নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অভিষেকহীন অভিসারিকা

নাসরিন চৌধুরী

সময় মানুষকে কিভাবেইনা বদলে দেয় ,বদলে যাই - বদলে যায় সবাই! আনমনে স্মৃতির পাতা উল্টাই বেছে বেছে জমে থাকা ক্লেদগুলোকে উগলে ফেলে দেই স্বস্তির নিঃশ্বাসের চাদরে নিজেরে জড়াবো বলে! কিন্তু কতটা পারি বা পেরেছি কতটাই বা পারা যায় খুঁতের মাঝে নিখুঁতের বীজ বোনা !

নাসরিন চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ দ্বিপান্বিতা

০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৫৮

(একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। কিন্তু নাম, পরিচয় কাল্পনিক)

কেউ জোরে জোরে দরজাটা ধাক্কা দিচ্ছে। বিরক্ত হয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে এল মারুফ। এসে দেখে এলিজাবেথকে। এলিজাবেথকে মারুফ সংক্ষেপে এলিজা ডাকে। এলিজা জিজ্ঞাসা করল, তোমাদের শোবার ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ আসছে, তুমি কি বউয়ের গায়ে হাত তুলেছো? মারুফ বলল, তুমি এসব বুঝবেনা। বাংলাদেশের সম্পর্কগুলো এমনই হয়। এলিজা বাংলা জানেনা বা বোঝেওনা। জার্মান ভাষাতেই এলিজা কথা বলে এবং মারুফ জার্মান ভাষাতেই তার উত্তর দেয়। একই বাসায় তারা থাকে। যদিও মারুফ লোকজনের কাছে বলে ওরা সাবলেট থাকে এলিজার বাসায় কিন্তু দ্বিপান্বিতা কখনও দেখেনি মারুফকে বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে।

মারুফ জার্মানীতে আছে প্রায় পনেরো বছর ধরে আর পাঁচবছর হয়েছে দ্বিপান্বিতা এসেছে। এসেই তিনমাস পর চাকুরীতে ঢুকে গেছে। সকালে ন'টায় বেরিয়ে যায় আর ফেরে সেই রাত দশটায়। কিন্তু সে চায়নি এত তাড়াতাড়ি সে ব্যস্ত হয়ে যাবে! সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনা ছিল সাবলেট থাকাটা। নিজের প্রাইভেসি বলতে কিছু থাকেনা- সারাক্ষণ মনে হয় বাড়তি দুটো চোখ ওদের দিকেই তাক করা থাকে। নিজ থেকে দ্বিপান্বিতা বলেছিল, দেখো মারুফ আমি এভাবে থাকতে চাইনা, তুমি আলাদা বাসা নাও। মারুফ বলল, দেখো একজনের উপার্জনে এখানে আলাদা বাসা নিয়ে থাকাটা খুব কষ্টকর, তুমিও একটা চাকুরী নাও তখন আমরা আলাদা বাসা নেব। সে কথার উপর ভিত্তি করেই দ্বিপান্বিতা চাকুরী করছে।

ক্লান্ত শরীরটা এলিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই কেমন জানি চোখ লেগে আসছিল ঘুমে। এমন সময় মারুফ এসে গায়ে হাত রাখল। বেশ বিরক্তি লাগছিল তার! নিজে থেকেই বলল, প্লীজ মারুফ আমি খুব ক্লান্ত, সকালে উঠতে হবে। মারুফ কথা শুনছেনা- সে টেনে দ্বিপান্বিতার শরীর থেকে সব কাপড় খুলতে লাগল। কিন্তু দ্বিপান্বিতা আবারও আপত্তি জানাল এবং একটু সরে এল। মারুফ এবার হিংস্র হয়ে উঠল এবং রেগে গিয়ে খুব মারল তাকে। সে চিৎকার করল জোরে এবং কান্নার শব্দ পেয়েই এলিজা দরজায় ধাক্কাচ্ছে। মুখ চেপে ধরে মারুফ তার শরীরের ক্ষুধা মেটালো কিন্তু পড়ে রইল দ্বিপান্বিতা বালিশে মুখ গুঁজে। ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর ভাবছে এভাবে প্রতি রাতে কত কত মেয়ে স্বামী দ্বারা ধর্ষিত হয়!

সুন্দর একটা গোছানো সংসারের জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সে কাজ করছে। টাকাটা এনে স্বামীর হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে কারন স্বামী বলেছে চাকুরীর বেতন তার কাছেই জমা দিতে হবে। প্রথমে দ্বিপান্বিতা আপত্তি করেছিল কিন্তু মারুফের জবাব, থাকতে হলে এভাবেই থাকতে হবে নইলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবো। জার্মানীতে কোন বাঙ্গালি পরিবারের সাথে মেশার অনুমতি সে পায়নি। একা একটা মানুষ বিদেশের মাটিতে কোন কমিউনিটি ছাড়া কিভাবে চলতে পারে! স্বামীর জন্য, তার ভালবাসার জন্য, একটা সুন্দর সংসারের জন্য সব মেনে নিয়েছে সে। জীবনে এমন ত্যাগের কি কোন মূল্যই মারুফের কাছে নেই? তাহলে কেন পড়ে আছে সে মাটি কামড়িয়ে এমন সংসারে! নিজেকে হাজারো বার প্রশ্নটা করে কিন্তু মেলাতে পারেনা সে!

বাবা মা'র অমতে বিয়ে করেছিল সে। মারুফকে বাংলাদেশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখেছিল, সেই থেকেই দু'জনার পরিচয় এবং ভালবাসা। তার উপর ছেলে ইউরোপে থাকে, ঢাকাতে বাড়ি- গাড়ি সবই আছে, দেখতে বেশ। কিন্তু বাবা মাকে রাজী করাতে পারছিলনা দ্বিপান্বিতা। পালিয়ে গিয়ে কোর্টে বিয়ে করলো দু'জন। বাবা মা'র ভালবাসাকে পেছনে ফেলে হাত ধরেছিল। বাবা মায়ের একমাত্র কন্যা হিসেবে বেশ আদরেই বড় হয় দ্বিপান্বিতা। কষ্ট কাকে বলে কখনও দেখেনি। বিয়ের পর প্রায় একবছর বাংলাদেশে থাকতে হয়েছে তাকে। প্রতিদিন ফোন করত মারুফ। ভালবাসার মোহে কখন যে দিন হতো আর কখন যে রাত হতো সেটা টেরই পাওয়া যেতোনা। সবাই বলত এমন বউ পাগল ছেলে হয় নাকি? সারাক্ষণ শুধু ফোনে কথা বলে কাজ করে কখন? এসব কথা দ্বিপান্বিতার কিন্তু বেশ লাগত! অপেক্ষা শুধু কবে যাবে প্রিয় মানুষটির কাছে!

