নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অন্তর ভাঙা এক যুবক! সহজেই বুঝে যাই কান্নার সুরে-দুঃখটা কত গভীর,অনুভবে শিহরিত হই বাস্তব কত কঠিন, কতটা নির্মম হতে পারে মানুষ! shapnaneer.com \'স্বপ্ননীড়\'।।

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুখিনী মা বিমলা

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

প্রতীকী ছবি গুগল সার্চ

ছেলেটাকে বুকে আগ্লেই হাসেন দুখিনী মা,অথচ
কতশত কষ্টবোধ অন্তরে লুকানো বিমলা'র!
সমাজের অবহেলা আর নির্মম বাস্তবতার সাথে
যুদ্ধ করেই যে চলতে হয় তার প্রতিনিয়ত!
যুদ্ধ করতে হয় বর্ষা রাতে ঘুম থেকে জেগে
ছোট্ট ছনের ঘরের চুয়ে পড়া বৃষ্টির সাথে-
পানি যেন না লাগে গায় আদরের ছোট্ট খোকার।
পেটে ক্ষুধা ছেড়া কাঁথা সমাজের দুঃসহ বৈষম্য
নিয়মিত কঠিন বাস্তবতার নির্মম আঘাতেও
ছেলের মুখ চেয়ে হেসে ওঠেন 'দুখিনী মা বিমলা'!
হয়তো বুনেন মনে নতুন কোন স্বপ্ন-বেঁচে থাকার।
এভাবেই যায়দিন স্বামীপরিত্যক্তা-হয়ে অবহেলিত।

এ'বাড়ি ও'বাড়ি কত খাটুনি খাটতে হয় সারাদিন!
ছেলেকে খাওয়াতে হবে, 
ভালো শার্ট-প্যান্ট দিতে হবে কিনে,
বাড়ি বাড়ি করে জ্বি-এর কাজ কতটুকুই তহবিল!
কতদিন নিজে না'খেয়ে তুলে দেয় ভাত ছেলের মুখে,
ভাবে, খোকা একদিন বড় হবে,ঘুচবে সকল আঁধার।।

কত স্বপ্ন আর দারিদ্র্যতার নির্মম কষাঘাতে
পেরিয়ে যায় সময়- দিন মাস বছরের পর বছর।
বেড়ে উঠে দিনদিন আদরের ছোট্ট ছেলে-
পরের বাড়ি কাজ করে- টাকা এনে বলে মা-ধর;
কত আনন্দ তখন-
ফেলে আসা কষ্টের সমাহার বিমলার চোখে মুখে,
অনেক সুখ অনুভবে, লায়েক হয়েছে খোকা তার!

দূর গাঁয়ে কাজ দেয় ছেলেকে,
শুনে দুষ্টবুদ্ধি হারিয়ে বোধ-বিচার,
অধিক অর্থ লোভেই শুনেছি!

একমাত্র ছেলের দূর প্রবাস বিরহে পুড়ায় মা'কে।
বুকে পাথর চাঁপা কষ্ট রেখেও ভাবে-দূরেই থাক!
শূন্যতা না হয় আমাকেই ঘিরে থাকুক দিনরাত,
তাতেও যে হই সুখী- কষ্টই তো জীবন আমার!
বারে বারে আসা দীর্ঘশ্বাস চেপে রাখে বিমলা!
কিছুদিন পরপর হতে থাকে মা-ছেলের সাক্ষাত।

ভালোই চলছিল সব,
বিমলার মুখে ফুটেছিল হাসি;
বিপত্তির শুরু যখন বউ নিয়ে ছেলে এল বাড়ি!
দিনরাত ঝগড়াটে বউয়ের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে
সাধ জাগে বড়ই দেখবার- ছেলের মুখ খুশিখুশি।

তাই কি আর হয় দেখা...!
মায়ের মলিন মুখ, বউয়ের খুচখুচ অত্যাচারে-
বিষিত ছেলের মন-জীবন যেন বড়ই বিতৃষ্ণার!

