নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অভিষেকহীন অভিসারিকা

নাসরিন চৌধুরী

সময় মানুষকে কিভাবেইনা বদলে দেয় ,বদলে যাই - বদলে যায় সবাই! আনমনে স্মৃতির পাতা উল্টাই বেছে বেছে জমে থাকা ক্লেদগুলোকে উগলে ফেলে দেই স্বস্তির নিঃশ্বাসের চাদরে নিজেরে জড়াবো বলে! কিন্তু কতটা পারি বা পেরেছি কতটাই বা পারা যায় খুঁতের মাঝে নিখুঁতের বীজ বোনা !

নাসরিন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা জার্মান এবং জার্মানী

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬





(Parliament--of Germany)



আমি আজ প্রায় পাঁচ বছর জার্মানীতে। অনেক দিনই ভেবেছি কিছু একটা লিখি কিন্তু বসার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। আজ লিখলাম আমার কিছু অভিজ্ঞতা। প্রথম দিকটায় খুব একটা ভাল লাগাতে পারিনি কারন খাবারে'র সমস্যা আমাকে খুব ভুগিয়েছে। কোন কিছুতেই বাংলাদেশের খাবারের স্বাদ পাচ্ছিলাম না, জেদ ধরলাম আমি জার্মানীতে থাকবই না। এখানে ফ্রোজেন মাছ আমি এখনও খেতে পারিনা শুধু ইলিশ মাছ ছাড়া। আর অন্য সব খাবারে এখন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি ।বিশেষ করে সবজি ও ফল। তাছাড়া বার্লিনে বেশ কিছু বাঙ্গালী দোকান আছে ।বাংলাদেশের সব কিছুই এখানে পাওয়া যায় শুধু মাংস ছাড়া। খুব বেশী বাঙ্গালী এখানে নাই । আর আবহাওয়া ও বিরক্তিকর ।শীত কালে প্রচন্ড ঠান্ডা।



জার্মানীতে তুর্কীদের রাজত্ব যেমন লন্ডনে বাঙ্গালীদের রাজত্ব। তারপর আরাবিয়ান। আমার সাথে বেশ কিছু জার্মানদের পরিচয় হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। বেশ আন্তরিক ওরা। নিজের ভাষার প্রতি ওদের অগাদ শ্রদ্ধা ।ভুল করেও ওরা নিজেদের ভাষার মধ্যে অন্য কোন ভাষার মিশ্রন ঘটায়না। ওরা ইংরেজী জানলেও বলতে চায় না। আমি যদি জার্মান ভাষা ভুলভাবেও ব্যবহার করি তাতেও ওরা খুশি কিন্তু আমি যত শুদ্ধ ইংরেজি বলিনা কেন ওরা খুশি হয়ে ইংরেজিতে কথা বলার জন্য আগ্রহ দেখায় না। আইনে'র ব্যপারে, নিয়ম কানুনে'র ব্যপারে ওরা অনেক সজাগ। আমি দেখিনি কখনও ওরা রাস্তায় রেড সিগনালে রাস্তা পার হয়। রাস্তায় কোন গাড়ি নাই কিন্তু রেড সিগনাল আছে তবুও ওরা গ্রীন সিগনালের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। কোন জার্মান যদি বলে ''আমি দশটায় আসব '',সে কিন্তু ঠিক দশটায় আসবে ,পাঁচ মিনিট আগে পরে কখনও করবেনা কিন্তু যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে ফোন করে জানিয়ে দেবে।



ওরা নিজেদের বলে ডয়েচে এবং নিজেদের দেশকে বলে ডয়েচল্যাণ্ড । জার্মানী একটি সোসাল কান্ট্রি। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এতটা সামাজিক নিরাপত্তা আছে কিনা আমি জানিনা। এদেশ কোন বিদেশী যদি জার্মান সিটিজেন বা পারমানেন্ট রেসিডেন্ট হয় তাহলে তার জন্য সকল সুযোগ সুবিধা উন্মুক্ত। তাদের কোন সন্তান যদি জার্মানী'র মাটিতে জন্মায় তাহলে ঐ সন্তান আঠারো বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে বেশ ভাল একটা এমাউন্ট পেয়ে থাকে। তারপর তার সকল শিক্ষার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করে। উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন লোন নিতে হয়না যা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে করতে হয়। যদি কারো চাকুরী নাই তাহলে সেও বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে ভরনপোষনের পুরো সহযোগিতা পেয়ে থাকে এবং তার কর্মসংস্থানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে। কোথায় জব পাওয়া যাবে সকল তথ্য তারা দিয়ে থাকে।