ফোনে যখন মারুফের সাথে কথা বলে তখন কেমন জানি একটা পানি পড়ার শব্দ হতো। পুরো একবছর ধরে এই টিপ, টিপ, টিপ, এভাবে পড়ছেত পড়ছেই। জিজ্ঞাসার পর মারুফ বলল, আরে রান্না ঘরে কলটা ঠিকমত কাজ করছেনা তাই ওটা থেকে পানি পড়ে ফোঁটা ফোঁটা করে। এভাবেই একদিন ভিসা হয়ে যায় দ্বিপান্বিতার এবং চলে আসে জার্মানীতে। বাসা পায়নি সেটা আগে জানিয়েছিল এবং একজন বয়স্ক মহিলা যার নাম এলিজাবেথ তার বাসায় সাবলেট থাকবে সেটাও জানিয়েছিল। মারুফের সিদ্ধান্তে আপত্তি করেনি সে। জার্মানীতে এসে প্রথম দিন ক্লান্ত শরীর নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় কিন্তু কেমন জানি সেই পরিচিত শব্দটা কানে এল, যেটা সে দেশে বসেই ফোনে কথা বলার সময় শুনতে পেত।

বুকের ভেতরটা কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠল! দৌড়ে গেল রান্না ঘরে -গিয়ে দেখে পানির কলটা থেকেই টিপটিপ করে পানি পড়ছে। এসেছে মাত্র আজ, এখন এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা হলোনা তার। ব্যপারটা কিন্তু তাকে বারবার পীড়া দিচ্ছিল এবং ভাবছিল, মারুফ এতটা বছর এই বাসাতেই ছিল সাবলেট কিন্তু সে এটা কেন গোপন করল! একা থাকতো অন্য বাসায় সেটা সে বলে আসছিল কিন্তু! মারুফ তাকে মিথ্যা বলেছে এটাই তার কাছে অনেক স্পর্শকাতর একটা ব্যপার মনে হচ্ছে! কোথাও হিসাবের কি কোন ভুল হয়ে গেল- না ভাবতেই পারছেনা সে!

এলিজাবেথের বয়স প্রায় ষাট। মায়ের বয়সী একজন জার্মান মহিলার সাথে মারুফ বাসা শেয়ার করছে এটাতে দোষের কিছু দেখছেনা সে কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে মারুফ সত্য গোপন করছে কেন? এভাবেই যাচ্ছিল কিছুদিন। এরই মধ্যে কিছু বাঙ্গালির সাথে তার পরিচয় হলো। যোগাযোগ ও ফোন নাম্বার আদান প্রদান সবই হলো। ওমা এরই মধ্যে মারুফ বলল, এখানে বাঙ্গালি কমিউনিটি ভালোনা তাই কারো সাথে যেন সে না মিশে! অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল এবং বলল, না মিশে আমরা কিভাবে থাকবো? এটা কি সম্ভব? কিন্তু মারুফ অটল- যদি এখানে থাকতে হয় তাহলে তার কথা মেনেই থাকতে হবে নয়ত বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে!

দ্বিপান্বিতা তাকে ভালবেসেছিল, তাই তার যতসব অন্যায় যুক্তিগুলো মেনে নিয়ে সামনে আগানোর চিন্তাই করছিল! তবে কখনও স্বামীকে সন্দেহ করেনি। এলিজাবেথও তাদেরকে বেশ সহযোগিতা করতো। কিন্তু দ্বিপান্বিতার বেশ বিরক্ত লাগত যখন এলিজাবেথ কাবাবের মধ্যে হাড্ডি হয়ে থাকত। এই পাঁচ বছরে ওরা বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়েছে অনেকবার কিন্তু প্রতিবারই এলিজাবেথ তাদের সাথে ছিল। মারুফ বলে, বয়স্ক মানুষ তাকে বাসায় একা ফেলে আসব কেন! আমাদের সাথে থাকলে ওনারও ভাল লাগবে কিন্তু তুমি এমন করো কেন? এলিজাবেথও কেমন জানি নির্লজ্জ টাইপের। স্বামী স্ত্রী'র মাঝখানে মাথা না গলালে তার ভাল লাগেনা! নাহ মারুফকে বোঝানো যায়নি। এই নিয়ে কিছু বললেই ইচ্ছেমত মারতো তাকে। একদিন গায়ে হাত তোলার জন্য পুলিশে কল করেছিল সে। পুলিশ এসে মারুফকে সাবধান করে দিযেছে এবং বলে গেছে এরপর গায়ে হাত তুললে মারুফকে বাসার বাহির চলে যেতে হবে এবং দ্বিপান্বিতাকে কেস করতে বলল।

