নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অভিষেকহীন অভিসারিকা

নাসরিন চৌধুরী

সময় মানুষকে কিভাবেইনা বদলে দেয় ,বদলে যাই - বদলে যায় সবাই! আনমনে স্মৃতির পাতা উল্টাই বেছে বেছে জমে থাকা ক্লেদগুলোকে উগলে ফেলে দেই স্বস্তির নিঃশ্বাসের চাদরে নিজেরে জড়াবো বলে! কিন্তু কতটা পারি বা পেরেছি কতটাই বা পারা যায় খুঁতের মাঝে নিখুঁতের বীজ বোনা !

নাসরিন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ মেঘে ঢাকা তারা

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৩





“শোন বউ হল পায়ের জুতা, জুতা যেমন খুব সহজে বদল করা যায় তেমনি বউও বদল করা যায়। বউ মরলে বউ পাওয়া যায় কিন্তু মা মরলে কি মা পাওয়া যায়? বিয়ে করে বউ নিয়ে ভাবলেই হবেনা তার মা-বাবা, ভাই-বোন সবাইকে নিয়েই ভাবতে হবে।” এভাবেই ছেলের বউকে শুনিয়ে শুনিয়ে কথাগুলো বলছেন শর্মিলি বেগম। দু'মাস হল ছেলেকে বিয়ে করিয়েছেন কিন্তু এর মধ্যেই বউকে নিয়ে বেশ কতবার সালিশ ডাকা হয়েছে। ছেলেকে বোঝানো হচ্ছে বা ছেলেকে দেখানো হচ্ছে যে এই সংসারে ছেলের জীবনে প্রথমত তার মা, ভাই, বোন গুরুত্ববহন করে তারপর বউ। শ্বাশুড়ি'র কথাগুলো শুনে বেশ মন খারাপ করে বারান্দায় আনমনে বসে থাকে মিথি। সে জানেনা কেন জানি এবাড়ির মানুষগুলো প্রথম থেকেই এমন করছে! সামান্য ভুলগুলো নিয়ে সবাই অসামান্য কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলছে। এই পরিবারের নতুন একজন সদস্য সে। এই পরিবারের মানুষগুলো'র ইচ্ছা, পছন্দ, রুচি, মানসিকতা কিছুই সে জানেনা কিন্তু জেনে নিতে বা মানিয়ে নিতে যতটুকু সময় একটা মানুষকে দেয়া দরকার সেটা দেয়ার ধৈর্য্য কারো নাই।



ভালবেসে বিয়ে করেনি মিথি। বাবা-মা'র পছন্দমত পাত্রকেই সে বিয়ে করেছে। আমেরিকা প্রবাসী ছেলে ডিভিতে ওখানে গিয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর পর দেশে ফিরে এসে অসংখ্য পাত্রী খুঁজতে খুঁজতে শেষ পর্যন্ত মিথিকেই পছন্দ করেছে। বরাবরই প্রবাসী পাত্র তার অপছন্দের তালিকায় ছিল। অনেক পাত্র সে যোগ্যতা থাকা স্বত্তেও নাকচ করে দিয়েছে শুধু প্রবাসী বলে। সেজন্য মায়ের অনেক বকাও খেয়েছে। কিন্তু বাবা সবসময়ই মিথিকে ও তার মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে। বাবাকে প্রচণ্ড ভালবাসে সে কা্রণ এই বাবা তাকে শিখিয়েছে মেয়ে সন্তান আর ছেলে সন্তানের মাঝে কোন ফারাক নেই।



চারিদিকে বখাটে ছেলেদের উৎপাত, হুমকি এসব সহ্য করেই যেদিন সে মাষ্টার্স পরীক্ষা দিল তার সতের দিনের মাথায় মিথি'র বিয়ে হল। সে বিয়েতে আপত্তি করেনি কারন পাত্রকে দেখার পর কেন জানি তার নিজেরও বেশ ভাল লাগল। এভাবেই মিথি এক অচেনা জগতে এসে খেই হারিয়ে ফেলল। স্বামী নিশান মানুষ হিসেবে বেশ চমৎকার আর যেখানেই যায় প্রতিটা মানুষের মুখেই শুনে যে ছেলেটা বেশ ভাল। মিথি'র খুব ভাল লাগে স্বামী'র প্রশংসা অন্যসবার মুখে শুনে। তিন মাসের ছুটিতে আসে নিশান হাতে আরও দু'মাস বাকি। প্রথম কিছুদিন বেশ ভালই কাটল।



