নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকিলিকস

আকিলিকস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর সমধিকার নিয়ে বিজ্ঞান যা বলে! মুক্তমনাদের আহবান করছি.....।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২

দেশ এখন দু’ভাগে বিভক্ত! একদল মুক্তচিন্তকদের দলে আর অপরদল মৌলবাদের দলে। তথাকথিত মুক্তচিন্তকরা বরাবরই নিজেদেরকে বিজ্ঞানমনষ্ক বলে দাবি করে থাকেন। সেই দাবির অংশ হিসেবে তারা নারী স্বাধীনতার বুলি আওড়িয়ে থাকেন। নারী স্বাধীনতার আন্দোলন তারা বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। আর সেই লক্ষ্যে স্বামী সংসার সব ত্যাগ করে সুলতানা কামাল রোকেয়া প্রাচীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের এই পরিশ্রমকে আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করি! ভিন্ন দিকে গোড়া মৌলবাদী মুসলিমরা নারীদেরকে পর্দার শিকল পরিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখতে চায়! ইসলাম বলে নারীর জন্মই হয়ে সন্তান জন্মদান এবং লালন পালনের জন্য! নারীরাও মানুষ পুরুষরাও মানুষ! সেই দাবি থেকে তারা সমধিকার দাবি করে থাকেন! কিন্তু এই সমধিকারের বিরোধীতা জামাত শিবির হেফাজত ইসলাম সিন্ডিকেট আকারে করে আসছে! তাহলে কি ইসলাম নারীদেরকে পরোক্ষ ভাবে নির্যাতন করছে? ইসলামকে নারীদের পায়ে শিকল পরিয়ে দিচ্ছে? তাহলে কি ইসলাম মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে?

এতসব প্রশ্ন থেকে উত্তর খোঁজার জন্য মনোনিবেশ করলাম! উত্তর পেয়েও গেলাম! কিন্তু তথাকথিত মুক্তচিন্তক এবং বিজ্ঞানমনষ্ক দাবিকারকরা তো আবার মুসলিম মোল্লা বুদ্ধিজীবিদের কথাগুলো গ্রহণ করবেন না। তারা গ্রহণ করবেন কোন মার্কিনি বুদ্ধিজীবী অথবা ইহুদি বিজ্ঞানীর থিউরি।

নোবেল পুরষ্কারপ্রাপ্ত প্রখ্যাত ফরাসী অর্থনীতিবিদ এলেক্সিস কারেল ‘একিন’ পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, “ নারী ও পুরুষের মধ্যে যে বাস্তব পার্থক্য পাওয়া গেছে, তা তাদের মধ্যে যতোটা পার্থক্য অনুভুত হয়েছে , তার চেয়ে অনেক বেশি মৌলিক ধরনের। এই পার্থক্যের আসল কারণ হল, স্বয়ং টিস্যুগুলোর নির্মাণগত ব্যবধান এবং এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তাদের জরায়ু থেকে তরলাকারে নির্গত হতে থাকে। এই মৌলিক তথ্য সম্পর্কে অবহিত না হবার কারণে, নারী প্রগতির ধব্বজাধারীরা ভেবে বসেছে যে, নরনারীর উভয়ের দায়দায়িত্ব সমান হওয়া উচিত। আসলে নারী- পুরুষের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। তার দেহের এক একটা সেলে তার নারীত্বের সিল অংকিত রয়েছে। তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও মেরুমজ্জার অবস্থাও তদ্রুপ”।

সুইজারল্যান্ডের মননশীল লেখক ডব্লিউ রোপক বলেছেন, “ এই কাতারে নারীবাদিদের সেই উকিলও দাড়িয়ে আছে। সে তাকে পুরুষের সমান অধিকার আদায় করে দিতে চায়। কিন্তু যে রহস্যময় বিষয়গুলো এই মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, উভয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে উকিল সাহেবগণ একেবারেই অজ্ঞ! বস্তুত ঐ পার্থক্যগুলোর বাস্তব কারণও রয়েছে।

পন্ডিত কোয়াল্ড স্কোয়ারস তার ‘যৌন মনস্বত্বে’ গ্রন্থে বলেছেন, “ নারীর শারীরিক বাগানের একটি বিশেষ অংশ বিশেষভাবে শুধু গর্ভধারনের জন্য নির্মিত হয়েছে। কোন নারীকে যদি তার দৈহিক ও মানসিক গঠনের দাবী পূরনে বাধা দেয়া হয় তবে সে তার জীবনী শক্তি হারিয়ে নির্জীব ও নিরানন্দ হয়ে যাবে। মাতৃত্ব দ্বারা সে একটি স্থানীয় ও তরতাজা সৌন্দর্য লাভ করে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, পুরুষের ব্যক্তিত্ব নারী থেকে সম্মূর্ণ ভিন্ন ধরনের। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের হওয়াই যে অনিবার্য তা বুঝা কঠিন নয়। কেননা উভয়ের অস্তিত্ব পরস্পরের থেকে মৌলিকভাবে পৃথক। এই জৈবিক পার্থক্য শরীরের টিস্যুগুলো দিয়েই প্রকাশ পায়। নর-নারীর যৌনক্রিয়া একদিক থেকে বলবান করা ও অপরদিক দিয়ে ফলবান হওয়া দ্বারা এটা বাহ্যিক ও ঐন্দ্রিকভাবেই বোধগম্য”।

