নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

⌂ ভ্রমণ» দোহার ▪ ঢাকা ● মৈনটঘাট এর মিনি কক্সবাজার এ সকাল টু বিকাল

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪


শহর থেকে একটু দুরে শান্ত নিরিবিলী পরিবেশে ঢাকার দোহারে অবস্থিত মৈনট ঘাট। যেখানে গেলে কোলাহল মুক্ত সবুজ প্রকৃতির স্পর্শে আপনি মুদ্ধ হবেন, অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকবেন যতদূর চোখ যায় পদ্মা নদীর অপরূপ জলরাশির দিকে। এই এক বিশাল জলরাশির প্রাণবন্তময় খেলা, পদ্মা পাড়ে হেলেদুলে ভেসে বেড়ানো নানার রঙের নৌকা আর জেলেদের বিচিত্র র্কমকান্ড দেখে আপনার কৌতুহলী মনে হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিবে!


সব মিলিয়ে কিছুক্ষনের জন্য আপনি হারিয়ে যাবেন আপনি প্রকৃতির মাঝে কিংবা পদ্মার নয়নাভিরাম বুকের মাঝে। তখন আপনার মনে হবে এখন ঢাকার দোহারে নয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আছেন। মূলত এই কারনে অনেকে মৈনট ঘাটকে বলে থাকনে মিনি কক্সবাজার।






● নদীর তীর ঘেষে বিস্তীর্ন খোলা মাঠ ●

মৈনটঘাট পরিদর্শনের আদর্শ সময় বর্ষাকাল কিংবা বৃষ্টিময় মেঘলা দিন। । তখন রাস্তার দুই পাশের নিম্নভুমি, যেখানে শুষ্ক সময়ে বিস্তৃর্নী ভুমি জুড়ে বাদামরে চাষ করা হয়, সবই পদ্মার পানিতে তলিয়ে যায়। সে এক দেখার মতো অপূর্ব দৃশ্য। বৃষ্টি ব্যতিত দেখা যাবে পদ্মা নদীর শান্ত রূপ। একটা সন্ধ্যায় পদ্মা নদীতে সূযাস্ত দেখলে আপনি এত বেশি মুগ্ধ হবেন যার সৌন্দর্য আপনি গেঁথে রাখবেন মনের গহিনে অনেকদিন যাবত। ঢাকার আশেপাশে হওয়ার কারেনে প্রচুর মানুষ এখানে বেড়াতে আসছে, স্পীডবোট,ট্রলার বা খেয়ানৈাকায় পদ্মারর বুকে অসিম আনন্দে ভেসে বেড়ায় দলবেধে কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে।


নবাবগঞ্জ রুট দিয়ে মৈনট ঘাটে আসার সময় ইচ্চা করলে আপনি চোখ বুলিয়ে নিতে পারবেন নবাবঞ্জেরে জজবাড়ি, উকিল বাড়ি, আনসার ক্যাম্প, খেলারাম দাতার বাড়ি সহ আরও কিছু দর্শনীয় স্থান্ । ঢাকাবসীরা চাইলে খুব সহজে দোহারের এই ছোট কক্সবাজার মৈনট ঘাটে এক দিনের জন্য ট্রিপ দিতে পারেন।



● আচমকা মেঘলা আকাশ সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পদচারনা ঠিক ফিরে আসার শেষ মুর্হূতের ক্লিক ●


□ খরচ:
মৈনটঘাট থেকে পদ্মার অপর পাড়ে অবস্থিত ফরিদপুর জেলা। চাইলে আপনি পদ্মার অপর পাড়ে ঘুরে আসতে পারেন। মৈনট ঘাট থেকে ফরিদপুর চর ভ্দ্রাসন স্পীডবোটে যেতে হলে খরচ করতে হবে জনপ্রতি ১৬০ টাকা । একটা স্পীটবোট এ ১২-১৫ জন যেতে পারে তবে ছোট গুলোতে আরো কম যাত্রী নিয়ে যায় ৮-১০জন। স্পীডবোট মৈনট ঘাট থেকে চর ভদ্রাসন যেতে সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট।