শ্বাশুড়ি শর্মিলি বেগম মিথিকে বললেন হানিমুনে যাওয়ার আগেই যেন বোরখা কিনে নেয়। ছেলেকেও বারবার বললেন। মিথি বুঝতে পারছেনা এভাবে গায়ের জোরে কেন অন্যের কথামত তাকে বোরখা নিতে হবে! পর্দা সে করবেনা এমনত কখনও সে বলেনি কিন্তু সেটা সে নিজে থেকেই নিবে এবং মন থেকেই নিবে কিন্তু ওরা এভাবে বাধ্য করবে কেন? এনিয়ে নিশানে'র সাথে কথা বললে নিশান বলে, “আমি যদি আমেরিকায় চলে যাই তাহলে তোমাকে কিছুদিন দেশে থাকতে হবে, আর বোখরা না পড়লে নানাজনে নানা কথা বলবে এজন্যই তোমাকে এভাবে বলছে।” মিথি বলল, “তাহলে কি পর্দাটা লোক দেখানোর জন্য?”

নিশান বলে, “দেখ মিথি যে'কদিন দেশে আছ একটু মানিয়ে নাও যখন তুমি আমার কাছে চলে যাবে এসব নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা। তুমি তোমার মত করে তোমার সংসার বুঝে নিও। তুমি তোমার পুরো স্বাধীনতা নিয়েই তুমি আমার সহধর্মিনী হবে--বন্ধু হবে। আমি আমার ভাত রান্না করার জন্য তোমাকে বিয়ে করিনি আমি বিয়ে করেছি এমন একজনকে যে হবে আমার বন্ধু, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সে আমার সহযাত্রী হবে।”



নিশানের কথা শুনে চোখে জল এসে গিয়েছিল মিথি'র। সেদিন সে বুঝেছিল বাবা আসলেই তার জন্য যোগ্য পাত্রটিকেই নির্বাচন করেছে। কিন্তু নিশানের সমস্যা ছিল সে কখনও পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলতনা যদিও সে দেখছে ও শুনছে কারণ যে মেয়েটা মাত্র এসংসারে এল তাকে খারাপ হতে হলেও বছর খানেক সময় দিতে হবে। এক মাসেই মানুষ নতুন সংসারে এসে খারাপ রূপ দেখাতে পারেনা কিন্তু নিশান ঝামেলায় জড়াতে চায়না কিছু হলে নিজের বউকেই বলে বা বুঝায়। মিথিকেই মানিয়ে নিতে হবে বা মেনে নিতে হবে। এভাবেই একদিন নিশানের যাবার সময় হয়ে যায়। নিশান চলে গেলে বেশ একা হয়ে যায় মিথি। চেষ্টা করে শ্বশুর বাড়ির সবার সাথেই সম্পর্কটুকুকে সহজ ও স্বাভাবিক করে নিতে। ওদের কথা মত বোখরা পড়ে, বাহিরে যাবার জন্য প্রতিদিন রিক্সাভাড়াটুকুও শ্বাশুড়ির কাছে হাত পেতে নেয়, তিন বেলা রান্না করে।



একদিন শখ করে এক জোড়া জুতা কিনেছিল, সেদিন শ্বাশুড়ি শুনিয়েছিল ইদানিং খেয়াল করছি তোমার হাত বেশি লম্বা হয়ে যাচ্ছে টাকা পয়সা হিসেব করে খরচ করো। নিজের বাবা মাও কোনদিন এভাবে বলেনি কিন্তু সেদিন মিথি সহ্য করতে পারেনি। সাথে সাথে নিশানকে জানিয়েছিল এবং বলেছিল যে আমার হাত খরচের টাকা যদি দিতে না পার আমি আজই তোমার ঘর ছেড়ে চলে যাব। আর কত? প্রতিদিন রিক্সাভাড়াটাও তোমার মা'র কাছ থেকে চেয়ে নিতে হয় তারপরও আমার হাত লম্বা হয় কিভাবে? নিশান চেষ্টা করে উভয় পক্ষকেই বোঝাতে। কিন্তু মা'র হাত দিয়ে বউকে প্রয়োজনের বেশি টাকা দেয়া সম্ভব নয় তবুও মাকে বলে মাসে হাত খরচের টাকা মিথিকে একসাথেই দিয়ে দেয়ার জন্য জন্য। সেদিন থেকে শ্বাশুড়ি প্রতিমাসে প্রথম সপ্তাহেই একহাজার টাকা ধরিয়ে দেয়। মিথি সেদিন নিজেই যেন নিজের কাছে মিইয়ে যেতে লাগল কারন এ বাড়ির কাজের বুয়ার বেতনও একহাজার টাকার চেয়ে বেশি। তাহলে কি এবাড়ির সদস্যদের কাছে কাজের বুয়ার দামও তার নেই?



