নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অভিষেকহীন অভিসারিকা

নাসরিন চৌধুরী

সময় মানুষকে কিভাবেইনা বদলে দেয় ,বদলে যাই - বদলে যায় সবাই! আনমনে স্মৃতির পাতা উল্টাই বেছে বেছে জমে থাকা ক্লেদগুলোকে উগলে ফেলে দেই স্বস্তির নিঃশ্বাসের চাদরে নিজেরে জড়াবো বলে! কিন্তু কতটা পারি বা পেরেছি কতটাই বা পারা যায় খুঁতের মাঝে নিখুঁতের বীজ বোনা !

নাসরিন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিশোরে'র বস্ত্রহরণ ও হ্যামিলিওনের বাঁশিওয়ালা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২১





চারিদিকে পুলিশ আর সংবাদকর্মীদের ভিড়। সেই সাথে উৎসুক জনতা লোকটাকে ঘিরে রেখেছে। কেউ বলতে পারছেনা কিভাবে কি হল। দু'ঘন্টা আগেও লোকটাকে পার্কে'র ভেতরে অনেকেই দেখেছে। লোকটা'র নাম ডেভিড। বয়স চল্লিশোর্ধ হবে। ইটালিয়ান বংশোদ্ভূত ডেভিড বছর দশেক আগে জার্মানীর বার্লিনে এসে বাস করছে। পরিবার বলতে তার কেউ ছিল কিনা কে জানে তবে বেশ অমায়িক, আন্তরিক এবং প্রিয়ভাষী। কথার যাদুতে সহজেই বশ করে ফেলত মানুষকে। বিশেষ করে কিশোর'দের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে উঠল ডেভিড । প্রতিদিন পার্কে ডেভিডের সাথে গল্পের আসর জমতো কিশোরদের । বিকেলের সময়টা কেটে যেতো মন্ত্রমুগ্ধের মত। এভাবে প্রতিদিনই বাড়তে লাগল কিশোরদের সংখ্যা। প্রথম প্রথম ওরা বাবা বা মা'র সাথে আসত ডেভিডের গল্প শুনতে।কিছুদিন পর একাই আসতে শুরু করলো ওরা।



কাইজার ষ্ট্রীটের ৮৭ নম্বর বাড়ীতে পাঁচ তলায় থাকে ডেভিড। পাশেই টেম্পেলহোফ পার্ক। তার ফ্লাট থেকে পুরো পার্কটাকে'ই দেখা যায়। ডেভিড তার নিজের ফ্ল্যাটে একাই থাকে। সে কখনও ধূমপায়ী বা মদ্যপায়ী ছিলনা বিধায় সব বাবা মা'রাও আশ্বস্ত ছিল যে ডেভিডের সংস্পর্শে ছেলেদে'র নষ্ট হবার সে রকম কোন সম্ভাবনা নাই। ওরা ওদের সকল সমস্যা অনায়াসে তার সাথে শেয়ার করতে পারত। ডেভিড কিভাবে জানি সব সমস্যার একটা সহজ সমাধান বের করে দিত। কিশোরদের মধ্যে যারা নিয়মিত ছিল তারা হলো মাইকেল, স্টিভ ,রোলান্ড, জন, মার্টিন ও পিটার। ওরা সবাই প্রায় সমবয়সী, আনুমানিক চৌদ্দ থেকে পনের হবে। সেন্ট জোসেফ স্কুলে ক্লাস এইটে পড়ে।



এভাবেই কেটে যাচ্ছিল দিন। হঠাৎই একদিন ডেভিড বলল ,

আমার বাসায় আমি তোমাদের দাওয়াত করতে চাই।

বালকরা বলল,

তাহলেতো খুব মজা হয়

ডেভিড বলল,

কিন্তু সমস্যা হলো আমার বাসায় জায়গা খুব কম। একজনে থাকার জন্য ঠিক আছে। মাত্র একটা রুম। তাই তোমাদের সবাইকে আমি একসাথে নিতে পারবোনা। একজন একজন করে নিয়ে যাবো। তোমরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নাও কার কার হাতে সময় আছে। তারপর আমাকে তালিকা দিও।

বালকরা বলল ,

ঠিক আছে ডেভিড। তবে আমরা যদি সবাই একসাথে যেতে পারতাম তাহলে কিন্তু বেশ হত।

ডেভিড বলল,

আমার জন্মদিনের পার্টিতে আমি একটা হলরুম ভাড়া নিবো। তখন তোমাদের সবাইকে একসাথে দাওয়াত করবো। তোমরা এনিয়ে মন খারাপ করোনা।

