নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

⌂ ছবি ব্লগ » দীর্ঘতম সেতু ■ চলতি পথে (Bangabandhu Bridge) যমুনা বহুমুখী সেতু

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০


নদী পথে দেশের এক প্রা্ন্ত থেকে অন্য প্রান্ত সংযোগ স্থাপনের জন্য সেতু গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। একটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সেতু ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। সে জন্য প্রয়োজনের তাগিদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য সেতু। সেতুর র্দৈঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা কিংবা অবকাঠামোগত আঙ্গিক বিচারের একটা সেতু অন্য সেতুকে ছাড়িয়ে গেছে সবসময় । আজ আপনাদের নিয়ে যাবো বিশ্বের এগারতম ও দক্ষিন এশিয়ার ৬ষ্ঠ তম র্দীঘ সেতুর কাছে।

নদীর কুলে ঢলে পড়া আকাশের রঙের বর্ণছটার এমন বর্ণিল মুর্হূত কতখানি উপভোগ্য সময়ের সাক্ষী না হয়ে বুঝা কঠিন !


মূল সেতুর প্রবেশ পথে হাতের বাম পাশে বিস্তৃর্ণ সবুঝে ঘেরা উন্মুক্ত জায়গা। চাইলে দলবল নিয়ে বনভোজন ও করতে পারেন সেতুন নিকটর্বতী এই জায়গায় আর উপভোগ করতে পারেন একপাশ থেকে সেতুন ভিন্ন রাকম সৌন্দর্য্য।



সবুঝের সুন্দর দেখতে হলে যেতে হবে দিনের বেলায় আর যদি ইট-পাথরের সৌন্দর্য্য দেখতে চান তবে যেতে হবে রাতে বেলায়। তাইতো অন্ধকারে বাহারি আলোতে যমুনা সেতু হয় যুবতী নারীর মতো আকর্ষনীয় !


সেতুর নিকটে রেল স্টেশন

⌂ যমুনা সেতু যেকারনে বাঁকানো

■ সেতু বাকানোর প্রধান কারণগুলো হলো:
কাঠামোতে ৩ ধরনের লোড কাজ করে-
কাঠামোর নিজস্বলোড
যানবাহনের ওজন
ইনভায়রমেন্টাল (পারিপাশ্বিক লোড)।

ক) এখানে যানবাহন পার হওয়ার সময় ব্রিজের ওপর এক প্রকার কম্পনজনিত লোড ও বেগের গতি জনিত কম্পন উৎপন্ন হয়। সেতুটি যদি সোজা হতো তাহলে আনেক আগেই সেটি ভেঙ্গেযেতো।
খ) সেতুটির মোমেন্ট ঠিক রাখার জন্য, ও অধিক পরিমাণে শিয়ার প্রতিরোধ করার জন্য মাধখানে ধনুকের ন্যায় বাকানো হয়।
এর ফলে বন্যার সময় পানির অধিক চাপেও পিলার গুলো সেতুর কাঠামোতে ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
গ) পানির নিচে মাটির চাপ সব জায়গাতে সমান থাকেনা, সেই দিকটা বিবেচনা করা হয়।
ঘ) যদি কখনো সেতুর কোন অংশ ভেঙ্গেযায় তাহলে সেটা দুর থেকে দেখা যাবে. এর ফলে অনেক বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ঙ) যান বাহনের লোডগুলো সঠিক ভাবে প্রতিটা পিলারে আরোপিত হয়।
চ) এখানে সৌন্দয্য বড় কথা না, এবং সেতুকে বেশিদিন টিকে থাকতে হলে সেতু বাকা করতে হবে। আর সেই জন্য রড় সিমেন্ট বেলি লাগলেও কোন কিছু করার নেই।

 সেতুটিকে স্রোতের বিপরীতে অধিক চাপ (স্রোতের) সহনশীল এবং
 বড় মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল করে গড়ে তোলার জন্য।

□ এছাড়াও সাধারণ সেন্সে আরও কিছু কারণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন জোর সম্ভাবনা রয়েছে যে….

 দু’পাড়ের একই স্থানে সেতুটির সাথে মূল সড়কের সংযোগ-রাস্তা তৈরির জন্য উপযুক্ত গঠনবিশিষ্ট মাটি পাওয়া যায়নি।
 উভয়পাড়ে মূলসড়ক (যে সড়কের সাথে সেতু সংযুক্ত হবে) একই সরলরেখায় নয়।
 এছাড়াও সেতু টা সোজা হলে সিরাজগঞ্জের ঐ দিক থেকে সূর্যের (সূর্যাস্ত) আলো আসবে বিকাল বেলা আর তা চালকদের চোখে সরাসরিভাবে পড়বে ফলে দূর্ঘটনা ঘটবে। সকাল বেলা টাঙ্গাইলের এ দিক থেকে সূর্যের (সূর্যোদয়) আলো পড়বে চালকদের চোখে সরাসরিভাবে ফলে দূর্ঘটনা ঘটবে। তাই বাকাঁ করে বানানো হয়েছে।