টিকেট ছাড়া কেউ আন্ডার গ্রাউন্ড ট্রেন বা বাসে চড়েনা। চেকার সব সময় চেক করেনা কিন্তু যদি চেক করে কাউকে পায় টিকেট ছাড়া তাহলে দুই ইউরো টিকিটের জন্য সত্তর ইউরো জরিমানা দিতে হয়। যদি কেউ এই জরিমানা সময়মত শোধ না করে তাহলে তা সুদে আসলে বাড়তেই থাকে এবং তা না দিয়ে কারো নিস্তার নাই। কোন না কোন ভাবে ওরা নিয়ে নেয় ।ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে দেয় বা ওকিল নোটিশ পাঠায়। শুধু টিকিট জরিমানা নয় সকল ধরনের জরিমানা'র ক্ষেত্রেই এমন হয় ।যদি কেউ জব করে তাহলে ট্যাক্স দিতে হয় সরকারকে। অনেকে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে কাজ করে কিন্তু ধরা পড়লে জামিন নাই।



জার্মানীরা নিজের কাজ নিজেরাই করতে পছন্দ করে ।যে কোন কাজ ওরা মনের আনন্দে করে। কোন লজ্জা বা সংকোচ নাই। শিক্ষার কোন অহমিকা নাই। যখন যা পায় তাই করে। ওরা ব্রেড জাতীয় খাবার মানে বেকিং খাবারগুলো বেশী পছন্দ করে সাথে বাটার ,চিজ ,জ্যাম , জ্যালী ,সালাদ ,ফল। রাতের খাবার ওরা সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে শেষ করে ,বেশীর ভাগ জার্মান'ই তা করে। ওরা বিবাহ সম্পর্কটাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। আঠারো বছর পর্যন্ত ওরা বাবা মা'র সাথে থাকে তারপর আলাদা থাকে কিন্তু যদি কেউ আঠারো বছরের পর বাবা মা'র সাথে থাকে তাহলে তাকে বাসা ভাড়া এবং খাবারের খরচ দিতে হয়। সে জব করলে জবের বেতন থেকে শেয়ার করে আর জব না থাকলে সরকার পে করে।



এখানে বাবা -মা'রা সন্তানের গায়ে হাত তোলে না। যদি কোন বাবা মা তার সন্তানের গায়ে হাত তোলে এবং সেই সন্তান অভিযোগ করে তাহলে বাবা মাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। এমনকি বাবা মা থেকে অনেক সন্তানকে নিয়ে শিশুকেন্দ্রে রাখা হয়। কোন সন্তান যদি আঠারো বছরের আগে বলে সে বাবা মার সাথে থাকতে চায়না এবং উপযুক্ত কারন বা তার অভিযোগ সত্যি প্রমানিত হলে সে বাবা মা থেকে আলাদা শিশু বা কিশোর আবাসন কেন্দ্রগুলোতে থাকতে পারে।



জার্মান'রা সঞ্চয়ের প্রতি ওরা আগ্রহী না। প্রতি বছর ওরা জুন থেকে জুলাই মাসে তিন সপ্তাহের জন্য বড় একটা ছুটি ভোগ করে। তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ওরা ভ্রমন করে ছুটি উপভোগ করে। শনি ও রবি দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। এছাড়াও শীতকালীন বন্ধসহ আরো কিছু সরকারী বন্ধ আছে



