নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীষণ কঠিন পোড়ামাটিকে আবার সেই কাদামাটিতে ফিরিয়ে আনা,ভীষণ কঠিন আঘাত দেয়া শব্দমালা গুলো ফিরিয়ে নেয়া।ভীষণ কঠিন নিজের সম্পর্কে কিছু বলা।যে চোখ দেখিনি সে চোখ কেমন করে বিশ্বাস করবে জানি না।যে কখনো রাখিনি হৃদয়ের উপর হৃদয়;সে কেমন করে বুঝবে আমায়!

নীল মনি

শিশুর মত চোখ দিয়ে দেখি আমার এই বিশ্ব।মানুষ স্বপ্নের কাছে হেরে যায় না, হেরে যায় নিজের প্রত্যাশার কাছে। প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী অথচ প্রচেষ্টায় থাকে শুধুই স্বপ্ন।

নীল মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কী চাইছেন সাফল্য আসুক!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

আমাদের সকলেরই স্বপ্ন ও লক্ষ্য আছে কিন্তু তা থাকা সত্ত্বেও আমরা বেশিরভাগ মানুষ একধরনের ঘাটতিতে ভুগি।ঘাটতি হল আমরা ম্যাচের কাঠির মাথায় লেগে থাকা বারুদের মত ধূপ করে জ্বলে উঠি কিন্তু নিজেদেরকে জ্বালিয়ে রাখতে পারি না।অর্থাৎ খুব অল্প সময়ের জন্য নিজেদেরকে মোটিভেট( প্রেষিত) করতে পারি।
আর নিজেদেরকে মোটিভেট রাখতে না পারার কারণ মনে করি অভ্যাস।আমরা আমাদের প্রতিদিনকার বাজে
অভ্যাসে অভ্যস্ত;নতুন করে কোন অভ্যাস গ্রহণ করলেও সেটা চালিয়ে যেতে পারি না।
নিজের লক্ষ্য,স্বপ্ন ও অভ্যাসকে কাজে লাগাতে কতিপয় বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা আবশ্যক।

প্রথমত:নিজের লক্ষ্যকে পূরণ করতে চাইলে ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা অপরিহার্য। শৃঙ্খলা হল মহত্ত্বের সূচক।শৃঙ্খলা না থাকলে আপনি অলস ও দূর্বল হতে বাধ্য।শৃঙ্খলার অভাব হলে নিজের জীবনকে কিছুই দেখানো যায় না।

একবার কল্পনা করুন তো যেমনটি আপনি সত্যিইই চেয়েছেন?পারছেন না?কেন পারছেন না?আপনার কি দু:খ লাগছে?নাকি লাগছে না?

শৃঙ্খলা জীবনে ভালো সংবাদ বয়ে আনে।আর যারা তা পালনে ব্যর্থ হয় তাদের কাছে শৃঙ্খলা মানে কারাবন্দি অথচ শৃঙ্খলা হল মানুষের ইচ্ছাশক্তি।এই ইচ্ছাশক্তি আবার দিনে কিংবা রাতে দুই রূপে আসে।খেয়াল করে দেখবেন রাতে মানুষ সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।সকালে ইচ্ছাশক্তি সবচেয়ে প্রবল হয়।আপনি চাইলে সকালে ঘুম থেকে জাগার পর আমরা আমাদের ইচ্ছাশক্তি শক্তিশালী করতে পারি।
প্রথমতঃ
আপনি আপনার সময়গুলো কিভাবে কাজে লাগাবেন লিখে ফেলুন।
#ঘুম থেকে জাগার একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে ফেলুন।
# নিজের দেহের ও মনের জন্য ব্যায়াম করুন।
#সকালে সবচেয়ে খারাপ কাজটির যত্ন নিন।এটাই আপনার সারাদিনের মুহূর্ত হয়ে থাকবে।বেশিরভাগ মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠতে চাই কিন্তু তারা তাদের জীবন সম্পর্কে অতি আগ্রহী নয়।তারা সাধারণত বলে থাকে স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাবার মত হাতে সময় নেই।তারা অতিরিক্ত সময় কাজে লাগাতে পারে না,ঘুমিয়ে সময় পার করে দেয়।

আপনার উচিত নিজস্ব শৃঙ্খলা তৈরি করা যাতে আপনি আপনার স্বপ্নের পিছু কিংবা পশ্চাদধাবন করতে পারেন এবং স্বপ্নের পিছু নিয়ে নিজের শৃঙ্খলা তৈরি করতে পারেন।এটা হল মহত্ত্বের শুরু।

দ্বিতীয়ত:আপনার মনকে পুষ্ট করুন আপনার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে।আপনার মন ও দেহকে এক মনে করুন এবং দু'জনকে একসাথে পরিচালিত করুন।মানুষ জ্ঞানকে শক্তি হিসেবে ভাবতে ভালোবাসে।অনেক অনেক বই পড়ে নিজেকে জ্ঞানী ভাবুন।কিন্তু বাস্তবিকই কাজটা এতো সহজ নয়।
সত্যিকারের শক্তি আসে জ্ঞান থেকে যেটা কাজের সাথে সমন্বয় সাধন করে অর্থাৎ আপনি আপনার জ্ঞান ও সময়কে কাজে লাগিয়ে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