তারপর থেকেই মিথি নিজের জন্য ভাবতে লাগল। কিছুদিনের মাথায় তার বেশ ভাল একটা জব জোগাড় হয়ে গেল। রেজাল্ট ভাল ছিল এবং যেখানে জবটা পেয়েছে সেটা তার এক কাজিনের ফার্মে। মোটা অঙ্কের বেতন সাথে আনুসঙ্গিক সুযোগ সুবিধাও আছে। নিশানের আপত্তি ছিলনা কিন্তু শ্বাশুড়ির আপত্তি। সেটা নিয়ে মিথি মাথা ঘামায়না কারণ হাত পেতে নিতে আর কত ভাল লাগে! সকালে বেরিয়ে যায় অফিসের জন্য কিন্তু যাবার আগে সবার জন্য সকালের নাস্তা বানিয়ে যেতে হয়, আবার অফিস থেকে এসে আবার সবার জন্য রাতের রান্না করতে হয়। চাকুরীতে ঢোকার পর থেকে বাড়ির কাজের বুয়া বিদায় করে দেয়া হয়েছে যদিও অজুহাত দেখানো হচ্ছে বুয়া নিজেই চলে গেছে। সাত আটজন লোকের রান্না বান্না নিজেরই করতে হয়। কিন্তু কেউ মিথিকে কোন সহযোগিতাই করেনা এনিয়েও মিথি'র কোন ক্ষোভ নাই কারন তার নিজের পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকুই সে করবে এবং আন্তরিকভাবেই সে করবে।



মিথি বাবা'র বাসায় বেড়াতে গেলে কিছুদিন বেশি থাকলেই শ্বশুর বাড়ি থেকে অভিযোগে নিশানের কান ভারী করে তোলে। আর কিছু হলেই মিথি'র বাবা মাকে দোষারোপ করে যে ওনারা মেয়েকে ফুসলে নষ্ট করে দিচ্ছে। অথচ নিজের বিবাহিত মেয়েরা বাবা'র ঘরে মাসের পর মাস বেড়াচ্ছে। মা'র বাসার পাশেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে। অন্যায় অভিযোগগুলো মিথি কখনোই আমলে নিতে চায়না কিন্তু কখনও কখনও সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।



এরমধ্যেই মিথি বেশ অসুস্থ হয়ে যায়। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বললেন শারিরীক কোন সমস্যা নাই কিন্তু মানসিকভাবে অসুস্থ। ডাক্তার বেশ পাওয়ারফুল ঔষধ দিলেন যা খেলে মিথি সারাদিনই ঘুমাতো কিন্তু এনিয়েও নিস্তার নেই। শ্বাশুড়ি বলে, “এগুলো সব অভিনয়। ডাক্তারের রিপোর্টে কিছুই ধরা পড়েনি কিন্তু ওনাদের কাছে মানসিক অসুখ হয়ত অসুখের আওতায় পড়েনা। এভাবেই নিজের সাথে নিজে লড়ে যাচ্ছে সে। নিশানকে মা ও বোনেরা মিলে বলতে লাগল, “ তোমার বউ তোমাকে যা বোঝায় তুমি তাই বোঝ। কদিন পর বউ তোমাকে ঘর থেকেই বের করে দিবে। বউ যা বলে তাই বিশ্বাস করা উচিত নয়।” নিশান তাদের কাউকেই বোঝাতে পারলনা যে মিথি'র অসুস্থতা সত্যিই মানসিক এবং সে মিথি'র ডাক্তারের সাথে কথা বলেছে এব্যপারে।



মিথি বাধ্য হয়েই বাবা'র বাসায় চলে এল। যেদিন সে শ্বশুর বাড়িতে পা রেখেছিল সেদিন শর্মিলি বেগম বলেছিল, “দেখো মেয়েদের আসল বাড়ি হচ্ছে শ্বশুর বাড়ি। মেয়েরা হল বাবা'র বাড়ির মেহমান।” আজ মিথি'র মনে হচ্ছে বাবা'র বাড়িই মেয়েদের আসল বাড়ি। কাল যদি নিশানের সাথে তার সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় তাহলে তাকে বাবা'র বাড়িতেই চলে আসতে হবে। শ্বশুর বাড়ি নিজের বাড়ি হলে তাহলে ওখানে কেন ভিতটা এত নড়বড়ে? চাইলেই কেন একটা বউকে বের করে দিতে পারে? না সে মানতেই পারেনা-- শ্বশুর বাড়ি বা স্বামী'র বাড়ি কখনও একটা নারী'র আসল বাড়ি হতে পারেনা। সত্যিকার অর্থে নারী'র কোন ঠিকানাই নাই। এসব ভাবতে ভাবতেই নিশান ফোন দিল তাকে।