এরপর থেকে মারুফ হাত তোলেনি কিন্তু তেড়ে আসে। অকথ্য বাসায় গালিগালাজ করে। দ্বিপান্বিতা নিজের কোন দোষ খুঁজে পায়না। তাহলে কি কারনে মারুফ এমন করে? সেকি তবে আমার সাথে থাকতে চায়না? তার পাঁচ বছরের সমস্ত উপার্জন মারুফকে দিয়েছে এবং দুজনের টাকাতেই ঢাকাতে ছয় তলা বাড়ি বানিয়েছে। একদিন মারুফকে বলেছিল যে, এতগুলো ফ্ল্যাট তোমার, ওখান থেকে আমাকে একটা ফ্ল্যাট লিখে দাওনা! কিন্তু মারুফ খুব রাগ করেছিল, বলেছিল- এত আমার আমার কর কেন? ভাগাভাগি শিখে গেছো?
দ্বিপান্বিতা চুপ হয়ে গিয়েছিল সেদিন। বলেছিল, দেখো আমি চাকুরী করছি, তো তুমি এখন আলাদা বাসা নিচ্ছোনা কেন? প্রথম যে বলেছিলে আমি চাকুরী করলে তুমি বাসা নেবে।
মারুফ বলল, আমার সময় নেই। তাছাড়া এই বাসাটা খারাপ কোথায়?
সে বলল, আমি আমার একটা সংসার চাই। একটা বাচ্চা চাই। কিন্তু অন্যের সাথে বাসা শেয়ার আমি করতে পারবোনা। মারুফ বলল, শেয়ার না করতে পারলে চলে যাও। জার্মানীর কার্ড হইসেতো তাই আজকাল গলাও দেখি বাড়সে!

একটা বাচ্চা নিতে চেয়েছিল কিন্তু মারুফ চায়না বলে হয়নি। মারুফ বলে, বাচ্চা হইলেত ঘরে বইসা যাবা কিন্তু শরীরে এনার্জি থাকতে থাকতে কিছু পয়সা কড়ি কামাও।
কেমন জানি তার কথাগুলো আত্মাতে গিয়ে লাগে, কিছুই বলতে পারেনা সে। কতবার মারুফ তাকে হুমকি দিয়েছে কারো কাছে মুখ খুললেই জানে মেরে ফেলবে।

কাজ করতে গিয়ে বড় একটা দুর্ঘটনায় দ্বিপান্বিতা'র হাত পুড়ে যায়। বেড রেস্ট প্রায় এক বছর। এই ফাঁকে সে ভাবছে একটা বাচ্চা নিয়ে নিলে মন্দ হয়না। কোনমতে রাজি করাতে পারল মারুফকে। কিন্তু প্রায় বছর হতে চলল তারা বাচ্চার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা। মারুফ বলছে, বাচ্চা না হলে কিন্তু আমি আবার বিয়ে করবো।
কথাটা শুনে সে বলেছিল, কিভাবে এটা সম্ভব? তুমি কি আমাকে তবে ভালবাসোনা?
মারুফ বলেছিল, বাচ্চা না হইলে তোমার চেহারা, ভালবাসা দিয়া কি আমি পূজা করবো?
সে বলেছিল, যদি তোমার সমস্যার কারনে বাচ্চা না হয় তাহলে?
মারুফ বলেছিল, সে সম্ভাবনা নাই, আমার কোন সমস্যাই নাই।

এসব নিয়ে মান অভিমান নিয়ে কথা বলা বন্ধ দুজনের। আলাদা রুমে থাকছে। এক দুদিন রুমে গিয়ে জোর করে সেক্স করে এসেছে কিন্তু কথা বলেনি। মারুফ ভয় দেখায় সেক্স করতে না দিলে সে পতিতালয়ে যাবে! এটা বললে চুপসে যায় দ্বিপান্বিতা! যত খারাপই লাগুক সে আপত্তি করেনা ভাবে যাহ একটা জানোয়ারের সাথেই না হয় থাকলাম!

বাবা মাকে খুব মিস করছে সে।তাদের ভালবাসা ত্যাগ করে এসেছিল মারুফের কাছে। এখন এসব কোনকিছুই তাদের সাথে শেয়ার করতে পারেনা দ্বিপান্বিতা। এলিজাবেথকেও তার অসহ্য লাগে। সব ব্যাপারেই নাক গলায়। সেদিন বাসা ছাড়ার কথা বলতেই মারুফ বলে, আমি তোকে ছাড়বো প্রয়োজনে কিন্তু এই বাসা ছাড়বোনা। এলিজাবেথ পেনশনে গিয়েছে। তার একটি ছেলে আছে অন্য শহরে নানী'র সাথে থাকে। বয়স ১৩ বছর। কিন্তু তাকে দেখেনি দ্বিপান্বিতা। মাঝে মাঝে মারুফ এলিজাবেথকে সাথে নিয়ে দেখে আসে ছেলেকে।

রাগ করে বের হয়ে গিয়েছিল সেদিন দ্বিপান্বিতা। তার একটি নতুন বান্ধবী হয়েছে। তার বাসায় গিয়ে উঠেছিল। তবে বান্ধবী বুঝিয়ে শুনিয়ে দুদিন পর বাসায় নিয়ে এসেছিল। একটা চাবি নিজের কাছেই থাকে। দরজা খুলে কেমন জানি স্তব্ধ হয়ে গিযেছিল দ্বিপান্বিতা। বাথরুম থেকে মারুফ আর এলিজাবেথ দুজনই হাসতে হাসতে একসাথে বেরুচ্ছে। তাদের কারো গায়েই কোন কাপড় ছিলনা!
রাগ আসেনি তার বরং একদলা ঘৃণা বেরিয়ে এসেছিল ভেতর থেকে। এত ভালবাসা, এত বিশ্বাস, নিজের সকল উপার্জন এবং অনিচ্ছা স্বত্তেও নিজের শরীরটাকে সপে দেয়া--এসব ত্যাগের বিনিময় মূল্য হচ্ছে এই!

দ্বিপান্বিতা হাসপাতালে। একটু আগে ডাক্তার বলে গেল সে মা হতে যাচ্ছে.....

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১২

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ভালো লাগলো। তবে ষাট বছরের নারীর সাথে পরকীয়া একটু অন্যরকম হয়েগেলো না !

