নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর সবচেয়ে ভাল হয় এইসব না দেখলে। ৩ কোটি মানুষের বসবাস এই শহরে, লক্ষ শিশু কে কোথায় আছে, কার কী সমস্যা এইসব নিয়ে ভাবার দরকার আছে নাকি।

১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩



রাজধানীতে ঘরে ঘরে শিশু শ্রমিকের খোঁজ মেলে। কেউ একা থাকতে পারে না বলে, কেউবা কাজে সহায়তা পাওয়া যাবে ভেবে, আবার কেউ নিজের শিশুর খেলার সঙ্গী হিসেবে গ্রাম থেকে শিশুদের নিয়ে আসেন। এদের সংখ্যা কত, কেউ জানে না। এই শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার খবরও কেউ রাখে না। শিশু শ্রমিক ও গৃহকর্মীদের নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা বলছেন, রাজধানীর বাসাবাড়িতে স্থায়ী গৃহকর্মীদের বেশিরভাগই শিশু। বরাবরই তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সঠিক নিবন্ধন ব্যবস্থাই পারে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কাজ করতে গিয়ে তারা হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হলেও বিচার পায় না। এমনকি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করলেও তারা নিয়মিত মজুরি পায় না।

গৃহকর্মীদের নাম কোথাও রেজিস্ট্রেশন করা হয় না এবং গৃহশ্রমিক হিসেবে কোনও পরিচয়পত্র বা নিয়োগপত্র থাকে না। ফলে তাদের সম্পর্কে কোথাও কোনও তথ্য থাকে না। যেসব শিশুকে বাসায় কাজের জন্য আনা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বিষয়ে কোনও তথ্যই নেই। এদিকে ২০১৫ সালে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালা’ প্রণয়ন করা হলেও সেটাকে আইনে পরিণত করা সম্ভব হয়নি।
..................................................................................................

ঘুড়ি স্কুল এ পড়াশোনা করছে বেশ কয়েকজন গৃহকর্মী শিশু। আবার এখানে পড়াশোনা করছে এমন অনেকের মা আবার গৃহকর্মী। আমরা এদের সাথে ক্লোজলি কাজ করছি প্রায় ৭ বছর হলো।
এই শিশুদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি এখানে আসলে কোন তথ্য উপাত্ত সমস্যা সমধান নিয়ে কেউই আগ্রহী নয়। যে কারণে লক্ষ লক্ষ গৃহকর্মী নিয়ে সেই অর্থে কোন আলাপই নেই।

আমাদের সামর্থ্য সীমিত তাই চিন্তা ভাবনা বা সদিচ্ছা যাই থাকুক শূন্য হাতে তাদের জন্য কিছু করার সুযোগ নেই তাই কিছু করতে পারছি না আমরা এক রঙা এক ঘুড়ি
সামর্থ্যের মধ্যে আছে তাদের কজনকে নিরাপদ ও সুস্থির একটি জীবন দেয়ার চেষ্টা করা, তাও একেবারেই হাতেগোনা অল্প কজনের জন্য - আমরা তা করছি।
এইতো।

আর সবচেয়ে ভাল হয় এইসব না দেখলে। ৩ কোটি মানুষের বসবাস এই শহরে, লক্ষ শিশু কে কোথায় আছে, কার কী সমস্যা এইসব নিয়ে ভাবার দরকার আছে নাকি। স্বার্থপরের মতোন জীবন কাটান। আনন্দে থাকুন তাহলেই লোকে বলবে আপনি বা আপনারা সফল সুন্দর। শিশুরা কে কোথায় আছে, তাদের কী হচ্ছে এই সব মাঝে মাঝে দেখবেন আহ উহু করবেন ব্যস।


নীলসাধু
শিশু অধিকার ও সুরক্ষা কর্মী

মূল খবরের লিংক

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সংসার জীবনে শিশুরা একদিন অনেক বড় হয় যার ফলে শিশুকে নিয়ে কেউ ভাবে না যত সব অকর্ম করে বসে
শিশুদের জীবন হোক উজ্জ্বলময়------------