যমুনা সেতু বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু


সেতুর প্রবেশ মুখে টোল প্লাজা।

দীর্ঘতম সেতুতে বাইক চালানো কতটা নিরাপদ ! কেননা অন্য বড় যানবাহন গুলো তুলনামুলক বেশ গতি নিয়ে সেতু অতিক্রম করে।





সেতুর শেষ প্রান্তের সবুঝ বনায়ন


মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক বছর আগে তখন বঙ্গবন্ধু সেতু মাত্র ওপেন করা হয়েছে | আমরা ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পেরিয়ে দিনে বা রাতের বাসে রাজশাহী যেতাম | আমাদের সেই মডার্ন এন্টারপ্রাইজ ! প্লেনেও যেতে হতো অনেক কিন্তু আমরা বাসের যাওয়াটা খুবই এনজয় করতাম | আপনার কিছু ফটো দেখে মনে হচ্ছে তখন বাস ব্রিজ থেকে পরে মরে গেলেও আজ কোনো দুঃখ থাকতো না |আমি শিওর মর্মান্তিক নয় খুবই রোমান্টিক মরণ হতো সেটা | কেউ জানালে খুশি হবো মর্ডান এন্টার প্রাইজের সেই এসি বাসগুলো এখনো ঢাকা রাজশাহী রুটে চলাচল করে কি না | পুরোনো দিনের মুগ্ধ স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন মুগ্ধকর সব ফটো দিয়ে |ধন্যবাদ |

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আমি তো চট্টগ্রাম থেকে গিয়েছিলাম নওগাঁ পাহাড়পুর দেখার উদ্দ্যেশে এক বন্ধুর দাওয়াতে। আপনার সেই মর্ডান বাস সার্ভিস সর্ম্পকে তাই আমার কাছে কোন তথ্য নাই এখন চলে কিনা। যাদের বাড়ি টাঙ্গাইল কিংবা যমুনা নদীর ওপারে তারা ভালো বলতে পারবেন। যাই হোক আমি গিয়েছিলাম ২০১৫ সালের দিকে। ঐ সময়ের ছবি এইগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে। দুঃখিত যে আপনার প্রশ্নের উত্তর যথাযথ দিতে পারি নাই। ভালো থাকুন সবসময়।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে ধারণকৃত ছবি, দুই একটা বাদে। চমৎকার, নয়নাভিরাম এসব ছবি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। কিছু ছবি বাস থেকে তুলেছি যখন বাস সেতু অতিক্রম করতেছিল। শুভেচছা জানবেন।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ছবি ব্লগ দারুণ হয়েছে !!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: কবীর ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে ভালোবাসা রইলো আপনার প্রতি।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

কালীদাস বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর। আপনার স্বতস্ফূর্ত বর্ণনাটা মিস করেছি অবশ্য :)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

নিয়াজ সুমন বলেছেন: প্রিয়, আপনি কিছু মিস করবেন তা মানতে পারলাম না। আর তাই কিছু কথাবর্তা আপনার জন্য সংযুক্ত করেদিলাম। আরেকবার চোখ বুলিয়ে যান আশা করি এখন হতাশ হবেন না!

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০১

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: মিতা, আপনাকে ও ধন্যবাদ সময় নিয়ে সবগুলো ছবি দেখার জন্য। ভালো থাকুন।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এই ছবি ব্লগটায় কমেন্ট করাটা ইজি হয়ে গেল!

কেবল চোখ বোলারঅম আর বলে দিলাম সুন্দর!:):)

ব্যস!:)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: তাই বুঝি রহমান ভাই,--
আমি কিন্তু ইতোমধ্যে ছবির ফাঁক-ফোকরে কিছু কথাবার্তা যোগ করে দিয়েছি।
মিষ্টি মন্তব্য করায় পড়ন্ত বেলায় আপনার জন্য একগুচ্ছ রজনীগন্ধা ফুলের মিষ্টি সুভাস দিলাম।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

রানা আমান বলেছেন: সুন্দর ছবিগুলো দেখে আমার নিজের উত্তরবণ্গের কয়েকটি জেলা সফরের কথা মনে পড়ে গেল । সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: শুভ সকাল, আপনার সোনালী দিন গুলোর মধুময় স্মৃতি মনে করে দিতে পেরে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা জানবেন ও ভালো থাকবেন।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ছবি ব্লগ ভালোবাসি সব সময়, যমুনা সেতুর যমুনা সেতু বাঁকানোর কারণটা জেনে সত্যিই চমৎকৃত হলাম।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন:
প্রিয় মনের মানুষ- আপনার ভালোলাগায় আমিও আনন্দিত হলাম।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

হাসান রাজু বলেছেন: ⌂ যমুনা সেতু যেকারনে বাঁকানো
এর আরেকটা কারন হল, বিপরিত দিক থেকে আশা হেড লাইটের আলো যেন ভ্রম সৃষ্টি না করে, দুর্ঘটনা কমানো।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: রাজু ভাইয়া, আপনার কারণটাও যুক্তিযুক্ত । ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.