খাদ্যের কথা ভাবুন।খাদ্য হল আমাদের পরিচালন শক্তি।কী ঘটে যখন দেহের প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাই?আমরা মোটা হয়ে যাই।কাজে ধীর হয়ে যাই আর দেহ ঝুঁকিতে পড়ে যায়।দেহের মত আমাদের মনকে পুষ্ট করতে হয় কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত খাওয়ানো নয়।সারাদিন ধরে পড়া আমাদের অলস করে দেয়।পড়ুন শৃঙ্খলিত হয়ে।

নিজের মনের খাবার দিয়ে কাজে ফিরতে হবে এবং ক্রমান্বয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে হবে।

তৃতীয়ত: আত্মতুষ্টি।দক্ষতা ও কৌশলের সাথে নিজের কাজ করে যেতে হবে।সময় ঠিক করে নিন কতটুকু কাজ করবেন।সপ্তাহে চল্লিশ ঘন্টার বেশি কাজ করবো এমন না ভেবে ভাবুন যে বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন এবং অন্যান্য লক্ষ্য পূরণের জন্য কতটুকু প্রয়োজন।আমাদের প্রবণতা হল আমরা ভারসাম্যের সাথে নিজের আত্মতুষ্টি গুলিয়ে ফেলি।মেডিটেশন,ঘুম,ইয়োগা হল এই ভারসাম্য।
আচ্ছা, আপনি কী করে বুঝবেন যে আপনার জীবনে ভারসাম্য এসেছে কিংবা আপনি আত্মতুষ্টিতে আছেন?
যখন আপনি ভারসাম্যে থাকবেন তখন উন্নতি করতে পারবেন এবং সহজে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন।তবে নিজের মন ও দেহের উন্নতির ক্ষেত্রে ছোট্ট একটা কাজ করতে হবে।
সামজিক হতে হবে তার পাশাপাশি নিজের ছোট ছোট শখ পূরণ করতে হবে।

চতুর্থতঃনিজের শক্তিকে সম্মান করতে হবে।যদি সম্মান করতে না পারেন তাহলে নিজের লক্ষ্যের দিকে অনুপ্রাণিত থাকতে পারবেন না।টেকসই শক্তির মাধ্যমেই কেবল পরিকল্পিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন।যেহেতু সময় নির্দিষ্ট কিন্তু আমাদের শক্তি পরিবর্তিত।
নিজের শক্তিকে উদ্দেশ্যে সাধনের উপায় বানান এবং লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হোন।এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল নিজেই খুঁজে বের করুন কখন আপনি সবচেয়ে বেশি কাজ করতে পারেন।আমি খুব সকালে বেশি সক্রিয় থাকি।
আমি আমার উৎপাদনশীল সময়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকি কারণ এ সময় আমার শক্তির মাত্রা বেশি থাকে।

নেতিবাচক মানুষ আপনার শক্তির মাত্রা কমিয়ে দেবে।এজন্য নেতিবাচক মানুষকে জীবন থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন।মনে রাখবেন জীবন কঠিন যদি আপনি সেভাবেই দেখেন।

পঞ্চমত: ভয়।এটি এমন ব্যাপার যেটি আমাদেরকে পূর্বে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।আমরা ভাবি অন্যরা আমাদের সম্পর্কে কী ভাবছে?আমরা ব্যর্থতার ভয় করি এবংঅজানাকে ভয় করি।

ভয় তখনি বেশি পাবো যখন লক্ষ্যের দিকে নির্দেশনা কম থাকবে।একবার ভাবুন এই ভয়কে জয় করে আপনি সামনে কি পেতে যাচ্ছেন?

ভয় যদি বেশি লাগে তবে জোরে জোরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন।দেখবেন ভালো লাগবে।

আমরা সবাই সফলতা চাই কিন্তু কেউ সেই কষ্টের যুদ্ধটা করতে চাই না।সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে সবার আগে ভয় তাড়াতে হবে।ভয় তাড়ানো মানে হল সেই কাজটার যাত্রা শুরু করা যা আপনার লক্ষ্য ও স্বপ্ন।

লেখাটা সার্থক হবে যখন কারো কাজে আসবে
©রুবাইদা গুলশান

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: ১০০% যুদ্ধ চালিয়ে যেতে জীবনের সাথে :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

নীল মনি বলেছেন: ☺☺☺

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল মনি ,




"আপনি কি করে বুঝবেন যে আপনার জীবনে ভারসাম্য এসেছে কিংবা আপনি আত্মতুষ্টিতে আছেন ? "

জীবনের ভারসাম্য আর আত্মতুষ্টি তখনই সম্ভব যখন এমন করে ভাবতে পারবো - যেখানে যেতে চেয়েছি সেখানে হয়তো যেতে পারিনি, কিন্তু যেখানে পৌঁছে গেছি মনে হয় সেখানে যাওয়াই আমার প্রয়োজন ছিলো ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

নীল মনি বলেছেন: দারুণ বলেছেন।:)শুকরিয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.