১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১১

নীলসাধু বলেছেন: আমরা এমনই এক জাতি যারা ভবিষ্যতের কান্ডারীদের নিয়ে শুধু কথাই বলি কাজের কাজ কিছু করি না।
দুর্ভাগ্যজনক।

২| ১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

নতুন বলেছেন: মানুষের সাহাজ্যের দরকার আছে কিন্তু যারা নিজের ঘরে নিজের সন্তানের জন্য আরেকটা শিশুকে দরিদ্র বলে কাজের জন্য রাখে তাদের মানুষিকতার উন্নয়নের পেছনে কাজ করতে হবে।

অনেকে কাজের মানুষকে নিজেদের বাড়ীর খাবার টেবিলে খেতে দিতে চায় না।

সমাজের মানুসিকতার পরির্বতন দরকার।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১২

নীলসাধু বলেছেন: সহমত জানাই।
একান্তই যদি কাউকে সাহায্যকারী হিসেবে রাখতে হয় তেওবে তার সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব যা আমরা পালনে ব্যার্থ। দুঃখজনক।

৩| ১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১২

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভালো একটি লেখা।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১২

নীলসাধু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
ভাল থাকবেন।

৪| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাদের এই প্রচেষ্টার জন্য শুভ কামনা।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

নীলসাধু বলেছেন: আমরা তেমন কিছু আসলে করতে পারছি না। লক্ষ লক্ষ শিশুর জন্য কাজ করা উচিত আমরা সেখানে খুব অল্প কজনের জন্য পারছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যদি উদ্যোগী হতো তবে তা হতো যথাযথ।

ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

৫| ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলসাধু,



৩ কোটি মানুষের এই শহরে, লক্ষ শিশু শ্রমিক কে কোথায় আছে, কেমনই বা আছে; আমরা জানিনে।
ভাল হতো এইসব না জানলে, না দেখলে। তবুও কিছু মানুষ আছেন যারা এসব নিয়ে ভাবেন। কিন্তু বৃহৎ পরিসরে তাদের কিছুই করার থাকেনা।

যে দেশে কর্ম সংস্থানের রাষ্ট্রীয় কাঠামো নেই, প্রতিদিন সব মানুষের দু'মুঠো ভাতের নিশ্চয়তা দেয়ার জন্যে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ নেই সেখানে একটি পরিবারের পক্ষে তাদের শিশুদের সুস্থ্য ও নিরাপদ জীবনের ব্যবস্থা করার কোনও সুযোগ- সামর্থ্য থাকেনা। তাই বাধ্য হয়ে বা নিরুপায় হয়েই অনেক অনেক শিশুকেই তাদের ভাগ্যান্বেষনে নেমে পড়তে হয় ইচ্ছায় কিম্বা অনিচ্ছায়। নিজেদের অক্ষমতার- অপারগতার কারনেই অভিভাবকেরাই তাদেরকে অনিশ্চয়তার পথে ছেড়ে দিতে একরকম বাধ্যই হন।
এমন পরিস্থিতিতে শ্রমে নিয়োজনের পরিচয়-পত্র, মজুরীর নিশ্চয়তা, ঘুমানোর একটুকরো জায়গা, শিক্ষার সুযোগ, নূন্যতম চিকিৎসা ইত্যাদির জন্যে দর কষাকষির কোনও সুযোগ থাকে কি ? সমাজ-রাষ্ট্র কি তাকে সে সুযোগ দিয়েছে কখনও ? একটি নিয়মহীন, পরিনতিহীন, বন্ধ্যা কর্মক্ষেত্রে তাকে অনিচ্ছাতেই উপায়হীন হয়ে লেগে পড়তে হয় তার বেঁচে থাকার তাগিদেই।
যাদের এসব নিয়ে ভাবার কথা তারা নিজেদের কথা ভাবতেই ব্যস্ত সারাক্ষন।
ব্যতিক্রমী কিছু মানুষের দল থাকে যারা এমন সব অনাচার, বৈষম্য নিয়ে পীড়িত হন। কিছু করার ইচ্ছে থেকে পাহাড়সম বন্ধুর পথে হাটেন। কিন্তু তাদের সম্মিলিত প্রয়াস সামগ্রিক প্রয়োজনের তুলনায় এতো অপ্রতুল যে তা দিয়ে এমন চিত্রকে (যে চিত্র আপনি এঁকেছেন পোস্টে) পুরোপুরি পাল্টে দেয়া সম্ভব নয় মোটেও।
তবুও আপনাদের " একরঙা এক ঘুড়ি" কে উড়তে দেখে আশা জাগে! কামনা থাকে, একদিন ঝাঁকে ঝাঁকে এমন ঘুড়ি আমাদের আকাশে উড়তে দেখবো.................

