নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল]

স্বপ্ন থেকে বাস্তবকে বড্ড ভালোবাসি আমি.......

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাঙ্গা মন; ভঙ্গুর সমাজ.....

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬



সম্পর্ক কিংবা সংসার; একটা ছেলে যদি উদাসীন কিংবা উড়নচণ্ডী হয়, তবুও টিকিয়ে রাখা সম্ভব। একটা মেয়ে চাইলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে কাজটা সফলতার সাথে করতে পারে, যদি সে কমিটেড হয়। কারন মেয়েদের মধ্যে স্রষ্টা অসাধারণ কিছু ক্ষমতা দিয়েছেন; দিয়েছেন মায়া। তাই একটা ছেলে সময়ের স্রোতে উপলব্ধি করতে বাধ্য, সে যে ভুল।
.
কিন্তু সংসার কিংবা সম্পর্কে একটা মেয়েই যদি হয় উদাসীন কিংবা উড়নচণ্ডী?
ঐ সংসার কিংবা সম্পর্ক ভাঙ্গতে বাধ্য; লিখে রাখুন। একটা ছেলে যতোই চাক, যে ভাবেই চাক; বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই টিকাতে পারবে না বন্ধনটি! কারন পাথরে ফুল ফোটানোর ক্ষমতা হাজারে হয়তো একটা ছেলেকেও দেননি স্রষ্টা; যা প্রতিটা মেয়েকে দিয়েছেন।
.
প্রশ্ন করতে পারেন, কি ভাবে? এসব কথার ভিত্তি কি? আমাদের বাপ-দাদাদের আমল দেখুন। তখন কি সব ছেলে/পুরুষ দুধে ধোয়া তুলসী ছিলো? মোটেই তেমন না। বরং তারা সংসারী হতে বাধ্য হয়েছিলেন ঘরে থাকা লক্ষী প্রতিমা প্রেয়সী মায়ায়। আর এখন কি হচ্ছে? কোর্টের বারান্দায় রিলিফ গ্রহনের মতো ডির্ভোসের লাইন। আর প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক ভাঙ্গাটাতো সকালে উঠে পেট পরিষ্কার করতে টয়লেটে যাবার মতোই। করান কি জানেন? মায়ার যাদুতে সম্পর্কের অপর মানুষ এবং সম্পর্কটি মুগ্ধ করে রাখার কথা ছিলো যার/যাদের, তারাই আজ মায়াহীন হয়ে গেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। মায়াবীরা আজ উশৃঙ্খল জীবনকেই কেন যেন বেছে নিতে বেশি আগ্রহী। তারা আজ মুক্ত-অবাধ স্বাধীনতার জীবন পেতে মরিয়া। তারা ছুটছে তো ছুটছেই, আকাশকে ছুঁয়ে দিতে; শিকড়কে ছাড়িয়ে, শিকড়ের মায়া ছেড়ে!


ছবি: সংগৃহীত

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কথাটা খারাপ বলেননি।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: হম

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: B:-) B:-)

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মুল ব্যক্তব্য কি?

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: সমাজের এক ক্ষয়িষ্ণু এবং ক্রম পচনশীল অধঃপতনের চিত্র তুলে ধরা।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

নাহিদ০৯ বলেছেন: পড়লাম, ভালো লাগলো। কিন্তু কথার কোন মূল বক্তব্য খুঁজে পেলাম না।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: সমাজের এক ক্ষয়িষ্ণু এবং ক্রম পচনশীল অধঃপতনের চিত্র তুলে ধরা। ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মন্দ বলেননি। তবে এসব কথা এইযুগে কেউ শুনবে না। আর শুনবার মতো কথাও না।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: এ যুগেও এখনো প্রচুর ভালো মানুষ রয়েছে; যারা উন্নত চিন্তা এবং মননের অধিকারি। তারা অন্নত এসব থেকে মুক্তি চায়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, মুক্তির পথটা আমাদের অজানা!