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: মহিলার সাথে সম্পর্ক আরো পনেরো বছর আগে থেকে, মানে মহিলা ৪৫ এর মত ছিল একই বাসায় আছে এত বছর, গ্রীন কার্ডের জন্য বিয়ে করেছিল কিন্তু মহিলাকে ছাড়তে পারেনি। আর মেয়েটি একটা বাচ্চা মেয়ে আঠারোতে বিয়ে হয়েছে লোকটির সাথে এবং লোকটি সব গোপন করেই মেয়েটিকে দেশে গিয়ে ভালবাসার ফাদ দিয়ে বিয়ে করে নিয়ে এসেছিল।

লেখাটি পড়ুননা ভাল করে, ছেলেটি কত বছর আগে এসেছিল লেখা আছে এবং একই বাসায় মহিলার সাথে কত বছর আছে সেটাও আছে।

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩২

ম.র.নি বলেছেন: সব দোষ মারুফের আর 'দ্বিপান্বিতা' আপায় ধোয়া তুলসী পাতা! যে স্বামীগুলা স্ত্রৈণ হতে পারে না তখন সব দোষ হয় 'মারুফ'দের আর চলে কারেক্টার এ্যাসাসিনেসন। 'মারুফ' দের জবানবন্দী কখনো পাওয়া যায় না, তারা কখনো সত্য অবলম্বনে বায়াজ্ড গল্প শোনায় না।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ভাই সব কিছুর মধ্যেই কেন ছিদ্র খুঁজতে থাকেন? বাচ্চা একটা মেয়ে স্বামীর হাত ধরে প্রবাসে এসেছে। স্বামী ডানে বললে ডানে আর স্বামী বামে বললে বামে যেতে হয়। এসেই কোন মেয়ে নিজের মত করে চলতে পারেনা। একা বিদেশে স্বামী ছাড়া সে মুভ করতে পারবেনা। তাহলে সে কেন নিজের পায়ে কুড়াল মাড়বে? তার পাশে কেউ নাই---হয়ত একদিন এসব মেয়েগুলো জীবন দিয়ে প্রমান করে দেয় সে সত্যি ছিল কারন আপনারা পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে , সহযোগিতা করার পরিবর্তে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন

"সব দোষ মারুফের আর 'দ্বিপান্বিতা' আপায় ধোয়া তুলসী পাতা"

ভালমন্দ সব জায়গায় আছে। ভাল ছেলেও যেমন আছে ভাল মেয়েও আছে এবং এর বিপরীতটাও আছে-- আপনি লিখুননা তবে মারুফদের হয়ে পাশে আছি

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৩

সুমন কর বলেছেন: দ্বিপান্বিতা'র কাহিনী চমৎকার হয়েছে। ভালো লাগা রইলো।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন । ভাল থাকুন

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো লিখেছ নাসরিন। মারুফ ও দ্বীপান্বিতার এই জটিল সম্পর্ক আসলে মারুফের চরিত্রের খারাপ দিকটি তুলে ধরেছে। তবে ষাট বছর বয়সী এলিজাবেথের ব্যাপারটা আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই বয়সী মহিলার এমন সম্পর্কে জড়ানোর কথা নয়। কিন্তু পশ্চিমা সমাজে এটা হয়তো হামেশাই ঘটে থাকে। তুমি ও দেশে থাকো বলে আমার চেয়ে ভালো জানবে।
যাই হোক, আবার বলছি গল্প খুব ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ নাসরিন।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: অনেকদিন পর হেনা ভাই!!
কেমন আছেন? আমি নিজে দেখেছি ভাইয়া এমন অসংখ্য ছেলে। পারমানেন্ট ভিসার জন্য ৬০ কেন এর চেয়ে বেশি বয়সী নারীকেও বিয়ে করে , অনেকে টাকা দিয়ে আবার অনেকে ভালবাসার অভিনয় দিয়ে ভোগ করে। পেপার হয়ে গেলে আবার ডিভোর্স কিন্তু ছেলেটা হয়ত মহিলাকে ভালবেসে ফেলেছে সত্যি সত্যি। আর এসব দেশের মেয়েরা খুব সহজেই আমাদের দেশের মত বুড়িয়ে যায়না----

মহিলার সাথে সম্পর্ক আরো পনেরো বছর আগে থেকে, মানে মহিলা ৪৫ এর মত ছিল একই বাসায় আছে এত বছর, গ্রীন কার্ডের জন্য বিয়ে করেছিল কিন্তু মহিলাকে ছাড়তে পারেনি। আর মেয়েটি একটা বাচ্চা মেয়ে আঠারোতে বিয়ে হয়েছে লোকটির সাথে এবং লোকটি সব গোপন করেই মেয়েটিকে দেশে গিয়ে ভালবাসার ফাদ দিয়ে বিয়ে করে নিয়ে এসেছিল।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ভাইয়া লেখাটা খুব তাড়াহুড়া করে লিখেছি, সময় পাইনা রোববার ছাড়া--
আরো কিছুটা ভেবে লিখলে হয়ত আরও ভাল হতে পারত। কিন্তু নিজের মনগড়া কাহিনী দিয়েও লেখাটাকে অতিরঞ্জিত করতে ইচ্ছা হয়নি-- সত্য ঘটনা বলে এটাকে সাদামাটাই রেখেছি। আপনার মন্তব্যে সাহস পেয়েছি ,আপনিত জানেন আমি গল্পের লোক নই- কবিতাতেই ডুবে থাকি ।
ভাল থাকবেন- দোয়া রাখবেন।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৯

বিজন রয় বলেছেন: কত রকমের সম্পর্ক।
++++

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম সেটাই---- মানুষ বলে হয়ত

৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

রাফা বলেছেন: এর চাইতে নিষ্ঠুর একটি ঘটণার বর্ণনা শুনেছিলাম ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেলে আমির খানের উপস্থাপনায়।এরকম ঘটনা অবাস্তব কিছু নয় অসংখ্য পুরুষ যেমন আছে এই চরিত্রের আবার এর চাইতে বাজে চরিত্রের মেয়েও আছে।আমার দেখা এক মেয়েও চাকচিক্য আর সাদা চামরার প্রলোভনে স্বামিকে ছেরে চলে গেছে।
তবে জার্মানির মত দেশে নিজে কাজ করে উপর্জন করতে পারা ১টা মেয়ে এতটা অন্যায় কেনো সহ্য করবে সেটাই আমি ভেবে পাচ্ছিনা।আর এক বাড়িতে থেকে এত দেড়ি হলো অনৈতিক সম্পর্ক আবিস্কার করতে সেটাও বোধগম্য নয়।হয়তো আপনি খুব সর্টকার্ট বর্ণনা করেছেন ।


ধন্যবাদ,নাসরিন

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ-- আপনার সাথে সহমত। ভালমন্দ সব জায়গায় আছে সেটা ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন!

