নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার প্রিয় কিছু পাপের কাছে আমি বন্দি হয়ে আছি

নাভিদ কায়সার রায়ান

তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?

নাভিদ কায়সার রায়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিতলের কলসি

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩





ছোটবেলায় দুপুরের সময়টা আমার জন্য একটা দুঃসহ সময় ছিল। এসময় কিছুই করার থাকতো না, পড়া লেখা করতেও ভালো লাগত না। জোরজবরদস্তি না থাকলে এমনিতে অবশ্য পড়তে আমার তেমন একটা খারাপ লাগে না। বরং ভালই লাগে। সেসময় স্কুলে ভালো ছাত্র হিসেবে আমার নাম ডাক ছিল। আর স্কুলে ভালো ছাত্রদের অন্য রকম চোখে দেখা হয়, ফার্স্ট বেঞ্চে তাদের জন্য আলাদা জায়গা থাকে, স্যার-ম্যাডামদের কাছ থেকে অন্য রকম একটা স্নেহ পাওয়া যায় – ইত্যাদি নানান সুবিধা। এই ব্যাপারগুলো আমি খুব উপভোগ করতাম।

কিন্তু দুপুর বেলার কথা আলাদা। দুপুরে আমার একদম পড়তে ইচ্ছা করত না। প্রতিদিন দুপুরের ঝাঁ ঝাঁ রোদ, গাছগাছালি আমাকে দু’হাত বাড়িয়ে ডাকতে থাকতো। এদিকে আম্মার কড়া নিষেধ - দুপুর বেলায় বাইরে যাওয়া যাবে না। দুপুর বেলা নাকি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য জ্বিনেরা ঘুরে বেড়ায়। জ্বিন কি জিনিষ সেটা অবশ্য আমি ভালো বুঝতাম না। তবে তারা যাদের একবার ধরে নিয়ে যায়, তারা যে আর কখনও ফিরে আসে না এই তথ্যটা কিভাবে যেন মনের মধ্যে পাকাপাকিভাবে গেঁথে গিয়েছিল। একারণে মন খারাপ করে আমি প্রায়ই পড়ার টেবিলে বসে জানালা দিয়ে বাইরের প্রকৃতি দেখতাম আর ভাবতাম - কবে বড় হবো! বড়রা যেকোন সময় বাসার বাইরে যেতে পারে। বড়দের জ্বিন কোন ক্ষতি করতে পারে না। জ্বিনদের নিয়ম এতো অদ্ভুত ছিল কেন কে জানে?

অবশ্য সব দুপুর এক রকম ছিল না। মাঝে মাঝে আম্মা আমাকে অদ্ভুত সব গল্প শোনাতো।

এই যেমন একদিন দুপুরে আম্মা আমাকে শ্যাওড়া শয়তানের গল্প শোনাল। আম্মার ধারণা আমার সব বন্ধুই একেকটা শ্যাওড়া শয়তান। আম্মার মতে শ্যাওড়া গাছে সবুজ রঙের এক ধরণের প্রেত বাস করে যার নাম শ্যাওড়া শয়তান। এরা আকারে ছোট আর মাথায় ছোট্ট ছোট্ট দু’টা শিং আছে। সাইজে ছোট হলে কি হবে এদের পেট নাকি দুনিয়ার শয়তানিতে ভরা। এরা অত্যান্ত চতুর এবং সব সময় আড়ালে আবডালে থেকেই নানান দুষ্কর্ম করে বেড়ায়। এছাড়াও এদের গা-য়ে এক ধরণের পিচ্ছিল আঠালো পদার্থে লেগে থাকে বলে এদের সহজে ধরাও যায় না। দিনের বেলা এরা লোকচক্ষুর আড়ালে থাকে, সন্ধ্যা নেমে এলেই এদের উপদ্রব শুরু হয়ে যায়।

মজার ব্যাপার!

আম্মার কথা শুনে সেদিন খুশীতে আমি রাতে ঘুমাতেই পারছিলাম না। কারণ আম্মুর কাছে গল্প শোনার পর থেকেই আমি ভাবছিলাম আমার যদি এরকম একটা বন্ধু থাকতো তাহলে দারুণ মজা হতো।

কারণ স্কুলে আমার বন্ধু বান্ধব তেমন একটা নেই। আমি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এটা আম্মা পছন্দ করেন না, আমারও ভালো লাগে না। তাছাড়া আমি সব সময় সামনের বেঞ্চে বসি। সামনের বেঞ্চে কেবল ভালো ছেলেরা বসে। ভালো ছেলেরা কেন যেন ভালো বন্ধু হতে পারে না।

