নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বিশ্বদ্যিালয়ের সম্ভ্রম লুট হয়ে যায়!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

আমি সেই উজ্জ্বল রিপোর্টারদের মুখগুলো কল্প করি আর হাসি---ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-অহঙ্কার- লুণ্ঠন করা বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাপ লুকাতে তারা কতটা ব্যস্ত। তাদের অনেকেই এখন গণমাধ্যম-নিউজ ম্যানেজার।
আবার তাদের কেউ জ্ঞান বিতরণ করেন এখানে ওখানে। অনেকে মাস্টর এবং আমলা। সবাই এখন-- আছি, টিকে আছি-- আমি টিকতে চাই! এতেই মগ্ন।

আমরা সবাই টিকে আছি। আর দিনে দুপুরে আমার বিশ্বদ্যিালয়ের সম্ভ্রম লুট হয়ে যায়। প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়, সেটি কিনে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হয়, অথর্বরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, রাজনীতি করে এরা শিক্ষকও হবে! --- আর আমরা একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর--- ।

এত বড় একটা কেলেঙ্কারির পরেও কারো পদত্যাগের আওয়াজ ওঠে না। কেউ নিজ থেকে নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে সরেও দাঁড়ান না। কী অদ্ভূত এবং ষণ্ডামির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে সময়!

এ ভাবেই প্রতিদিন লুট হয়ে যাওয়া আমার স্বপ্ন- রাজনীতির কাছে- মাথা নোয়াতে নোয়াতে মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে গেছে--- তখনো অসহায়ভাবে চেয়ে দেখে ক্যাম্পাস-- সে সব বিশ্ববিদ্যালয় রিপাের্টাররা তখনো নতুন যুক্তি খাড়া করায়--- লিখে কি হবে। বলেও কিছু হবে না।

অথচ এরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসিকে বলেছিল ' জানোয়ার'। এরাই একজন শিক্ষককে বলেছিল 'হামাস'। এরাই একজন শিক্ষিকাকে বলেছিল 'ডাইনি'। ভালো করেই এরা জানে। এরা শিক্ষক সমিতিতে দলীয় কুস্তিকে বাহবা দিয়েছে। এরাই প্রগতির কথা বলে ক্যাম্পাসে নুইসেন্সকে জায়েজ ঘোষনা করতে বাধ্য করেছে। আর এখন এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা লুট হয়ে যায়, প্রশাসন নীরব হয়ে থাকে, তাকেও সমর্থন করে যায়, নিয়তই যায়।


আমি জানি এ লেখা আমার সাথে তাদের দূরত্বকে দীর্ঘতর করবে। তাতে কি--- তবুও আমি সত্যের পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো--- এটাই আমার জীবনের এক এবং একমাত্র অবলম্বন। সব তকমা সয়ে আমি ছিলাম অন্যায়ের বিপক্ষে-- আছি-- জেগে আছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৬

কালীদাস বলেছেন: একেকটা বালের আগার জীবনের একমাত্র সাফল্য হল কোনমতে একবার ঢাকা ইউনির টিচারের তকমাটা গায়ে লাগানোর। এরপর মরার আগ পর্যন্ত কোন ডেভেলপমেন্ট নেই, সেলফ এসেসমেন্টের ধারও ধরার প্রয়োজন নেই। পেপারে চিঠি লেখে সেটাকে পাবলিশড আর্টিকেল দেখিয়ে প্রমোশন পাওয়া যায়। আর আছে কতগুলা বাপমায়ের এবরশন করে ফেলে দেওয়া উচিত টাইপের ধোনের পলিটিশিয়ান।

এই দুই পার্টির ধর্ষণের শিকার হতে হতে আমার ইউনির নিম্নাঙ্গ বলে আর কিছুই অবশিষ্ট নাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.