নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোট থাকতে পছনদো করি

নাঈম ফয়সাল নয়ন

সত্য কে সত্য আর মিথ্যা কে মিথ্যা বলার চেষ্টা করি

নাঈম ফয়সাল নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসমতি ফুল

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭


মেয়েটার নাম হাসি। ১৫ পেরিয়ে সবেমাত্র ১৬ তে পা রাখল। নিতান্তই ধারাবাহিক অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠায় সে জানত না সুখ কি জিনিস বা তৃপ্তির নিঃশ্বাস কিভাবে ফেলতে হয়, আর বিলাসিতা তো তার পাঠ্যবইয়ে বন্দী একটা অলীক শব্দ মাত্র। সে যাইহোক। হাসি কে নিয়ে যে ঘটনাটি আমি লিখতে চলেছি তা আজ থেকে প্রায় ৪০-৫০ বছর আগের একটি ঘটনা!!

হাসির বাবা তৎকালীন জমিদার বাড়ির বাজার সদাই করত.. আর ডাক পরলে পুকুরের মাছ ধরা, গাছ থেকে ডাব নারকেল পাড়া, আর টুকটাক হুকুম হাকাম পালন করা এই আর কি। তাতে যে মাইনে সে পেতো এক জনের পেট চলার জন্য যতেষ্ট ছিলো। কিন্তু তাও যদি পুরো মাইনের টাকাটা হাসির মার হাতে দিত তাও হতো!! সে তো মাইনের অর্ধেক টাকা নষ্ট করে তাড়ি আর ওই গাঁজা গুজা খেয়ে!! এ নিয়ে কত অশান্তি রোজ রোজ।
আর এদিকে হাসির মা মুশলি বেগম দুটো ভেড়া পালতেন, কিছু মাটির হাড়ি, ঘড়া হাতে তৈরি করে বাজারে বেচতেন। তাতে যা দুয়েক পয়সা আসতো তাতে কোন রকমে নুন ভাত জুটে যেতো। বাবার থেকে মা সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে, রান্না বান্না করে এমনকি হাসির পড়ালেখা টা এখোনো টিকেই আছে তার জন্য। যেদিকে কিনা বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই হাসির বাবা লিয়াকত মিয়ার! বরং মেয়েটা যখন কেবল ১৩ তখনই তার জন্য কোত্থেকে এক বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির !! যেনো মেয়েটাকে বিদায় করতে পারলে তার সংসার থেকে অভাব অনটন চিরবিদায় নেবে! কয় মুঠ চালের ভাতই বা খায় সে!! আর পড়ালেখার জন্য কয় পয়সা খরচ করে লিয়াকত!! যা দু পয়সা খরচ হয় তা তো মুশলির টাকা তেই হয়। তাও আবার মুখে মদের ভোটকা গন্ধ নিয়ে হাসির মাকে বলল -
"মেয়ে বড় হইছে, ভালা একখান প্রস্তাব ছিলো গো হাসির মা"
হাসির মা কিছু বলল না। একটা মাটির হাড়ি তৈরি করছিল। পাশেই ছিলো মাটি কাটা কোদাল। সে উঠে কোদাল টা হাতে নিয়ে বলেছিল -
"এইডা দেখছেন? এইডা দিয়া আফনের কল্লা নামাইয়া ফেলমু!! আর একদিন যদি এই কতা কইছেন!!"