এর মধ্যেই রনির সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে গেল। রনির সাথে আমার পরিচয় কিভাবে সেটা বলি।

প্রতি ক্লাসের একদম পেছনের বেঞ্চে কিছু বদমাশ ধরণের ছেলে বসে। আমার মত শান্ত শিষ্ট ছেলেদের উত্ত্যক্ত করাই ওদের নেশা। ওরা একটু সুযোগ পেলে প্রায়ই নানাভাবে আমাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মজা করে। আমি কিছু বলি না। কারণ বলে লাভ নেই। উল্টো বিপদ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। একদিন রনি আমাকে এই অসহায় অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলো। রনি ছিলো তখন অভিভাবক মহলে এক ত্রাসের নাম। বন্ধুমহলে ওর ডাকনাম ছিল “ইবলিশ রনি” এবং সেটা সংগত কারনেই। হঠাৎ করেই কিভাবে কিভাবে যেন “ইবলিশ রনি” আমার বন্ধু হয়ে গেল।

রনির সাথে আমার এমন একটা সময়ে পরিচয় হল যখন আমি বাতিকগ্রস্থের মতো গোয়েন্দা গল্প পড়ছি। গল্প পড়ি আর আমার আশে পাশে নানান ধরণের রহস্য তৈরি হতে থাকে। পাশের বাসার বিড়ালটা কোথায় হারিয়ে গেল – সেটা খুঁজে বের করতে হবে; দুপুরবেলায় যে ফেরিওয়ালা আসে সে কি ছেলেধরা কিনা – খেয়াল রাখতে হবে কিংবা আমাদের পাড়ার সেই রহস্যময় বুড়ো চাচা কি কোন খুন করে এখানে লুকিয়ে আছে কিনা – এরকম শত সহস্র রহস্য আমি প্রতিদিন একা একা অত্যান্ত চতুরতার সাথে সমাধান করার উত্তেজনায় থাকি। কিছু রহস্য উদ্ঘাটন হয়, কিছু হয় না।

আমি আবার বেশী দিন একই বিষয়ে আগ্রহ ধরে রাখতে পারি না। একসময় আমার রহস্যভেদ করার উৎসাহে ভাটা পড়লো। নতুন করে আমাকে গুপ্তধন আবিস্কারের নেশায় পেয়ে বসলো। আমার ছোটবেলা যেখানে কেটেছে সেখানে একটা প্রাচীন শ্মশান ছিল। আমার আর রনির দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে গেল যে এখানে গুপ্তধন না থেকে যায় না। কিছু না কিছু এখানে আছেই। গুপ্তধনের নেশায় আমাদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেল। হাতের কাছে গুপ্তধন ফেলে কোন গাধা পড়ালেখা করে? কোন রকমে এক কলশী মোহর পেয়ে গেলেই কেল্লাফতে! টাকা পয়সা তো পাবোই সাথে সাথে বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ফেমাস হয়ে যাওয়ার চান্সও আছে।

প্রতিদিন দুপুরের পরপর আমি আর রনি বাসা থেকে বের হয়ে যাই। প্রথম কয়দিন আমরা প্রবল আগ্রহ নিয়ে শ্মশানের এখানে ওখানে নানা সাইজের গর্ত খুঁড়ে ফেললাম। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন উল্কাপাত হয়েছে। ভাগ্যভালো ওই জায়গাটা সে সময় অনেক নিরিবিলি ছিল। নাহলে নির্ঘাত মার খাওয়ার চান্স ছিল।

গুপ্তধন খোঁজার মিশনে নামার কিছুদিন পরই আমরা টের পেলাম যত সহজ ভেবেছিলাম কাজটা মোটেও ততটা সহজ না। বিশেষত কারো কাছে যদি গুপ্তধনের বিষয়ে কোন ক্লু না থাকে তাহলে সেটা খড়ের গাঁদায় সুঁই খোঁজার মতই প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। প্রায় সপ্তাহ খানেক সময় কাটল আমাদের ক্লু খুঁজে। দেয়ালের ফাঁকে, ইটের নিচে, দরজার চিপায়, পাখির পাসায় – শ্মশানের কোন জায়গা আমরা খুঁজতে বাকি রাখিনি। কিন্তু ফলাফল শুন্য।

রনি ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছিল। আমি দেখলাম – এতো মহা বিপদ। তীরে এসে তরী ডোবার উপক্রম হয়েছে। কি করা যায়?