১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২১

নীলসাধু বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।
আমরা এই সেক্টরে খুব ছোট পরিসরেই কাজ করছি কিন্তু নিজের কাজে নিজেরাই সন্তুষ্ট নই।
কতো শিশু কতো সমস্যায় জর্জরিত অথচ রাষ্ট্র বা পরিবার বলেন আমরা দেখি দু'খানেই সমস্যা। আমাদের শিশুদের নিয়ে সেই অর্থে কেউই ভাবেন না। গাল ভরা বুলিই আমাদের সম্বল। এতোকিছুর মধ্যে এখনো তাঁদের জন্য বরাদ্দ কৃত তহবিল ফেরত যায়-
রাস্তার শিশু রাস্তাতেই আছে, পথে বা স্টেশনের শিশু সেখানেই আছে তাহলে কোথায় হচ্ছে কাজ আমরা বুঝি না।

সেই কবে ঘোষণা হলো শিশু অধিদপ্তর করা হবে তার কোন অগ্রগতি নেই।
এই যে লক্ষ লক্ষ শিশু গৃহকর্মে যুক্ত তাঁদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন ডাটাবেইজ নেই- আমরা সঠিকভাবে জানি ই না কতো শিশু ঘরে ঘরে কাজ করছেন। তাদের কী সমস্যা হচ্ছে বা এ থেকে উত্তরণেই বা আমরা কী করতে পারি।

আমরা ছোট মানুষ, অল্প কজন শিশুর জন্য কাজ করতে পারছি যা একেবারেই ছোট পরিসরে।
সবাই যদি একটূ হলেও শিশুদের কথা ভাবতো তবে তা তাদের জীবনকে নিরাপদ করে তুলতো বলেই আমি বিশ্বাস করি।

৬| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১০

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে কত বড় বড় প্রজেক্ট হচ্ছে, পথ শিশুর জন্য চেস্টা থাকলে অবশ্যই সকল শিশুদের ভালো জীবন মান নিশ্চিত করা যাইতো।

কয়েক বছর আছে ঢাকাতে মুজিব বর্ষের অনেক বড় প্রচারনা সামনে বাচ্চা শিশুকে ফুল বিক্রি করতে দেখেছিলাম, তখন মনে হয়েছিলো এমনটা হবার কথা ছিলো না। ঐ শিশুর স্কুলে থাকার কথা, রাস্তায় ফুল বিক্রি করার কথা না।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

নীলসাধু বলেছেন: হু দু বছর আগে শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল ফেরত গেছে এমন কথাও শুনেছি আমরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যদি উদ্যোগী হতো তবে তা হতো যথাযথ কিন্তু তা হয় না বলেই পথের শিশুটী পথেই থাকে। স্টেশনে টার্মিনাল আর উদ্যানে অ-নিরাপদ এক জীবন কাটায়।

ধন্যবাদ।

৭| ১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:

শিশু শ্রমিকদের নিবন্ধন থাকলে সবচেয়ে ভাল হবে। সরকারের উচিৎ দ্রুত একটি ব্যবস্থা নেওয়া। কেবল নিবন্ধিত শিশুরাই কাজ করতে পারবে।

৮| ১৩ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮

শাওন আহমাদ বলেছেন: আমরা নিজে ভালো থাকার ঢেঁকুর তুলতে পারলেই বেঁচে যাই! আমাদের এতোকিছু নিয়ে ভাবার সময় কোই? তবুও আমরা মানুষ, নিজেদের মানুষ পরিচয় দিতে ভালোবাসি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.