নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীষণ কঠিন পোড়ামাটিকে আবার সেই কাদামাটিতে ফিরিয়ে আনা,ভীষণ কঠিন আঘাত দেয়া শব্দমালা গুলো ফিরিয়ে নেয়া।ভীষণ কঠিন নিজের সম্পর্কে কিছু বলা।যে চোখ দেখিনি সে চোখ কেমন করে বিশ্বাস করবে জানি না।যে কখনো রাখিনি হৃদয়ের উপর হৃদয়;সে কেমন করে বুঝবে আমায়!

নীল মনি

শিশুর মত চোখ দিয়ে দেখি আমার এই বিশ্ব।মানুষ স্বপ্নের কাছে হেরে যায় না, হেরে যায় নিজের প্রত্যাশার কাছে। প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী অথচ প্রচেষ্টায় থাকে শুধুই স্বপ্ন।

নীল মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শতভাগ

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৪



১০০% দেখতেই বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে মোবাইলে যখন ১০০% থাকে তখন ইচ্ছেমতো ব্রাউজ করি। এরপর ধীরে ধীরে পার্সেন্টেজ কমতে থাকে ৭০ কিংবা ৬০ যখন হয় তখন মনে হয় এখনো অনেক আছে। খুশিতে ব্রাউজ করি।

এরপর যখন ৫০% হবো হবো তখন হুট করে মনটাতে মোচড় দেয়। মনে মনে খুঁজতে শুরু করি চার্জারটা কই? কখনো কখনো মনে হয় চার্জে দিই এবং দিয়েও ফেলি।কোন অবস্থাতে যেন ৫০% এর কম দেখতে মন চাই না। যাইহোক পঞ্চাশ থেকে কমতে শুরু করে যখন তখন এক নিমিষে ফুরিয়ে যায় এবং এই ফুরিয়ে যাওয়াটা যেন খুব দ্রুত হয়। ২০% হলে এল্যার্ট দেয়। যদিও উপরের কথাগুলো মোবাইলের সাথে সম্পৃক্ত একটু তবুও অন্যভাবে দেখি।

আমরা যখন জন্মগ্রহণ করে এই পৃথিবীতে আসি প্রত্যেকেই তার বরাদ্দকৃত হায়াতের ১০০% জন্ম নিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা আমাদের জীবনের কতটুকু % খরচ করছি প্রতিনিয়ত তা জানতে পারছি না। শুরুর বয়সে আমরা থাকি উদ্দাম,ইচ্ছেমতো খাই দাই,ঘুরি নিজের মত জীবন, কোন রকম চিন্তা নেই।এই অবস্থাটা ১০০% এর মিলে যায়। এরপর সময়ের সাথে সাথে অনেক পথ পার হয়ে যাবার পর নিজেদের নিয়ে ভাবতে শুরু করি।

মোটামুটি ত্রিশ পার হলে এ চিন্তা জেঁকে ধরে। হিসাব নিকাশ শুরু হয়। মনে হতে থাকে জীবনের অধিক সময়টা পার করে এসেছি। চল্লিশের কাছাকাছি বয়স- যখন তখন ব্যক্তির মাঝে আত্মসচেতনতা আরো একটু বেশি আসে। এ সময়ে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করা চাই। পঞ্চাশ হলে তখন মনের ভেতর অজানা ভীতি কাজ করে আর দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে। মনে হতে থাকে ক্রমশ---সুন্দর এই জীবন,কেন এত ছোট !

©Rubayda Gulsan

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার চার্জ কোন পর্যায়ে আছে?

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূর আল মূলকে উল্লেখ করেছেন যে,
তিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি আপি ঠিক

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩১

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


শিক্ষামূলক একটি উপদেশ, বেশ ভাল লাগল।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:১৬

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন।

চার্জ নিয়ে ভাবি না। ভাবি যেভাবে এসেছিলাম, সেভাবে যেতে পারব কিনা।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: পুড়ছে পৃথিবী,
পুড়ছে জীবন,
বিষাক্ত পারমাণবিক তাপ
এসো হে বৈশাখ ফুলবৃষ্টিতে,
ধুয়ে যাক শোক আর পাপ।

৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আর পঞ্চাশের পরে??
আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'লার নিরঙ্কুশ ক্ষমা ছাড়া আর কোন গতি নেই। তবে সেই ক্ষমা পেতেও তো কোন না কোন ওসিলা লাগবে। সেই ওসিলার সন্ধানে আছি....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.