিনি তার সাথে। সেই নরকস্থ সময় গুলোই আমার প্রতি তার ভুলটা আরো বৃদ্ধি করে শেষে। কিন্তু আমার সেই কষ্টের দিনগুলো সে বুঝেনি। আমার জীবনে ধ্বংসের পথ সেই সময়েই পাকাপোক্ত হয়। দিনরাত আমাকে নেশায় ডুবে থাকতে হয়েছে। আজও সেই দিনগুলি চোখে অশ্রু এনে দেয়। কোথায় না গিয়েছিলাম তাকে দেখার জন্য। মিলেনি, কোথাও তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার সুযোগ। তাকে ভুলে থাকতে করতে হয়েছে অনেককিছু…. আর সেই ভুলেই ভুল বোঝে সে গেছে গেছে আমার সীমানা ছাড়িয়ে….! শেষ পর্যন্তও তাকে আর বোঝাতে পারিনি… সে বোঝতে চায়’নি……

৩০-৩-২০০০ইং তারিখ লেখা নিচের কথাগুলো, সেদিন মরণটাই কাম্য ছিল….

সেই শীতল দিন গুলো পেরিয়ে
আমি আজ বাস্তবতার নির্মমতায়
একবুক যন্ত্রণায় ডুবে আছি।
এই জীবনে আর কি আশা করবো!
আমার আশার দিনগুলো মুছে দিয়ে গেছে
কোনএক বেদনার প্লাবন।

মিথ্যা আর প্রতারণাই আমার জীবনে
প্রতিদান হয়ে ধরা দিল…।
ভালোবাসার প্রতিদানে ছলনা
আমার জীবন অংশ হলো।
আজ মনে পড়ে
আমার ভুল ধারণা, ভুল বিশ্বাস
আমাকে কতটা পিছিয়ে দিয়েছে জীবন থেকে।
আমি বোবাকান্নায় অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছি।
হাইরে অবুঝ মন- তোর চাওয়াটাই ভুল
ভুল তোর ভালোবাসা….!

সুখ, তুই বড়ই কঠিন জিনিশ
যেন সোনার পাখি…!
মরণটাই কাম্য রইল…..


আমি আজও দিব্যি বেঁচে আছি। এখন এই বোকা বোকা কথাগুলো দেখে মাঝেমধ্যে হাসি। আবার কখনো হারিয়ে যাই ভাবনার সীমাহীন প্রান্তরে….

তুই ছিলী আমার জীবনের চরম অধ্যায়…। সেই তুই যখন হারিয়ে গেলি…. তাহলে আর কাকে বিশ্বাস করবো…। আমার বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে, ভালোবাসা ভুলে গিয়ে- আহত করে রেখে গেলি….!
হে আল্লাহ্! এর বিচার করিস………

(লেখাটুকু ১৪-৪-২০০০ইং তারিখের লেখা)

হা হা হা হাসছি এখন, যাকে এত ভালোবেসেছি তার জন্যও আত্মচিৎকার করে বিচার চেঁয়েছি আল্লাহ্’র কাছে….!

পুরনো ডায়েরী থেকে- নয়ন (পর্ব-১)

দেখা হবে পরের পর্বে আমার ‘পুরনো ডায়েরী থেকে’ নেয়া কথা নিয়ে। আজকের মতো বিদায়….

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার এই লেখা পড়ে মনে হল, নয়ন ভাই আপনি খুব আবেগী ছিলেন। এমন বয়সে আবেগী থাকাই স্বাভাবিক। এখনও মনে হচ্ছে সেই আগের দিনের আবেগ আপনাকে ছুয়ে যায়।
যাই হোক আপনি সব সময় ভাল থাকুন সে কামনাই করি।
ভাল থাকুন প্রিয় কবি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন ভাই মন্তব্যে।

আবেগ তো আছেই কিছু। তা এখনও ঠিক আগের মতই আছে। ঘুরেফিরে চলেই আসে। যদিও এখন ভাবি না সেই সময় গুলো তবুও একটু নাড়া দিলেই স্পষ্ট হয়ে যায় অনুভূতি গুলো।

আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা ভাই। ইদানিং আপনার কবিতায় গভীর ভালোবাসার মিশ্রণ দেখে মুগ্ধ আমি।
ভালো থাকবেন সবসময়। ভালোবাসা নিরন্তর।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩

