নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় কিছু পাপের কাছে আমি বন্দি হয়ে আছি

নাভিদ কায়সার রায়ান

তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?

নাভিদ কায়সার রায়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমুদ্রযাত্রা (১)

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০২





(১) দুষ্ট ছেলের দল







ইউনিভার্সিটি লাইফ যার খারাপ কেটেছে, তার চাইতে হতভাগ্য আর কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না। ক্যাম্পাস ছেড়ে এসেছি পাঁচ বছর হয়ে যাচ্ছে অথচ এখনও কাম্পাসে কাটানো দিনগুলো আমার স্মৃতিতে ছবির মত স্পষ্ট। এখনও সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে বুকের ভেতর থেকে একটা কথা উঠে আসে “কি দিন ছিল”! দিন এখনও আছে, সব এখনও হারিয়ে যায়নি। বন্ধুরা মিলে ক্যাম্পাসের চাইতে মজা কোন অংশে কম করি না এখনও। তবে হল লাইফের তুলনা হয় না। ইট ওয়াজ লাইক এ ড্রীম!

হোস্টেলে একেক জনের ভাব ভঙ্গি দেখলে মনে হত এরা এখানে ভুল করে বেড়াতে চলে এসেছে। কোন চিন্তা নাই, ভাবনা নাই ,পড়ালেখার বালাই নাই, শুধু খাও-দাও আর ঘুরে বেড়াও।

সেইসব না বুঝে কাটানো চমৎকার সময়গুলোর গল্পই করতে বসলাম।

ক্যাম্পাসে কয়জন অসাধারন বন্ধু পেয়েছিলাম আমি। আসলে “কয়জন” বলে ক্যাম্পাসে আমার কত বন্ধু ছিল সেটা ঠিক বোঝানো যাচ্ছে না। বলা যায় ক্যাম্পাসটা বন্ধুতে কিলবিল করতো। হাজারে হাজারে, শত শত ফ্রেন্ড। আর সব কয়টা পাগল। একেক সময় ক্যাম্পাসটাকে আমার একটা চিড়িয়াখানা বলে মনে হত।

একসাথে সবার চরিত্র বর্ণনা করতে পারছি না, তাতে একটা বই লেখা লাগবে। বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে আশা করি সবকয়টা পাগলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাবে।

শুধু বন্ধু বলছি একারনে যে আমার কোন বান্ধবী ছিল না। কোন এক অজ্ঞাত কারনে আমরা সবাই মেয়েদের এড়িয়ে চলতাম। সম্ভবত আমরা বেশীরভাগ ছেলেই কো-এডুকেসশনে না পড়ার কারনে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করার এটিকেট আয়ত্ত করতে পারিনি। চার বছরেও সেই জড়তা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। দলে মেয়েরা থাকলে হয়ত আমরা কিছুটা ভদ্রতা শিখতে পারতাম। মেয়েদের অনুপস্থিতিই হোক বা যেই কারনেই হোক আমার বন্ধুরা সব কয়টা ছিল ভয়ানক বিচ্ছু। আমাদের দলটা সেই কারনেই ছিল “দুষ্ট ছেলের দল"।

আমরা সব সময়ই ক্লাসের পেছনে বসতাম। পেছনে বসার সেই অভ্যাস আমাদের এখনও রয়ে গেছে। দেখা গেছে, সবাই মিলে বাসে উঠেছি। বাসের সামনে সিট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও আমরা দলবল নিয়ে পেছনের সিটে গিয়ে বসেছি। এবং সেখানেও অবধারিত ভাবে দুই একজন জানালার পাশের সিট নিয়ে মারামারি করছি!