মিথিকে বলল সে বেশ লজ্জিত এবং দুঃখিত তার পরিবারের এমন ব্যবহারের জন্য। মিথি'র অনেক কান্না এল। স্বামী ছাড়া একটা মেয়ে পুরো ছ'টা মাস কতভাবেইনা চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি সে এবং পারবেও না। নিশান বলল সে দেশে আসতে চাচ্ছে এক মাসের জন্য কিন্তু মিথি না করল বলল, কি লাভ বল? শুধু শুধু ঝামেলা আর ভাল লাগেনা। আমি আমার জব ছাড়বোনা, আমার যতটুকু দায়িত্ব তোমার পরিবারের প্রতি সেটা আমি আমার সাধ্যমত করে যাব কিন্তু এরপরও যদি ওনাদের আপত্তি থাকে আমার কিছু করার নাই নিশান। আমি আমার অস্তিত্বকে বিকিয়ে দিতে পারবনা , আমি সেসব নারীদের দলে পড়িনা যে হাজারো নির্যাতন সয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে! জীবনটা কদিনের বল! তাহলে একটা জীবন কেন আমি তিলে তিলে মাথা নুয়ে নিজেকে শেষ করে দেব! নিশান কোন জবাব খুঁজে পেলনা। সে জানে মিথি'র জায়গায় মিথি ঠিক আছে।



এভাবে তিনমাস কেটে গেল। নিশান বেশ যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছে, বলছে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। এদিকে মিথি'রও ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। নিজে একটি এনজিও খুলেছে অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের জন্য। বেশ সাড়াও পাচ্ছে। এর মধ্যে বাসায় একটা কুরিয়ার এল মিথি ভাবল নিশান হয়ত কোন উপহার পাঠিয়েছে! খুব আগ্রহ নিয়ে খুলল এবং যেটা দেখল সেটা কোনভাবেই প্রত্যাশিত ছিলনা। একটা ডিভোর্স লেটার সাথে একটা চিঠি, তাতে লেখা



“মিথি”,

ক্ষমা করো। আমি পারলামনা তোমার হাত ধরে সারাটা পথ হাঁটতে। মা খুব অসুস্থ তার একটাই চাওয়া তোমাকে যেন আমি আমার জীবন থেকে সরিয়ে দেই। আমি বোঝাতে চেষ্টা করেও পারিনি। তার শরীরের অবস্থা দেখে আমি তোমার ব্যপারে অনড় থাকতে পারলামনা। মায়ের ভালবাসা'র কাছে প্রেমিকের ভালবাসা হেরে গেল। ক্ষমা করো আমায় –



“নিশান”



মিথি'র বুক থেকে চাপা একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল। চিঠিটিকে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিল, সাথে অতীতের গল্পটাকেও----।



মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনটা আসলেই জটিল!
স্বার্থের হিসেব পরতে পরতে.. আর তাতেই যত গন্ডগোল!!!


+++

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম আসলেই জটিল তবে মায়া লাগে বেচারা ছেলেগুলার প্রতি।ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য ও মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকুন।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এই কনফ্লিক্টটা কখনো মিটবে বলে মনে হয় না । কখনো শাশুড়ী দোষী থাকে কখনো বৌ দোষী থাকে কখনো ছেলে দোষী । এই ট্রায়েন্গেন বড়ই কঠিন সম্পর্ক । শাশুড়ীও মেয়ে, বৌও মেয়ে অথচ তাদের ভেতরেই যুদ্ধ চলে । আমাদের সমাজে বিবাহ বিষয়টাকে যতটা সুন্দর সম্পর্ক হিসেবে জাহির করা হয় ঠিক ততটা সুন্দর সম্পর্ক হয়ে উঠেনি কখনো । বিবাহের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই দেখা যায় একে অপর পরিবারকে নেতিবাচকভাবে দেখা শুরু করে কারন আমাদের সমাজ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মগজে রং নাম্বার ঠুকে দিয়েছে যে, ' পর কখনো আপন হয় না' । বিবাহকে আসলেই যদি পবিত্র এবং সুন্দর সম্পর্ক হিসেবে বিবেচনা করা হত তাহলে যৌতুক, নির্যাতন, শত্রুতা, প্রতিদন্ধীতা এইসব শব্দ কখনোই আসতো না ।

লেখায় মুগ্ধতা ।+++++

শুভ কামনা প্রিয় ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম কিন্তু জানেন সমস্যা আমাদের মেয়েদেরই বেশি।আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন হলেই আমাদের স্বভাব ও পরিবর্তন হয়ে যায়।যেমন মা হলে এক রূপ।শ্বাশুড়ি হলে অন্য রূপ।ননদ হলে এক রূপ ভাবী হলে অন্য রূপ। ছেলের মা হলে এক চরিত্র।মেয়ের মা হ লে আরেক চরিত্র।