আর মহিলার সাথে সম্পর্ক আরো পনেরো বছর আগে থেকে, মানে মহিলা ৪৫ এর মত ছিল একই বাসায় আছে এত বছর, গ্রীন কার্ডের জন্য বিয়ে করেছিল এবং ডিভোর্সও হয়েছিল।কিন্তু এর পরও মহিলাকে ছাড়তে পারেনি। আর মেয়েটি একটা বাচ্চা মেয়ে আঠারোতে বিয়ে হয়েছে লোকটির সাথে এবং লোকটি সব গোপন করেই মেয়েটিকে দেশে গিয়ে ভালবাসার ফাদ দিয়ে বিয়ে করে নিয়ে এসেছিল।
কিন্তু চাকুরী করলেও মেয়েটি মুখ খুলতে পারেনি। বিয়ে হয়ে কোন মেয়ে এলে দুবছর পর্যন্ত স্বামীর সাথে না থাকলে সে এখানে পারমানেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেনা। আর এজন্য লোকটি ভয় দেখাত যে দেশে পাঠিয়ে দিত। মেয়েটি জেনেছিল প্রথমেই--- "ওই যে পানির কলের টিপটিপ করে পানি পড়ার শব্দে যে ওর স্বামী এই বাসাতেই এত বছর ধরে আছে এবং এই মহিলার সাথেই ছিল।পরে লোকটি স্বীকার করেছিল যে মহিলাকে সে ১৫ বছর আগে বিয়ে করেছিল কিন্তু কোন শারিরীক সম্পর্ক ছিলনা। পেপার এর জন্য বিয়ে করেছিল এবং ডিভোর্স হয়ে গেছে। এসব জানার পর মেয়েটি কি করতে পারে? দেশেও চলে যেতে পারছেনা আবার এসব মেনেও নিতে পারছেনা।"

৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

হামিদ আহসান বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে ৷

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ ভাই।

৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

নেক্সাস বলেছেন: খুব সাদামাটা গল্প। সরলরৈখিক বর্ণনা। টুইস্ট নেই।

কাহিনী বিচারে বলা যাব ভাল একটা প্লট। তবে সমাজে মারুফ রা যেমন আছে তেমনি রিভার্সও আছে।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হতে পারে ভাই- কারন আমি গল্প খুব একটা লিখিনা।
আর হয়ত আরো কিছু সময় দিলে ভাল হত
কিন্তু মেয়েটা বলেছিল যে তার গল্পটায় সে যা যা বলেছে সেভাবেই রাখতে প্রয়োজনে এদিক ওদিক হতে পারে কিন্তু বানিয়ে বানিয়ে সত্য ঘটনাটির আবহটি নষ্ট না করতে। আমি পুরো কাহিনীটিকেই ঠিক রেখেছি সামান্য কিছু পরিবর্তন করেছি।

৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর !

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: কি সুন্দর??
এটা একটা সত্যি ঘটনা এবং মন খারাপের গল্প। সেটাও বুঝি সুন্দর হয়!!

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন

১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
বেশ দুঃখজনক গল্প । গল্প তো নয় সত্য । তাই বেশি দুঃখজনক । আপনার লেখনশৈলিতে ফুটে উঠেছে একটা নির্মম বাস্তব গল্পের বুননে। মারুফের মত লোকগুলো এতো হীনরুচির হয় কীভাবে, আর ঐ মহিলা কেমন রুচির ! মহিলাকে ওদের দেশে হয়তো মানিয়েছে এমন সম্পর্কে কিন্তু মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে তার তো ভাবা উচিত ছিলো, বলতে গেলে সে ও তো মারুফকে একটা ট্রাপের মধ্যে ফেলেছে । মহিলা তার চোখের সামনেই তার স্বজাতির নির্মমতা দেখেও সে নিজের স্বার্থকেই দেখেছে। এসব পুরুষ নারী চরম মানষিক বিকারগ্রস্থ , তাদের কারণে নিষ্পাপকে পোয়াতে হয় চরম দুঃখ। এমন নীরব টর্চারগুলোর জন্য এদের ফাঁসি দিলেও কম হবে ।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম মহিলার সাথে পনেরো বছর আগে গ্রীন কার্ডের জন্য বিয়ে করেছিল এবং একই বাসায় ছিল দুজন। এটা অনেক বাংগালীরা জানে তাই মেয়েটা বলা হয়েছিল কোন বাঙ্গালির সাথে মেশা যাবেনা।
লোকটা বলেছিল মহিলাকে ডিভোর্স করেছিল এবং মহিলার সাথে তার কোন শারিরীক সম্পর্ক ছিল না। মেয়েটাকে লোকটি এভাবে বুঝিয়েছিল। বাচ্চা মেয়ে কি করবে এমন পরিস্থিতিতে? কিন্তু এই মহিলাই সেই মহিলা সেটা জানতে মেয়েটিকে অনেক কৌশলী হতে হয়েছে কিন্তু দেখা গেছে লোকটি ওই মহিলাকে ছাড়তে পারবেনা মানে আলাদা বাসায় গিয়ে থাকবেনা কারন মহিলাকে একা রেখে যাবেনা । আর আগে তাদের মধ্যে যে রিলেশানই থাকুক না কেন কিন্তু যখন ডিভোর্স হয়ে যায় তখন সেই মহিলার সাথে তাকে থাকতে হবে কেন?? আবার সেই মহিলাকে নিয়ে নতুন বউয়ের সাথে সাত বছর পার করা কি এতটাই সহজ ছিল নতুন বউয়ের জন্য? হয়ত মেয়েটি সবই বুঝেছে বা জেনেছে কিন্তু নিজেকে দমিয়ে রেখেছিল কিন্তু এখন আর পারছেনা বলে সে প্রকাশ করেছে।
আমার সাথে পরিচয় দশ বছর --আমার বেস্ট ফ্রেণ্ড মেয়েটি।