লিয়াকত মিয়া দমে যায়। সে মুশলি কে বিয়ে করেছিল ১৬ বছর বয়সে, আর মুশলির বয়স ছিলো ১১ বছর। সেই হিসাব করেই বলছিল কথাটা। অথচ কি দিয়ে কি হয়ে গেলো!! এমনকি ওই কথা বলার জন্য সেদিন রাতে লিয়াকত কে ভাতও দেয়নি মুশলি। রাতে যখন সে মুশলির কাছে ভাত চাইলো -
"এ বউ, খিদা লাগছে ভাত দিবিনা?"
"না দিমুনা! ক্যান ওইসব ছাইপাশ খাইয়া প্যাট ভরেনা?"
"কি কস বউ! ওই গুলা কি প্যাট ভরার জিনিস?"
"খবরদার একটা কতাও কইবেন না, যেগুলান খাইয়া মাইয়ারে বিয়া দিতে চান ওই গুলা খাইয়া নিজে আরেকখান বিয়া করেন গা যান"
বলেই মেয়ে কে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরে মুশলি। আর লিয়াকত মিয়া অসহায়ের মত উঠোনে পাটি বিছিয়ে শুয়ে থাকে। অনেক রাতে চুপিচুপি মায়ের কাছ থেকে উঠে আসে হাসি। একটা প্লেটে ভাত, তরকারি আর জগে পানি নিয়ে যায় বাবার কাছে।
"বাজান, ও বাজান ওঠো" ফিসফিস করে লিয়াকত কে ডাকে হাসি। লিয়াকত লাফ দিয়ে উঠে খুশি মুখে বলে -
"আইছস মা? দে দে খুব ভুগ লাগছে"
তারপরেই আবার আস্তে আস্তে মায়ের কোলের মধ্যে এসে শুয়ে পরে। নিরবে সব কিছুই টের পায় মুশলি। মেয়েটার জন্য এত কষ্ট করে সে, এত যুদ্ধ করে, অথচ তার সমস্ত ভালোবাসা বাপ কে নিয়ে। নিজে না খেয়ে মেয়ে কে খাইয়েছে অথচ তখন তো মেয়ে একবারো বলে না "মা, তুমি খাইছ?" আর বাপেরে এক রাইত খাইতে দেইনাই দেখে কি দুঃচিন্তা তার। "মুই কান্দি মা'র লাগি, মা কান্দে কার লাগি!!" হাহ ...।
--------------------------------------
হাসিদের বাড়িটা একটা ফাকাঁ মাঠের ভিতরে। যদিও বাড়ি বলতে কিছু খর খুটোর ছাউনি আর বাঁশের বেড়া দিয়ে একটু মাথা গুজার ঠাঁই বলা চলে। জমিদার বিবেক নারায়ন তাদেরকে আপাতত থাকতে দিয়েছেন এখানে। তাই বলে যে তিনি চরম দয়ালু বা অমায়িক লোক তা ভাবার কোন কারন নেই। বরং ছলে বলে কৌশলে নিরিহ মানুষের জমি জমা হাতিয়েই আজ তিনি জমিদার!! বাড়ির কিছুদূর সামনে একটা নদীর শাখা বয়ে গেছে। সেই নদীর তীর ধরে মাইল খানেক হাঁটলেই দেখা যাবে কয়েকটা ছোট ছোট পাথর। যার ভিতরে একটা পাথর হাসির খুব পছন্দ। খুব মন খারাপ হলে হাসি ওই পাথরটার উপরে এসে বসে থাকে। কখোনো হাসে, কখোনো কাঁদে! কখোনোবা কথা বলে নদীর সাথে। হাসি ছিলো অসম্ভব গুনবতি, সত্যবাদী, সহজ সরল একটি কিশোরী। তার এই ১৬ বছর বয়সে কোনদিনও এতটুকু মনমালিন্যতা তৈরি হয়নি কারো সাথে। অথচ কে জানতো এই হাসি একদিন সমস্ত দুনিয়ার মানুষের কাছে হবে পরম শত্রু!!!