চলছে যুগ যুগ ধরে।এভাবেই হয়ত চলবে-------

ধন্যবাদ জানবেন। ভাল থাকা হোক

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপাতত দেখে গেলাম। রাতে পড়বো এবং মন্তব্য করবো। :) ভালো থেকো।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ঠিক আছে ভাইয়া। অপেক্ষায় থাকলাম

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫২

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আমার মনে হয় এত্ত সব জটিলতার কথা চিন্তা করেই পাশ্চাত্যে মানুশ ১৮ বছরের পরেই ছেলে-মেয়েদের আলাদা করে দেয়।
মেয়েদের মানসিকতাও হয়তো একটু আলাদা, সেটাও হতে পারে আবার।
সব ছেলেরাও আবার একরকম মানসিকতার নয় বলেই দ্বন্দ্ব আরও বেশি থাকে
। এই ঘটনা গল্প হলেই ভাল
শুভকামনা রইল, লেখা ভাল হয়েছে :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম আপনার কথাটিকে আমি সমর্থন করছি। আমি যেখানে থাকি সেখানে ১৮ বছরেই সন্তানকে আলাদা করে দেয়া হয় এমনকি বাঙ্গালী অনেক পরিবারও তাই করছে। কিন্তু খারাপ নাই ওরা। যার যার লাইফ নিয়ে সবাই ভাল আছে কেউ কাউকে হস্তক্ষেপ করছে না বা করতে পারছেনা যার ফলে পারিবারিক কলহগুলো আমাদের দেশের মত হচ্ছেনা।

যাই হোক ভালবাসা নিয়েই আমাদের পারিবারিক বন্ধনগুলো মজবুত হোক।

আর হাঁ এটা একটি গল্পই---

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৩

আবু শাকিল বলেছেন: অতি পরিচিত কাহিনী তুলে ধরেছেন ।সংসার ভাঙ্গার গল্প চলছে, চলবেও মনে হচ্ছে =p~ =p~

আপু সামান্য এডিট করে নিবেন - এখানে "বউ মরলে বউ পাওয়া কিন্তু মা মরলে কি মা পাওয়া যায়?"

ধন্যবাদ ।
ভাল থাকবেন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
এডিট দিলাম।

ভাল থাকুন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গল্পের সমাপ্তি এতো জটিল সমীকরণে এনে শেষ করবে চিন্তা করতে পারি নাই। কিছুটা বাস্তব আর কিছুটা কাল্পনিক, দুইয়ের মিশ্রণে গল্পটা পাঠককে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। 'শ্যাম রাখি না কূল রাখি' অবস্থা। তর্ক বিতর্কে না যেয়ে আমার সহজ সমাধান হলা, বিয়ের পর ছেলের বউদেরকে মেয়ের মতো দেখা উচিৎ শাশুড়িদের। ছেলের বউদের উচিৎ শাশুড়িদের মায়ের মতো দেখা। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তখনই মনে হয় বলা হয় 'সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে'। বৌ কিংবা শাশুড়ির যেকোনো একজন যখন তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তখনই সংসারে শুরু হয় যন্ত্রণা।
এই গল্পের শুরু থেকেই শাশুড়িকে শাশুড়ি রূপেই দেখানো হয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত মিথির জীবনটা ভিন্ন পথে পরিচালিত হয়েছে। তবে এটাও ঠিক মিথির মতো মেয়েরা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ বাবার কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছে, সেটা তার জীবন অনেক উপকারে আসবে।
নিশান শেষ পর্যন্ত মায়ের ভালোবাসার কাছে কাপুরুষের মতো হেরে গেলো। গল্পের কোথায়ও স্পষ্ট করে উল্লেখ নাই যে, সে তার মাকে বুঝানোর জন্য যথেষ্ট আন্তরিক চেষ্টা করেছে। অথচ সেটা তার করার দরকার ছিল।
নারী নির্যাতনের জন্য শুধু পুরুষদের দিকেই অঙ্গুলি উঠে। কিন্তু এই গল্প পড়ে অনেক নারীরই ভুল ভাঙ্গা উচিৎ। সংসারে নারীদের আসল শত্রু আসলে নারীরাই।
যুগের পরিবর্তনের কারণে নারীরা আজ আর সর্বংসহা নয়। পুরুষদেরও এটা উপলব্ধি করা উচিৎ। নতুবা সংসারে নিশান মিথির পরিবারের মতো দ্বন্দ্ব লেগেই থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের মতো ভেঙে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আগেই বলেছি কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরেছ। এবং ভালোভাবেই তুলে ধরেছ। ভালো লিখেছ নাসরিন।
কলমের কালি শেষও একটা চমৎকার মন্তব্য করেছে। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: গল্পের সমাপ্তি এতো জটিল সমীকরণে এনে শেষ করবে চিন্তা করতে পারি নাই।