এখানে ট্যাক্স স্বাভাবিক ভাবে ৪০% দিতে হয় আর জবের ক্ষেত্রে ট্যাক্সটাও ক্যটাগরি ভেদে পার্থক্য হয়। অনেক চাকুরীজিবী ৫৫% -৬০% ও ট্যক্স দিতে বাধ্য। আর ১০০% ট্যাক্স দিয়ে কাজ করলে চলা খুব কষ্ট। কারন খরচ প্রচুর। আর তাই তুর্কী বা এ্যরাবিয়ানরা প্রচুর বাচ্চা নেয় --কাজ করে না বসে বসে সরকারী পয়সা খায় । এই হল অবস্থা।



আমি শুনেছি মা সন্তান রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে মা নিজের বিল দেয় ,সন্তান তার নিজের বিল দেয়। প্রতি রবিবার বাবা মা'র সাথে সন্তান দেখা করে। বৃদ্ধ অবস্থায় খুশি হয়েই ওরা বৃদ্ধাশ্রমে যায় অন্যের বোঝা বা বিরক্তির কারন হতে চায় না।



এখানে হেলথ ইন্সুরেন্স বাধ্যতামূলক তাই যত কঠিন রোগই হোক না কেন সেটা রোগীকে বহন করতে হয় না। এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই ভাল। আন্ডার গ্রাউন্ড ট্রেন ,বাস ,ট্যাক্সি,প্রাইভেটকার ইত্যাদি বার্লিন শহরে ব্যবহৃত যানবাহন। আর যেদিকে তাকাই সেদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ আর সবুজ। কত পার্ক বার্লিন শহরে আমার জানা নাই। আমার বাসার পাশেই পাঁচটা পার্ক। আর বার্লিনে দেখার মত আছে বার্লিনের দেয়াল ,টিভি সেণ্টার ,পার্লামেন্ট ,বার্লিন গেইট ,স্প্রে নদী এবং বেশ কিছু মিউজিয়াম এবং অসংখ্যা পার্ক। জার্মানীর অন্যান্য শহরের থেকে বার্লিনে সব কিছুই সস্তা।



জার্মান ভাষা না জানলে জার্মানীতে চলা ফেরা ,চাকুরী প্রায় অসম্ভব

। অনেকে স্টুডেন্ট ভাষা না জেনে এসে বিপদে পড়েন কারন পার্ট টাইম জবগুলোও জার্মান না জানলে প্রায় অসম্ভব। কারন ভাষা শিখতে শিখতেই প্রায় দুই বছর লেগে যায়। দেশ থেকে ভাষাটা শিখে আসলে ভাল।



আর কি! নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। একান্তই আমি আমার চোখে যতটা দেখেছি ,কাজ করতে গিয়ে যতটা উপলব্দি করেছি এবং পরিচিত জার্মানদের কাছ থেকে যতটা শুনেছি তারই একটা অবকাঠামো দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছি মাত্র। আশা করি ভুল -ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি !!!!







(Chancellors-office in Berlin)







(স্প্রে নদী --বার্লিনের বুক দিয়ে বয়ে গেছে)









(আন্ডার গ্রাউন্ড ট্রেন)







(পর্যটকদের জন্য বাস )









(পর্যটকদের জন্য রিক্সা)

















(বার্লিনের প্রধান রেল ষ্টেশান--ইউরোপের যেসব ট্রেন বার্লিনে আসে সেগুলো এখানেই থামে এবং‍ ইউরোপগামী ট্রেন গুলো এখান থেকেই ছাড়ে।)











(ইউরোপা সেন্টার--ইউরোপের দেশগুলোর দোকান নিয়ে এই সেন্টারটি)











(এটা একটা ঘড়ি--কাঁচের পাত্রগুলো সাদা থেকে সবুজে স্থানান্তরিত হয়---সময়ের সাথে-



(আর আমার এই পোষ্টটি নক্ষত্র ব্লগে সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় ২য় স্থান অধিকার করেছিল)



মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: একটা জাতি সম্পর্কে এমন খুটিনাটি বিষদ বর্ননা আসলেই চমৎকার পোষ্ট বলার দাবি রাখে।


জার্মানীর দুইটা পোর্ট, ব্রিমান ও উইলহ্যামহ্যাভেন গিয়েছি আমি। তারা আসলেই অতিমাত্রায় জেন্টেলম্যান।