আমি রনিকে বোঝালাম – গুপ্তধনের ম্যাপ যদি পাওয়া না-ই যায় তাহলে বসে থেকে লাভ নেই। নিজেদেরকেই একটা ম্যাপ বানিয়ে মাঠে নেমে যেতে হবে।

আমার কথা শুনে রনি আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবল। খানিকক্ষণ বোকার মত মাথা চুলকালো, তবে না করলো না।

পরদিন আমরা শ্মশানে পৌছে কাঁচা হাতে একটা পুরো এলাকার একটা ম্যাপ একে ফেললাম। ম্যাপ আঁকতে আঁকতেই আমরা নতুন একটা আইডিয়া পেয়ে গেলাম!

আরে! গুপ্তধন খোঁজার দরকার কি? আমরা নিজেরাই তো একটা গুপ্তধন এখানে লুকিয়ে রাখতে পারি! কারণ এই চাইতে ভালো জায়গা আর কোথাও পাওয়া যাবে না। কিন্তু গুপ্তধন লুকাতে হলেও ম্যাপ লাগবে। সেই ম্যাপে ক্লু রেখে যাওয়া লাগবে। সেই ক্লুর অর্থ উদ্ধার করতে যেন সবার দাঁত ভেঙ্গে যায় সেই ব্যাবস্থা করতে হবে। তাছাড়া লোকজনকে বিভ্রান্ত করার জন্য কিছু ফলস ক্লুও রাখতে হবে। এখানে ওখানে বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন রেখে দিতে হবে। অনেক কাজ!

ম্যাপের বানানো হল মোট তিনটা। কারণ ম্যাপের মধ্যেই থাকবে ক্লু। তিনটা ম্যাপ মিলে একটা ফাইনাল ক্লু। কিভাবে কি করবো সেটা ভাবতে ভাবতে উত্তেজনায় আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেল। শ্মশানের নির্জনতায় আমরা ব্যাস্ত আর চরম উত্তেজনায় সময় কাটাতে লাগলাম।

ম্যাপ আর ক্লু বানাতে বানাতে আমাদের প্রায় দুই সপ্তাহ লেগে গেল। শেষ যেদিন ফিনিশিং টাচ দেয়ার জন্য আমি আর রনি শ্মশান গেছি সেদিন নিজেদের কাজ দেখে নিজেরাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আহ! কি ক্লাসিক একটা কাজ হয়েছে! কি অসাধারণ সব ক্লু।



“ঘর হইতে বাহির হইয়া পঁচিশ কদম ঈশান কোণে যায়

সন্ধ্যা প্রদীপ নেভার আগে তাকে দেখা যায়।”



সব কিছু ঠিক থাক। এবার আমাদের গুপ্তধন সেই গোপন জায়গায় মাটির নিচে পুতে রাখতে হবে। গুপ্তধন ছিল ছোট এক পাতিল ভর্তি মার্বেল। পাতিলটা কার কাছ থেকে চুরি করে এনেছিলাম সেটা নাহয় গোপনই থাক। মাটিতে গর্ত করার জন্য রনি তার বাসা থেকে খুন্তিটা নিয়ে এসেছিল। ধীরে ধীরে আমরা পালাক্রমে গল্প করতে করতে মাটি খুঁড়তে লাগলাম। কি বিচিত্র আর স্বপ্নময় একটা সময় ছিল সেটা! এখানে ওখানে গাছের আড়ালে পাখি ডাকছে, ঝিরঝিরে হাওয়া। সকাল থেকেই আবহাওয়া গুমোট হয়ে ছিল সেদিন। বিকেল যতই এগিয়ে আসছিল শ্মশানের পেছনে যে ধানক্ষেত ছিল সে প্রান্ত থেকে শীতল একটা হাওয়ার বেগ ততই বাড়তে লাগলো।



মাটি খুঁড়ে আমরা প্রায় একহাত চলে গেছি। রনি তখন মাটি খুঁড়ছিল। হঠাৎ খুন্তির আঘাতে মাটির নিচ থেকে ঠং করে একটা আওয়াজ এলো!

রনি চোখে মুখে একটা অবিশ্বাসের দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকাল।



সর্বনাশ! তাহলে কি শেষ পর্যন্ত আমরা গুপ্তধন পেয়েই গেলাম?



