নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় কিছু পাপের কাছে আমি বন্দি হয়ে আছি

নাভিদ কায়সার রায়ান

তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?

নাভিদ কায়সার রায়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

Flight 772

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৯







১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯। মঙ্গলবার। সময় ১৩:১৩। ফ্রেঞ্চ এয়ারলাইন Union des Transports Aériens এর একটি ম্যাকডোনেল ডিসি-১০ উড়োজাহাজ, (রেজিস্ট্রেশন নাম্বার N54629) নিজামিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্যারিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এই উড়োজাহাজটি, UTA Flight 772 নামে পরিচিত যা কঙ্গোর ব্রাজাভিল থেকে চাদের রাজধানী নিজামিনা হয়ে প্যারিসের CDG এয়ারপোর্টে নিয়মিত যাতায়াত করে।









দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফ্লাইটটি কিন্তু সেদিন তাঁর গন্তব্যে পৌছাতে পারেনি। উড্ডয়নের ছেচল্লিশ মিনিটের মাথায় যখন এটি ১০,৭০০ মিটার (৩৫,১০০ ফুট) উচ্চতায় তাঁর গন্তব্যের দিকে সুনির্দিষ্টভাবে ভেসে যাচ্ছিল ঠিক তখনি বিমানের অভ্যন্তরে একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে UTA Flight 772 আকাশ পথেই পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। বিমানটি তাঁর ১৫৫ জন যাত্রী এবং ১৫ জন ক্রু নিয়ে নাইজারের বিলমা আর টিনিরি শহরের কাছাকাছি সাহারা মরুভূমিতে আছড়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় বিমানটির ১৭০ জন আরোহীই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। ছয় লিবিয়ানকে শেষ পর্যন্ত এই সন্ত্রাসী হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।











এই ঘটনার আঠার বছর পর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা তাদের প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য তারা বিমানটি যেখানে ক্রাশ করেছিল সে জায়গাটিকেই বেছে নেন। বহু কষ্টে তারা সারাহা মরুভূমির যে স্থানে বিমানটি ভূপাতিত হয়েছিল সেখানে জড়ো হন। সেখানে পৌঁছাবার পর তারা অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন যে অত্যান্ত দুর্গম জায়গা বলে ওখানে এখনো বিমানটির নানা ভাঙ্গা অংশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।





















ধীরে ধীরে তাঁরা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এই কাজে তাদের সহায়তা করেছিল “Les Familles de l’Attentat du DC-10 d’UTA” – ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের একটি সাহায্য সংগঠন এবং স্থানীয় অধিবাসীরা।

















মেমোরিয়ালটি পুরোপুরি হাতে তৈরি এবং তাঁর উপকরণ হিসেবে ব্যাবহার করেছেন কালো পাথর। এই পাথরগুলো তাঁরা পরপর সাজিয়ে একটি ২০০ ফুট ব্যাসের একটি বৃত্ত তৈরি করেন।







টিনিরি এলাকাটি পৃথিবীর অত্যান্ত দুর্গম স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। মেমোরিয়াল তৈরিরে ব্যবহৃত পাথরগুলো প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে ট্রাকে করে বয়ে আনা হয়েছিল।



















স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করতে তাদের দু’মাসের মতো সময় ব্যায় হয়। ২০০৭ সালের জুন মাসে তাদের কাজ শেষ হয়।











১৭০টি ভাঙ্গা আয়নার টুকরো স্মৃতিস্তম্ভটির পরিসীমা বরাবর স্থাপন করা হয়। দুর্ঘটনা মৃত ভিকটিমদের প্রতীক স্বরূপ এই আয়নাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।















বিমানটির একটি ডানা স্মৃতিস্তম্ভের ফলক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ডানাটি ধ্বংসস্থল থেকে প্রায় ১০ মাইল দূরে মাটির নিচ থেকে বালি খুঁড়ে বের করা হয়েছিল।



























































মজার ব্যাপার হচ্ছে, অসাধারণ এই স্মৃতিস্তম্ভটি গুগল আর্থেও দেখা যায়। নিচে লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।











UTA Flight 772 Memorial on Google Map



উইকিপিডিয়া









আমার আরও কিছু ফটোব্লগ



১) দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

২) অন্য সুর













মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

বাবুই পািখ বলেছেন: সত্যিই বেদনাদায়ক।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: বেদনাদায়ক তো অবশ্যই। আমার কাছে ভালো লেগেছে তাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করার চেষ্টাটা।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০০