ক্লাস ঠিক মত করতাম না। কিন্তু একটা ক্লাস কিভাবে ইন্টারেস্টিং করে তোলা যায় সেই ব্যাপারে আমরা ছিলাম একেকটা কারিগর। একসময় দেখা গেল, আজকে ক্লাসে ‘নতুন কি ঘটনা ঘটে’ সেটা ছিল ক্লাসে যাবার মুল প্রেরণা। অবশ্য সবাই যে আমার মত তা না। কেউ কেউ পড়ালেখা করার জন্যই ক্লাসে যেত। এসব বন্ধু ছিল আমাদের কাছে অস্পৃশ্য আঁতেল শ্রেণী। ক্লাসে অন্য কোন কাজ না থাকলে আমরা এঁদের দিকে মনোযোগ দিতাম। পার্ট টাইম এন্টারটেইনমেন্ট।

এই “দুষ্ট ছেলের দল” কাম্পাসে নানান মজার ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। সে কথা পরে বলা যাবে। আগে এঁদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আপনাদের একটা ধারনা দেয়া যেতে পারে।

একদিনের ঘটনা। আমি আর কাবু ( আসল নাম বাবু, ভাল নাম কাবু। কাবুর নাম যে কোন এক কালে বাবু ছিল সেটা সবাই ভুলে গেছে। এমনকি আমার ছোট বোনও ওকে “কাবু ভাইয়া” নামে চেনে।) দুপুরে খাওয়া শেষে আমার রুমমেট আবিদের পিসিতে গান দেখছিলাম। হঠাৎ দরজার ফাঁক দিয়ে রাজর্ষি মাথা বের করে বলল করল, “ নিচে আয়। মজা দেখে যা।” বলেই দৌড়।

আমি আর কাবু পড়িমরি করে রওনা দিলাম ঘটনা দেখার জন্য।

নিচে নেমে দেখি দূর থেকে সবাই তন্ময় দেখছে। ইন্টার-হল পিএবিএক্সে তন্ময় কার সাথে যেন কথা বলছে। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার! ছেলেপেলে ফোনে হাত দিয়েছে, তার মানে প্রেম। আর হলের ফোনে হাত দেয়া মানে ঘটনা আরও সিরিয়াস। শেষ পর্যন্ত তন্ময় লেডিস হলে ফোন করেছে! সর্বনাশ!

দু-একজন শুনলাম কাছাকাছি যাবার চেষ্টা করেছিল। প্রথমে তন্ময় কিছু বলে নাই। কিন্তু বেয়াক্কেল বাপ্পি একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিল। ফোনে কান লাগিয়ে শূনতে চেয়েছিল কি কথা হচ্ছে! আর যায় কোথায়! বেয়াদবির শাস্তি হিসেবে তন্ময়ের লোহার মত শক্ত হাতের কিল-ঘুসি আর এলোপাতারি লাথি খেয়ে সবাই দূরে সরে এসেছে। এই মুহূর্তে জনতার মাঝে প্রবল কৌতূহল, কিন্তু কেউ মারের ভয়ে আগাতে সাহস পাচ্ছে না।

বেশ কিছুক্ষণ উসখুস করে শেষ পর্যন্ত আর থাকতে না পেরে রাজর্ষি দূর থেকেই চিকন গলায় বলে উঠল, “ এঁই তঁন্ময়! কিঁ কঁরছো?”

ব্যস! আর যায় কোথায়! সবাই মজা পেয়ে গেল। কোরাসে সবাই গলা মেলাল, “ এঁই তঁন্ময়! কিঁ কঁরছো?”, “ এঁই তঁন্ময়! কিঁ কঁরছো?”

বিচ্ছুদের সম্মিলিত আক্রমনে অতিস্ট হয়ে তন্ময় কোন রকমে “আচ্ছা রাখি” বলে ফোনটা রেখেই রাজর্ষির পেছন ছুটল। মৌমাছির চাকে যেন ঢিল পড়ল! সবাই নিমিষেই হাওয়া!

বিকেল পর্যন্ত সবাই দেখল, হা হা হি হি করতে করতে তন্ময় রাজর্ষির পেছনে সারা হল দৌড়ে বেড়াচ্ছে আর বলছে,

“আরে যাস কই? কাছে আয়! তোকে আজকে আদর করব হারামজাদা! পালাচ্ছিস কেন?”