আপনি চাইলে স্পীটবোট রির্জাভ করে পদ্মা নদী ভ্রমণ করতে পারেন। ২০ মিনিট পদ্মা নদীতে ভেসে ভেড়াতে আপনার খরচ পড়বে ২০০০ টকা। ১০ মিনিট এর জন্য ১০০০ টাকা। ট্রালার রির্জাভ করে পদ্মায় ঘুরতে চাইলে গুনতে হবে ১ ঘন্টার জন্য ২০০-১০০০ টাকা। ইঞ্চিনযুক্ত ছোট নৌকা নিয়ে ও চাইলে ঘুরতে পারেন তখন ১ ঘন্টায় আপনার খরচ হবে ৩০০-৬০০ টাকা। পর্যন্ত। আপনি যে মাধ্যমে ভ্রমণ করতে চান না কেন দরদাম করে উঠা ভাল। পরিবেশের অবস্থার উপর দরদাম কিছুটা উঠানামা করে।




□ যাওয়ার উপায়:
ঢাকা থেকে মৈনটঘাট এ আসার সবচেয়ে সুবধিাজনক উপায় হছ্ছে গুলিস্তান গোলাপশাহের মাজার এর সামনে থেকে সরাসরি মৈনটঘাটের উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে আসা যমুনা ডিলাক্স গাড়িতে উঠে বসা। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৯০ টাকা। মৈনটঘাটে আসতে সময় লাগবে ২- ২।৩০ ঘন্টা প্রায়। ফেরার সময় আবার একই বাসে করে আপনি ঢাকায় চলে আসতে পারবেন। মৈনট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে শেষ বাসটি ছাড়ে সন্ধ্যা ৬ টায়।



● মৈনটঘাট থেকে ফরিদপুর চরভদ্রাসন যাওয়ার পথে পদ্মার বুকে ●



□ কোথায় খাবেন:
মৈনট ঘাটে খাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি খাবার হোটেল আছে। তবে হোটেল গুলো শহরের মতো এত চাকচিক্য নয়। ইলিশ মাছের দাম পড়বে ৬০-৯০ টাকা। বড় সাইজের ইলিশ খেতে চাইলে আগেই অর্ডার দিতে হবে। এছাড়াও বোয়াল ৮০-১০০টাকা ও চিড়িং ৭০-৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। কার্তিকপুরের মিষ্টি খেতে ভুরবেনা এইখানকার মিষ্টি অনেক সুস্বাদু অনেকে বিদেশেও পাঠায়।


● খালি পায়ে পদ্মার শীতল জলের র্স্পশে তপ্ত রোদও মিষ্টি মনে হয় ●


● পাথর দিয়ে মজবুত বেড়ি বাঁধ না থাকায় নদীর তীর ভেঙ্গে যাচ্ছে ক্রমাগত ●

● যেখানে নীল আকাশ আর নদীর মিতালী, ছবি না তুলে কি আর পারি ●

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সুন্দর, তথ্যবহুল পোস্ট।

মানুষজন কেমন?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়। আমি গিয়েছিলাম সকাল বেলা ঐ সময় মানুষ কমছিল। তবে বিকাল সময়ে মানুষের ভিড় হয় বেশি। যখন ফিরছিলাম তখন মানুষের ভিড় বাড়ছিল।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার বাড়ির পাশে আরশিনগর! দরজা থেকে দুই পা ফেলিয়া দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া। একদিন অবশ্যই যাব মৈনট ঘাট দেখতে। ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে ঐ জায়গা দিয়ে বোটে করে চরভদ্রাসন গেছি। তখন বিশেষ কিছু চোখে পড়ে নি।

সুন্দর পোস্ট।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

নিয়াজ সুমন বলেছেন: এইটা শুধু আপনার ক্ষেত্রে নয়, বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এমনি হয়। যাইহোক, শুভেচ্ছা রইলো ভালো থাকবেন। অদেখা সুন্দর দেখে নিবেন খুব শীঘ্রই।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

এই মেঘ এই রোদ্দুর বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ মেঘ রোদ্দুর ভাই, মন খারাপের সময় আপনার ছোয়াঁয় প্রায় সময় আমার মন ভালো হয়ে যায়। ভালো থাকবেন।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সুমন কর বলেছেন: যেতে হবে একদিন !! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সময় করে ঘুরে আসুন আর আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

এই মেঘ এই রোদ্দুর বলেছেন: ভাই না বইন

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আন্তরিকভাবে দু:খিত যে আমি আপনার নাম দেখে বুঝতে পারিনি। আশা রাখি সামনে থেকে আর ভুল হবে না। ভালো থাকবেন মেঘলা আপু!

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। সুন্দর পোস্ট।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ নুর ভাইয়া, শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি। ভালো থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.