১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: কুৎসিত! সত্য ঘটনা অবলম্বনে শুনে আরো খারাপ লাগলো।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
হুম নিজের বেস্ট ফ্রেণ্ড
লিখতে গিয়ে আমার নিজেরো খুব খারাপ লাগল।
এটা আমাদের জীবনেরই গল্প, হয়ত অনেক মেয়ের গল্পই এমন থাকে। মেয়েটির অনুমতি নিয়েই লিখেছি যদি এমন কিছু পুরুষের চোখে পড়ে।

১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্প পড়ে মনে হল পয়েন্ট অব ও আছে যেখানে একটা গল্পকে বাস্তবতার রুপ দিতে দরকার হয়।এইযে পানির টপ টপ শব্দ তখন প্রশংগ ছাড়াই বর্ননাতে ছিল। অনিক সুন্দর হইছে এককথা। তবে গল্প গল্পই ।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
আপনি ঠিক জায়গাটা হাইলাইট করেছেন--আমি লেখার সময় ওই জায়গাটা উল্লেখ করেছি যাতে লোকটার অবস্থান একই জায়গায়, একই বাসায়, একই মহিলার সাথে সেটা পাঠক ধরতে পারে--মেয়েটি কিন্তু এই পানি পড়ার শব্দ দিয়েই বুঝে নিয়েছিল অনেক কিছু।

তবে গল্প গল্পই না ভাই ---এটা একটা সত্য ঘটনা।

১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্যিঘটনা যদি হয তাহলে তাও বিশ্বাস করলাম এমন টা যেন আমার পরিচিত কাররো জীবনে না ঘটে এমন কি দুনিয়ার সবার জন্য শুভকামনা রইল।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আপনার জন্য ও শুভকামনা। ভাল থাকবেন

১৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

সায়ান তানভি বলেছেন: একদম খারাপ হয় নি ,তবে কল্পনা মিশালে আরও ভালো হতো ,আর একটু সময় নিয়ে লিখলে ।শুভ কামনা ।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন---হয়তবা হতো। থাকনা কিছু অন্যরকম।

১৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: দ্বিপান্বিতা'র কাহিনী চমৎকার হয়েছে। ভালো লাগা রইলো।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পুরো গল্পের সাথে ২ নাম্বার কমেন্টকারীর কমেন্টের সামঞ্জস্যতা পেলাম না।
এরকম বাস্তব ঘটনা ভুরি ভুরি। নিঃসন্দেহে এসব ঘটনায় ভিক্টিম অমানসিক যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন।
তবে দ্বীপান্বিতা সাবলম্বী এটাই তার প্রথম শক্তি। আর মা হয়েছে (একটা বাজে ঘটনা জেনে ফেলার পর) তাতেও তার ভয়ের কারণ নাই। বাংলাদেশ হলে চিন্তার কারণ ছিল কারণ প্রতিবেশীদের চেয়ে নিজের ঘরের মানুষগুল আরো হিংস্র হয়ে উঠতে পারতো। দেশের বাইরে নারীদের সুবিধা অনেক বেশি। ডে কেয়ার বা অন্য সুবিধাগুলোও দ্বীপান্বিতা পাবে।
দ্বীপান্বিতাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ নাসরিন আপনাকেও।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । অনেকেই জানেননা এভাবে যে কত মেয়ে তিলে তিলে জীবনটা পার করে দেয়। মেয়েটি এখন আলাদা হয়ে যাবার চিন্তা করছে। সে তার মত বাঁচতে চায়--কিন্তু খারাপ সম্পর্কের মায়াও মেয়েদের থাকে।
হয়ত সে পারবে কারন এতকাল পরে হলেও সে মুখ খুলেছে, নিজের মত করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। আমিও বলেছি , যে তুমি সামনে এগিয়ে যাও--- জীবন একটাই। জীবনটাকে এভাবে নষ্ট করোনা। ওই বেটাকে ওখানে রেখে যাও--পড়ে থাকুক সে আদিম বর্বরতায়।

আর ২ নাম্বার কমেন্টকারী অযথাই ত্যানা পেচাচ্ছেন। নিচে এসেও করেছেন--যাই হোক এদের কারনেই অনেক মেয়ে তাদের মুখ খুলতে চায়না। কেন খুলবে? দেখেন মেয়ের চরিত্র নিয়ে কথা উঠে গেছে! আরে যেটা আলোচনায় এসেছে সেটা নিয়ে আলোচনা করি। একটা সংসার ১০ বছর পরও ভেঙে যায়--কিন্তু তাই বলে কি তাদের মধ্যে কি এক চিমটি ভালবাসাও ছিলনা?

ভাল থাকবেন আপু।

১৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তোমার গল্প লেখার হাত ভালো নাসরিন। মানুষ যে যাই বলুক, তুমি লিখে যাও। আমি তোমার পাশে আছি।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই-- সাহস পাচ্ছি। ভাল থাকুন

১৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাসরিন চৌধুরী ,




এটা আমাদের দেশের অনেকের জীবনেরই গল্প । অনেক মেয়ের গল্পই হয়ত এমন থাকে ! চাকচিক্য আর কথার মোহে পড়ে অনেক মেয়েই এমন সর্বনাশা ভুলটা করে বসে ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

