নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় কিছু পাপের কাছে আমি বন্দি হয়ে আছি

নাভিদ কায়সার রায়ান

তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?

নাভিদ কায়সার রায়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যময় Mir Mine

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪





ছবিটা দেখে কি কারো এক্স-ফাইলস টিভি সিরিজটার কথা মনে পড়ছে? যেখানে ভিনগ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীতে এসে গোপনে গোপনে নানান গবেষণা চালিয়ে আবার কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের উপস্থিতির একটা প্রমাণ ধরে রাখতে এফবিআই এর স্পেশাল এজেন্ট ফক্স মোল্ডার তাদের পেছনে নিশিগ্রস্থের মত দিনরাত এক করে ছুটে চলেছে।

হা হা হা। আরে না, সেসব কিছু না। এটা আসলে একটা হিরের খনি। নাম Mir mine।

আসেন Mr. Mir Mine সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।

অবস্থানঃ

এই খনিটি রাশিয়ার সাখা প্রদেশের রাজধানী ইয়াকুতস্ক থেকে ৮২০ কি.মি দূরে Mirny শহরে অবস্থিত। জায়গার নামানুসারে একে Mirny Mine নামেও ডাকা হয়।

খনির বর্ননাঃ

২০১১ সাল থেকে পরিত্যাক্ত এই খনিটি ৫২৫ মিটার অর্থাৎ ১৭২২ ফুট গভীর আর ১২০০ মিটার (৩৯০০ ফুট) চওড়া। উইকিপিডিয়া থেকে জানতে পারলাম এটি গভীরতার দিক থেকে চতুর্থ। আমি তো এটা দেখেই পড়ে যাচ্ছিলাম, বাকি গুলোর যে কি অবস্থা আল্লাহই জানে।

খনির আকার বোঝার জন্য একটা ছবি দিলামঃছবিটা দেখে কি কারো এক্স-ফাইলস টিভি সিরিজটার কথা মনে পড়ছে? যেখানে ভিনগ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীতে এসে গোপনে গোপনে নানান গবেষণা চালিয়ে আবার কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের উপস্থিতির একটা প্রমাণ ধরে রাখতে এফবিআই এর স্পেশাল এজেন্ট ফক্স মোল্ডার তাদের পেছনে নিশিগ্রস্থের মত দিনরাত এক করে ছুটে চলেছে।

হা হা হা। আরে না, সেসব কিছু না। এটা আসলে একটা হিরের খনি। নাম Mir mine।

আসেন Mr. Mir Mine সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।

অবস্থানঃ

এই খনিটি রাশিয়ার সাখা প্রদেশের রাজধানী ইয়াকুতস্ক থেকে ৮২০ কি.মি দূরে Mirny শহরে অবস্থিত। জায়গার নামানুসারে একে Mirny Mine নামেও ডাকা হয়।

খনির বর্ননাঃ

২০১১ সাল থেকে পরিত্যাক্ত এই খনিটি ৫২৫ মিটার অর্থাৎ ১৭২২ ফুট গভীর আর ১২০০ মিটার (৩৯০০ ফুট) চওড়া। উইকিপিডিয়া থেকে জানতে পারলাম এটি গভীরতার দিক থেকে চতুর্থ। আমি তো এটা দেখেই পড়ে যাচ্ছিলাম, বাকি গুলোর যে কি অবস্থা আল্লাহই জানে।

খনির আকার বোঝার জন্য একটা ছবি দিলামঃ









আর একটি ইন্টারেস্টিং তথ্য হল এই খনির উপর দিয়ে এমনকি প্লেনে করে বা হ্যালিকপ্টারে করে উড়ে যাওয়াও নিষিদ্ধ। গভীরতার কারনে এখানে বাতাসে এক ধরনের আলোড়ন তৈরি হয়। এই আলোড়ন একবার এর একটা পাস দিয়ে উড়ে যাওয়া একটা হ্যালিকপ্টারকে ঝুটি ধরে মাটিতে নামিয়ে নিয়ে এসেছিল। বোঝেন অবস্থা!