মাইকেল বলল,

ঠিক আছে। আগামী রোব বার আমি ফ্রি আছি। আমি তোমার বাসায় আগে যাব। ওরা সকলেই একমত যে মাইকেল'ই আগে যাবে। কারন মাইকেল একটু পাগলাটাটে। সব কিছুতেই তার তাড়াহুড়ো, কোন বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সেটা না পরিনতিতে না যাওয়া পর্যন্ত তার নাওয়া খাওয়া সব বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধুরা খুব ভাল করেই তাকে জানে, তাই কেউ আর আপত্তি করলো না যে কে আগে যাবে আর কে পড়ে যাবে।



যে কথা সেই কাজ। রোববার আসতে আরও তিন দিন বাকী। মাইকেল অস্থির, রোববার আসতে এত দেরী ক্যান নিজেরে নিজে বার বার প্রশ্ন করে। ডেভিড বলেছিল ইটালিয়ান পাস্তা আর পিজা নিজের হাতে করে খাওয়াবে,সে খাবারের লোভে উত্তেজনাটা যেন আরও একটু বেশী।



মাইকেল জার্মান ছেলে। সোনালী চুল আর নীল চোখের মাইকেল'কে পেয়ে ডেভিড যেমন কেমন আত্মহারা। মাইকেলও মহাখুশি ইটালিয়ান আর পাস্তা খেতে পেরে। আস্তে আস্তে ডেভিডের আচরন কেমন যেন পরিবর্তন হয়ে যেতে লাগল। সফট ড্রিংস এলো , মাইকেল খুশি হয়েই চুমুক দিল এবং পুরো গ্লাস শেষ করে ফেলল। কেমন যেন একটু ঘোরের মত কাজ করছে কিন্তু বেশ ভালই লাগছে।তবে ভাবছে সফট ড্রিংকস এমন হবে কেন? এদিকে ডেভিড আস্তে আস্তে মাইকেলে'র পাশে এসে তাকে জড়িয়ে ধরল,পাগলের মতো আদর করতে লাগল। প্রথমে মাইকেল কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেলো কিন্তু যখনই নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে যাচ্ছিল কিন্তু ততক্ষনে সফট ড্রিংসে'র সাথে মেশানো ঘুমের ঔষধের কল্যানে এতক্ষনে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে ঘুমের ঘোরে। তারপর কি হল মাইকেলে'র আর কিছু মনে নেই।



যখন জ্ঞান ফিরল তখন দেখল ডেভিড পাশে নেই কিন্তু নিজেকে সে কোনভাবেই বিছানা থেকে উঠাতে পারছেনা। তার নিজের শরীরে একটা কাপড়ও নাই। খুব ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি কাপড় পড়ে দ্রুত বাসা থেকে বেড়িয়ে এল। কিন্তু ডেভিডকে সে কোথাও দেখতে পেলোনা। কিন্তু মাইকেল অনুভব করতে পারছে তার শরীরে'র ওপর দিয়ে অনেক বড় একটা ঝড় বয়ে গেছে। লজ্জায়, ভয়ে, সংকোচে সে বাসায় এসে বাবা মা'কেও কিছু বলতে পারলনা। বাবা মা জিজ্ঞাসা করেছিল ডেভিডের পার্টি কেমন হল ?

মাইকেল মাথা নেড়েই সম্মতি দিয়েছিল যে ভালই হয়েছে।



পরদিন সে আর স্কুলে যেতে পারলনা। রাত থেকেই তার প্রচণ্ড জ্বর। বন্ধুরাও ফোন করে জানতে চাইল ডেভিডের সাথে কেমন কেটেছে কিন্তু মাইকেল কাউকেই আসল ঘটনা কিছু বলতে পারেনি। শুধু বলেছে ভাল এবং জ্বরের কারনে কিছুদিন সে স্কুলে আসবেনা।



এক সপ্তাহ সে বাসা থেকে কোথাও বের হয়নি। কোথাও যেতে তার ভাল লাগছে না ,এমনকি বন্ধুদের সাথেওনা। আস্তে আস্তে আবার আরেক রবিবার ঘনিয়ে এল। শনিবারে ওর বন্ধুরা তাকে ফোন দিল এবং জানালো রবিবার স্টিভ যাবে ডেভিডের বাসায়। একথা শুনে মাইকেল আর থাকতে পারলোনা। সে বলল,

না একদম না, কেউ যাবেনা ডেভিডের বাসায়।

ওরা বলল,

কেন ? নিজেতো ভালই খেয়ে দেয়ে এলি আর আমাদের বেলায় যখন এলো তখন বাঁধা দিচ্ছিস! তুই বাঁধা দিলেই আমরা শুনব কেন ?