তবে চাকুরীজিবীদের ট্যাক্সের পরিমাণ কি অনেক বেশী??? এই বিষয়ে ডেনমার্কের এক পাইলটের সাথে ডিটেইলস কথা হয়েছিল। তাদেরও শিক্ষা, চিকিৎসা সব সরকারী ব্যাবস্থাপনায়। তবে তাকে তার রোজগারের ৫৫% সরকারী ট্যাক্স দিতে হয়। অনেককে নাকি ৭০% পর্যন্তও দেয়া লাগে। এজন্য সে খুব ক্ষুব্ধ ছিল। তার মতে তারা কোন মতে খেয়ে পরে বেঁচে আছে। জার্মানীতেও কি এইরকম???

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রাবন ---
ট্যাক্স স্বাভাবিক ভাবে ৪০% দিতে হয় এখানে ,আর জবের ক্ষেত্রে ট্যাক্সটাও ক্যটাগরি ভেদে পার্থক্য হয়। ডেনমার্কের মতই এখানেও ট্যাক্সের সিস্টেম। অনেক চাকুরীজিবী ৫৫% ৬০% ও ট্যক্স দিতে বাধ্য। আমি গতকাল দীপকে জিজ্ঞাসা করলাম কারন আমি এই ব্যপারটায় সিওর ছিলামনা । আমি এখনো জবে ঢুকিনি ,তবে চেষ্টা চলছে।

হুম ওরা যেমন দেয় আবার তেমন আদায়ও করে নেয়। আর ১০০% ট্যাক্স দিয়ে কাজ করলে চলা খুব কষ্ট। কারন খরচ প্রচুর। আর তাই তুর্কী বা এ্যরাবিয়ানরা প্রচুর বাচ্চা নেয় --কাজ করে না , বসে বসে সরকারী পয়সা খায় । এই হল অবস্থা।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০

রাগিব নিযাম বলেছেন: দারুণ বর্ণনা কিন্তু আপা। ধন্যবাদ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । ভাল থাকুন।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
জার্মান যাইতাম চাই।

:)

ভালো পোস্ট। বিশদ বর্ণনা ভাল্লাগছে, ছবি লোড হয়নাই।

আবার পড়মু।


১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৬

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: চলে আসুন --স্টুডেন্ট ভিসায়।

কপি পেষ্ট তাই এমন হইসে।

ভাল থাকেন কবি।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট / সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টা পড়ে আফসোস
হচ্ছে - আমরা কি চাইলে এমন কিছু করতে পারতাম না
বা করা যেত না ?

ভাল থাকবেন ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মাহমুদ ভাই।
হুম হয়ত আমাদের সামজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কিছু করা বা করার চেষ্টা করা যেত। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকারদের জন্য, চিকিৎসার জন্য।

আমার বাংলাদেশের প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে রোগীদের কি পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হয় সেটা ভাবলেই শিউরে উঠি--সরকারি হাসপাতালের কথা আর বলে লাভ নেই। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত বা গরীব তাদের কি অবস্থা হয় সেটা অনুমান করতেও ভয় হয়। আমাদের এখানে একজন বাংগালী ব্রেইন স্ট্রোক করেছিল , স্ট্রোক করার পর তার আরও অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেকারনে আজ একবছর ধরে হাসপাতালে। ওনার পেছনে খরচ হয়েছে ৫ কোটি টাকা বাংলাদেশী টাকায়। সেটা হেলথ ইন্সুরেন্স কোম্পানি করেছে। এখন ভাবুন বাংলাদেশে হলে এই রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যেত। রোগী এখন ভাল আছে।

বাংলাদেশে স্বাস্থসেবাটা ইন্সুরেন্সের আওতায় বাধ্যতামূলক করলে ভাল হত। যদিও সেটা চিন্তা করা অমূলক।

ভাল থাকবেন।

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে বাংলাদেশের জন্য যে কয়টি অনুসরনীয় বিষয় পেলাম সেগুলো দাঁড়ায়;