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

কানিজ রিনা বলেছেন: আগেও ছেলেরা ধোয়া তুলশিপাতা ছিলনা।
শিক্ষাদিক্ষায়ও কম ছিল ধর্ম নামের একটা
ন্যায় নীতি ছিল না পড়ে না জেনেও
ময়মুরব্বির মুখে মুখে শুনেও ভয় পেত।
যে ছেলে যত উচ্ছৃংখল ছিল বিয়ে করানোর
পড় বউ লক্ষী পেয়ে খুশি হতো সংশারের
হালধরতে বাধ্য হত বাবা চাচার দায় কাঁধে
তুলে নিত। একটি মেয়ের বেলায়ও তাই এইট
নাইন পড়তে আমাদের স্কুলের তিনভাগ মেয়ে
বিয়ে হয়ে যেত। মাত্র একভাগ মেয়ে আমরা
কলেজে পড়েছি। এত কম শিক্ষিত মেয়েরা
সংশার করেছে ময় মুরব্বি যা শিখিয়েছে
মুখে তাই মেনে নিয়ে সংশারের হাল ধরেছে।
স্বামী দেবতা যতই দাজ্জাল হোক অবাধ্য
হওয়ার মত পাপ আর নাই।
কিন্তু এখন মেয়েরা শিক্ষিত হয়েছে চাকুরী
করছে স্বামীকে আর্থিক সহায়তা করছে।
যেখানে সংশারে দাসীর মত খাটলেও খাওয়া
পড়ার খুটা শুনতে হয় সংশারের কাজে কোনও
অর্থ আসেনা, এখন শিক্ষিত নারীরা তা ভাল
মত বুঝে গেছে। যুগ পরিবর্তন হয়েছে মানুষীকতা পরিবর্তন এসেছে। গার্মেন্সে চাকুরী
করে কত কত মেয়ে মা বাবা ভাইবোনকে
স্বামী সন্তান চালাচ্ছে। তবে আজকাল অত্যাচারী স্বামী মেয়েরা মেনে নেয়না সুখি
হবেনা জেনে আগেই ডিভোর্সের দিকে আগায়।
তবে উচ্ছৃংখল নারী নাই বললে ভুল হবে।
ছেলেদের পাশাপাশি নারীর অবনতি বেড়েছে
পার্ক রিসোর্টে গেলেই দেখা যায়। কলেজ
ভার্সিটির মেয়েরা বাবা মার আওতার বাইড়ে
গিয়ে কি করছে বাবা মা গ্রামে, ছেলে মেয়ে
পড়তে পাঠিয়েছে শহরের কলেজে ভার্সিটিতে
তারপর আর কি ঘটছে তা জানা নাই।
ইদানিং নেশা দ্রব্য কলেজ ভার্সিটির ছেলেরাই
আকৃষ্ট বেশী হচ্ছে সাথে মেয়েরাও জড়িয়ে
যাচ্ছে, এখন বলুন এসব ছেলে মেয়েরা
সংশার জীবনে টেকসই হয় কেমন করে।
সব মিলে নেট দুনিয়া আমাদের সামাজিকতায়
ধস নেমেছে। আর কি বলব দোশ কোথায়
নারী শিক্ষা শিক্ষিত মা শিক্ষিত জাতীী।
উল্টে বলতে হবে উচ্ছৃংখল মা উচ্ছৃংখল
জাতী। তবে সবসহ বলা হয়ত ঠিক হবেনা।
ধন্যবাদ আপনার যুক্তি ঠিক আছে কিন্তু
একতরফা বলেছেন। ছেলেরা বাঘ মেয়েরা
হরিণ হয়ে চলার দিন শেষ। তথাপি মেয়েরা
ধর্ষিত যৌতুকের বলি আত্বহত্বার পথ বেছেনেয়।
কেন জরীপ করলে দেখা যায় এর জন্য
পুরুষরাই দায়ী।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: ১. আমি লেখাটার কোথায় একতরফা ভাবে মেয়েদের দোষ দিলাম! বরং লেখাটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তো এককথায় ছেলেদেরকেই একরকম কাঠগড়ায় তুললাম। শুধু এটুকুই উল্যেখ করতে বাকি রেখেছি যে সব যুগেই (অতীত এবং বর্তমান) ছেলেরা উড়নচণ্ডী টাইপের ছিলো। অথচ মেয়েদের ক্ষেত্রে বলেছি বাপ দাদাদের যুগে তারা ছিলো মায়াবী; যে বাধনে তারা ছেলেদেরকেও বাধতো। কিন্তু বর্তমানে তারাও (মেয়েরা) উড়নচণ্ডী হয়ে উঠছে।
.
২. শুধু নারী নির্যাতনের কারনে কয়টা সংসার ভাঙে বর্তমানে, আপনি সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারবেন? বরং দশ থেকে বারোটা ডির্ভোস কেস কাছ থেকে জানার সুবাধে এটা বলতে পারি, বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ডির্ভোসের কারন পরকীয়া, যার প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ ভাগেই জড়িত নারীটির অন্য কোন পুরুষের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া সংক্রান্ত পারিবারিক অশান্তির জের। এই ৪৫ থেকে ৫৫ ভাগের প্রায় ৮৫ শতাংশের বেশি নারী বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়ায় মূলত প্রাক্তন প্রেমিক কিংবা অফিসের কলিগের সাথে। আপনি নিজে কথাটার সত্যতা জনার জন্য ডির্ভোসের ঘটনাগুলোর গভীরে যেয়ে দেখতে পারেন, ব্যাপারটা আরো খোলাসা হবে।
.
৩. আপনাকে একটা ছোট্ট উদহারণ দিচ্ছি। আমার পরিচিত এক বড়ো ভাই প্রতিদিন অফিসে যাবার সময় বাইকে করে স্ত্রীকে তার (স্ত্রীর) অফিসে ড্রপ করে দিয়ে যায়। আর স্ত্রী অফিসের কলিগের সাথে প্রেমে মেতে! ভাই যখন বিষয়টা জানতে পারলেন, স্ত্রীকে জিজ্ঞাস করতেই স্ত্রীর সোজাসাপ্টা উত্তর, "তোমার পোষালে থাকো। আর না পোষালে ডির্ভোস দাও।"
.
৪. সব যুগেই খারাপ এবং ভালো ছিলো। সমাজে এখনো প্রচুর ভালো ছেলে এবং মেয়ে রয়েছে। আমার এই লেখাটার উদ্দেশ্য খারাপদের কথাটাই তুলে ধরা। তাই লেখাটা সৎ এবং ভালো মননের কাউকে আঘাত করবেনা এটাই আশা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.