নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

⌂ ভ্রমণ » ব্রহ্মপুত্র নদ » ময়মনসিংহ » নদের তীরে শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান ও সংগ্রহশালা পর্ব-২

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৭


শেষ রাতের ঘন কুয়াশা ভেদ করে ভোরের আলোময় পরিবেশটা হয়ে ওঠছে ধীরে ধীরে মাধুর্যময়। দূর থেকে ভেসে আসছে পাখিদের কলকাকলি। নদীর মৃদু ছন্দময় ছল-ছল ধারা । সূর্যের আলো বাড়ার সাথে সাথে মানুষের কলরোল বাড়ছে পাল্লা দিয়ে । ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝখানে কচ্ছপ গতিতে বয়ে চলেছে ছোট-বড় হরেক রকমের ডিঙি নৌকা। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে দর্শনার্থীদের জন্য থাকা স্থায়ী বেঞ্চে বসে দেখছিলাম চারপাশের অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য। নদের চলমান স্বচ্ছ পানিতে আলোর স্ফুটিক দেখাচ্ছিল ভিন্নরকম সুন্দর। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। পাখিদের ক্লান্ত উড়াউড়ি। নদীতে পর্যটনশীল পালতোলা নৌকা। এমন মনোরম দৃশ্য! যা পর্যটকদের নয়ন জুড়ানোর জন্য যতেষ্ট।








উদ্যানের বড় বড় গাছের ফাঁক দিয়ে ঝরছে সোনামাখা আলোর বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতে ভিজতে থাকেন বিনোদন পিয়াসীরা। কেউ চাতালে বসে, কেউ সবুজ ঘাসে শুয়ে স্নাত হচ্ছিলেন ভোরের সজীবতায়। গাছের ফাঁকে ফাঁকে নাচতে থাকে সারি সারি আলোর মিছিল। চমৎকার একটি সবুজ পরিবেশ। ওজন কমানোর জন্য নারী ও পুরুষ উভয়ে হাটঁছে বার বার পার্কের এপাশ থেকে ওপাশে। পার্কের পাশ দিয়ে যাওয়া গোলাকার সরু রাস্তা দিয়ে ।


তরুন থেকে বৃদ্ধ সবাই ব্যস্ত শারীরিক ব্যায়ামে। পার্কের ভিতরে বসেছে ভ্রামমান খাবারের দোখান, ডায়েবেটিস রোগীর জন্য সুগার পরীক্ষা কেন্দ্র ও ছোটদের জন্য নাগর দোলা সহ আছে যাবতীয় সব আয়োজন।


দুই পাশে সবুজের সমারোহ। ভ্রমণপিয়াসীদের ছোটাছুটি। কেউবা ক্যামেরায় প্রিয় কোনো মুহুর্ত বা মনের রাখার মতো ফ্রেমের সন্ধানে। নদীর তীরে কত রকম কারুকাজ। মাটির আস্তরণ দেখে বোঝা যায়, পলি জমে জমে গড়ে ওঠেছে এই ভূখণ্ড। একটুখানি ভিতরেই গ্রামীণ পরিবেশ। প্রকৃতির অবারিত নির্মল সান্নিধ্য। পার্কের ফুল বাগানে ফুলে ফুলে উড়ছে রঙিন প্রজাপতি ।


একটু একটু করে নিভে আসছিল আলো। নদীর পানিতে নানান রঙের খেলা। পরিবেশটা হয়ে ওঠে মায়াবী। আলো-আঁধারিতে নদীর এই নির্জনতায় নিজকে উজাড় করে দিতে মন চায়। মেঘের রঙের রঙিন হতে মন চায় বার বার।



বিকেলের দিকে পার্কে বেশ লোকজন হয়। ছুটির দিনগুলোতে ভিড় লেগে যায়। সুদৃশ্য টাইলের বেঞ্চি পাতা আছে অনেক। পার্কের পরিবেশ ও বেশ চমৎকার। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সাজানো-গোছানো। কোথাও কোন ময়লা আবর্জনা নেই। বাগানের পাশে ঘন ঘাসের চওড়া আসন; তবুও নদের ঠিক কিনারে, স্ল্যাবের গায়ে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকাতে যেনো অন্য এক মজা। বাতাসটা সোজা গায়ে এসে লাগে। হিম হিম বাতাশ তখন ভালো লাগে ভীষণ।