হাসি ওই পাথর টার পাশে একদিন একটা অদ্ভুত ফুল আবিষ্কার করল! এই ফুল সে আগে কখোনো দেখেনি। নিকষ কালো বলতে যা বোঝায় ফুলটির রং তেমনি কুচকুচে কালো। এমন কোন ফুল নেই যার সাথে এই ফুলটার আকৃতির কোন মিল আছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো রাতারাতি এখানে এই ফুল জন্মালো কিভাবে!! তাও আবার একটি নয়! প্রায় গোটা দশেক ফুল ফুটে আছে গাছটিতে। ভালো করে ভেবে দেখলো হাসি - গতকালকেও সে এখানে এসেছিল, কিন্তু কই কোন ফুল তো ছিলো না!! তবে ফুলটার একটা অসাধারণ আকর্ষণ ক্ষমতা আছে বলতে হবে। হাসি এক পলকে ফুল গুলোর দিকে চেয়ে রয়েছে। কি অসম্ভব সুন্দর!! কি করবে সে? একটা ফুল কি ছিঁড়বে? নাহ ছেঁড়ার দরকার নেই, বরং শিকর সুদ্ধ গাছটাকে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে লাগাবে। গাছের গোড়া ধরে টানতেই উঠে এলো গাছটা!! .... আর এই প্রথম সে পেলো অবিস্মরণীয় অদ্ভুত একটা গন্ধ!! কি সুন্দর মিষ্টি সেই গন্ধ!! যেন কোথায় হারিয়ে যায় মন, বুকের ভিতরে জমে থাকা কষ্ট গুলো কোথায় যেন মিলিয়ে যায়। এক অদ্ভুত বিক্রিয়া ঘটে মস্তিষ্কে। ভালো হয়ে যায় মন, পবিত্র হয়ে যায় বিবেক, জেগে ওঠে ঘুমন্ত মনুষত্য, বিদ্রোহী হয়ে ওঠে সৎ সাহসে। কি অদ্ভুত ক্ষমতা এই ফুলের!! কি চমৎকার অলৌকিকতা এর গন্ধে!! হাসি অবাক হয়ে যায়!! তার শরীরের সমস্ত শিরা উপশিরা দিয়ে প্রবল বেগে কোন পবিত্র শক্তি বয়ে চলেছে। তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত যেন পরিশুদ্ধ করে দিচ্ছে ওই গন্ধ!! শরীরের ওজন কমে যাচ্ছে! মেজাজ ফুরফুরে হয়ে যাচ্ছে!! এক অজানা সুখ, এক অজানা আনন্দ তাকে গ্রাস করছে ধিরে ধিরে!! পৃথিবীতে যেনো তার থেকে সুখী, তার থেকে ধনী আর কেউ নেই!! হাসি ক্রমেই বুঝতে পারে এ কোন সাধারণ ফুল নয়!! এই ফুলের গন্ধে বদলে যাবে মানুষ!! পাল্টে যাবে দুনিয়া!!! দুনিয়ার সমস্ত মন্দ লোক এই ফুলের গন্ধে ভালো হয়ে যাবে!! থেমে যাবে দুনিয়ার সমস্ত অন্যায়!! শত্রু, মিত্রে পরিণত হবে, চোর চুরি করা ছেরে দিবে, জমিদার যার যার জমি ফিরিয়ে দিবে, ধর্ষক আর কোন মেয়ের দিকে কুদৃষ্টি দিবে না, কোন রাজা তার প্রজাদের প্রতি অবিচার করবে না!! পুরো দুনিয়াটা চলবে ঠিক তেমন, যেমনটা সৃষ্টিকর্তা চান!!
হাসি নিজেই ফুলের নাম দিল "হাসমতি" ফুল।


