নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/nazmulhasanmajumder

নাজমুল হাসান মজুমদার

আবার আসবে তুমি নিশুতি প্রেমে , বুকের পাঁজরে বাজি ফোটাবে তুলকালাম মেঘের । জানালা বন্ধ করলে তুমি আরও ঘিরে ধরবে বেশি করে, এক কোটি বছরের গল্প করবে https://www.facebook.com/nazmulhasanmajumder

নাজমুল হাসান মজুমদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রান্সের চলচ্চিত্র Train de Vie ( জীবনের ট্রেন ) যেখানে জীবন একটা ট্রেন !!!!

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০১







ফরাসি ভাষায় Train de Vie এর ইংরেজি অর্থ Train of life , যার বাংলা হচ্ছে “জীবনের ট্রেন” । বহতা নদীর মতন জীবনটাকে একটা চলন্ত ট্রেনের সাথে তুলনা করলে , সেই ট্রেন একটা সময় কোন একটা গন্তব্য বেছে নেবে । অম্ল-মধুর সেই গন্তব্য মানুষের জীবনে কতটা আপন হয়? জীবনটাকে মানুষ কতটা ভালোবাসে ? তা হয়ত মানুষ ঠিক উপলব্দি করে আবার করেনা । কবির লেখা কবিতায় কি আসলেই জীবনের পুরো রং টা উঠে আসে নাকি জীবনটা কোন রৈখিকতা পায় ? সেই ব্যাখ্যায় জীবনটা অন্যরকম পরিণতি পায় । গল্পের স্বাদ জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকে , তাতে জীবনের মুহূর্তগুলোই উঠে আসতে থাকে । জীবন কোন অর্থ খুঁজে পেতে চায় জীবনের মাঝেই । মানুষ সুন্দর একটা জীবন প্রত্যাশা করতে ভালোবাসে । আর সেই প্রত্যাশা নিয়ে ট্রেনের যাত্রীদের জীবনের কথা উঠে আসে ।







মধ্য ইউরোপের ছোট একটি গ্রাম । অন্য যেকোন সময় গ্রামটার মানুষের জীবনের ব্যস্ততা থাকতো শুধুই নিজেদের নিয়ে । কিন্তু কিছু মুহূর্ত আছে যা মানুষের মাঝে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে । মানুষ আর প্রতিদিনকার মতন তাদের স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করতে পারেনা । সময়ের স্রোতে মানুষকে নিজের পরিচিত ভুবন একসময় ছাড়তে হয় , সবকিছু নিজের মতন হয়না । পরিচিত আলো-বাতাস ছাড়তে হয় , ছাড়তে হয় নিজের বেড়ে ওঠা আবাসস্থলকে । জীবনটা এখানে অন্যরকম হয় , অন্যরকম সময় হয় । জীবনের মানে এখানে ভিন্নরকম ভিন্ন কিছু , ঠিক নিজের মতন সময় হয়না । সব যেন ঘটতে থাকে বৈপরীত্য ।







১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় । জার্মান নাৎসি বাহিনী ক্রমাগত ইহুদিদের হত্যা করছে ও বিভিন্ন এলাকা দখল করছে, আর এরকম একটা মুহূর্তে উদ্বিগ্ন মধ্য ইউরোপের একটা গ্রামের ইহুদি গ্রামবাসী বেঁচে থাকার জন্যে উপায় খুঁজতে থাকে । তাদের স্বাভাবিক জীবনেও ছন্দপতন ঘটে । তারা জানতে পারে ইহুদি হওয়ার অপরাধে জার্মান নাৎসি বাহিনীর কাছে তাদেরও হত্যার স্বীকার হতে হবে । তারা তাদের গ্রামের দিকেই এগিয়ে আসছে । গ্রামের নেতৃত্বস্থানীয়রা ঠিক করে একটা ট্রেন তৈরি করবে , যে ট্রেন তাদের নাৎসি বাহিনীদের হাত থেকে রক্ষা করে পৌঁছে দেবে নিরাপদ স্থান প্যালেস্টাইনে ।