পন্ডিত কোয়াল্ড স্কোয়ারস তার বক্তব্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, “ আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ তার চাহিদা পূরণ করতে চায়। এই চাহিদা পূরনে বাধা দেয়া হলে সমগ্র শারীরিক ব্যবস্থাটা ভেঙ্গে পড়ে। নারীর নারীত্বের দাবি হল তার সন্তান প্রসব করা চাই। এটা শুধু তার জন্মগত মাতৃত্বের দাবিই নয়। এটা বাহিরে থেকে চাপানো কোন নৈতিক দায়িত্বের ফলশ্রুতিও নয়। বরং তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সমস্ত ব্যবস্থাই যখন সন্তানের প্রজননের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট হয়েছে, তখন তার অঙ্গপ্রতঙ্গের এই দাবি পূরনে বাধা দেয়ার ফল শুভ হতে পারে না। এই বাধা দেবার পরিণাম একমাত্র এটাই হতে পারে যে, এই বঞ্জনা নারীর সমস্ত ব্যক্তিসত্তার উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করবে”।

প্রিয় নারী সমধিকার আদায়ে মুক্তমনা ব্লগারগণ! এখানে যাদের উদ্ধৃতি দিয়েছি তারা প্রত্যেকেই আপনাদের অতি প্রিয় ব্যক্তি। কারণ তারা কেউ ই নামধারী মুসলিম নয়। তারপরও কি আপনি বলবেন, এগুলো গোড়া মোল্লাদের বক্তব্য!

কুরআন যা বলে তা মানুষের মঙ্গলের জন্যই বলে! তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল! তোমার নারী স্বাধীনতার মাধ্যমে তোমরা নারীদের উপর ডাবল কাজ চাপিয়ে দিচ্ছো! একবার বাহিরে অফিসে কলকারখানায় কাজ করতে হচ্ছে! আর একবার ঘরে ফিরে কাজ করতে হচ্ছে! তাহলে দেখা যাচ্ছে তোমাদের নারী স্বাধীনতার আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে নারীদের উপর কাজের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্চে। সেখানে ইসলাম শুধু বলে নারী সন্তান জন্ম দিবে এবং তাদের লালন পালন করবে। আর এটাই নারীদের জন্য অধিক সহজ কাজ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


নারী স্বাধীনতা মানে তাকে পরিবারের ছেলেদের মত উচ্চ-শিক্ষা দাও, ইচ্ছার বাহিরে বিয়ে দিও না, বাবার সম্পত্তিতে সমান ভাগ দাও, চাকুরী করতে চাইলে সেই সুযোগ দাও, ঘরের কাজে সাহায্য কর, বিবি ফাতেমার মত যেন স্বামীর হাতে লাঠি তুলে দিতে না হয়; বউয়ের শক্তি কম দেখে উহাকে পিটাইও না; উহার পিতা মাতার থেকে টাকা পয়সা আদায় করিও না; এই তো।

আপনার মাথায় ঢুকেছে?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০১

আকিলিকস বলেছেন: অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী!

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: সব বিষয়ে নারী পুরুষের সমান অধিকার চাওয়া ঠিক না, যেমন সন্তান জন্ম দেওয়া পুরুষের পক্ষে সম্ভব না।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৩

একটি পেন্সিল বলেছেন: একই পোষ্ট দুই ব্যক্তির নামে কাহিনী কি?

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৬

অভি চৌধুরী বলেছেন: বুঝলামনা আপনার পোষ্ট শিরোনাম কিছুই, আপনি কি নারী এ্যনাটমি তুলে ধরলেন নাকি নারীর রাইট/?

দুটো দুই জিনিস। নারীর রাইট কথাটা বললে সঠিক হয়না, বলতে হবে মানুষের রাইট, এখানে নারী পুরুষ কথাটা আসবেনা যখন রাইট কথাটা আসবে। বোঝাতে পেরেছি?

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩০

নতুন বলেছেন: মাতৃগভে` কয়েক সপ্তাহ পযন্ত শিশুটি ছেলে না মেয়ে সেটা বোঝা যায় না। তার মানে শারীরিক ভাবে নারী পুরুষ আসলে একই জিনিসে সৃস্টি হয়। কিন্তু কিছু হরমোন শরীরকে ছেলে বা মেয়ে বানায়।

নারীর শরীরে যা যা আছে... পুরুষের শরীরেও তাই আছে।

আর একটা জিনিস দুনিয়াতে নারীরা যদি চায় পুরুষের সাথে সম্পক রাখবে না তবে পুরুষ কিন্তু বংস বৃদ্ধি করে টিকে থাকবে না।

কিন্তু নারী ক্লোনিং করে নতুন শিশুর জন্ম দিতে পারবে।

নারীদের পুরুষতান্ত্রীক সমাজ তার পেশীবলে দমিয়ে রেখেছে... অন্য কোন ভাবে পুরুষ নারীর উদ্ধে না। পুরুষের একটু পেশীর জোর আছে... এই যা।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৫

সজিব্90 বলেছেন: <<<<<জন্মান্ধ, ধর্মান্ধ, চিরঅন্ধের দেশে

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৭

সজিব্90 বলেছেন: <<<<<জন্মান্ধ, ধর্মান্ধ, চিরঅন্ধের দেশে

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

একটি পেন্সিল বলেছেন: নারীরা যদি তাদের প্রকৃত কাজ করার পর আরো কাজ করতে অনিচ্ছা না দেখায়, তবে বাধা দিয়ে কি লাভ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.