খনির আর কিছু ছবিঃ

স্যাটেলাইটের তোলা ছবি





















আবিষ্কারঃ

১৯৫৫ সালের ১৩ জুন সৌভিয়েত ভূবিজ্ঞানী ইউরি খাবারদিন, ইকাতেরিনা ইলাজিনা আর ভিক্টর অ্যাভদিঙ্কো Yakut ASSR এ ভূতাত্ত্বিক অভিযান (Amakinsky Expedition) চালাবার সময় এটি আবিষ্কার করেন যার জন্য Yuri Khabardin ১৯৫৭ সালে রাশিয়ার সর্বোচ্চ পুরস্কার লেলিন পদক পান।

প্রকৃতি এবং বিজ্ঞানঃ

বছরের সাত মাস যে জায়গা শীতে জমে থাকে সেখানে খনন কার্য চালানো খুব একটা সহজ কাজছিল না। প্রচণ্ড শীতে গাড়ির চাকা ফেটে যেত, এমনকি তেল পর্যন্ত জমে যেতো। আবার গরমে এখানকার মাটি পিচ্ছিল কাদায় পরিণত হতো। কিন্তু মানুষ থামতে জানে না। বৈরি আবহাওয়ার কারনে মুল প্লান্ট প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা হয়।

নিম্ন তাপমাত্রার কারনে মাটির কিছু অংশ সারা বছরই জমে থাকতো। এই অবস্থায় খনন করার জন্য জেট ইঞ্জিনের উত্তাপে মাটির এই জমে থাকা অংশ গলিয়ে ফেলে তারপর ডিনামাইট ব্যাবহার করা হয়েছিল।

রাতে পুরো এলাকা ঢেকে রাখা হতো যেন যন্ত্রপাতি ঠাণ্ডায় জমে না যায়।

১৯৮০ সালের ২৩শে ডিসেম্বর এখান থেকে সবচেয়ে বড় হীরক খণ্ডটি পাওয়া যায় যার ওজন ছিল ৩৪২.৫ ক্যারেট (৬৮ গ্রাম)। এর নাম রাখা হয় "26th Congress of the CPSU"

খনির নিচে বিজ্ঞানীরা একসময় মাইক্রোফোন লাগিয়েছিল। উদ্দেশ্য, ভুগর্ভস্থ টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়ার শব্দ শোনা। শব্দশুনে যদি ভূমিকম্প সম্পর্কে কিছু জানা যায়।

কিন্তু মাইক্রোফোনে যে শব্দ তারা ধরতে পারলো সেটা শুনে তাদের গলা শুকিয়ে গিয়েছিলো। টেকটনিক প্লেটের নড়াচড়ার শব্দের বদলে রেকর্ডে করা টেপে তারা শুনতে পায় অজস্র মানুষের হিম শীতল করা আর্ত চিৎকার। খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলে, অসংখ্য মানুষের যন্ত্রণায় গোঙানির মাঝে একটি কণ্ঠ আলাদা ভাবে চিনতে পারা যায়। সেই কণ্ঠের বীভৎস আর্তনাদে বিজ্ঞানীদের অনেকেই তৎক্ষণাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

হাজার হাজার মানুষের যন্ত্রণাক্লিষ্ট আর্তনাদের শব্দে অতিস্ট হয়ে বেশীরভাগ বিজ্ঞানী একসময় খনিতে গবেষণা বন্ধ করে চলে যান। পেছনে ফেলে যান এক রহস্যময় মনুষ্য নির্মিত গহব্বর।

আজ থেকে অনেক দিন পর, মানুষ হয়ত ডায়নোসরের মত এক সময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তখন সেই নতুন পৃথিবীতে হয়ত নতুন কোন বুদ্ধিমান প্রজাতির উদ্ভব হবে। একসময় তারা এই পরিত্যাক্ত শুন্য খনি আবিষ্কার করবে।

তারা কি পূর্বপুরুষদের কর্মকাণ্ডে আমার মতই বিস্মিত হবে?