মাইকেল বলল,

তোরা অপেক্ষা কর, আমি আসছি।



মাইকেল সবাইকে একসাথেই পেয়ে গেলো। ওরা সবাই মাইকেলে'র বাসার নীচেই অপেক্ষা করছিল। মাইকেল গিয়ে ওদেরকে সব বলল। কিন্তু মাইকেলে'র কথা ওরা কেহই বিশ্বাস করতে পারছিলনা। কারন ওরা ডেভিডকে প্রায় এক বছর ধরে দেখছে কিন্তু কোনদিনও মনে হয়নি ডেভিড এতটুকু মন্দ হতে পারে। ডেভিডকে চিনতে এতজন লোকের ভুল হতে পারেনা!!



কিন্তু মাইকেল তাদের ছোট বেলার বন্ধু, মাইকেল'কে ওরা খুব ভাল ভাবেই জানে। ভুক্তভোগী হয়েও মাইকেল কারো কাছে মুখ খোলেনি কিন্তু যখন দেখল তার'ই প্রিয় আরেকজন বন্ধু একই ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে তখন সে চুপ করে থাকতে পারলনা।



সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল কি করা যায় !

উপায় বের করল রবিবার ওরা সবাই মিলে যাবে ডেভিডের বাসায় এবং জিজ্ঞাসা করবে ডেভিড'কে যে এসবের মানে কি ? যদি ডেভিড খারাপ কিছু করে বা করতে চায় ওরা পুলিশ ডাকবে। আগে ওরা ডেভিডে'র সামনা সামনি দাঁড়াবে, তারপর অন্য চিন্তা। কিন্তু মাইকেল এত ঘাবড়ে গেছে যে সে চায়না তার বাবা মা ব্যাপারটা জানুক আর পুলিশতো দূরের কথা। ওরা রওনা হল ডেভিডের বাসার উদ্দেশ্যে।



পাঁচতলা ফ্লাটের জানালা থেকে পড়ে ডেভিডের থেতলে যাওয়া মৃতদেহটা জাতীয় দৈনিকগুলোতে শিরোনাম হয়েছে। সকল কিশোদের বাবা মা'র চোখে পানি ,ওরা ভাবতেই পারেনি ডেভিডের মত ভাল একজন লোক এভাবে চলে যাবে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত নিয়ে ব্যস্ত। আর এদিকে কিশোর'রা বেশ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। মনে হলো গলা থেকে যন্ত্রনাময় কাঁটাটি নেমে গেলো।





( আমার জীবনে লেখা দ্বিতীয় গল্প। একটা পরামর্শ আমি দিতে চাই, সন্তান ছেলে হোক আর মেয়ে হোক এমন ঘটনার শিকার হতে পারে, সেটা পৃথিবীর সব দেশেই হতে পারে। ছেলে হলেই কিন্তু সে নিরাপদ, এমন ভাবাটা ভুল। তাই আপনার সন্তানকে খুব খুব খেয়াল রাখুন, তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন যাতে ওরা এমন কোন ঘটনা ঘটলেও শেয়ার করতে ভয় বা লজ্জা না পায়।আর এমন শত্রু আপনার আশে পাশের মানুষগুলোও হতে পারে তাই নিজের সন্তানকে চোখ বন্ধ করে কারো সাথে মিশতে দেয়া উচিত নয় )

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: প্রথম কমেনটস করার সৌভাগ্য পেলাম
অপূরব লিখা
অসাধারন

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।ভাল থাকা হোক।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: ডেভিডের জন্য গল্পের প্রথমে এই ভেবে খারাপ লাগছিল যে সে একটা সাইকো। কিন্তু তার জন্য গলার কাঁটা এভাবে কেন সরাতে হবে। ডেভিডের চেয়ে দেখা যায় বেশি অপরাধ করে ফেলেছে মাইকেলের বন্ধুরা। যে কোন অপরাধ এভাবেই হয়ে যায়। একটার বদলে মানুষ আরেকটা খারাপ কাজ করে ফেলে। যেখানে ডেভিডকে মানসিক চিকিৎসা কিংবা আইনের আওতায় আনা যেত সেখানে তাকে মেরে ফেলাটা বড় অপরাধ।

তবে বন্ধু নির্বাচনে শুধু কিশোর বয়সের ছেলে মেয়েরাই নয় বুড়োরাও ভুল করে। মানুষের প্রকৃত স্বরূপ আসলে প্রথম থেকে বোঝা যায় না। ধীরে ধীরে তার কার্যক্রম থেকে বোঝা যায়। পরিবার থেকে সঠিক শিক্ষার যেমন প্রয়োজন রয়েছে তেমনি প্রয়োজন সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা।

গল্প লেখা নিয়ে কোন কথা নেই। খুব ভাল লিখেছেন। পাঠকের কাছে একটা নেগেটিভ চরিত্রকে শেষে পজিটিভ করে তোলা সার্থক হয়েছে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই লেখাটি পড়ার জন্য ও সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