ছবিতে যারাঃ



(১) আমরা চার রুমমেটঃ

উপরে বামে - আবিদ, ডানে - রাজর্ষি

নিচ বামে- কাবু, ডানে - আমি,





(২) “দি আইডিয়া”







দুষ্ট ছেলের দলের মধ্যে কয়েকটা ভাগ ছিল। একদল সব সময়ই এটা-সেটা, কিছু না কিছু করার প্ল্যান করছে। ফুয়াদ, সেতু, রাজর্ষি, অমলেশ, রুম্মন, মিনহাজ ছাড়া আরো অনেকে এই গ্রুপের সদস্য। ‘পান খাওয়া কমিটি’, ‘শিপু গ্রুপ’ নামে এঁদের আবার সাব-গ্রুপ ছিল। আজকাল “কমিটি”, “গ্রুপ” শব্দ গুল খুব নেগেটিভ অর্থে ব্যাবহার হয়। কিন্তু ‘পান খাওয়া কমিটি’ আর ‘শিপু গ্রুপ’ বিভিন্ন হাস্যকর কাজ করে আমাদের যে বিনোদন দিয়েছে সেটা ভোলার মত না।

এই ফাজিলগুলো বিকেলে আড্ডায় বা সন্ধায় কিংবা রাতে খাবার সময় ডাইনিংএ সবার মধ্যে তাদের নানান বিচিত্র চিন্তা ছড়িয়ে দিত। জনমত সবসময় এঁদের পক্ষেই থাকত। কারন এটাই তাদের স্কীল। একেকটা কথা এরা এমন চমৎকার ভাবে প্রচার করবে , সব শুনে আপনার মনে হবে “নাহ! কথাটা তো খারাপ বলে নাই।”

একদিন বিকেলে সবাই নাস্তা শেষে ক্যাম্পাসের মেইন গেটের সামনে, রাস্তার আইল্যান্ডে বসে গল্প গুজব করছি। খুব সম্ভব ফোর্থ ইয়ারের শুরুতে। এমন সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে সেতু বলে উঠল,

“খুব গরম পরেছে এইবার!”

“হুমমমম ...... আসলেই। খুব গরম। ঠাণ্ডা পানি দিয়া গোসল করা দরকার। ইমারজেন্সি।”, গাল চুলকাতে চুলকাতে ফুয়াদ উত্তর দিল।







“চল পুকুরে গিয়ে গোসল করি। ভাল্লাগবে!”, সেতু প্রস্তাব দিল সবাইকে। কথায় কথায় ভাল্লাগবে বলা সেতুর একটা মুদ্রাদোষ।

পুকুরে গোসলের কথা শুনে সবাই বিরক্ত হয়ে সেতুকে এক প্রস্থ গালাগাল করল। আমাদের হলের পাশেই একটা বেশ বড়সড় পুকুর আছে। বর্ষা কালে পুকুর পানিতে থৈ থৈ করে। বৃষ্টি কমার সাথে সাথে পুকুরের পানিও কমতে থাকে। গ্রীষ্মের গরমে দেখা যায় মাঝ পুকুরেও বুক সমান পানি।পুকুরে পানির গভীরতা কম এটা একদিক দিয়ে যেমন অসুবিধা তেমনি এর কিছু সুবিধাও আছে।

বর্ষাকালে প্রায়ই দেখা যায়, যারা সাঁতার কাটতে পারে তারা দল বেঁধে মনের সুখে এখানে গোসল করতে আসে। আর যারা সাঁতার পারে না তারা পুকুর ঘাটে বসে তৃষিত নয়নে ওদের গোসল করা দেখে আর হায়হুতাশ করে। যাদের সাহস একটু বেশী তারা অন্যদের সহায়তায় হাঁটু পানিতে নেমে দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করে।

পানি কমে গেলে ডুবে যাওয়ার ভয় আর থাকে না। আবালবৃদ্ধবনিতার জন্য পুকুর তখন উন্মুক্ত। শুধু একটাই সমস্যা, পানিতে নামলে গা চুলকায়। সংস্কারের অভাবে পুকুরের পানি নোংরা হয়ে গেছে। তাতে কি ! পুকুরে নামতে পারছি এই আনন্দের কাছে চুল্কানির মত সামান্য সমস্যা কিছুই না। অবশ্য সাঁতার জানা কেউ তখন পানিতে নামে না। কম পানিতে নামতে তাদের প্রেস্টিজে লাগে।