কি জানি আমি নিজেই বুঝি নাই। লাষ্ট দুটো প্যারা আজ লিখেছি বাকিটা আরো বেশ কিছুদিন আগে। তখন গল্পটা শেষ করতে গিয়েও পারিনি--ফিনিশিং মনমত হচ্ছিলনা। ভেবেছিলাম এটাকে পোষ্ট দিবনা। লেখাটি মুছে ফেলব এ জাতীয় চিন্তা ভাবনা করছিলাম। লেখাটি ওয়ার্ড ফাইল থেকে ডিলেট করতে গিয়েছি অমনি শেষটা মাথায় এল লিখে ফেললাম - দিয়ে দিলাম পোষ্ট যদি কারো ভাল লাগে বা কারো কাজে আসে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আর তোমার বিশ্লেষনের উপর আমার কোন কথা নাই

তবুও এতটুকু বলব পরিবারে নতুন সদস্য হিসেবে ছেলের বৌদের মানিয়ে নেয়ার জন্য তাকে সময় ও সহযোগিতা করা উচিত। সেটা না করে যদি আমরা ভুল ত্রুটি ছিদ্রান্বেষণ করতে থাকি তাহলে পরিণতি কখনোই শুভ হবেনা।

ভালবাসা দিলে ভালবাসা মিলে---শাষন করে দাবিয়ে রাখার চেয়ে ভালবেসে ভালবাসা আদায় করা অনেক সহজ।

যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া। একজন পরিবারের সদস্যের মতোই সহযোগিতা পেয়েছি তোমার কাছ থেকে । আমার প্রত্যেকটা লেখা তুমি মনোযোগ দিয়ে পড়ে আমাকে উৎসাহিত করেছো।

ভাল থেকো/ দোয়া রেখো

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: Old wine in a new bottle..
তারপর ো সুন্দর হয়েছে.

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: সরি আপনার মন্তব্যটি আমি বুঝিনি
ক্লিয়ার করুন প্লীজ

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৫

নীল কথন বলেছেন: গল্পের থিমটা ভালো লেগেছে। সম্পর্ক জিনিসটাই আসলে বেশ জটিল।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো একটু মনোযোগী হওয়া উচিত। ‘কারন’ শব্দটা ব্যবহারে আরো সর্তক থাকলে ভালো হত।
নিশান কথা দেশের বাহিরে গেল, আর কখন ফোনে কথা বলছে! এখানটায় একটু গোলমেলে লাগছে।

(ব্লগ লেখালেখি চর্চার বেশ ভালো মাধ্যম। সেই হিসেবেই বলা। )

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। এডিট দিচ্ছি। হুম আরো ভাবলে সময় নিয়ে আরো ভাল হত।
তবে লেখাটি আমি লিখার পর ফিনিশিং দিতে না পেরে একেবারেই ডিলেট করতে যাচ্ছিলাম আজ সকালেই।

তারপর হঠাৎ করেই মাথায় শেষটা এসে গেল
তাই পোষ্টটা ও দিয়ে দিলাম।

নিশান বিয়ের দুমাস পরেই দেশের বাহিরে গিয়েছে। বিদেশ থেকেই ফোনে নিয়মিত কথা বলত।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: (ব্লগ লেখালেখি চর্চার বেশ ভালো মাধ্যম। সেই হিসেবেই বলা।

আরে বেশ ভাল করেছেন সেজন্যই ব্লগে লেখা দেয়া।

খুব ভাল, ভাল এগুলো সবাই বলে কিন্তু যেটা করলে একজন লেখকের ভাল হবে সেটা খুব কম পাঠকই করে। আপনি করেছেন আমি খুব খুশি হয়েছি। মাথায় রাখব। ধন্যবাদ অনেক --ভাল থাকুন

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

এহসান সাবির বলেছেন: আমাদের সমাজের নিত্য নিয়মিত ঘটনা। নিশানের কোন ভালো নিশানা দেখলাম না।


চমৎকার।

ভালো লাগা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম --নিত্যদিনের ঘটনা ।
নিশানরে দেইখ্যা যদি কেউ বোঝে -----

ধন্যবাদ আপনাকে সাবির। ভাল থাকুন।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৮

হাসান মাহমুদ ১২৩৪ বলেছেন: ঘরে ঘরে তো এই কাহিনী চলছে :(

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম ভাই ঘরে ঘরেই চলছে
ভাল থাকুক সবাই
কিন্তু এমন পরিণতি আমরা কেউ চাইনা।

ভাল থাকবেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩০

হামিদ আহসান বলেছেন: অতিতের গল্প হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়াই ভাল। তবে শাশুরীরা এই ধরনের আচরণ আমাদেরে সমাজে অহরহই করে যেটা বদলানো উচিত।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ ভাই দৃঢ় কণ্ঠে সত্যটা স্বীকার করার জন্য।

ভালবাসায় কানায় কানায় ভরে উঠুক আমাদের পরিবারগুলো।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪৮

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: মিথির আম্মু কি মিথিকে কখনো বকা ঝকা করেননি, অবশ্যেই করেছেন হয়তো, তখনোও মিথির মন খারাপ হয়েছে কিন্তু শাশুরী বকা ঝকা করলে মন খারাপ হয়তো একটু বেশি হয়েছে!!