তারা কি বুঝবে তাদের অতি ক্ষমতাধর এই পূর্বপুরুষেরা রহস্য তৈরি করতে কত ভালোবাসতো



==============================================



আমার আরও কিছু ফটোব্লগ



১) দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

২) অন্য সুর

৩)Flight 772

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ চমৎকার।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: শরৎ ভাই, পোষ্ট নাকি খনি কোনটার প্রশংসা করলেন বুঝলাম না। একজন স্বনামধন্য ধান্দাবাজ হিসেবে ধরে নিলাম পোষ্টের কথাই বলেছেন। সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ;-P

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

জমরাজ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, (নাকি বোন?)

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ওরে শয়তান, একজন উঁচু পর্যায়ের বদ হিসেবে কি করা মিথ্যা কথাটাই বলি, পোষ্ট অনেক ইন্টারেস্টিং হয়েছে। এবং এতে আরো তথ্য ও ছবি যুক্ত করা যায় কিনা ভেবে দেখবেন। (এই অংশ কিন্তু আন্তরিক অনুরোধ)।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হা হা হা শরৎ ভাই, প্রশংসা সম্প্রদান কারক। ফেরত দেয়া যাবে না। তবে এই মুহূর্তে আপনার অনুরোধ রাখতে পারছি না। আরও তথ্য দিতে পারি, তবে সময় লাগবে। এই রকম আরও খনি আছে। সামুতেই এই রকম একটা পোষ্ট দেখেছিলাম অনেক আগে। প্রিয়তে নেয়া হয়নি বলে পোষ্টটা হারিয়ে গেছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

কৈশর বলেছেন: ভালো লাগছে ভাই !!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: বিষয়টা ভালো লাগার মতোই। ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: খুবই চমৎকার হয়েছে আপনার লেখাটি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটিও চমৎকার হয়েছে ভাই। ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
ধন্যবাদ পোস্টোটার জন্য

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগে আসার জন্য। এই পোষ্টটা আমি এগে অন্য একটা ব্লগে দিয়েছিলাম। সময় করে উঠতে পারিনি বলে এখানে শেয়ার করা হয়নি।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

অগ্নিপাখি বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা। বেশ ইন্টারেস্টিং।
পোস্টে + + এবং প্রিয়তে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ। অন্য ফটোব্লগগুলো পড়ে দেখবেন। ভালো লাগার কথা।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট, প্রিয়তে নিলাম।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ। অন্য ফটোব্লগগুলো পড়ে দেখবেন। ভালো লাগার কথা।

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১২

সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: অসাধারন হয়েছে পোষ্টটা ++++++++++++++++++++++++++++++

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ। অন্য ফটোব্লগগুলো পড়ে দেখবেন। ভালো লাগার কথা।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৭

মোমের মানুষ-২ বলেছেন: চমৎার একটা পোস্ট ধন্যবাদ

০২ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর (পোস্ট) !

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কেমন আছেন?

১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো আছি নাভিদ । আপনি কেমন আছেন ?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪২

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ভাল আছি মামুন ভাই।

১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

এহসান সাবির বলেছেন: দারুন পোস্ট।

++++

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ভাই

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৬

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট ।

কিন্তু শেষ টুকু পড়ে ভয় ভয় লাগছে ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ অদ্বিতীয়া। ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এই শব্দের ব্যাক্ষা আছে।

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৯

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অনেক ভালো পোস্ট ভাই

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ নাজমুল ভাই।

১৬| ০১ লা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নিশাত তাসনিম বলেছেন: রহস্যময় Mir Mine সম্পর্কে তথ্যবহুল পোস্টটি বেশ লাগলো নাভিদ ভাই।

০২ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.