******************************************************


একে একে গ্রামের অনেক মানুষ আসতে থাকলো হাসিদের বাড়ি। সেই অদ্ভূত মায়াবী ফুলটাকে একনজর দেখার জন্য, দম ভরে ওর মায়াবী ঘ্রাণ নেয়ার জন্য। ফুল গাছটা হাসি তাদের উঠোনে লাগিয়েছিল। বিষ্ময়কর ব্যাপার হলো দিন দিন গাছের সংখ্যা বাড়তে থাকলো!! আপনা আপনি প্রাকৃতিক নির্দেশে যেন একটি গাছ আরেকটি গাছের জন্ম দিচ্ছে! যেনো প্রকৃতি পরম যত্নে একের পর এক পৃথিবীর মানুষকে কলঙ্ক মুক্ত করার ওষুধ রোপণ করে চলেছে!! ফুলে ফুলে ছেয়ে গেলো তাদের উঠোনটা। কিন্তু তার পরেও ফুলের গন্ধ টা যেন তার গর্ভের ভিতরেই সুরক্ষিত। যতক্ষণ না ফুল টাকে নাকের খুব কাছে আনা হয়, ততক্ষণ সে তার রহস্য ঘেরা মায়াবীজাল বিস্তার করেনা।

হাসমতি ফুলের জাদু সবার আগে তার বাবাকে প্রয়োগ করে হাসি। সেদিন সন্ধ্যায় যখন ফুল গাছটা হাতে নিয়ে বাসায় ফেরে , তখন লিয়াকত মাচার উপরে বসে গাঁজার পাইপে টান দিচ্ছিল। এক নজর মেয়ের দিকে চেয়েই আবার গাঁজায় মনোনিবেশ করল। এক গাল গাড়ো ধোঁয়া ছারতে ছারতে বলল -
"তোর হাতে ওইডা কি রে মা?"
"তোমার অতো জেনে কাম নাই বাপজান, তুমি বরং এক বালতি পানি নিয়ে আসো আমি এইটা উঠোনে লাগাবো" বাবাকে বলল হাসি।
"সে নাহয় বুজলুম, কিন্তু কিসের গাছ ওটা বলবি তো নাকি!!"
"এটা হইলো হাসমতি ফুল! এই ফুলের কাম হইলো মানুষ রে হাসিখুশি রাখা"
গাছটা রোপণ করার পর হাসি তার মা মুশলি কে ডাক দিলো। মুশলি ভেড়া গুলো দড়ি দিয়ে বেধে সবেমাত্র রান্না চাপিয়েছে রাতের জন্য। সে বিরক্তি নিয়ে বলল -
"তগো বাপ বেডির মামলায় মুই নাই!! আমি হইলাম তগো শত্তুর, তর বাপেরো শত্তুর, তরো শত্তুর!! কি পোড়া কপাল নিয়া যে সংসার বাধছিলাম ওই মাতালডার লগে উপরওয়ালাই জানে!!"
হাসি অভিমানী মার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসলো গাছটার কাছে। মুশলি কিছুটা আহ্লাদ মাখা, কিন্তু বিরক্তির সুরে বলল -
"ছার ছ্যামরি!! ব্যথা পাইতেছি তো!!"
গাছটার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো মুশলি। মাঝখানে হাসমতি, আর তাকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে - হাসি, লিয়াকত আর মুশলি। লিয়াকত আর মুশলি এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে ফুল গুলোর দিকে। কোন এক অজানা মোহে জ্বলজ্বল করছে তাদের চোখ ! হাসি নিরবতা ভেঙে বলল -
"ফুলটা তোমরা একটু শুকে দেখ কি চমৎকার"
"আমার ওতো গন্দ শুইকা কাম নাই!!" বলে মুশলি ফিরে গেলো তার রান্নার কাজে!!
কিন্তু ততক্ষণে লিয়াকত একটা ফুল নাকে চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে বসে আছে। কোন এক সর্গীয় সুখের ছাপ ফুটে উঠেছে তার চোখে মুখে। হাসি পাশে বসে বাবার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলল -
"বাজান, গন্ধ টা ভালা না?"
লিয়াকত চিৎ হয়ে মাটিতে শুয়ে পরল! এক অনাবিল আনন্দে ছটফট করছে সে! হঠাৎ উঠে গিয়ে মুশলির হাত চেপে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল লিয়াকত!! -
"বউ, আমারে তুই ক্ষমা কর বউ!! এই তোর মাথার দিব্যি আর কোনদিন নেশা করুম না!! আর কোনদিন তরে কষ্ট দিমু না"!!
মুশলি হকচকিয়ে গেলো!! সেও আবেগে আপ্লুত হয়ে পরল! লিয়াকত কে বুকের মধ্যে চেপে ধরে বলল -
"ও হাসির বাপ কি হইলো তোমার? এমুন করতাছো ক্যান?? ওও হাসি কি হইলো তোর বাপের??"
---------------------------
ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পৌছে গেছে জমিদার বিবেক নারায়নের কানে!! তামুকের পাইপে ঘনঘন টান দিচ্ছেন তিনি। প্রচন্ড দুঃচিন্তা কাজ করছে তার সমস্ত মস্তিষ্ক জুরে। গ্রামের সমস্ত মানুষ সৎ, নির্ভিক, নিষ্ঠাবান হয়ে যাবে? সবাই সোজা পথে হাটবে? কেউ তার মিথ্যা হুংকার কে ভয় পাবেনা? যে চাকরদেরকে এতদিন দুধ কলা দিয়ে পুষেছে তারা কিনা জীবন চলে গেলেও তার কথার কোন তোয়াজ করবে না? যে গুন্ডা গুলো সে ব্যবহার করত তার বিরুদ্ধে আঙ্গুল উচু কারীর হাত কেটে নেয়ার জন্য, তারাও অস্ত্র ফেলে দিয়ে ধরবে সোজা সরল শান্তির পথ??? না না না!!! এ হতে পারে না!!! এ কিছুতেই হতে দেওয়া যায় না!!! দুনিয়ার সবাই ভালো হয়ে গেলে, সবাই সমান অধিকার পেলে কেউ আর ছেলাম ঠুকবে না তাকে!!! তাদের মত সম্পদশালী হর্তাকর্তাদের!!
নাহ ...মন্দ লোকের প্রয়োজন আছে!! খুনি, সন্ত্রাসীদের প্রয়োজন আছে!! মিথ্যাবাদি লোকের প্রয়োজন আছে!!! যারা মিথ্যা বলবে জমিদারের জন্য, খুন করবে রাজার জন্য, বোকা মূর্খ মনুষদের অত্যাচার করবে দেশের ক্ষমতাশীল ধনীদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য!!!

কিছু তো একটা করতেই হবে! "যে ভাবেই হোক ওই হাসমতি ফুল আর ওই হাসিরে দুনিয়ার থিক্কা নির্মুল করতে হইবো।" আপন মনেই ফিসফিস করল জমিদার বিবেক নারায়ন।

--------------------সমাপ্ত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

তারেক ফাহিম বলেছেন: হাসমতি ফুল...........
আছে ভাই, আমার লাগবে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

নাঈম ফয়সাল নয়ন বলেছেন: হাহাহা, থাকলে গল্প না লিখে ওই ফুলের ব্যাবসা করতাম ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.