খুন্তি নিয়ে আমি আর রনি ছোট্ট সেই গর্তে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। হাতে খামচে, খুন্তি দিয়ে খুঁচিয়ে সেই গর্ত থেকে সত্যি সত্যি একটা পিতলের কলসি বের করে আনলাম। কলসিটা বেশ ভারী, একটা গামছার মতো কাপড় দিয়ে কলসির মুখটা বন্ধ করা। গর্ত থেকে কলসিটা তোলার পর পরই মুষল ধারে বৃষ্টি শুরু হল। উত্তেজনায় আমাদের গা-হাত পা তখন রীতিমত কাঁপছিল। সেই কাঁপুনির সাথে বৃষ্টির শীতল পানি মিলে একাকার হয়ে গেল। খুশীতে আমি আর রনি একজন আরেকজনের গলা ধরে, হাত পা ছুঁড়ে কতক্ষণ নেচেছিলাম জানি না। সেই নাচের এক ফাঁকে নতুন কোন গুপ্তধন শিকারির জন্য নতুন কোন আনন্দের উৎস হতেই হয়তো আমাদের সেই মার্বেলের পাতিল টুপ করে সেই গর্তে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। আমরা খেয়াল করিনি।



মুষল ধারে বৃষ্টি আর নির্জন শ্মশানের মধ্যে এক পিতলের কলসি ঘিরে দুই কিশোরের উদ্দাম আর প্রাণখোলা খুশীর নৃত্য সেদিন কেউ দেখেনি। অবশ্য দেখা না দেখায় এই পৃথিবী বা সেই দুই কিশোরের কিছুই আসে যায় না। অসাধারণ আনন্দের মুহূর্তটা সেদিন পরিপূর্ণতা পেয়েছিল কচি মাথার স্মৃতিতে, এই বা কম কি!

এরপর কি হয়েছিল সেটা না বলাই ভালো। কাদায় মাখামাখি হয়ে খালি আর তোবড়ানো একটা পিতলের কলশী নিয়ে বাসায় ফেরার কারণে আমরা পার্মানেন্টলি শ্যাওড়া শয়তান খেতাব পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যে আনন্দটা সেদিন পেয়েছিলাম সেটার তুলনা এই নশ্বর জগতে করা যাবে না। ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়া অনেক অনাস্বাদিত আনন্দ হঠাৎ হঠাৎ আমাদের জীবনকে ছুঁয়ে যেতে চায়, আমরা চাই বা না চাই।





পুনশ্চঃ কলসিটা কিন্তু আদৌ খালি ছিল না! বাসায় নেয়ার আগে সেটা আমরা কেন খালি করে নিয়ে গিয়েছিলাম সেটা অন্য একটা গল্প। সে গল্প আরেকদিন করবো।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++ সেই গল্প জানতে পারলে ভালো লাগবে :) ছোটকালের কথা মনে পরে গেল ভ্রাতা B-))

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল বলেই তো এতো কথারে ভাই!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

ফা হ মি বলেছেন: বাহ!চমৎকার!! :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

সুমন কর বলেছেন: কলসি কেন খালি করলেন ও কি ছিল পরের বার জানতে হবে?

তবে একটি কথা আপনি বলেছেন, আমি কারো সাথে বন্ধুত্ব করি এটা আম্মা পছন্দ করেন না, আমারও ভালো লাগে না।

কেন?

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: সুমন ভাই, কলসিতে যা ছিল সেটা নিয়ে অনেক মজা হয়েছে এক সময়। লেখা হয়নি বলে এই ধরণের কথা বলতে হয়েছে আর কি!

বন্ধুত্ব করি না তা কিন্তু না। কিন্তু সেটা নিজ থেকে করতে পারি না। বন্ধুত্ব খুব হেভেনলি গিফট সুমন ভাই। সবাই এই গিফট পায় না। আর যে বয়সের কথা লিখেছি সে সময় আমি অনেক ইন্ট্রভার্ট ছিলাম। কারো সাথে কথা বলতেই ভালো লাগতো না।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম অনুসন্ধিৎসা ছোটবেলায় সবারই থাকে। আমাদেরও এরকম দল ছিলো, প্ল্যান ছিলো। তবে আপনাদের মতো এমন মজার কোন ঘটনা ঘটেনি। খুব ভালো লাগলো পড়ে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই, কিছু ঘটুক বা না-ই ঘটুক ছোট বেলার যে কোন গল্প আমার কাছে মজার স্মৃতি। সব যে ভালো স্মৃতি তা না কিছু কুৎসিত স্মৃতিও আছে।
আপনাদের ও এরকম দল ছিলো, প্ল্যান ছিলো শুনে আপনার ছোটবেলার গল্প জানার আগ্রহ তৈরি হল। কবে বলবেন?

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আহারে গোয়েন্দা জীবন !! অভিভাবকদের কড়া নজরদারীতে বাংলার কত প্রতিভাবান গোয়েন্দা যে অঙ্কুরেই হারিয়ে যায় :(

পোস্টে ভালো লাগা রইল।

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: হা হা হা একদম মনের কথা বলেছেন


পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পড়ে । এরকম অনেক মজার কান্ড আমরাও করেছি ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: মজার কান্ড করেছেন বললে হবে না সেই গল্প আমরাও জানতে চাই, মামুন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.