আর লোকটি যা করেছে সেটার জন্য হয়ত এমন শাস্তি তার প্রাপ্য নয় কিন্তু কিশোররাতো কিশোর, বয়স কম হয়ত তাই নিজেদের আবেগ অনুভূতিকে দমন করতে পারেনি।

যাই হোক আমাদের সবারই আমাদের সন্তানদের ব্যপারে সচেতন থাকতে হবে। নয়ত এভাবেই কিছু পরিনতি ওঁত পেতে থাকবে। ভাল থাকবেন ।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপ্পি

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগাসহ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপ্পি

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বাহ্‌!! আপনার কবিতা পড়তে পড়তে ভাবতাম আপনি কেন গল্প কেন লেখেন না। কারণ আপনার প্রত্যেকটা কবিতার মধ্যে একটা গল্প থাকতো। আজ আমার সেই আকাঙ্খা পুর্ন হল। চমৎকার লিখেছেন। এত্ত সাবলিল যেন মনেই হয়নি এটা আপনার দ্বিতীয় গল্প। মনে হয় অনেকদিন ধরে লিখেন।

গল্পের পটভূমি নির্বাচনটা সাধুবাদ পাবার যোগ্য। এই ব্যাপারটি খুব বেশী মানুষের সামনে আসে না কিন্তু আমাদের সমাজে এই ঘটনা অহরহ ঘটে। কিশোর বয়সে দেখতে সুন্দর ছেলেদের অধিকাংশই নিকট আত্মীয়দের দ্বারা কোন না কোন ভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এই বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতনতার প্রয়োজন আছে।

একটা প্রশ্ন, আচ্ছা ডেভিড কি আত্মহত্যা করেছিল???

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: বাহ্‌!! আপনার কবিতা পড়তে পড়তে ভাবতাম আপনি কেন গল্প কেন লেখেন না। কারণ আপনার প্রত্যেকটা কবিতার মধ্যে একটা গল্প থাকতো। আজ আমার সেই আকাঙ্খা পুর্ন হল। চমৎকার লিখেছেন। এত্ত সাবলিল যেন মনেই হয়নি এটা আপনার দ্বিতীয় গল্প। মনে হয় অনেকদিন ধরে লিখেন। -----

কি বলেন কবি?!! আমার এই অখাদ্য লেখাটি নিয়ে এত সুন্দর প্রশংসা!!! দিলেনত বিকেলটাকে ঝরঝরে করে। আসলে আমি গল্প লিখতে পারিনা। কেন জানি গল্প আমাকে টানেনা। চেষ্টা করবো তাহলে ---

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আর গল্প নিয়ে যেটা বললেন , অনেকেই বলে প্রাশ্চাত্যেই বেশি ঘটে এমন ঘটনা কিন্তু আমার জানা মতে বাংলাদেশেও এমন অনেক হয় কিন্তু তা আলোচনায় আসেনা । আর নিজের আত্মীয়দের দ্বারাই বেশি হয় কারন আমরা বিশ্বাস করেই আমাদের শিশুদের তাদের সাথে মিশতে দেই। যার সু্যোগ নেয় জানোয়ারগুলো। যেখানে ছেলে শিশুরাই নিরাপদ না আর মেয়ে শিশুদের কথা ভাবুন একবার !!!

না ডেভিড আত্মহত্যা করেনি। যা করার কিশোররাই করেছে।

ধন্যবাদ মৃদুল। অনেক ভাল থাকুন। পাশে পেয়ে সাহস পেলাম।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পে ম্যাসেজ দিয়ে সচেতন করার জন্য ধন্যবাদ ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভাল থাকবেন।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এভাবেই সচেতনতার্ বার্তা দিয়ে যেতে হয় !

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে অভি লেখাটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য,।
ভাল থাকুন।

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা রইল।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক ।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

আবু শাকিল বলেছেন: আগে পড়ছিলাম কবিতা এইবার গল্প ।
যিনি রাধেন তিনি চুলও বাধেন,কবিতা লেখেন গল্প লেখেন।
দারুন।

গল্পে একটা ম্যাসেজ পেয়েছি।সচেতন করার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: যিনি রাধেন তিনি চুলও বাধেন,কবিতা লেখেন গল্প লেখেন।
দারুন।-- তাই বুঝি!
আমি কবিতাই বেশি লেখি। গল্প চেষ্টা সেরকম করিনা তবে সামনে ভাবব গল্প নিয়ে।
ধন্যবাদ শাকিল ভাই লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পের ম্যাসেজটা চমতকার। ভাল লাগল :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:২৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন অনেক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.