নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ জীবন সহজ হোক, সরল হোক,সুন্দর হোক...

নিয়ামুলবাসার

সহজ ভাবনাই সরল জীবন..

নিয়ামুলবাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডায়েরীর পাতা থেকে-১৫/০১/২০১৪ খ্রিঃ

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২১

সারারাত ভালো ঘুম হয়নি। বারবার কেন যেন ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে। শীতের রাতে এরকম আমার কখনো হয় না। এক ঘুমে রাত পাড় করে দেওয়াটাই আমার অভ্যাস। অথচ কেন এমন হলো?



অনেক বিশ্লেষনের পরে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো আমি খুঁজে পেয়েছি। বিশ্লেষন গুলো এরকম-

১) প্রায় তিন সপ্তাহ পরে ফরিদপুরে এসেছি। বিছানা-বদলগত সমস্যা হতে পারে।

২) গাজীপুর থেকে হাস্না ফোন করে জানালো নাফিউলের জ্বর এসেছে। ছেলের শারীরিক অসুস্থতার চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুমুতে যাওয়ার কারনে এরকম হতে পারে।

৩) ঠিক সময়ে অফিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য খুব সকালে উঠতে হবে। শীতের রাত ঠিক সময়ে ঘুম ভাঙ্গবে কিনা, এই দুঃশ্চিন্তার কারনেও এরকমটি হতে পারে।

৪) পাশের রুমে আব্বা ঘুমিয়ে ছিল এবং সারারাতই তাঁর অসম্ভব কাঁশি হচ্ছিল। কাঁশির শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল আব্বা খুব কষ্ট পাচ্ছে। ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধির কারনে আব্বার অ্যাজমা সংশ্লিষ্ঠ কষ্টটাও বেড়েছে। আমার মনে হয় এটা একটা অন্যতম বড় কারন।



যা হোক, সকাল ছয়টায় মোবাইল এর অ্যালার্মে র শব্দে ঘুম ভাঙ্গল। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম তখনও অন্ধকার এবং বাইরে বেশ কুয়াশা। কম্বলের মধ্যে থেকে বের হতে ইচ্ছা করছিল না।



কিন্তু কি আর করা। প্রয়োজনে মানুষকে সব কিছুই করতে হয়। ফ্রেস হয়ে -নাস্তা করে বাসা থেকে বের হতে হতে প্রায় ৭:০০ বেজে গেল। বাইরে বেশ ঠান্ডা। বেশ কুয়াশা। কুয়াশা বৃষ্টির মতো ফোটায়-ফোটায় পড়ছিল। মাথায় মাফলার দিতে বাধ্যহলাম। মেইন রাস্তায় উঠে দেখি কোন রিক্সা কিংবা অটো কিছুই নেই। বাসস্ট্যান্ডে যাবো কিভাবে। বাধ্য হয়েই হাটতে শুরু করলাম। বাসস্ট্যান্ডের একদম কাছাকাছি এসে একটা রিক্সা পেলাম। বিলম্ব না করে তারাতারি রিক্সায় উঠে পড়লাম।



বাসস্ট্যান্ডে এসে সূর্যমূখী ফেরি পারাপার বাসের টিকিট কাটলাম। ভাড়া নিল ২৫০ টাকা। দৌলতদিয়া ঘাটে এসে দেখি অসম্ভব জ্যাম। এই সাত সকালে শয়ে-শয়ে বাস ট্রাক দাড়িয়ে আছে। হতাশ হলাম। মনে মনে ভাবলাম কবে যে পদ্মা নদীর উপর একটি সেতু হবে!



যা হোক ড্রাইভারের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বতার কারনে ৪০ মিনিট দেরি করার পর ফেরিতে উঠতে পারলাম।



মানিকগঞ্জ এ যখন এস যখন পৌছালাম তখন ১০:৩০ বেজে গেছে। ডাকবাংলোতে পৌছে তারাতারি ফ্রেস হয়ে ড্রেস বদল করে ডিসি অফিসে পূর্ব নির্ধারিত আশ্রায়ণ-আবাসনের মাসিক সভায় অংশ নিলাম। মিটিং শেষ করে গেলাম অফিসে। অফিসে পৌছে ননস্টপ কাজ করে গেলাম ২:০০ পর্য

ন্ত।এক ফাকে দুপুরের লাঞ্চ করলাম।



বেশ কয়েকজন সমিতির লোক আসল তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। তাদের সাথে কথা বললাম। তাদের সাথে চা খেলাম। অনেকগুলো ফাইল দেখলাম। ফোনে কথা বললাম। শনিবারে নিবন্ধক আসবে। সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিলাম।



৫:০০টায় অফিস থেকে বের হয়ে সরাসরি ডাকবাংলোতে। ডাকবাংলোতে ঢুকেই ল্যাপটপটি ওপেন করলাম। বেসকিছুক্ষন নেট ব্রাওজ করার পর সামুতে বসে গেলাম দিনলিপি লিখতে।



প্রচন্ড ক্ষুদা পেয়েছে। রাতের খাবার খাব আকিরা কুরাসোয়র একটি সিনেমা দেখতে-দেখতে। আরও একটি কর্মচঞ্চল দিন অতিবাহিত করলাম। যাদের সান্নিধ্যে দিনটি অতিবাহিত করলাম সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।



সবাই ভালো থাকুক..................................।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.