গন্তব্য কি আসলে এতই সহজ , যেখানে চারপাশে ক্রমাগত জার্মান নাৎসি বাহিনীর আধিপত্য । বেঁচে থাকার অর্থ এ মানুষগুলোর কাছে পালিয়ে বেড়ানো হয়ে ওঠে । নিজেরাই তৈরি করে ফেলে নিজেদের ট্রেন । স্মৃতির গ্রাম , শৈশব সবকিছু নিজেদের মনে বন্দী করে ক্রমাগত ট্রেন তৈরি করতে মরিয়া হয়ে ওঠে । একসময় তৈরিও হয়ে যায় । কিন্তু ট্রেন চালাবে কে !!! গ্রামের কেউইতো কখনো ট্রেন চালায়নি । অদ্ভুত অভিজ্ঞতা আর নিজেদের মাঝে শুরু হয় আলোচনা । নিজেদের মধ্যে একজন আনকোরা মানুষ ট্রেন চালানোর দায়িত্ব পায় । যে মানুষ একদম একা , যে শুধুই মানুষকে ভালোবাসে । কিন্তু সে জানেনা তার জন্যে আধো কেউ অপেক্ষায় আছে কিংবা নাই । কিন্তু তবুও সেই মানুষটা আনন্দ খোঁজে , বোকাসোকা মানুষটা ঝুঁকি নেয় সামনে থেকে ট্রেন চালনায় । তাকেই প্রথম স্বীকার হতে হবে হয়ত জার্মান নাৎসি বাহিনীর সম্মুখে । ঠিক যেন হাতের মুঠোয় অনেকগুলো পরিচিত মানুষের জীবনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেয়া । সাথে চলতে থাকে সময় থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা ।



Celluloid Diary



ট্রেনকে ঘিরে ঘটতে থাকে ঘটনা , অন্যদিকে নাৎসি বাহিনী হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকা । ফ্রেন্স ও জার্মান ভাষায় নির্মিত ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে । ভিন্ন ভাষার এ চলচ্চিত্রে উঠে আসে একের পর এক যুদ্ধের সময়ের কথা । পরিচালক রাদি মিহাইলিনু’র লেখা অবলম্বনে চলচ্চিত্রে প্রাণ পায় যুদ্ধের দিনের সাধারণ মানুষের জীবনের তীক্ষ্ণ অভিজ্ঞতা । গুচ্ছ গুচ্ছ বেদনার গল্প , সাথে প্রতিনিয়ত স্মৃতি হাতড়ে বেড়ানো ও অজানা আশংকা আর নিজেদের মাঝে উঠে আসা বন্ধন ।



মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫২

ডি মুন বলেছেন:
গল্পের স্বাদ জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকে , তাতে জীবনের মুহূর্তগুলোই উঠে আসতে থাকে । জীবন কোন অর্থ খুঁজে পেতে চায় জীবনের মাঝেই । মানুষ সুন্দর একটা জীবন প্রত্যাশা করতে ভালোবাসে । আর সেই প্রত্যাশা নিয়ে ট্রেনের যাত্রীদের জীবনের কথা উঠে আসে ।


--- কথাগুলো খুব ভালো লাগলো।

মুভিটা দেখা হয়নি। আসলে ফ্রেঞ্চ মুভির সাথে তেমন সখ্যতা নেই। এই মুভিটি সম্পর্কে জেনে ভালো লাগল। ইনশাআল্লাহ দেখে নেব।

+++

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন :)

২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা ডি মুন ভাই ।


ভালো থাকবেন :)

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১১

টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা। যদিও মুভিটি দেখা হয়নি আপনার উপস্থাপনায় দেখা হল। কঠিন মুভিগুলো আমি একটু কমই দেখি। লিপ ইয়ার জাতীয় মত চকলেটি মুভি গুলোই আমার বেশি দেখা হয়।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা

ভালো থাকবেন :)

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৫৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মুভিটার ভিতরের কথাগুলো সুন্দর করে তুলে এনেছেন। পাঠক মাত্রই মনে হয় লোভ জাগবে মুভিটা দেখে নেয়ার জন্য। সুযোগ পেলে হয়তো আমিও দেখবো। ভালো লাগলো নাজমুল। শুভ কামনা নিরন্তর।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা

ভালো থাকবেন :)

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

রোদেলা বলেছেন: যুদ্ধের ছবি আমার খুব কঠিন লাগে,সেদিন হিটলারকে নিয়ে একটা মুভি দেখছিলাম।শেষ দিকে খুব কান্না পাচ্ছিলো,নাম মনে নাই।আপনার রি-ভিউ খুব পরিষ্কার হয়েছে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা

ভালো থাকবেন :)

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: +++

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা

ভালো থাকবেন :)

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দেখা দরকার।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০২

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা

ভালো থাকবেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.