নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিশোর আন্দোলন- আমাদের নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের অফুরন্ত সুযোগ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৬



লেন মেনে শৃঙ্খলার সাথে বিদেশে গাড়ি চলে বলে যারা হা হুতাশ করেন, তাদের জন্য কিশোর-কিশোরীদের ছোট্ট একটা উপহার!

অভূতপূর্ব কোন ঘটনা এখন আর আমাদের আলোড়িত করে না। একটা ভয় চেপে ধরে। কালো 'ত্যানা' দিয়ে চোখ পেছানো লোকের ভয়। ভয় 'রাজাকার' তকমার। এ সব উপেক্ষা করে কিশোররা রাস্তায় যে নেমেছে, তাদের সাহসের কাছে মাথা নুয়ে আসে। তাদের বাবা মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা। কারণ সন্তান সবার কাছেই শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। সেই শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি-সন্তানদের অন্যায় নীরবে সয়ে যাওয়ার বদলে প্রতিবাদে ফেটে পড়ায় বাধা দেননি। এমন সবল হৃদয়ের মানুষরাই আমাদের এখন প্রেরণা।


দুর্ভোগে অনেকে পড়েছেন। আমিও পড়েছি। আমার সন্তানরাও। তারপরে এ আন্দোলন মাসের পর মাস চললেও কসম, আমি বিরক্ত হবো না। অন্যায্য দাবি তো তারা করছে না। সবার জন্য, সব দলে মতের মানুষের জন্যই তারা বলছে- রাস্তা নিরাপদ হোক। সেটি চালকদের জন্যও দরকার। যারা মানুষ পিষে মারে। সে সব পিশাচ নরকের কীটদের জন্যও নিরাপদ রাস্তা দরকার, যারা মানুষ মেরে ফেলা কীটদের সুরক্ষা করে- তাদের জন্যও।


আমার বছর আঠারোর নগরজীবনে দেখা সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, পরিচ্ছন্ন আন্দোলন যদি বলি, তাহলে এ কিশোরদের আন্দোলন। সিরাতুল মুসতাকিমে কোন চালকের ভয় নাই। মানে লাইসেন্স আছে, গাড়ি চালান। উল্টো রাস্তায় যাচ্ছেন না। তাহলে আপনাকে কেউ ঠেকাবে না। এ রকম নিয়ম তো সরকারই বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অথচ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য রাষ্ট্র কি-না করেছে।


দু'টো কিশোর-কিশোরীকে 'জাবালে নূর' বাস পিষে মেরে ফেলার পর বহু কুৎসিত মানুষের মন্তব্য আমরা শুনেছি। সন্তানসম বাচ্চারা রাস্তায় নেমে আসার পর কোন কোন ইশকুল কলেজ অভিভাবকদের চাপে রেখেছে এমন খবরও পড়েছি। তবুও এসব বাচ্চারা রাস্তায় আছে। একেবারেই ভিন্ন এক মডেলে। অনন্য সে মডেল। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭ বছরের সবচেয়ে বড় যে সব অর্জন, তার মধ্যে এ সব কিশোরের আন্দোলন অনন্য। ইতিহাস যদি পেশি শক্তির তল্পিবাহক না হয়, তাহলে এ আন্দোলন তার নিজ মহিমায় উজ্জ্বল থাকবে।


এ কিশোর-কিশোরীরা, যারা প্রতিদিন মায়ের হাতে বানানো টিফিন আর বাসার ফুটানো পানি বোতল ভরে ইশকুল-কলেজে আসে- সে সব বাচ্চারা রাস্তায়, বৃষ্টিতে ভিজে 'নিরাপদ সড়ক' আন্দোলন করছে। এর বাইরে কিছু না। তবুও লাঠিঅলারা তাদের উপর লাঠি চার্জ করেছে। বাচ্চাদের রক্তমাখা শার্টে আর মুখের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরেছে।


অথচ এ বাচ্চারা একটি স্থায়ী সঙ্কট সমাধানের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি তাদের নিবেদন জানাচ্ছে। এখানে সক্ষম রাজনীতি, অক্ষম রাজনীতির কোনটাই নাই। এ সব বাচ্চারা কোন দলেরও নয়। তবুও এরা কটাক্ষের মধ্যে পড়ছে।

তবুও অক্ষম এই যুবাদের ক্ষমা করো তোমরা। নিরাপদ সড়কের আন্দোলন থেকে পেছনে ফিরো না। তোমাদের জয় হোক বা না হোক ইতিহাস তোমাদের স্মরণ করবে ভালোবাসায়। শুভ হোক নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের শেষ ভরসা "নবজাতক" আন্দোলন!

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৬

জগতারন বলেছেন:
শাজাহান খান এখন দুর্গন্ধময় ডাইপার (diapers) ছাড়া আর কিছুই না।
এই কু**র বাচ্ছা শুধুই দুর্গন্ধ আর দুর্গন্ধ।
এই হারামী কে সরানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
শেখ হাছিনা যদি মনে করেন; শাজাহান খাঁনের শ্রমিক বাহিনী
তার ভোটের বাক্স ভরে দেবে;
তা শুধুই অলিক ও স্বপ্ন।

আচমত খাঁ মোক্তারের ছাওয়াল
দানব শাজাহান খাঁ এবার লও ঠেলা।
ধমক আর অপমান কত প্রকার ও কি কি ?

খালুর বসত বাড়ী জবর দখল করেছো !
খালাতো ভাই বোনেরা আজ বাস্তুহারা !!
১৯৭৯ সালে তরুন মেধাবী ছাত্র নেতা
হেলালুল ইসলাম (রাংগু)-কে
সর্বহারার গুন্ডা দিয়া গুলি করে মেরে
পথের কাঁটা সরাইয়ে নেতা হয়েছিলে !!!

খালুর দখল করা বাড়ীর সামনে নিজের এক দৈত্তাকৃতি
ছবি টাংগাইয়াছে এই শাজাহান খাঁন
যেন বলতে চান;
"অত্র এলাকায় আমিই বড় দানম,
আমার সামনে আসবিতো এক্কেবারে চাঁবাইয়া খামু"


ওর বাপে মোক্তারি করতো মাদারীপুর কোর্টে।
ওর মা'র মাথায় ছিল 'সিট'।
ওর বাবার মক্কেল-এর সাথে মতের অমিল হইলেই
ওর মা মাছ কোটার ছুড়ি নিয়া সেই মক্কেলকে ধাওয়া করতো।
ওর বাবার নুন আনতে পানতা ফুরাতো।

এখন এই কু**র বাচ্ছার হাজার কুটী টাকা সুইস ব্যাঙ্কে জমা।
এ সব টাকাই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগনের টাকা।

এবার সেই সব স্বেচ্ছাচারির মুখে চপেটাঘাত !!!!

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: কিশোরদের যৌক্তিক আন্দোলন এখন সরকারের গলার কাঁটা। সরকার গলার কাঁটা উপড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অার তাই শুরু হয়েছে কিশোরদের উপর আক্রমন।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ‌দেড় ঘন্টা বাসস্ট‌পে দা‌ড়ি‌য়ে থে‌কেও বাস বা অন্য কোন যানবাহন না পে‌য়ে ফি‌রে অাস‌তে বাধ্য হ‌য়ে‌ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.