নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?
মন মেজাজ বড়ই বিক্ষিপ্ত। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। সকাল থেকেই গা-টা ম্যাজ ম্যাজ করছে।
তাছাড়া অফিসে অনেক কাজ, শেষ করে উঠতে পারছি না। স্যারের কাছে কথা দিয়েছিলাম আজকের মধ্যে রিপোর্টটা রেডি করে দিয়ে দেব। এখন মনে হচ্ছে কথা রাখতে পারব না। সামনে এসেসমেন্ট, শেষ মুহূর্তে এসে সব কিছু তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
এর মধ্যে আরেক ঝামেলা - টাকা পাচ্ছে না বলে সাইটের লোকজন গতকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখেছে। "অফিস থেকে টাকা দিচ্ছে না, এতে আমার কি করার আছে" - বলে এসব ঝামেলা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারতাম। কিন্তু পারছি না। ঝামেলা দূর করার চেষ্টা করছি। তাতে অবশ্য কোন লাভ হচ্ছে না বরং ঝামেলা আরও বাড়ছে। নর্দমা দিয়ে ভরা বর্ষার ঢল নেমেছে। চারদিক থৈথৈ করছে নোংরা পানিতে। আমি এর মাঝে গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে আছি। তাল সামলাতে না পারলেই নাক মুখ দিয়ে পানি গিলছি। পানি গিলছি আর ভাবছি। ভেবেই চলেছি। আমার ভাবনা আর শেষ হয় না।
নিজের কিছু কাজ আছে, সময় করতে পারছি না। ভেবেছিলাম দুদিন ছুটি নিয়ে সিলেট থেকে ঘুরে আসবো। নানান জটিলতায় সেই চিন্তা থেকে সরে আসতে হল। একটু যে বিশ্রাম নেব অফিস সেই সাপ্তাহিক ছুটিটাও দিচ্ছে না। বাসায় কেউ কেউ অসুস্থ, সেই দুশ্চিন্তাও থেকে থেকে মাথা কুরেকুরে খাচ্ছে।
ধুর! মাঝে মাঝে এত হতাশ লাগে!
শালার আজ যত সময়ই লাগুক, বিকেলের মধ্যেই সব কাজ শেষ করবো। এভাবে ঝিম মেরে পড়ে থাকলে কোন সমস্যারই সমাধান হবে না। Old Testament-এর সেই পুরনো কথাটা আজকে বারবার মনে পড়ছে,
{3:17} And unto Adam he said, Because thou hast hearkened unto the voice of thy wife,
and hast eaten of the tree, of which I commanded thee, saying, Thou shalt not eat of it:
cursed [is] the ground for thy sake; in sorrow shalt thou eat [of] it all the days of thy life
তারপর প্রভু ঈশ্বর পুরুষকে বললেন, "আমি তোমায় ঐ গাছের ফল খেতে বারণ করেছিলাম। তবু তুমি নারীর কথা শুনে নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়েছ। তাই তোমার কারণে আমি এই ভূমিকে শাপ দেব। ভুমি তোমাদের যে খাদ্য দেবে তার জন্য এখন থেকে সারাজীবন তোমায় অতি কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।
মানুষ চাঁদে গেছে, মঙ্গলেও পা ফেলবে। "অতি কঠিন পরিশ্রম করতে হবে" বলে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না।
"বল বীর –
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,
মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,
আমি দুর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জটি, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!
বল বীর –
চির-উন্নত মম শির!"
হা হা হা! এইতো গায়ে তেজ এসে গেছে।
কাজ শেষ না হলে না হবে। জান দিয়ে দিব নাকি?
ছুটি দিবি না? নিলাম না তোর ছুটি। হাতের কাজটা শেষ হোক, তোরেই শালা ছুটি দিচ্ছি আমি দ্যাখ!
২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২৮
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: সুমন ভাই, আপনার শুভ কামনা কাজে লেগেছে। ধন্যবাদ
২| ২৭ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অদম্য তেজে হাতের কাজ দ্রুত শেষ করে নেন, তার পঙ্খীরাজে চড়তে চড়তে সিলেট চলে আসেন । আসার আগে শুধু একবার ইনবক্সে জানায়েন
২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩২
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: উফ মামুন ভাই, কাজ যে আর শেষ হ্য় না। সিলেট আসল অবশ্যই জানাবো।
৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কোনো কিছুই যেহেতু চিরস্থায়ী না, সুতরাং সমস্যাও একটা সময় শেষ হয়ে যাবে।
ভালো থাকবেন নাভিদ।
২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ভালো থাকার জন্যই প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছি। ধন্যবাদ শুটকি মাছ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬
সুমন কর বলেছেন: শুভকামনা রইলো।