শূন্যনীড় বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো এবারের পর্বও। লেখালেখি যদি ধরে রাখতেন, তাহলে এতদিনে একটা পর্যায়ে চলে যেতেন
শুভকামনা রাখি সবসময়।


বলেছিলাম বাবা তোমার হবে না রাজি।
তুমি শান্তনা দিলে, তাতে হয়েছে’টা কি…
আমি তো আছি, থাকবো তোমারি,
জীবন মরণে তোমাকেই মানি গো স্বামী। " এমন কথা কি আর ভুলা যায় কখনো!!!!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন মন্তব্যে। উৎসাহিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

এরকম অনেক কথা সে দিয়েছিল, যা বিশ্বাস করাই যায়। কিন্তু ....

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: ভাইয়া আসলে জীবনটাই এমন ।
না চাইলেউ অনেক সময় সময়ের প্রয়জনেই অনেক কিছু করা জায়না আবার অনেক সময় এই সময়ের প্রয়জনেই না চাইলেউ অনেক কিছুই করতে হয়।

অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, জীবনটা বুঝি এরকমই।

অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা রইল ভাই।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

নাগরিক কবি বলেছেন: কবিতা গুলো পড়লাম শুধু। ভাল ছিল। নয়নের কান্না বেশি ভাল। তবে বেশি কান্নাকাটির দরকার নাই। মুভ অন করেন। আর বর্ননা পড়লাম না। কারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট গুলো খুব একটা আমাকে স্পর্শ করে না। আমি অনুভূতিহীন মানুষ। :(

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মনে হয় না আপনি অনুভূতিহীন। আপনার লেখাগুলো কিন্তু অনেক অনুভূতি মিশানো থাকে ভাই। তবে অনুভূতি গুলো ভিন্ন, সবগুলো তেই মানবিকতা বিদ্যমান থাকে।

আমি প্রায় আট বছর একই ধ্যানে ছিলাম, প্রেম, ভালোবাসা, দুঃখকষ্ট, বিরহ যন্ত্রণা সবকিছুর সাথে একটা গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাই দুঃখের অনুভূতি গুলো খুব তুখড় আমার। একটু নাড়া দিলেই সব স্পষ্ট হয়ে ওঠে চোখের পাতায়।

মুড় অফই আছে ভাই, পুরনো লেখা গুলো জড়ো করার প্রয়াস মাত্র।

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: যে চলে গেছে তাকে ভুলে যান, তার জন্য দোয়া করুন যেন সে সুখে থাকে।

ভাই, বিশ্বাস করা ছাড়া উপায় মানব জাতির নেই! কেউ না কেউ তো বিশ্বাসের মর্যাদা রাখবে। মানুষ চেনা অনেক কঠিন। আমার সাথেও একজন খুব বড় মিথ্যা অভিনয় করেছে আমি জানার পরও তাকে কিছুই বলিনি!কারণ দুটো, সে তার জন্য যোগ্য শাস্তি পেয়েছে, আর তার উপর দুর্বল হওয়াটা ছিলো আমার নিজের ভুল। তাই ভুলে গেছি, অনেক দিন আগের ঘটনা।

শেষের কবিতা টা বেশ ভালো লাগলো।+++

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, ভুলেই তো গেছি। তাকে নিয়ে তো আর এখন কোন স্বপ্ন দেখিনা। তবে এই স্বপ্নটা থাকে, যে তার সাথে কভু দেখা হলে যেন হাসি খুশি সুখী মুখটাই দেখি।

আপনার কাহিনী শুণে ভালো লাগলো ভাই।

আমার পুরনো ডায়েরীতে লেখাগুলো প্রকাশ করাই লক্ষ্য। এখন আর আমার মধ্যে মিথ্যে স্বপ্ন দেখার কোন সুযোগ নাই। আমার প্রথম জীবনে হারানো আট বছর আমি স্মরণীয় করে রাখতে চাই ভাই। দোআ করবেন।

কবিতাটা ভালো লাগায় লেখাটা স্বার্থক হলো। প্রেরণা হয়ে থাকবেন সবসময়।
শুভকামনা রইল ভাই।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবই দুরন্ত সময়ের অফুরন্ত আবেগ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: গুরু একদম শিশ্যের মনের মতো কথা বলেছেন। আমার প্রথম জীবনটা খুবই দুরন্ত ছিল। আর সেই দুরন্তপনা বালকের প্রথম আট বছরের আবেগ এত সহজে ফুরবার নয়। অনেক কৃতজ্ঞতা রইর মন্তব্যে।