একই সমস্যা শাশুরীরও, মিথিকে নিজের মেয়ে মনে করলে, জুতা কেনা নিয়ে খোটা দিতে পারতেন না!!

বউয়ের কাছে শাশুরী হলো শ্বাস উড়ি উড়ি, আর শাশুরীর কাছে বউ যেন শত্রু!!

বেচারা ছেলেদের সব দোষ!!!
সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০২

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে!!

ছেলেগুলার অবস্থা হয় মরিচের মত

যেমন " পাটা পুতার ঘষায় মরিচের মরন"

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । ভাল থাকুন

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

কাবিল বলেছেন: বর্তমানের শাশুরিরা একসময় নতুন বউ ছিল। সেই সময় আরও জটিল অবস্থা ছিল। তার কিছুটা আভাস এখনও পাওয়া যায়। এখনকার মিথিরা যখন শাশুরি হবে, আমার মনে হয়না তখন এত সমস্যা হবে।

শুধু সময়ের অপেক্ষা



ভাল লাগল লেখায় +++++++

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: সেটাই আমি আমার গল্পে বোঝাতে চেয়েছি

আমরা আমাদের অবস্থান পরিবর্তন হলে যেন স্বভাবের ও যেন পরিবর্তন না করে ফেলি ।

ধন্যবাদ আপনাকে । ভাল থাকবেন/

১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

ডি মুন বলেছেন:
সুন্দর গল্প।

সেই চিরায়ত বউ-শাশুড়ির মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব। ভুল বোঝাবুঝি।

গল্পের সমাপ্তিটা অনভিপ্রেত। ভুল বোঝাবুঝি থেকে সম্পর্কের অবসান সত্যিই দুঃখজনক।

+++++++

শুভকামনা নিরন্তর।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মুন আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য ,

আসলেই তাই এভাবে কোন সম্পর্কের অবসান মেনে নিতে খুবই কষ্ট। আমাদের সমাজে মিথিরা জানে এর ভার কতটুকু!!

ভাল থাকবেন। শুভ রাত্রি

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

নীল কথন বলেছেন: আমার বেশ বাজে স্বভাব এটা, কোথাও খকটা লাগলে বলা। বানান ভুল হলেও বলি। কবিতায় বানান ভুল দেখলে কেমন যেন লাগে। অবশ্য এখানে হোক বা অন্য ব্লগেই হোক, এমন পথ দিয়ে বেড়ে ওঠেছি। যেখানে সবাই সানন্দে কী করলে ভালো হতো বলত। ইদানিং ব্লগে এই ব্যাপারটা দেখি এড়িয়ে চলে। হা, উৎসাহ দিলে লেখকের আগ্রহ আর গতি আসে। উৎসাহের পাশাপাশি কী করলে আরো একটু ভালো হয় সেটাও বলা। বানানের ব্যাপারতো প্রায়শ সবাই এড়িয়ে যায়। বানান শুদ্ধ করার জন্য আমি ভীষণ পরিশ্রম করি।

সতত ভালো থাকুন। নিশ্চয় বকবকানি ক্ষমা যোগ্য। :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা কি যে বলেন!!

আপনি যদি আমার পোষ্টগুলো নিয়মিত পড়ে আমার ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেন আমি সাদরেই তা গ্রহণ করবো।

ব্লগিং থেকে যদি কিছু লাভ হয় তাহলে এটাই--গঠনমূলক সমালোচনা।

আপনার উপস্থিতিতে নিজেকে সম্মানিতবোধ করছি, আর সময় পেলে আমার পোষ্টগুলো পড়ে যাবেন---

ভাল থাকুন --খুব খুব

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৩

নীল লোহীত বলেছেন: ভালো লাগলো।

শুভকামনা রেখে গেলাম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

আপনার জন্যও শুভকামনা।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এমন স্মৃতি উড়িয়ে দিতে পারলেই ভালো! পারা যায়? জীবনের গল্পে ভালোলাগা!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: এমন স্মৃতি উড়িয়ে দিতে পারলেই ভালো! পারা যায়?

