নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তামাক পণ্যের বাজার লাগামহীন, এক অর্থবছরেই বাড়বে ৫ হাজার কোটি টাকা!

০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে তামাক পণ্যের বাজার ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তাও এটি বৈধভাবে বিক্রয় হওয়া তামাক পণ্য থেকে প্রাপ্ত সারচার্জের ভিত্তিতে হিসাব করা। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এর পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস।

দি ইনডিপেনডেন্টেরর সাথে আলাপকালে মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলছেন, তামাক পণ্যের ওপর করারোপ বৃদ্ধি এবং এ সম্পর্কিত সচেতনতা তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারলে এ বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার তথ্য অনুযায়ী, দেশে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে তামাকে আসক্তি উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। দেশে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের প্রায় ৭ শতাংশ ধূমপান করে।

সরকার তামাকপণ্যের ওপর ১ শতাংশ হারে সারচার্জ আদায় করে থাকে। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে এ খাত থেকে ২৫০ কোটি টাকা আয় করেছে। স্বাস্থ্য উন্নয়নে এই সারচার্জ আদায় করে থাকে সরকার।

জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক আবু আজম বলেছেন, উচ্চ মাত্রায় তামাক সেবন, অপুষ্টি, কায়িক শ্রমে অনীহা, উচ্চ রক্তচাপ, এগুলো অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। এর সঙ্গে বায়ুদূষণ, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও জীবনযাপন প্রণালিতে পরিবর্তন অসংক্রামক রোগের বোঝা বাড়াচ্ছে।

২০০৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার Impact of Tobaccco related in illness Bangladesh বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ বৎসর এর বেশী জনগোষ্ঠীর ৫৭,০০০ জন মৃত্যুবরণ করে ।

এ রকম প্রেক্ষাপটে তামাকজাত পণ্যের উপর বেসরকারি সংস্থা প্রজ্ঞা'র নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জোবায়ের বলছেন, তামাকের ব্যবহার কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হবে কর বৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্য বাড়ানো। এতে উচ্চমূল্য তরুণদের তামাক ব্যবহার থেকে নিরুৎসাহিত করবে এবং বর্তমান ব্যবহারকারীদের তামাক ছাড়তে সহায়তা করবে।

তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন তামাকপণ্যের ওপর কর বাড়ানোর সুপারিশ করে বলেছে, প্রতি ১০ শলাকার নিম্নস্তরের সিগারেটের প্যাকেটে ২৫.৯৫, উচ্চস্তরের সিগারেটে ৪৯.৬০ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটে ৮২ ধারা কর আরোপ করতে হবে। এর বাইরে সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল থাকবে। একই সঙ্গে নিম্নস্তরে ১০ সিগারেটের প্যাকেটের খুচরা মূল্য ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০, উচ্চস্তরের প্যাকেট মূল্য ৪০ ও প্রিমিয়াম স্তরের মূল্য ১২০ টাকা করতে হবে। এতে সরকার সিগারেট থেকে পাঁচ হাজার ২০০ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব পাবে।

২৫ শলাকার বিড়ির ওপর ১০.১৩ টাকা এক্সাইজ কর আরোপ করে প্যাকেটের খুচরা মূল্য ১০.৬১ থেকে বাড়িয়ে ২২.৩০ টাকা করার প্রস্তাব করে প্রজ্ঞা বলেছে, এর ফলে বিড়ি থেকে অতিরিক্ত এক হাজার ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার। এ ছাড়া ধোঁয়াবিহীন তামাক-জর্দা ও গুলের প্রতি ২০ গ্রামের ওপর ১৬ টাকা এক্সাইজ কর আরোপের প্রস্তাব করে তারা বলেছে, ২০ গ্রামের ধোঁয়াবিহীন তামাকের খুচরা মূল্য কমপক্ষে ৩২ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে, বর্তমানে তামাক খাত থেকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ বছরে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পাওয়া যাচ্ছে। এর ৯৮ শতাংশই আসে সিগারেট খাত থেকে। বাকি ২ শতাংশের মধ্যে বিড়ি থেকে দেড় শতাংশ এবং জর্দা, গুলসহ ধোঁয়াবিহীন তামাক থেকে আসে দশমিক ৫ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান জানান, এনবিআর তামাক খাত থেকে মোট রাজস্বের প্রায় ১০ শতাংশ পেয়ে থাকে। তামাক কোম্পানিগুলো খুবই প্রভাবশালী। এ ছাড়া রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে তামাক কোম্পানিগুলোর অনেক অন্যায় আবদারই এনবিআর মেনে নেয় । এ অবস্থায় একটি সামাজিক প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে। যারা সমাজের এ তামাকবিরোধী কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও), বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, ধূমপায়ীর সংখ্যা ও ধূমপানের পরিমাণ কমাতে হলে বিড়ি-সিগারেটের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই। বিভিন্ন বৈশ্বিক গবেষণায় দেখা গেছে, সিগারেটের প্রকৃত মূল্য ১০ শতাংশ হারে বাড়লে ৮ শতাংশ হারে বিক্রি কমে।

অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ The independent কে বলেন, তামাকপণ্যের ওপর অধিকহারে কর বাড়ানোর বিকল্প নেই। তা ছাড়া সিগারেটে করারোপের ক্ষেত্রে মূল্যস্তর তুলে দিতে হবে। কেননা এক ধাপের সিগারেটের দাম বাড়লে মানুষ অন্যটিতে যেতে পারে। এ জন্য যখন সব তামাকপণ্যের দাম বাড়বে তখন এর ব্যবহার কমে আসবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সরকার জনস্বাস্থ্য এবং জনস্বার্থ বিনেচনা করে তামাক পণ্যের নিয়ন্ত্রণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন,২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ তামাক মুক্ত হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তামাকই একমাত্র মাদক, যার সেবন, উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত ও সরবরাহ আইনত ১০০% বৈধ।

০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৭

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম। সত্য ভাই।

২| ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৫২

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: লন্ডন স্টুডেট অবস্থায় যত পাউন্ড খরচ করে সিগারেট কিনসে ফ্রেন্ডরা ভয় লাগতো
বাংলাদেশে অমন দাম করলে জোস হয়

০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

মোরতাজা বলেছেন: ঠিক বলছেন। বাইরে সিগ্রেটের দাম অনেক বেশি। কড়া স্বাদও নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.