নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

⌂ শোকগাঁথা » ছবি ব্লগ ▪ ঢাকা ● বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫০


বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি বিশেষ জাদুঘর যা বাঙ্গালী জাতির অন্যতম নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণার্থে স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় ৩২ নম্বর রোডের বাড়ীতে শেখ মুজিব স্বাধীনতাপূর্ব কাল থেকেই বসবাস করতেন।
তিনি যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তখন এই ভবনেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের অন্য সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। এখানে তাঁর সারা জীবনের বিভিন্ন দুর্লভ ছবি এবং শেষ সময়ের অনেক স্মৃতি চিহ্ন রয়েছে।









বাড়িটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহূত নানা জিনিসপত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বীভৎস ঘটনার সাক্ষী বহন করছে দেয়াল এবং সিঁড়িতে গুলির চিহ্ন। তিনতলা ভবনটিকে বলা হয় বঙ্গবন্ধু ভবন। ১৯৯৭ সালে এই বাড়িটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।




□ পটভূমি

“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” – ৭ই মার্চের বিখ্যাত সেই ভাষণের রুপরেখাটি বঙ্গবন্ধু তৈরি করেছিলেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের এই বাড়ির কনফারেন্স টেবিলে বসে। স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি তখনও তিনি এই বাড়িটি থেকে রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতে থাকেন। এই বাড়ি থেকে অসংখ্যবার পাকিস্তানী সৈন্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। সর্বশেষে গ্রেপ্তার করেছিল ৭১ এর ২৫ শে মার্চ রাতে। বলা হয়ে থাকে তিনি ধরা দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন তাঁকে না পেলে এই সৈন্যরা নিরস্ত্র জনগণের উপর নারকীয় তান্ডব চালাবে।


আর এই বাড়িতেই তাঁকে স্বপরিবারে প্রাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট।


১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে বাড়িটি হস্তান্তর করা হয়। শেখ হাসিনা বাড়িটিকে জাদুঘরে রুপান্তরের জন্য বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করেন। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বাড়িটিকে জাদুঘরে রুপান্তরিত করে এবং নাম দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। নতুন ভবনে একটি লাইব্রেরী ও অডিটোরিয়াম রয়েছে।


□ দর্শনীয় বিষয়
জাদুঘর ভবনটিতে ঢুকে এক তলাতেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। একতলায় জাদুঘরটির প্রথম কক্ষে ছবির মাধ্যমে ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে বলা যায়। সেই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে বঙ্গবন্ধুর আলাপচারিতা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের আলোকচিত্র রয়েছে এখানে। এই কক্ষটি ছিল ড্রইং রুম। যেখানে বসে বঙ্গবন্ধু দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে বৈঠক করেছেন। এই কক্ষের পাশের কক্ষটি ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের পড়ার ঘর। এখানে বসে তিনি লেখালেখিও করতেন।



এখান থেকেই তিনি ৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠিয়েছিলেন। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময় এখনো চোখে পড়বে সেই রাতের তান্ডবলীলার নিদর্শন। এছাড়া এখানে শিল্পীর তুলিতে আঁকা বঙ্গবন্ধুর গুলিবিদ্ধ অবস্থার একটি প্রতিকৃতি রয়েছে।


দোতলায় গিয়ে প্রথমেই যে কক্ষটি পাওয়া যায় সেটি ছিল বঙ্গবন্ধুর বাসকক্ষ। এর পরের প্রথমে কক্ষটি ছিল তাঁর শোবার ঘর, তারপরের কক্ষটি কক্ষটি শেখ রেহানার শোবার ঘর। এ কক্ষগুলোয় এখন প্রদর্শিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারবর্গের নানা স্মৃতি চিহ্ন। এটি কেবল একটি পারিবারের স্মৃতি চিহ্ন নয়। এগুলো একটি জাতির ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।


এখানে থাকা বিভিন্ন প্রদর্শন সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শেখ রাসেলের খেলার জিনিস। যেমন- বল, হিকষ্টিক, ব্যাট, হেলমেট, সুলতানা কামালের সঙ্গে তার ছবি ইত্যাদি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ব্যবহৃত পাইপ, চশমাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র।



Ω কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
• ভেতরে খাবার, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে প্রবেশ করা বারণ। এসব কাউন্টারে জমা দিয়ে একটি টোকেন নিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
• নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী নিয়োজিত আছে।
• জাদুঘরে থাকা বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়।
• জাদুঘরটিতে প্রবেশ করা এবং বের হওয়ার জন্য পূর্ব ও পশ্চিম দুটি আলাদা পথ রয়েছে।
• জাদুঘরটিতে প্রবেশের সময় হাতের ডান পাশে টয়লেট পাওয়া যায়। এখানে পুরুষ-মহিলা উভয়ের জন্য এব্যবস্থা রয়েছে।
• তিন তলা ভবনটির একতলায় অফিস কক্ষ এবং একটি ক্ষুদ্র বিক্রয় কেন্দ্র আছে। এই বিক্রয় কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই এবং ম্যাগাজিন বিক্রি হয়।
• জাদুঘরটিতে গাইডের ব্যবস্থা আছে।
• অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে।
• জাদুঘরটির পূর্ব দিকে ইসলামী ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ রয়েছে।
• বর্তমানে জাদুঘরটি সরকারী নিয়ন্ত্রনাধীন।
• গাড়ি পার্কিং সুবিধা নেই।



□ সময়সূচী
• বুধবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ জাদুঘরটি। এটিতে সাধারণত শুক্রবার ও শনিবার ভিড় বেশি হয়।


□ টিকেট
• এই জাদুঘরটির একটি মাত্র টিকেট কাউন্টার রয়েছে। ভিড় থাকলে লাইন ধরে টিকেট কাটতে হয়। টিকেটের মূল্য ৫ টাকা। ৩ বছরের কম বয়সীদের কোন টিকেটের প্রয়োজন হয় না। আর শুধুমাত্র শুক্রবার ১২ বছরের কম বয়সীরা টিকেট ছাড়া প্রবেশের সুযোগ পায়।

⌂ অবস্থান
• লেক সার্কাস এর পশ্চিম পাশে এই জাদুঘরটির অবস্থান।

□ ঠিকানা-
• বঙ্গবন্ধু ভবন, বাড়ি# ১০, রোড# ৩২ (পুরাতন), ১১ (নতুন)।
• ফোন- ৮৮-০২-৮১১০০৪৬
• ফ্যাক্স- ৮৮-০২-৮৩১৩৮৬৬




বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরটি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখেন। জাদুঘর পরিদর্শন শেষে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষরও করেন তিনি।□

জিয়া স্মৃতি জাদুঘরঃ
অবহেলায় মলিন জিয়া স্মৃতি জাদুঘর


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: ভাল করেছেন এই পোস্ট দিয়ে। অনেকেই ধারনা পাবে, জানতে পারবে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়, ভালোবাসা নিও।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাইয়া,

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অসাধারণ যতসব ছবি।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ভালো থাকুন আপনিও । ভালোবাসা রইলো আপনার প্রতিও।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

সুমন কর বলেছেন: অনেক আগে গিয়েছিলাম ৩২ নম্বর রোডের সেই বাড়ীতে। শেষে ডায়েরীতে কিছুও লিখে এসেছিলাম। ওটা কি এখনো আছে?

গুড পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: জি, এখনো আছে। আমি ও লিখেছি । ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইলো ।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: জানার ও দেখার নাইকো শেষ। জানা ও দেখা হল অনেক কিছু। লাইক।

ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি। ভালোবাসা জানবেন। ভালো থাকবেন এই শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.