নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী সুনিপুন, কী অনিন্দ্য কর-উৎসব জগতে-

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

আমার শ্রদ্ধা স্থানীয়দের একজন মাননীয় অর্থমন্ত্রী। আমার জানা মতে, উনি প্রথম আম্লীগার যিনি ডিজিটালাইজেশনের গল্প গণমাধ্যমে বলেছিলেন, সম্ভবত ১৯৯৬ সালে। ভোরের কাগজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সংখ্যায়।

এমন দুরদর্শি একজন মানুষ ব্যাংক লুট, দিনের দিনের পর বৃদ্ধি পাওয়া নির্মাণ খরচের যোগানের ভার কীভাবে নিরীহ বাঙালদের ঘাঁড়ে চাপিয়ে দেয়ার কাজটি বাহাদুরের মত করেছেন, এটা ভেবে আমি অবাক হই। অবাক এ জন্য যে, তাকে একজন জ্ঞানী ও সমব্যাথী, মানব দরদী মানুষ বলেই জানি।

আম্লীগে যখন এত মধু পিয়াসী ছিল না, অনেক লোক কম, তখনো বাংলা একাডেমি চত্বরে- অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় আমি তার পাশে একা হেঁটেছি। কখনো সঙ্গী ছিলেন পারভেজ ভাই (কালের কণ্ঠ)। তাঁর সাথে মিশলে মনে হতো- অত্যন্ত সরল মানুষ। তাঁর সাথে আমি হাঙ্গার প্রজেক্টের ইউনিয়ন বাজেট করতে কুমিল্লা গেছিলাম, ২০০২ কিম্বা ২০০৩ সালে। পথ চলতে চলতে তাঁর কাছে অনেক গল্প শুনেছি।

সে সময় তিনি মধু পিয়াসী পিঁপড়ার দলের ভিড়ের বাইরে ছিলেন। কেবলই একজন রাজনৈতিক নেতা, তবে একটু বনেদী শ্রেণীর। রাস্তায় হাউ কা্উ করা লোক নন।

'ব্যাপক ভোটে নির্বাচিত' বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসাবে তাঁকে বাজেটের টেবিলে দেখি। আর শুনি তার বক্তব্য- আমরা যারা আম বাঙাল- তাদের 'পাপে'র জন্য হয়ত; কর, আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক , মূল্য সংযোজন কর- এ রকম ভিন্ন ভিন্ন নামে টেক্স বসিয়ে ঢাউস আকৃতির বাজেটের যোগান চাইছেন। কী ভয়ঙ্কর একটা সময় পার করছি আমরা, আর ভাবছি এ রকম একটা নষ্ট সময়েও দেশ প্রেমিক শক্তি জনাব মালের সাথে আছেন।

আম্লীগ লুট করছে, এটা বলা যাবে না। তারা সবচেয়ে দেশ প্রেমিক দল। এ দেশকে তাদের মত করে কেউ ভালোবাসেনি। বাসবেও না। কিন্তু তাদের সর্বশেষ সময়ে যে পরিমাণ টাকা বিদেশ চলে গেছে, বা বিদেশে স্থানান্তর হয়েছে, ৫৭ ধারা থেকে মুক্তির জন্য এটাকে আরেকটু হালকা করে কী বলা যায়, মানে ধরেন, হাত খরচ হিসাবে বিদেশ চলে গেছে, এটা আমার সক্ষমতার প্রমাণ। কিন্তু প্রত্যেক সক্ষমতাই কিন্তু কিছু অক্ষমতা তৈরি করে।

বাংলাদেশের প্রচণ্ড ধনবান রিকশা শ্রমিক, প্রবাসী শ্রমজীবি থেকে শুরু করেে ছোট খাটো কাজ করা বৃত্তবানরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তার এ মহত বাজেটের মহত্ত্ব ধরে রেখে চাহিদা মত যোগান দিতে। বেসরকারি চাকুরে, মুদির দোকানদার, চটে ঢাকা রেস্টুরেন্টের মালিক- সবাই স্যারের মনবাসনা পূর্ণ করতে চেষ্টা করছেন।

ট্যাক্সনেটটা এমনভাবে বানানো , মোড়ের যে ভিখারী সেও এ থেকে মুক্তি পায়নি, কী সুনিপুন, কী অনিন্দ্য কর-উৎসব জগতে- আহা।

কর, শুল্ক, আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক আর মূল্য সংযোজন করের ভার পিঠের উপর চড়িয়ে একটা সোনালী উন্নয়নের চাবুকের সামনে দৌড়াচ্ছে সাধারণ বাঙাল।

মুহিত সাব তার ১৯৯৬ সালের ডিজিটালাইজেশনের প্রবন্ধে বলেছিলে, ডিজিটালাইরেজশনের কারণে আমরা গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা হবো। আমরা হয়ে গেছি, এখন ডিজিটাল জুস আর উন্নয়ন রসদ তর্ক করে পার হয়ে যাচ্ছে সময়।

ক্ষমতায় আসা যাওয়ার অংকে মশগুল সবাই। গেলেআম বাঙালের টা যাচ্ছে, আমার কি। মজা বোঝ! আসলে মজা বোঝাচ্ছেন সবাই তা মুহিত, তা আম্লীগ তা অন্য যে কেউ! আমরা কেউ অসহায়, বলি-'করুণায় ধারায় সিক্ত করো প্রভু'।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: সরকার বাহাদুর সাধারণের রক্ত চুষে নিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে। সামনে মহা-মহাসড়কে উড়ে বেড়ানোর জন্য এক অনন্য চেষ্টা আমাদের। কর, শুল্ক, আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক আর মূল্য সংযোজন করের ভার পিঠের উপর চড়িয়ে একটা সোনালী উন্নয়নের চাবুকের সামনে দৌড়াচ্ছে সাধারণ বাঙাল।



সত্যি! তহলেতো এতো যে উন্নয়ন শুনছি! ভুল সবই ভুল?

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

মোরতাজা বলেছেন: হুমমমম।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.