চাইলেই কি সব পারা যায়? তবুও মিথিরা বাঁচে , বাঁচার জন্য লড়াই করে।

ভাল থাকবেন অভি। শুভ রাত্রি

১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেই পুরোনো সমস্যা সিরিয়ালে, সিনেমায় আর গল্পে আরো কতবার যে দেখতে/পড়তে হবে! :(

বোরখাকে বোখরা লিখসেন কেনো? =p~

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত!
বানানটি ঠিক করে নিলাম। ভাল থাকবেন।

১৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩২

আরজু পনি বলেছেন:

গতরাতে ব্লগে থেকে বের হওয়ারপরেই চোখে পড়লো লেখাটা।
হতে পারে গতানুগতিক বিষয় নিয়ে...কিন্তু জীবনের গল্প বলেই হয়তো স্মৃতিকাতর হলাম।

এখানে ছেলেটি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়। কিন্তু জীবন এতো কঠিন যে অনেকেই অনেক কষ্ট বুকে চেপেও কিন্তু সংসার করছেন ।

জীবনের গল্পে ৮ম ভালো লাগা রইল ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি। আসলে এগুলো আমাদের আশেপাশের ঘটনাই যা গল্প আকারে উঠে এসেছে। দেরীতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত।
ভাল থাকবেন

২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১২

জাফরুল মবীন বলেছেন: অনাদিকাল থেকে চলে আসা বউ-শাশুড়ির মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্ধ আপনার সুলেখনিতে পুনরায় প্রতিভাত হলো।আমার মনে হয় এ বিষয়ে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টরা আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গণমাধ্যমগুলোতে দিলে পরিবার ও সমাজ উপকৃত হতো।

শুভকামনা জানবেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৪৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মবীন ভাই লেখাটি পড়ার জন্য। আর আপনার কথার সাথেও সহমত।

উত্তর দিতে দেরী হবার জন্য দুঃখিত।

২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

তুষার কাব্য বলেছেন: আরো কত যে দেখতে হবে এই চিরায়ত দ্বন্দের মিশ্রন...?মনে হয় অনন্তকাল ধরে চলতেই থাকবে বউ শাশুড়ির এই টক ঝাল মিষ্টি সম্পর্ক :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম মনে হয় চলতেই থাকবে। ধন্যবাদ তুষার ভাই পড়ার জন্য।
উত্তর দিতে দেরী হবার জন্য দুঃখিত।

২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: ধিক্কার এই ধরনের শাশুড়িদের, আমি বুঝিনা আমাদের দেশের মায়েরা ছেলেদের বিয়েও দিবেন আবার জোর করে দখলে রাখতে যেয়ে এমন কেন করেন????

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫৬

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম আসলেই আমাদের মানসিকতার সমস্যা।
ভালবাসার বন্ধনে আমরা আমাদের পরিবারগুলোকে মজবুত করি/

ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
ভাল থাকবেন।
উত্তর দিতে দেরী হবার জন্য দুঃখিত।

২৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফিনিশিং টা প্রত্যাশিত ছিল।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ে মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকা হোক

২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গল্পের প্রকাশভঙ্গী বেশ সহজ স্বাভাবিক লাগছিল।
কিন্তু গল্প যবনিকার যত নিকটবর্তী হয়েছে জটিলতা ততইই প্রকট হয়েছে।

সেজন্য দুবার পড়তে হলো।

চিরাচরিত কাহিনী।
নতুনত্ব পেয়েছি ঠিকই কিন্তু তা গল্পে নয় লেখনশৈলীতে।

পাঠক হিসেবে কথাগুলো বল্লাম সমালোচক হয়ে নয়।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৫৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে। এমন একটি মন্তব্য লেখককে সত্যিই ভাবাবে---

সমালোচনা অনায়াসে করতে পারেন---আমি সেটা সহজ ও স্বাভাবিক ভাবেই নেব।

পাঠক হিসেবে আপনার করা মন্তব্য আমি সাদরেই গ্রহণ করলাম।

ভাল থাকবেন।

২৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

শায়মা বলেছেন: মিথির উচিৎ নিশাতকে ভুলে যাওয়া । এমন মিনমিনে হাসব্যান্ড দরকার নেই।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: উত্তর দিতে দেরী হল সেজন্য দুঃখিত।

ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য। ভাল থাকুন

২৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন:
“শোন বউ হল পায়ের জুতা, জুতা যেমন খুব সহজে বদল করা যায় তেমনি বউও বদল করা যায়। বউ মরলে বউ পাওয়া যায় কিন্তু মা মরলে কি মা পাওয়া যায়?


+++++++

শুভকামনা নিরন্তর।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: উত্তর দিতে দেরী হল সেজন্য দুঃখিত।

ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য। ভাল থাকুন

২৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ বসন্ত।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন:
শুভ বসন্ত।

উত্তর দিতে দেরী হল সেজন্য দুঃখিত।

ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য। ভাল থাকুন

২৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৬

নিরব ঘাতক ফাহিম বলেছেন: আসলেই জীবন খুবই অদ্ভুত।।।।।।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.