এমনি করেই পেরোয় বছর কয়েক...!
সব কষ্ট যন্ত্রণা ভুলে যান
যখন ছেলের ঘরে আসে নতুন সন্তান।

নাতি সুখে তৃপ্ত বিমলা আঁকে কতনা সুখের ছবি!
সারাদিন খেলা করে নাতি নিয়ে-ঘুরে বাড়ি বাড়ি।

কিছুদিন পর সেই সুখটুকুনও হারাতেই হয়...!
দুঃখের শ্রাবণে ভাসে বিমলার আঁকা সুখস্মৃতি।
নাতি নাই, ছেলে নাই
নাই তার চোখে ঘুম,
কষ্টের ভারে ক্লান্ত হৃদয়-
দুশ্চিন্তা জমতে থাকে ধীরেধীরে
নয়ন-আকাশে জমে ওঠে মেঘ-বারবার ঝরে বৃষ্টি;
কেমন আছে নাতি-ছেলে!
শহরবাসী সন্তান-বিরহে দুঃসহ যন্ত্রণায় হয় ক্ষয়।

পথের দিকেই চেয়ে চেয়ে ভাসে দুখিনী-মা'র বুক!
ছেলে তার আসবে কবে ফিরে বাড়ি-সেই প্রতীক্ষা,
ঘুমহীন হয় রাতভোর, খাবারদাবারে অমনোযোগ;
দিনদিন শুকিয়ে যাচ্ছে শরীর,বেড়ে চলেছে অসুখ।

অবশেষ একদিন সকল অপেক্ষার হলো অবসান;
দুনিয়াজোড়া আঁধারে ঢেকে ফিরে এসেছে সন্তান,
জীবনভর কষ্টের সাথে যুদ্ধজয়ী দুখিনী মায়ের
সেদিন হয়েছিল নির্মমভাবে পরাজয়....!
আশা ভরসার সমস্ত ধার হয়েছিল বন্ধ,সময়ের
নির্মমতায়-আত্মচিৎকারে কাঁপছিল বাতাসের বুক
জনমদুখিনী মা দেখছিল চির-ঘুমন্ত ছেলের মুখ;
স্রষ্টা-বুকেও হয়তো জমেছিল সংশয়...!!

একমাত্র সন্তান শোকেজরজর বিমলা'র অন্তর,
দিনরাত কাঁদেন- সামনেই রাখেন ছেলের কবর;
সমাজের সহযোগিতায় দত্তক দেয়া হয় নাতিন,
একা নিঃস্ব সেই দুখিনী মা'র বিমর্ষ-বদন মলিন।
স্বামীপুত্র হারা নিঃশেষ মা কতই আর দুঃখ সয়!
বিদায়ের আগে হল'না কভু তার পৃথিবী সুখময়।

কতনা অতৃপ্ত আত্মা নিয়ে ছেড়ে গেছেন দুনিয়া;
আজ ভাবি! ভাসাই দুচোখ তোমাকে মা স্মরিয়া।


'বিমলা' আমার গোষ্ঠীবর্গ। আমার আম্মা 'পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর'-এর ভিজিটর পোষ্টে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে বিমলা জ্বি(ফুফু)কে হয়তো অনেক মা ডেকেছি। তার আদরে শান্ত হয়েছি না জানি কতদিন! আমাদের সংসারে বিমলা জ্বি বেশিরভাগ সময় কাজ করতেন। গ্রামের গৃহস্থালি কাজকর্ম আম্মা একা একা সামলে উঠতে পারতেন না। তাই বিমলা জ্বি-এর সহযোগিতা মনে রাখার মতো। সে(বিমলা জ্বি) তার জীবনে সুখের মুখ দেখতেই পারেনি। আমার যতদূর মনে আছে সে এক সন্তান নিয়ে ভাই ভাবিদের যন্ত্রণাময় কথা সহ্য করে নিজের বাপের ভিটেবাড়িতেই সামান্য একটা ছোনের ঘরেই জীবন পার করেছেন। ফুফুটি আমার শেষ পর্যন্ত বড়ই কষ্ট আর দুঃসহ যন্ত্রণা বুকে নিয়ে পৃথিবী ছাড়েন একমাত্র ছেলে হারানো শোকেজরজর হয়ে। আমার কেন জানি বারবার মনে পড়ে সেই ফুফুকে। মাঝেমধ্যে নীরব শ্রাবণধারাও বয়ে যায়....। তাই ভাবলাম স্মরণীয় করে রাখি জনমদুখিনী সেই মা'কে। একটা গল্প লেখার ইচ্ছে আছে আমার এই ফুফুকে নিয়ে, অনেকটা লিখেছিও। হয়তো কোনদিন পোষ্ট আকারে প্রকাশ করে রাখবো আমার ব্লগে।
আল্লাহ্ তা'আলা বিমলা ফুফুকে বেহেশত নসিব করুক এমনটাই প্রত্যাশা রাখি সবসময়।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলার কোটী কাহিনীর একটি

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রাখছি মন্তব্যে শ্রদ্ধেয়....