ম.র.নি বলেছেন: না আপা আমি কিছুতেই ছিদ্রান্য়েষীনা, আপনার লেখাটা একপেশে বা এজ ইউজুয়াল ডমেস্টিক ক্যাচালগুলায় যা হয়, সব সময়ই স্মমীর দোষ ধরা হয়, স্ত্রী সব সময়ই অবলা নির্দোষ এর জন্যই তুলসী পাতার তুলনা।সত্যিই যদি এমন হয় যেমন আপনি লিখেছেন তাহলে আমিও দ্বীপান্বিতা'র দলে। আপনি 'দ্বীপান্বিতা'আপার যে ছবি তুলেধরেছেন তা হয়ত সত্য কিন্তু মারুফের কোন ভালো দিকই দেখলামনা। স্লা, পুরাই একটা জার্ক,রেপিস্ট, লায়ার! অথচ দ্বীপান্বিতাকে বিয়ের পরে জার্মানীতে নিয়ে এসেছে, চাকুরী জুগীয়ে দিয়েছে(নাকি আপায় নিজেই চাকরী পাইছে?) গাইড করেছে, হয়ত হাজব্যান্ড হিসেবে তার অনেক দায়িত্বও পালন করেছে।আপনার কাহিনীতে এসব নাই।আপায় কি পাঁচ বছরে এলিজা-মারুফের সিক রিলেশেনের আর কোনো কিছু নোটিশ করে নাই? একবার বাথরুম থেকে উলন্গ হয়ে ধরা খাওয়া বেশী নাটকীয় হয়ে গেলোনা?আপায় হয়ত লজ্জায় তার বাবা মা'র সাথে কোন কিছু শেয়ার করেনাই কিন্তু আপার কি শশুর শাশুড়ী, বা মারুফদের বাড়ীর কেও নাই যে মারুফের অন্যায়ের রিমেডী দিবে?আাপনার বেস্ট ফ্রেন্ডের জন্য আপনি কি কখনো মারুফের সাথে কথা বলে দেখেছেন যে মারুফের বক্তব্য কি? সকাল নটা থেকে রাত দশটায় আপায় কাজ করে, মারুফ কি সারাদিন ঘুমায়, টিভি দেখে? ছয়তলা বিল্ডিংএ একটা ফ্লাট 'দ্বীপান্বিতা'র নামে লিখে দিতে হবে কেন? এ লিখে দেওয়ার আইডিয়া কি আপনি দিয়েছেন নাকি যারা আমার কমেন্ট বুঝে নাই তাদের থেকে নেয়া? সহযোগীতার নাম করে অন্যের সংসারে নাক গলানো ঠিকনা।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: শোনেন ভাই --এটা উকিল বা পুলিশের জেরা নয়। মেয়েটি নিজের চাকুরী নিজেই জুটিয়েছে যেদিন থেকে সে সন্দেহ করেছে যে মারুফ এতবছর এই বাসাতে এই মহিলার সাথেই ছিল। কিন্তু পড়ে দেখেন মারুফ বাসা নেবার কথা বললেই অযুহাত করত এবং এমনকি তাকে দেশে পাঠিয়ে দেবে এমন হুমকি দিত। লেখাটি ভালভাবে পড়েন তারপর কমেন্ট করেন।

দুজনের টাকাতেই বাড়ি হয়েছে। বাচ্চা হচ্ছেনা বলে মারুফ যখন বলেছে সে আবার বিয়ে করবে তখন মেয়েটি বলেছিল যে আমার নামে একটা ফ্লাট লিখে দাও---মেয়েটিকে ফেলে সে দেশে গিয়ে আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করল , মেয়েটিকে যদি সে ডিভোর্স করে তাইলে ভাবেন মেয়েটি কি পেল?? তার টাকা ,তার সংসার , তার জীবন সবই শেষ।

আর শ্বশুড় বাড়িতে জানিয়েছে কিন্তু কতজন শ্বশুড় বাড়ির লোক একটা ছেলের বউয়ের পক্ষ নেয় বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন?

আর ওই বুড়ি মহিলাকে মারুফ গ্রীণ কার্ডের জন্য বিয়ে করেছে এবং একই সাথে ছিল এতটা বছর। দেশে গিয়ে আবার দিপাকে বিয়ে করার কি দরকার ছিল যদি তাকে আলাদা একটা সংসার দিতে না পারে--আর সব কিছু গোপন রেখে বিয়ে করেছে। এর কি জবাব আপনি দিবেন?

মারুফ ভাল না মন্দ সেটা পরে আলোচনায় আনেন---আগে এগুলো ভাবেন, সব কিছু গোপন করে একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করেছে। নিজের এক্স জার্মান বউয়ের সাথে মেয়েটিকে একই বাসায় রেখেছে বলেছে ওই মহিলার বাসায় জাস্ট সাবলেট থাকবে কিন্তু আস্তে আস্তে মেয়েটির চোখ খুলেছে যখন সে তাদের দেখছে। এবং এই কারনে কোন বাংগালি পরিবারের সাথে মিশতে দেয়া হত না কারন অনেকেই জানে হয়ত মারুফ আর এলিজার রিলেশন।

আমি এখানে বিচার করতে বসিনি এবং আপনি অযথা তর্ক বা আক্রমণ করছেন কেন? যেটা আপনার সামনে সেটা নিয়েই আপনি কথা বা আলোচনা করবেন তাইনা। কিন্তু আপনি মূল জায়গা থেকে সরে যাচ্ছেন। জীবনটাই নাটক। মায়ের হাতে দুই সন্তান খুন সে্টাও খুব বেশি নাটকীয় তাইনা? কত কিছু হয় আমাদের জীবনে তা নাটক সিনেমাকেও হার মানায়।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ছয়তলা বিল্ডিংএ একটা ফ্লাট 'দ্বীপান্বিতা'র নামে লিখে দিতে হবে কেন? এ লিখে দেওয়ার আইডিয়া কি আপনি দিয়েছেন নাকি যারা আমার কমেন্ট বুঝে নাই তাদের থেকে নেয়া? সহযোগীতার নাম করে অন্যের সংসারে নাক গলানো ঠিকনা

ভাষা ব্যবহারে শালীন হলে ভাল। আপনাকে আমি অনেক ভদ্রভাবে প্রথম কমেন্টের উত্তর দিয়েছি। পাশে দাঁড়ানো আর ফ্ল্যাট লিখে দেবার আইডিয়া দেয়া কি এক?? একটি মেয়ে প্রবাসে এসে অসহায়। তার পাশে কেউ নাই-- সে যদি বিপদে পড়ে বা নির্যাতিত হয় আপনি তার পাশে দাঁড়াবেননা? বন্ধু সেটা বাদ দিন কিন্তু মানুষ হিসেবে আপনার কি মানবিক দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা?