সুন্দরে চোখ পড়ে। চোখ জুড়ায় যতদুর দৃষ্টি যায়। এই ব্রহ্মপুত্রের ধার ঘেঁষে দাঁড়ালে পৃথিবীর অন্যত্র নদ-নদীর যতো সৌন্দর্য আছে , সব তুচ্ছ হয়ে যায়। এই সুন্দর এক অপার্থিব প্রাচুর্যের ভাণ্ডার নিয়ে জেগে থাকে প্রাণে প্রাণে।




ওই পারের বিস্তীর্ণ চরে ফসলের ক্ষেত, স্থানীয়দের বসতি এপার থেকেই অসাধারণ লাগে। ওপারে গেলে তো কথাই নেই। ওখানে অন্য এক সুন্দরের বিস্তার। একেক ঋতুতে একের দৃশ্যের আয়োজনে নতুন করে সেজে উঠে এই নদ। সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে শরৎ ঋতুতে। শরতে এপারে তেমন কাশফুল হয়না। কিন্তু ওপারে দুধসাদা কাশফুলের মনোরম সজ্জ্বায় থৈ-থৈ করে চারপাশ।




◊◊ শিল্পাচার্য জয়নুলের সংগ্রহশালা ◊◊


◊◊ শিল্পাচার্য জয়নুলের প্রতিকৃতি ◊◊



◊ শীত মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় পলি মাটির চর দেখা যাচ্ছে ◊


◊ পার্কের ভিতরে স্মৃতি স্তম্ভ ◊


▪ এক নজরে ময়মনসিংহে অবস্থিত দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
জমিদার বাড়ী ও ছানা-চিনিতে তৈরী দেশসেরা মণ্ডা
কালের সাক্ষী আলেকজান্ডার ক্যাসেল
শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক ‘শশী লজ’
বাকৃবি সৌন্দর্য ‘বোটানিক্যাল গার্ডেন’

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

অবনি মণি বলেছেন: অসাধারণ!!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতিও।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

ওমেরা বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপনার ভ্রমন ছবি গুলো ও সুন্দর হয়েছে আোনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার ভাল লাগায় উৎসাহ পেলাম। শুভেচ্ছা রইলো। ভাল থাকবেন।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

ভিটামিন সি বলেছেন: আমার প্রাণের শহর, প্রিয় শহর ময়মনসিংহ। ছবিগুলো সুন্দর। কিন্তু বর্ষার ছবি বসন্তে!!! কেমন যেন টাইম উল্টা-পাল্টা হয়ে গেল না?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: প্রিয় ভিটামিন, ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার সাথে আগে দেখা হলে এমনটা হয়তো হতো না।
গিয়েছিলাম এক বছর আগে। ভাল লাগা শেয়ার করতে টাইম টেবিল দেখতে হয় না। বসন্ত আসলো তাই বলে যে সব কিছু বসন্ত নিয়ে শেয়ার করতে হবে এমন তো নয়।।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

পলাশমিঞা বলেছেন: খুব সুন্দর।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকলো পলাশ ভাই,

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে +++

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: এক গুচ্ছ সতেজ রজনীগন্ধা ফুলের শুভেচ্ছা রইলো

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিয়াজ সুমন ,




নয়নকাড়া সব ছবি নিয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল পার্ক দেখে ভালো লাগলো ।
সুবিশাল ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে, শিল্পাচার্যের শিল্পীত সৌন্দর্যের প্রতিভু হয়ে এই পার্কখানি কি এমন সুন্দর রাখা সম্ভব হবে সব সময়ের জন্যে ?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুনজর আর দর্শনার্থীদের সচেতনতায় পারে পার্কের সুন্দর ধরে রাখতে অবিরত। ভালোবাসা রইল আপনার জন্য। শুভ কামনা।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২০

কালীদাস বলেছেন: অনেকদিন পর পাল তোলা নৌকা দেখলাম 8-| নদীর পাড়ের ছবিটা খুবই সুন্দর।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। পাল তোলা নৌকা এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। তবে এই নদে এখনো বিচরন করে এমন রঙ বেরঙের পাল তোলা নৌকা। আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল আপনার জন্য।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

জুন বলেছেন: বহুবার গিয়ে একদা প্রমত্তা বর্তমান এ নিস্তেজ এই ব্রম্মপুত্র নদের পাড়ে বসেছি। তার শান্ত সৌন্দর্যকেই উপভোগ করেছি। তবে ছবি তোলা হয়নি কখনো। আপনার চোখে আবার দেখে নিলাম সেই চির পরিচিতকে :)
+

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: অনেক ভাল লাগছে, আপনার পরিচিত জনকে আবারও আপনার সান্নিধ্যে আনতে পেরে। ভাল থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.