আপনার সাথে একমত হতে কোন বাঁধা নেই আমার,
দ্বিমত পোষণে নাই কোন যুক্তি;
আমাদের সমাজব্যবস্থার বৈষম্যভেদ হয়নি কোনদিন,
দেখেছি কতো কষ্টের সাথে যুদ্ধ করেও কত মা'দুখিনী!
বৈষম্যহীন সমাজ চাই-মানবতার হোক মুক্তি।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: দুঃখ জনক।

আপনার ফুফুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিন,
আল্লাহ্ আপনার দোআ কবুল করুক।
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই।

খুবই কষ্টের অনুভব অামার, মাঝেমধ্যে নিজেকেও ভাবি অপরাধী।
চাকরিজীবন শুরুকরে ফুফুর তেমন খোঁজখবর রাখতে পারিনি,
আসলে, আমাদের গ্রাম থেকে শহরে স্থায়ী হওয়াতেই ফুফুর কষ্ট বেড়েছিল।
একদিকে ছেলে হারানো শোক অন্যদিক অভাবী জীবন, খোঁজ নেয়ার কেউ ছিল না তার!

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুঃখের কাব্য!!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, খুবই দুঃখের জীবন ছিল তার।
সুখ নামের শব্দটির সাথে তার হয়ে উঠেনি পরিচয়!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয়
শুভকামনা সবসময়।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

সামিয়া বলেছেন: আহারে আহারে দুখিনী মা!!!
ঘটনাটা সত্যি জেনে কষ্ট লাগছে।।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আসলেই খুব কষ্টের জীবন ছিল তার, একটা ছেলের মুখ চেয়ে জীবনটাই পার করতে চেয়েছিল, পারেননি! ছেলে হারানো শোকেজর্জরিত হয়ে নিয়েছেন চিরবিদায়। তার খবর নেয়ার কোন মানুষ নাই পৃথিবীতে!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রাখছি আপু।
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:

মানবপ্রেমে উজ্জীবিত প্রাণের করুনাধারায় বাহিত জন্ম নেয়া কাব্য; ভাল লাগলো। পাদটিকার জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:

অনেক সুন্দর কাব্যিক মন্তব্য রেখে গেছেন সুপ্রিয় কবি ভাই।
ভালো লাগা জেনে লেখাটি ধন্য, উৎসাহিত আমি।
অনুপ্রাণিত হবো আগামীর পথে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

শুভকামনা জানবেন, ভালোবাসা সবসময়।

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বিমলা ফুফু'র দুঃখের মতো দীর্ঘ্য ভালোলাগা আপনার এলিজিতে | আল্লাহ্ তা'আলা বিমলা ফুফুকে বেহেশত নসিব করুক ...|

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিন,

অনেক প্রেরণাদায়ক মন্তব্য রেখে গেছেন ভাই। উৎসাহদানে কৃতজ্ঞতা রাখছি।

শুভকামনা জানবেন ভাই, ভালোবাসা সবসময়।

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কবিতায় পুরো কাহিনী চোখের সামনে ফুটে উঠেছে । সার্থক হলো আপনার লেখা ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ধন্য হলো আমার চেষ্টা আপনার মন্তব্যে রেখে যাওয়া কথাগুলো পড়ে।
অনেক প্রেরণাদায়ক মন্তব্য রেখেছেন আপু, উৎসাহদানে কৃতজ্ঞতা রাখছি।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৯

হাতকাটা হাকিমুল বলেছেন: ফুফু আপনার কিন্ত গল্পটি হাজারো পরিবারের ।
দুঃখজনক ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুভ সকাল

হ্যা ভাই, এরকম অনেক বিমলারা অতৃপ্ত আত্মা নিযে ছেড়ে যান পৃথিবী। আমরা তা বুঝতেই পারিনা!