এতবড় একটা লেখা এখানে কতকিছু হাইলাইট ছিল কিন্তু আপনি হাইলাইট করেছেন --ফ্ল্যাট আর মারুফের ভাল দিক কেন নাই!!
আপনি ও মারুফদের দলে তাই আপনার বোধ ওই পর্যন্ত যাবেনা----আপনার কমেন্টের কারনে কথাটুকু বলতে বাধ্য হলাম।

২০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: নেক্সাস বলেছেন: খুব সাদামাটা গল্প। সরলরৈখিক বর্ণনা। টুইস্ট নেই। -- সহমত।
বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে জেনে খারাপ লাগছে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন। ভাল থাকুন

২১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩১

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আমি বলব, প্রথমত গল্পটা অনেক ভালো হয়েছে, দ্বিতীয়ত সমাজে ভালো খারাপ দুটোই আছে !

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য । ভাল থাকবেন।

২২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা খুব জটিল। মানব-চরিত্রের অনেকগুলো দিক, বিশেষত কুতসিত দিকগুলো উঠে এসেছে।

এলিজাবেথের ১৩ বছর বয়েসী একটা সন্তান আছে। মারুফের সাথে তার সম্পর্ক ১৫ বছর ধরে। এলিজাবেথ মারুফকে সাথে নিয়ে ছেলেটিকে দেখতে যায়। সন্তানটি মারুফের ঔরসজাত?

এলিজাবেথের সাথে মারুফের একটা সম্পর্ক আছে, তা গল্পের শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু একটা বিষয় ক্লিয়ার হলো না। দ্বিপান্বিতা সেক্স করার জন্য রাজি থাকে না, এটা তো মারুফের জন্য ভালো- সে দেধারসে এলিজাবেথের সাথে প্রেম করতে পারে, কিন্তু দ্বিপান্বিতাকে সে ধর্ষণ করতে যায় কেন?

গল্পের শেষে দুটো সিন- মারুফ ও এলিজাবেথের প্রেমলীলা আর দ্বিপান্বিতার মা হওয়ার সংবাদ- খুব চমতকার ও নাটকীয় ছিল।

লেখার স্টাইল ভালো। শুভেচ্ছা আপু।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আপনার অনুমান ঠিক। গল্প আকারে লিখেছিত তাই পুরো সব কিছু ক্লিয়ার করিনি ভাইয়া।

আর এলিজাকে ছেলেটি পনেরো বছর আগে গ্রীণ কার্ডের জন্য বিয়ে করেছিল। একই সাথে একই বাসায় ছিল। এর পর দেশে গিয়ে আগের সবকিছু গোপন করে দিপান্বিতাকে বিয়ে করে। এলিজার সাথে তার কাগজ কলমে ডিভোর্স হয়েছে কিন্তু একে অপরকে ছাড়তে পারেনি। এদিকে দ্বিপান্বিতা জার্মানিতে আসে , তখন ও বলেনি মারুফ এই মহিলাকেই সে পেপারের জন্য বিয়ে করেছে। দ্বিপান্বিতা আস্তে আস্তে টের পাচ্ছিল বলে বাসা পাল্টাতে চাচ্ছে বারবার কিন্তু মারুফ পিছলে যাচ্ছে--সে বলছে প্রয়োজনে দ্বিপান্বিতাকে ছাড়বে কিন্তু বাসা ছাড়বেনা। আর বাসাটা এলিজার নামে নেয়া। এই নিয়ে অশান্তি। কোন বাংগালির সাথে মিশতে দিতনা কারন মিশলে হয়ত দিপান্বিতা জেনে যাবে আরো অনেক কিছু মারুফ আর এলিজার ব্যাপারে।

দ্বিপান্বিতাকে জোর করে সেক্স করছে এটাতেই হয়ত সে ভয়ংকর আনন্দ খুজে পায়। এলিজার বয়স হয়েছে , এলিজার সাথে শারিরীক রিলাশানটা রাখছে হয়ত এলিজাকে খুশি করার জন্য কারন এলিজার নামে বাসা তাই বাসা ভাড়া দিতে হয়না, এলিজা পেনশনে গেছে প্রচুর টাকা পাবে। সেটা হাতিয়ে নেবার একটা ধান্দা থাকতে পারে--আর ওদের একটি ছেলে কিন্তু!!

আর দ্বিপান্বিতাকে ভালবাসুক বা না বাসুক সে ভাবছে বিয়ে করা বউ--যখন চাইব তখন ভোগ করবো। থাকেনা কিছু বিকৃত মানসিকতা।
মেয়েটা আলাদা হয়ে যাবে হয়ত এক দু মাসের মধ্যে।

যাইহোক আমি গল্প খুব ভাল লিখিনা--- সত্যি ঘটনা বলে হয়ত এতটা লিখেছি গল্প হলে কেম্নে শেষ করমু সেইটা নিয়াই টেনশনে পইড়া যাইতাম====

ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা রইল। ভাল থাকবেন।

২৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ঘটনার বীভৎসতা গল্পে ফুটে উঠেছে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

২৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনার কবিতা খুব মিস করি। :( :(

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: কবিতা লেখি টুকটাক --দেয়া হয়না। জমেছে কিছু ,দিব আস্তে আস্তে/

২৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৫

টু-স্টেপ বলেছেন: Strange, doesn't seem like a real story. An woman normally wouldn't share her bf/husband with others. And living in the same house! I don't believe this story.

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: সেটা আপনার ব্যাপার বিশ্বাস করুন বা না করুন। আর লেখাটি পড়ুন এবং বুঝুন বাসাটা কেন শেয়ার হয়েছিল। বিদেশে অগনিত পরিবার আছে বাসা শেয়ার করে ---নিজের চোখে দেখা। আর স্বামী শেয়ার করছে এটা কিভাবে বলছেন? মেয়েটি কি জানত যে বুড়ি মায়ের বয়সী একটা মহিলার সাথে এমন সম্পর্ক স্বামীর ছিল----যখন সে বুঝতে পেরেছে তখন থেকেই বাসা পাল্টানোর কথা বলছে কিন্তু লোকটি রাজী হচ্ছেনা।
মায়ের হাতে সন্তান খুন হয় ---এটাও কি আপনার কাছে রিয়েল স্টোরি মনে হয় হয়না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.