জ্যাকসন বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম। ধন্যবাদ

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ জ্যাকসন আপনাকে

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: স্মৃতিসৌধের আইডিয়াটা অভিনব ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: কথা সত্য

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩০

সাদা আকাশ বলেছেন: স্মৃতিস্তম্ভের আইডিয়া, তৈরীল প্রকৃয়া এবং স্মৃতিস্তম্ভ সাথে আপনার উপস্থাপন, সব মিলিয়ে চমৎকার।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: পড়ার জন্য শুকরিয়া ।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

অথৈ সাগর বলেছেন:

লেখা ভাল লাগছে। এই ঘটনা আগে জানা ছিল না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: এই ঘটনা দেখা যায় অনেকেই জানে না। পড়ার জন্য ধন্যবাদ অথৈ সাগর

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৩

উদাস কিশোর বলেছেন: পোষ্ট টি দারুন ।
নতুন কিছু জানলাম

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: :-)

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

আসিফ_মাহমুদ বলেছেন: ১৭০ আরোহীর আত্মা শান্তি পাক।
সম্পূর্ন অজানা বিষয়টি জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: "১৭০ আরোহীর আত্মা শান্তি পাক"

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ব্লগে স্বাগতম।

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

অবাধ্য সৈনিক বলেছেন: chorom post..montobbo nai kan

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: সবাই মনে হয় দুপুরে ঘুমায় হা হা হা! পড়ার জন্য ধন্যবাদ অবাধ্য সৈনিক

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: বেদনায়ক আবার প্রেরণাদায়কও।

দূর্ঘটনার স্মৃতিকে বাচিয়ে রাখার জন্য অসাধারন সুন্দর একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী কি প্রেরণা দায়ক নয়?

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: কোন ধারনাই ছিল না, সুন্দর হয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে!!!

লাইক বাটন কাজ করছে না, সো আমার লাইকটা অদৃশ্য থেকে গেল ।। !!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২১

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: লাইক বুঝে নিলাম। ধন্যবাদ মুদ্‌দাকির ভাই।

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৯

কালীদাস বলেছেন: আহারে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৭

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আহারে।

১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৩

নিশাত তাসনিম বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী ও তথ্যবহুল একটি পোস্ট ।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:১৮

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ নিশাত তাসনিম

১৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪১

সানড্যান্স বলেছেন: অসাধারন!!

০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:১৯

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্। ব্লগে স্বাগতম।

১৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৯

এহসান সাবির বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট।

শুভকামনা।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির

১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০১

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: লকারবির ঘটনা মনে পড়ে গেল । এ ব্যাপারটি জানা ছিল না ,দুঃখজনক ঘটনা ।

স্মৃতিস্তম্ভ টা সত্যি অন্যরকম সুন্দর। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য ।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। এই ঘটনা আসলেই লকারবির মতই অনুরূপ একটা সন্ত্রাসী হামলার ফলাফল।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ

১৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৩৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কিছু মানুষ কত নির্মম! মনে হলো একটা বোমা মেরে দিলাম শখানেক লোক পরপারে পাঠিয়ে দিলাম, ব্যাস! আবার কিছু মানুষ কত মায়ায় অন্য মানুষকে আগলে রাখে! এই জন্যেই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীর আবার সেই সাথে নিকৃষ্টতমও বটে।

সুন্দর এই পোষ্ট পড়ে কষ্ট ও অনুপ্রেরণার মিশ্র অনুভূতি হলো।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: "সুন্দর এই পোষ্ট পড়ে কষ্ট ও অনুপ্রেরণার মিশ্র অনুভূতি হলো" --- চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:২২

পথহারা নাবিক বলেছেন: এই কারণে কিন্তু গাদ্দাফি এবং লিবিয়া অনেক মুল্য দিয়েছে! যাই হোক কোনো বিচার বহির্ভূত হত্যা সমর্থন করি না!!

০২ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: কোনো বিচার বহির্ভূত হত্যা সমর্থন করার প্রশ্নই আসে না। ধন্যবাদ পড়ার জন্য

১৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেকেই একে দুর্ঘটনা বলছে এইপোষ্টে!
এটি মোটেই দুর্ঘটনা নয়, এটি হত্যাকান্ড।

কেনিয়ার একটি সন্ত্রাসি হত্যাকান্ড নিয়ে একটি লেখা - পড়ুন।
Click This Link

০২ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: এটি মোটেই দুর্ঘটনা নয়, এটি হত্যাকান্ড। ছয় লিবিয়ানকে শেষ পর্যন্ত এই সন্ত্রাসী হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

আপনার লেখাটাও পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.