হ্যা ভাই, অনেক দুঃখের কাহিনী,
পড়ে যাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম।

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৬

উদাস মাঝি বলেছেন: এই সব মেয়েরে ভাবেনা যে তারাও একদিন মা হবে

হৃদয়ভেঙ্গে গেল পড়তে গিয়ে । ভাল থাকুক বিমলারা । ভাল থাকুক সমস্ত মায়েরা

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুভ সকাল ভাই।
অনেক দেরি করে ফেললাম মন্তব্যের জবাবে।

সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন ভাই। কৃতজ্ঞতা রাখছি।

ভালো থাকুক সমস্ত বিমলারা .....

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৭

ওমেরা বলেছেন: কত কষ্টের জীবন ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা আপু, কারো কারো জন্য জীবনটা অনেক কষ্টেরই থেকে যায় ..!
আমরা সীমাহীন কষ্টের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা মানুষদের খবর রাখি না!
যতদ্রুত সম্ভব ভুলে যেতে চাই তাদের ..।!!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

শুভ সকাল

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুবই মর্মস্পর্শী।

গাজী ভাইয়ের মতোই আমারও একই কথা। এরকম কোটি প্রাণ ঐ পথের দিকে চেয়ে ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য রেখে গেছেন ভাই।

এরচেয়েও মর্মস্পর্শী অনেক বিমলারা নীরবে ছেড়ে যায় পৃথিবীর দিকে থুথু ছিটিয়ে বুক ভরা যন্ত্রণা নিয়ে ...!
আমারা তাদের দিকে ফিরে দেখার সময় পাই না, সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসি!!

দুনিয়ার বুক থেকে সকল দুঃখের হোক অবসান, মানবিকতায় উঠুক মানুষের অন্তর মন, গড়ুক আত্ম-সেতুবন্ধন মানুষে মানুষে।

গুরুত্বপূর্ণ কথা রেখে যাওযায় কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই।
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।
শুভ সকাল

১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়ে মনটা খারাপ হল।
আমাদের সমাজে এমন কষ্টের স্বীকার অনেকেই হচ্ছেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মন্তব্যের ঘরে পেয়ে অনেক খুশি হলাম ভাই,
সুন্দর অনুভবে মুগ্ধতা জানবেন।

সামাজিক বৈষম্য দূর হোক, দুঃখের হোক অবসান।

শুভকামনা জানবেন ভাই সবসময়

১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সত্যিই চোখে পানি চলে এসেছিল। আপনার ফুফুকে মহান পরওয়ারদিগার জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা দান করুন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিন,
আল্লাহ্ আপনাকে কবুল করুক।

সত্যিই অনেক কষ্টের জীবন পেরিয়ে গেছেন ফুফুটি .... আমি হয়তো অনেক কিছুই লেখায় প্রকাশ করতে পারিনি ভাই।

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দুঃখিনী মায়ের দুঃখ গাথা।

এই পৃথিবীতে তিনি শান্তি পাননি, পরপারে যেন অনন্ত শান্তিতে থাকেন এই কামনা করি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, দুখিনী মা'কে স্মরণীয় করে রাখার সামান্য চেষ্টা করেছি আমি।
মাঝেমধ্যেই মনে পড়ে আমার ফুফুর কথা,
এখন আর তাকে কেউ মনেই করেনা!!
তাই আমার এই লেখাটুকৃর চেষ্টা করতে আগ্রহ জাগে।


শুভকামনা জানবেন ভাই সবসময়।

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

জুন বলেছেন: আপনার কবিতা ও শেষে পাদটীকাটি মনে দাগ কেটে গেলো নয়ন । অনেক আবেগ নিয়ে লিখেছেন ।
+

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আবেগ বলতে লেখতে গিয়ে মাঝেমধ্যে চোখ মুছতে হয়েছে আরকি। লেখাটি প্রায় দেড়মাস আগে শুরুকরে মাঝামাঝি পর্যন্ত লিখে আর লেখা হয়নি, গতকাল কোনরকম শেষ করেছি। আমার কাছে খুব দুঃখের জীবন পেরিয়ে গেছেন ফুফু এমনটাই মনে হয়। স্বামী সংসার হারিয়ে একমাত্র ছেলের মুখচেয়ে সুখ খুঁজতে চেয়েছিলেন তিনি, আল্লাহ্ তার কপালে কোন সুখই লিখেননি হয়তো। এখন তার কেউ নেই পৃথিবীর বুকে!! ভাবতেই আমার কেমন যেন খু্ব কষ্ট বাড়ে, আমি স্তব্ধ হয়ে যাই ....