সেতুর কথা শুনে রাজর্ষি বলল,

“গাধা, এই বিকেলে পুকুরের ময়লা পানিতে তোর গোসল করতে ইচ্ছা করছে, তুই কর। ফুয়াদরে কোলে নিয়া জলকেলি কর। আমরা দুপুরে গোসল করসি। বেশি খারাপ লাগলে রাতে ঘুমানোর আগে আরেকবার গোসল করব। মামলা ডিসমিস।”

“ভাল্লাগবে” বলে সেতুর চোখ আনন্দে জ্বলজ্বল করছিল। বকা খেয়ে মিইয়ে গেল। ভাল একটা টোপ ফেলেছিল, কাজে লাগল না।

সমস্যা নাই। ব্যাকআপ প্ল্যান আছে।

সবাই যখন ফুয়াদ আর সেতুর জলকেলি নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলছে তার মাঝে খালু বলে উঠল, “ আমরা কিন্তু সমুদ্রে গোসল করতে পারি”।

সব কয়টা চোখ একসাথে খালুর দিকে ঘুরে গেল। বলে কি ব্যাটা?

আচ্ছা, এখানে খালুর পরিচয় দিয়ে নেই। খালুর আসল নাম সমীর চৌধুরী। বাড়ি টাঙ্গাইল। অমায়িক ছেলে। অশালীন জোকস সংগ্রহ করার দারুন একটা প্রতিভা আছে তার। আর সেগুল নানান অঙ্গ-ভঙ্গির মাধ্যমে অভিনয় করে দেখানোটা খালুর একটা শখ। আনফর্চুনেটলি, একবার “খালা-খালু” জাতীয় একটা নোংরা জোকস এত জনপ্রিয়তা পেল যে সমীরের নাম সেই থেকে হয়ে গেল “খালু”। হা হা। খালু নামটা আমিই দিয়েছিলাম। সবাই কিছু না কিছু প্রতিভা নিয়ে জন্মায়। সবাইকে বিচিত্র কিন্তু এপ্রপ্রিয়েট নাম দেয়াটা ছিল আমার প্রতিভা। (ওহ আরেকটা কথা, খালুর আরেকটা নামও ছিল - “ব্যাড জোকার।”)

আচ্ছা, ঘটনায় ফিরে আসি।

খালুর কথা শুনে সবাই অবাক। ক্যাম্পাসে সমুদ্র পেল কোথায় ও?

“ খালু, তোর কি জ্বর আসছে?”, ওপাশ থেকে দিপন জিজ্ঞেস করল।

আরেকজন বলল, “ তুই কি কিছু খেয়েছিস নাকি? আমাদের একটু দিলি না?”

সমীর সবাইকে চুপ করিয়ে দিয়ে বলল, “ চল, সেইন্ট মার্টিন যাই। অফ সিজনে ভীড় কম থাকবে। যা গরম পড়েছে তাতে সমুদ্র ছাড়া শরীর ঠাণ্ডা হবে না। আর খাওয়ার কথা বললি তো, সেইন্ট মার্টিনে সব পাওয়া যায়”।

সত্যিই সেবার জঘন্য গরম পড়েছিল। হিউমিডিটি বেশী থাকায় কষ্ট আরও বেড়েছে। ফ্যানের বাতাসও গরম লাগে। এমন সময় সমীরের কথা শুনে সবার মনে সমুদ্র পিপাসা জাগ্রত হল। এতদিন কাউকে ঠেলেও রাজী করানো যাচ্ছিল না। সবারই নানান সমস্যা। কারো টাকা নাই, কারো টিউশনি, কেউ বাসায় যাবে ইত্যাদি। এবার সবাই লাফ দিয়ে উঠে বলল, “দি আইডিয়া!”