১। আমরা আইন পালনের চেয়ে আইন ভাঙতেই বেশি পছন্দ করি।
২। আমাদের নাক এতই উঁচু যে জমিতে লাঙ্গল চালাতে গেলেও নিজেদের খ্যাত বলে মনে করি।
৩। সন্তানদের মানুষ করার জন্য শুধু মারামারি করলেই কাজ হয়না।
৪। আমাদের মধ্যে এতটাই অতিথি পরায়নতা কাজ করে যে নিজের রোজগার যাই হোক না কেন অন্যের কাছে বড় থাকতে পছন্দ করি। শুধু খাওয়ার বিল কেন বাসে অন্যের ভাড়াটা দিয়েও তৃপ্ত হই। কে কার আগে বাসের ভাড়া দেবে তাই নিয়ে ধস্তাধস্তি অবস্থা হয়।
৫। আমরা স্বাবলম্বী হতে শিক্ষা পাইনা। একদম বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত বাবা-মার হোটেলেই খেতে পছন্দ করি।

তাহলে জার্মানিরা উন্নত হবে না তো কি আমরা উন্নত হব? তবে তারপরেও সব শেষে বাংলাদেশ নিয়ে গর্বই করব চিরদিন।

ব্লগে আপনাকে নিয়ে আরও একজন পেলাম জার্মান অধিবাসী। ধীরে ধীরে কেমন যেন জার্মান প্রীতি পেয়ে বসতেছে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পোষ্টটি পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য। এখানে লাইফটা অনেক সিকিউরড।
বাংলাদেশকে ভালবাসি কিন্তু দেশের প্রতি দায়বোধও আছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেটেল্ড হবার ইচ্ছা নাই কারন দেশের পরিস্থিতি। স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন নিশ্চয়তা নাই যেখানে সেখানে ----------

আরও কেহ আছে নাকি ব্লগে যে জার্মানীতে থাকে _?

ভাল থাকবেন।

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বলেছেন: আপু ট্রুরিস্ট ভিসায় যেতে চাইলে কি করতে হবে? জানা থাকলে এ নিয়ে একটা ব্লগ করার জন্য আবেদন রইল আপনার বরাবর। আর দোয়া করবেন আমরা যেন কিছু দিনের জন্য হলেও আসতে পারি, আমরা কিন্তু ৫ বছর থাকবনা তাহলে আবার আপনার অনেক টাকা নস্ট হবে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: বেড়াতে আসেন সমস্যা নাই কিন্তু ইয়াং যুবকদের টুরিষ্ট ভিসা দিতে চায়না কারন ভাবে যদি একবার কেউ আসে তাহলে আর যাবেনা। অবৈধভাবে থেকে যেতে চাইবে। যাই হোক দেখেন ট্রাই করে।
আমার টাকা নষ্ট হবে কেন? বেড়াতে আসলে আথিতিয়তায় কমতি হবেনা ।ভাল থাকবেন।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের !
বিশেষ করে নিজেদের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সঠিক ব্যাবহার নিশ্চিত করা ! সবাই যদি আইনের প্রতি সচেতন হতো নিজ নিজ জায়গা থেকে আমরাও অনেক দূর যেতে পারতাম !

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন আপনি অভি। লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্টে ভালোলাগা ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । ভাল থাকা হোক।

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

রন৬৬৬ বলেছেন: Well written. However, I was 3.5 years in New Delhi for study, 11 years in Abu Dhabi for Banking job and 6 years in Brisbane, Australia. Whatever you have written is more or less similar to my experience in Australia. Malaysia got independence in 1957 and Singapore in 1965. We have achieved nothing during 43 years of time. I left in 1989 and came back in 2011 and I found very few people become abnormally rich in Bangladesh. Most of the jobs are very lowly paid between Tk.15,000 to 25,000. People are ready to work at any cost. At the end of the day, there is no career progress in Bangladesh. At present, 35% people of Bangladesh living below poverty line. More than 50% people are illiterate. Rampant and widespread corruption exists everywhere. No accountability and transparency in Bangladesh.