মন্তব্য ও প্লাসে কৃতজ্ঞতা রাখছি।
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

জুন বলেছেন: আপনার কবিতা ও শেষে পাদটীকাটি মনে দাগ কেটে গেলো নয়ন । অনেক আবেগ নিয়ে লিখেছেন ।
+

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পড়ে যাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
দোআ করবেন আপু

শুভকামনা জানবেন সবসময়

১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

শায়মা বলেছেন: বিমলা ফুপু ভালো থাকুন যেখানেই থাকুন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিন,

অনেকদিন পর সুপ্রিয় আপুকে মন্তব্যের ঘরে দেখে দুঃখ ভুলে আনন্দিত হলাম।
কৃতজ্ঞতা রাখতেই হয় আপুর আগমনে।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময় রাখি আপু
শুভ হোক আপনার প্রতিক্ষণ।

১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

নীলপরি বলেছেন: চোখ ভেজানো কবিতা । কবিতার বাস্তবতা খুবই মর্মস্পর্শী । ++++

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা রাখছি আপু।


শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্যিই মানুষের জীবনটা জটিলতায় ভরা..........এমন কষ্ট কাহিনীগুলো আমাদের সমাজে ঘটছে সব সময়।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার রেখে যাওয়া কথাগুলো। মস্তব্যে কৃতজ্ঞতা রইল।

মানুষের জীবন থেকে সকল জটিলতার অবসান হোক,

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





বাস্তব অভিজ্ঞতায় লেখাগুলো বেশ মর্মস্পর্শী হয় । তিনি যেখানে থাকুক ভাল থাকুক ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার কথা, আসলেই কিছুকিছু বাস্তবতা বড়ই নির্মম হয়

মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই,

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়

২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অসাধারণ জীবন গাথা ফুটে উঠেছে কবিতাটিতে ।
পাঠে মুগ্ধ ।

এ'বাড়ি ও'বাড়ি কত খাটুনি খাটতে হয় সারাদিন!
ছেলেকে খাওয়াতে হবে,
ভালো শার্ট-প্যান্ট দিতে হবে কিনে,
বাড়ি বাড়ি করে জ্বি-এর কাজ কতটুকুই তহবিল!
কতদিন নিজে না'খেয়ে তুলে দেয় ভাত ছেলের মুখে,
ভাবে, খোকা একদিন বড় হবে,ঘুচবে সকল আঁধার।।


শুভেচ্ছা রইল ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাইয়ের মুগ্ধতা জেনে অনেক আনন্দিত হলাম, অনুপ্রাণিত হবো সামনের দিনে।
উৎসাহদানে শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা


শুভকামনা জানবেন, শ্রদ্ধা ভালোবাসা সবসময়

২২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ শোকগাঁথা পড়ে মনটা হু হু করে উঠলো!
প্রথম মন্তব্যেই চাঁদগাজী কবিতার সারাংশ দিয়ে গেছেন-- বাংলার কোটি কাহিনীর একটি
কবিতায় যেমন, অনেকগুলো মন্তব্য প্রতিমন্তব্যেও মায়া মমতা প্রকাশ পেয়েছে। সেগুলো ভাল লেগেছে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় সুপ্রিয় কবিবর-এর মন্তব্য পেয়ে লেখাটির সার্থকতা খোঁজে পেয়েছি, কৃতজ্ঞতা রাখছি আপনার মন্তব্যে।

অগণিত দুখী মায়ে চোখ নীরবে ঝরে চলে সমাজজীবনে। আমরা অনেকসময় দেখেও না দেখার বান করি, অগোচরেই থেকে যায় অনেকের কষ্ট বেদনা!!

শুভকামনা জানবেন, শ্রদ্ধা ভালোবাসা সবসময়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.