নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের রং

আসাদ ইসলাম নয়ন

লেখক ও পরিচালক ।

আসাদ ইসলাম নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের দাবীদার দের একজন

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:১৪

যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের দাবীদার দের একজন হবেন ডাঃ বেঞ্জামিন কার্সন । যদি ডাঃ বেঞ্জামিন কার্সন জেতেন সেক্ষেত্রে একটা ইতিহাস তৈরি হবে। সত্তরের দশকে মন্দার কবলে পড়া ডেট্রয়েটে সিঙ্গল মমের ছায়ায় বেড়ে ওঠা হতদরিদ্র পরিবারের ছেলের মহীরুহ হয়ে ওঠা রূপকথাকে হার মানানো বাস্তব উপাখ্যান। বাড়িতে, বাড়িতে আয়ার কাজ করে দুই ভাইকে বড় করে তুলেছিলেন উনার মা সোনিয়া। মায়ের প্রভাব ডাঃ কার্সনের লেখায় বার বার এসেছে। অ্যামেরিকার সত্যিকারের কালো মানুষের জয়ের গল্প। ওবামা কোন দিনই এই শিখর ছুঁতে পারবেন না। ডাঃ বেঞ্জামিন কার্সনের সম্পর্কে লিখতে গেলে আবেগ আটকান অসম্ভব। উনার নিজের জীবনী পড়তে পড়তে অজান্তেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে – এভাবেও ফিরে আসা যায়। যেখানে থেকে শুরু করে উনি বিশ্ববিখ্যাত জন হপকিন্সে শিশুবিভাগে চীফ নিউরোসার্জন হন মাত্র ৩২ বছর বয়েসে সেটার অডস রেশিও এক অর্বুদাংশে মাপা যাবে না। মাত্র ৩২, যে বয়েসে অধিকাংশ লোকে হাল ফ্যাশানের গাড়ীতে প্রেমিকার সাথে ডেটিং-এ যায়, সেই বয়েসে উনি বাচ্চাদের নতুন করে জীবন দিচ্ছেন, বাঁচাতে শেখাচ্ছেন। মনে রাখতে হবে সে সময় আমেরিকায় বর্নবিদ্বেষ পুরোমাত্রায় রয়েছে, তার মধ্যে তিনি শিখর ছুঁলেন, নিজের আত্মপরিচয় বজায় রেখেই করেছেন। কিন্তু সাফল্য উনাকে বিভ্রান্ত করতে পারেননি – নিজের বিশ্বাস থেকে একচুলও নড়াতে পারেনি তাঁকে। “তুমি ঈশ্বরবিশ্বাসী” এটা জানলে কপালে জুটবে পরিহাস, বাছা বাছা মন্তব্যর বন্যা বয়ে যাবে সেখানে উনি সবসময় নিজের যুক্তি এবং বিশ্বাস দুটোর ক্ষেত্রেই অনমনীয়, অটল থেকেছেন।নো কম্প্রোমাইজ।
আমেরিকায় রাজনীতি মানে টাকার খেলা – ভারতে যেটাকে “ঘুষ” বলে এখানে সেটাকেই রাজনৈতিক মান্যতা দিতে ‘লবি’ করা বোঝায়। অ্যামেরিকায় গৃহযুদ্ধের (১৮৬৫) পর ১৮৬৯ সালে জেনারেল গ্রান্ট প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। হোটেলের লবিতে বিভিন্ন কোম্পাণীর এজেন্টরা উনাকে উৎকোচের বিনিময়ে নিজেদের কোম্পানির জন্য সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নিতেন; সেখান থেকেই “লবিইং” কথাটির উৎপত্তি। প্রত্যেক প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে টাকার পরিমাণ উত্তরোত্তর বেড়েছে। হিলারি ক্লিন্টন – জেব বুশ এঁরা গলা অব্দি লবির টাকায় ডুবে আছেন। এরকম আবহে, ডাঃ কার্সন যেভাবে উঠে এসেছেন সেটা অজস্র সাধারণ মানুষের সাহায্য ছাড়া হত না। এখানেই উনি আলাদা। কোন প্ররোচনা–প্রলোভনে নিজের নীতির প্রসঙ্গে আপস করেননি। টাকার কথাই যখন উঠল সে প্রসঙ্গে রিয়েল এস্টেট টাইকুন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাও আসবে কিন্তু সেটা আলাদা করে বলার ইচ্ছে রইল। আজকে ডাঃ কার্সনের একটা উক্তি দিয়ে শেষ করি। এখানে রাজনীতিকদের খোলা জায়গায় বিতর্ক করে নিজের মতামত জানাতে হয় সেটাই দস্তুর। উপস্থাপিকা মেগান কেলি উনাকে প্রশ্ন রেখেছিলেন আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে সম্পর্ক কোনদিকে যাচ্ছে? ডাঃ কার্সন যে উত্তরটা দিয়েছিলেন সেটা শুনে সারা স্টেডিয়াম স্বতঃস্ফূর্ত হাততালিতে ফেটে পড়ে। উনি বলেছিলেন – “আমি একজন নিউরোসার্জেন। আমি রোগীর চামড়ার রং, চুলের কালার, নখের শেপ দেখি না...আমি দেখি ভেতরের মানুষটাকে ; দেখি তার মস্তিস্ক- স্নায়ুতন্ত্র!” এই হলেন ডাঃ বেঞ্জামিন কার্সন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৩৩

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
Carson kokhonoi jitbena, apni ki shopno dekhchen?

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

সাবু ছেেল বলেছেন: Nest President Will Be Donald Trump.

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

সাবু ছেেল বলেছেন: next not nest

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.