প্রোপাগান্ডা গ্রুপের প্ল্যান সফল। দেখা গেল রাতের বেলা সবাই ব্যাগ গোছগাছ করে রেডি। খুব ভোরে উঠে রওনা দিতে হবে। রাতে ডাইনিং এ এটা নিয়ে নানান কথাবার্তা-হৈচৈ হল। পরদিন শরিফ স্যারের ক্লাস টেস্ট ছিল। সমুদ্রযাত্রার উত্তেজনায় সেকথা সবাই ভুলে গেল। শরিফ স্যার ম্যাথমেটিক্স জগতের হিটলার। তার সাবজেক্টে পাশ করার চাইতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয় করা সহজ।

রাতের বেলা সেতু আবারো পুকুরে গোসল করার প্রস্তাব দিল। এবারে প্রস্তাব গৃহীত হল। মধ্যরাত পর্যন্ত সবাই সমুদ্র দেখার আনন্দে পুকুরে মাতামাতি করল। পরদিন ভোরে আমরা পঁচিশ জন অসহ্য চুলকানি আর গায়ে লাল লাল, চাকা চাকা দাগ নিয়ে বত্রিশ দাঁত বের করে রওনা দিলাম





ছবিতে যারাঃ



(১) বাম থেকে- সেতু, অন্তু, আমি, সামি





পরবর্তী পর্বঃ সমুদ্রযাত্রা (২)

Click This Link

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:১৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আসলেই হল জীবন - একটা দিন ছিলো।

"ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষে চাকরি করছি। যাকে ভালবাসি, তাকে বিয়ে করে সংসার পেতেছি। আশায় আছি আর কিছুদিন পর সন্তানের মুখ দেখতে পাব। আপনাদের দোয়ায় চলছে ভালই। শুধু মাঝে মাঝে কিছুই ভাল্লাগে না। মনে হয় সব ছেড়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যাই!"
আপনার জীবনতো ষোল আনাই সফল- তারপরও পালাতে ইচ্ছে করে!!!!!

২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: সত্যিই পালাতে ইচ্ছা করে। মনে হয় কেমন যেন শৃঙ্খলায় আটকা পড়ে গেছি! হা হা হা!

৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫

রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: এই সময়গুলার কথা মনে পড়লেই মাথায় ব্রায়ান এডামস এর 'সামার অব সিক্সটি নাইন'' বাজে।

আমার চলনবিল ভ্রমণের একটা ছবিব্লগ। সময় করে একবার ঘুরে যাইতে পারেন....
ছবিব্লগঃ Tour de চলনবিল !:#P !:#P !:#P

হ্যাপি ব্লগিং, ভাইয়া :)

৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২১

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: মজার ব্যাপার হল, আমরা বন্ধুরা মিলে নানা ভাবে এখনও 'সামার অব সিক্সটি নাইন'' গেয়েই যাচ্ছি।বয়স বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু গান গাওয়া থামছে না।
লেখাটা লিখেছিলাম মূলত আমরা যারা সেই ট্যুরে গিয়েছিলাম তাদের জন্যই। কি পরিমান মজা সেবার করেছিলাম সেটা হয়ত লেখায় ঠিক মত ফুটিয়ে তুলতে পারিনি। সেজন্য দুঃখিত।
আপনার ছবিগুল দেখলাম। মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি তো আর্টিস্ট মানুষ ভাই!
একটা কথা বলেন তো, আমি কারো লেখায় মন্তব্য করতে পারি না কেন? আমি কি অচ্ছুৎ?

৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: জেনারেল স্টাটাস পাওয়ার পরে মন্তব্য করতে পারবেন।

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার লেখা শুরু থেকে শুরু করলাম
দেখি আপনারা আমার চাইতে কত বেশী দুস্ট ছিলেন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৯

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আপা আমরা অতিশয় ভদ্র তবে কিঞ্চিৎ লেজ বিশিষ্ট ছেলে। তবে আর কিছু করি বা না করি জীবনে মজা করেছি প্রচুর, এটা বলতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.