নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস। গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে এই দিবসটি অনেকটা নীরবেই চলে গেল! কোন চ্যানেলে এই দিবসটি নিয়ে কাভার ষ্টোরি দেখলাম না। না দেখানোই ভাল হইছে! গণতন্ত্রের মানসকন্যার দেশে এসব আনুষ্ঠানিকতা মানায় না! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো গণতন্ত্রের ধারক বাহক! তার দিকে তাকালেই গলতন্ত্রের পূর্ণ প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে! প্রধানমন্ত্রী নিজেই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কাভার ষ্টোরি।
গণতন্ত্রের মানসকন্যার দেশে সবসময় দৃষ্টান্তস্থাপনকারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে! তা হোক জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচন! সব নির্বাচনই ইতিহাস সৃষ্টি করেছে! ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে কোন ধরনের ভোট ছাড়াই ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন! এমন দৃষ্টান্ত আর কোথাও মিলবে বলে মনে হয় না! আর বাকি যেসব স্থানে ভোট হয়েছে সেখানে ভোটারের বদলে কু্ত্তা ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে! একুশে টিভির ক্যামেরায় জাল ভোটার কিভাবে জাল ভোট দেয় তাও দেখেছি! আর সেই রিপোর্ট করার কারণে একুশে টিভির সাংবাদিক এহসানের চাকরী গেছে তাও শুনেছি! এইতো গণতন্ত! এতো সুনীপুন ভাবে কেউ গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারে বলে ইতিহাসে কেউ দাবি করতে পারেনি! সত্যিই নেত্রী! আপনি প্রকৃত অর্থেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর সুযোগ্য সন্তান!
স্থানীয় সরকার নির্বাচন এতো স্বচ্ছ এবং প্রশ্নাতীত হয়েছে যে তা দেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাজ্জব হয়ে গেছে! স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই ৫৬ জন নিহত! তাই তো কবি বলেছেন, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাতো তুমি! জি সত্যি এমন দেশটি আর কোথাও খুঁজে পাবে না! এই একটি মাত্র দেশেই গণতন্ত্র পূর্ণমাত্রায় বিকাশ লাভ করেছে! একমাত্র বাংলাদেশের মানুষই গণতন্ত্রের পূর্ণ সুবিধা ভোগ করে থাকে! এমন সুবিধা স্বয়ং আব্রাহাম লিংকনের দেশের মানুষরা পায় না।
গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বরচিত বই বিপন্ন গণতন্ত্র বইটি হয়তো অনেকেই পড়েছেন! বইটি পড়ে নেত্রির প্রতি শ্রদ্ধায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ি!নেত্রি এতো মহান! বই এর পাতায় জনগনের দুঃখ কষ্টের কথা এবং তাদের স্বপক্ষের কথাগুলো পড়ে চোখে পানি চলে আসে! আহা এমন নেত্রী যদি প্রত্যেক দেশে একজন করে থাকত! তাহলে প্রত্যেক দেশের মানুষের নাগরিকদের ভোটাধিকার হারাতে হতো! কষ্ট করে লাইনে দাড়িয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভোট দিতে হতো না! নেত্রি জনগনের কষ্টটা বোঝেন! তাই তো গনতন্ত্রের পূর্ন প্রয়োগ করে দেশের মানুষকে এই অমানষিক কষ্ট থেকে উদ্ধার করেছেন! নেত্রি! সত্যি আপনার তুলনা আপনি নিজেই! আপনার দিলটা যে এতো দয়ালু তা এই দেশের মানুষ বুঝল না! বেকুব! সব বেকুবের দল! কবিগুরু এমনিতে কি আর বলেছেন, ‘রেখেছো বাঙ্গালী করে মানুষ করোনি’। এই মাথা মোটা বাঙ্গালীর দল আপনাকে বুঝলই না!
বর্তমানে গণতন্ত্রের এই মানসকন্যা ইউরোপ সফরে রয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রধানমন্ত্রীরা ভিন্ন দেশে গেলে সেখানকার প্রবাসীরা তাদেরকে উষ্ঞ অভ্যর্ধনা জানায়। কিন্তু গনতন্ত্রের মানসকন্যা লন্ডনে গিয়ে প্রবাসীদের হাতে ডিমের ঢিল খেয়েছেন! সেই ডিমের ভয়ে লন্ডনের চারটি হোটেল ম্যাডাম রাখতে অস্বীকৃতি জানায়! সেখানকার সরকার পক্ষেও কেউই তাকে ওয়েলকাম জানায় নি! লন্ডনে অবস্থানরত মাথামোটা বাঙ্গালীরা এই দরদী মানসকন্যাকে চিনতে পারে নি। তাই তারা তাকে লেডি হিটলার এবং স্বৈরাচার বলে গালি দিয়েছে! ম্যাডাম মন খারাপ কইরেন না! ভাল কাজ করতে গেলে এই রকম দুই একটা কথা শুনতে হয়।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, ১৫ই সেপ্টেম্বর ছিলো গণতান্ত্রিক দিবস।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজেই গণতান্ত্রিক মানসিকতার মানুষ?