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: সহমত --এটাই বাস্তবতা। বাংলাদেশেকে নিয়ে কিছু বলার নাই, দিন দিন যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও জাতি চরম উৎকর্ষতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ চরম অবনতির দিকে এগুচ্ছে। গতকাল টিভিতে দেখলাম মাছের খাবারে ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষন করে সে খাবার মাছকে খাওয়াচ্ছে। এতদিন মাছে ফরমালিন এখন মাছের খাবারেও ফরমালিন। চিন্তা করতে পারেন কতটা নৈতিক স্খলন হচ্ছে ওদের। এদের ৫০০০ বা ১০০০০ জরিমানা করে ছেড়ে দেয় বলে ওরা এমন কাজ বার বার করে। কিন্তু এদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত কিন্তু কজনে ভাবে !

ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখাটি পড়ে মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।

১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

শক্তপাল্লা বলেছেন: চমৎকার!!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

টু-ইমদাদ বলেছেন: বাংলাদেশে চাকুরীর বাজার যা চলছে . . .তা কেবল শিক্ষিত বেকারগণ বলতে পারবেন . . . আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ (বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র) কোন কথা প্রসংগে বলেছেন, বাংলাদেশে থাকতে হলে তাঁর দুইটি শিং থাকা বাঞ্চণীয়. . . শুভ কামনা রইল আপনার জন্য ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম সেটা জানি ভাই। নিজেকে বেশ ভাগ্যবান মনে হয় যে চাকুরীর বাজারে যুদ্ধটা করতে হয়নি।
আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ (বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র) কোন কথা প্রসংগে বলেছেন, বাংলাদেশে থাকতে হলে তাঁর দুইটি শিং থাকা বাঞ্চণীয়.---ঠিকই বলেছেন ওনি।

ভাল থাকুন। ধন্যবাদ ।

১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: লেখাটা মনে হয় প্রথম আলো ব্লগে আগে পড়েছিলাম। অনেক ভাল লাগল। জার্মান ভাষা এর কথা আর কি বলব, ২ বছর ধরে যুদ্ধ করছি ভাষার সাথে। ভাল থাকবেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম আলো ও নক্ষত্র ব্লগে দিয়েছিলাম পোষ্টটি। আপনি দেখেছেন ---আপনার সাথে ফেবুতে হয়ত আমি এড আছি। আমিও দুবছর জার্মান ভাষা লেবেল বি২ পর্যন্ত শিখেছি । ক্লান্ত হয়ে গেছি তাই সি ওয়ান করতে ইচ্ছা করছে না। আপনি কি জার্মানিতে থাকেন?
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ পোষ্টটি আবারও পড়ার জন্য।

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার পোস্ট। অনেক তথ্যের সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন ।

অনেক দেশে নিজের ভাষা চর্চা সম্মানের আর দেশ প্রেমের অংশ।আমাদের গুটি কতেক বাংলিশ ভাষায় বলে লিখে নিজেকে আধুনিক মনে করেন । ব্যাপারটা সত্যি ভাববার মতন। অথচ বাংলার মত এত সুন্দর ভাষা পৃথিবীতে বিরল ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: সহমত সেলিম ভাই। জানিনা এর থেকে উত্তরণের কি পথ !!
ভাল থাকবেন।

১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

তাসজিদ বলেছেন: আহ, যদি যাওয়া যেত একবার।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: তাই-?-দেখুন সুযোগ করতে পারেন কিনা !!

ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ অনেক।

১৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

ইমরান আশফাক বলেছেন: প্লাস এবং প্রিয়তে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । ভাল থাকুন সবসময়।

১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: এখনো অনেক কিছু শেখার আছে...। জটিল পোস্ট

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টটি পড়ে তার গুরুত্ব উপলব্দি করার জন্য। ভাল থাকা হোক।

১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা বলেছেন: ছবির সাথে বর্ণনা মানে দ্বিগুন প্রাপ্তি। দেখা হলো জানা হলো।
ছবির জন্য কবিকে ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ বাবলা ভাই। প্রথম আলোতেও হয়ত দেখে থাকবেন।
ভাল থাকুন।

১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো জার্মান কথন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুব ভাই।

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: জার্মান দেখা হয় নাই -- কিন্তু আপনার বর্ণনা আর ছবিতে দেখে নিলাম জর্মানকে

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু লেখাটি পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

২০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০১

সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.