শুভকামনা জানবেন। শ্রদ্ধা সবসময়।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভাল লাগলো +++

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগা জেনে উৎসাহিত হলাম ভাই। প্রেরণা হয়ে থাকবেন।

শুভকামনা রইর।

৮| ০১ লা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

নীলপরি বলেছেন: কবিতাগুলো ভালো লাগলো । আর প্রেম তো শাশ্বত । তা নিয়ে কবির আবেগও ভালো লেগেছে । আবেগটা আছে বলেই আজও কবিতা লেখা হয় ।

শুভকামনা ।

০১ লা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম আপু মন্তব্য পড়ে। প্রেরণা হয়েই থাকবেন সবসময়।

আমার পুরনো ডায়েরীর লেখাগুলো সব সেই সময়কার বিরহ বিষণ্ণতা ভরা। সেগুলো প্রকাশ করার জন্য ভেবেছিলাম। কিন্তু, সব বিরহ কষ্টের তাই কেমন যেন একটু লাগছে। কে কি ভাবে। শুধু দুঃখ আর নিরাশ কথাগুলো দেখে। আপনার মন্তব্য পেয়ে একটু সাহসী হলাম। আমার পুরনো ডায়েরীর লেখাগুলো জড়ো করবো এভাবেই। দোআ করবেন।

শুভকামনা জানবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৯| ০১ লা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

ওমেরা বলেছেন: আপনার লিখাগুলো পড়ে যতটুকু বুঝেছি তার প্রতি আপনার আবেগ আগের মতই আছে ,কোন রাগ বা ঘ্বনা নেই কাজেই তার জীবন সার্থক ।ধনবাদ ভাইয়া ।

০১ লা মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু। মন্তব্য পেয়ে সাহসী হলাম পুরনো ডায়েরীর লেখা গুলো প্রকাশ করতে। প্রেরণা হয়ে থাকবেন সবসময়।

হ্যা আপু, তার প্রতীক্ষা না থাকলে, আবেগটা আগের মতোই আছে ঠিক। সেই সময় মাঝেমধ্যে রাগও হতো, অনেক সময় তাকে দোষতাম। এখন আর দোষী না।

মুগ্ধতা জানবেন মন্তব্যে।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১০| ০১ লা মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আবেগ আর ভাস্তবতা এই দুই এর মাঝখানেই আমরা দাঁড়িয়ে, কিন্তু আমরা কোনটাকে বেছে নিব তা একান্তই আমাদের ব্যাপার দোস্ত যে সময়ের সৃত্মীচারণে ডায়েরীর নীলাভগুলো একেঁ যাচ্ছেন তাতে আর অন্য কোন রং মিশানো যায়না। কৈশরের আবেগী মন এখন পূর্ণ বয়সরে যোবকের হৃদয় থরথরে কাপাতে পারে তাতেই ভয়। সুখে থেকে দু:খের বেহেলা বাজায় যে শিল্পী সে যানে সুরের ভুবনের যাদুকরী মাত্রা।

০১ লা মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দোস্ত যখন বলেছেন তখন বিশ্বাস করতে পারেন এখন আর এই কঠিন হৃদয় কাঁপবে না কোনদিন।

অনেক শ্রদ্ধা অনেক ভালোবাসা আপনার জন্য।
শুভকামনা জানবেন ভাই।

১১| ০১ লা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:


তুই যে আমার সুখের পাখি,
তোকে আমি কোথায় রাখি।
মনের খাঁচায় যতন করে,
রাখবো তোকে ভালোবেসে।
ভুল বুঝিয়া যাস’না দূরে,
দিস’না রে তুই আমায় ফাঁকি।

অনবদ্য ছন্দ, দারুন লাগল প্রিয় কবি।

০১ লা মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রিয় কবি ভাইকে মাঝেমধ্যে পেলে অনেক সাহস পাই। আজও পেলাম। প্রেরণা হয়ে থাকবেন সবসময়।

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানবেন সবসময়।
শুভকামনা রইল প্রিয় চৌধুরী ভাই।

১২| ০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: :|

০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আগমনে ধন্য ভাই। আমিও অবাক পুরনো ডায়েরী দেখে।

শুভ সন্ধ্যা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.