নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

⌂ শীতের পাখি পরিচিতি » হাঁস ■ রঙ বেরঙের শীতের পরিযায়ী পাখি » পর্ব- ২

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪


উত্তুরে ল্যাঞ্জা হাঁস
শীতের আগমনে পরিযায়ী পাখির কলতানে মুখরিত দেশের হাওরাঞ্চল। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ থেকে তীব্র শীত মৌসুমে আত্মরক্ষার্থে দক্ষিণে চলে আসে বিভিন্ন প্রজাতির এসব পাখি। দুর-দুরান্ত থেকে আসা এসব পাখিদের পরিযায়ী পাখি বা (Migratory Bird) বলা হয়। চলুন আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিযে দিবো এমন কিছু পরিযায়ী পাখির সাথে –


ফুলুরি হাঁস


● চখাচখি


● মান্দারিন হাঁস


● লালঝুঁটি ভুতিহাঁস বা রাঙ্গামুড়ি

● বৈকাল তিলিহাঁস

● পিয়াং হাঁস

● লালঝুঁটি ভুতিহাঁস বা রাঙ্গামুড়ি
লালঝুঁটি ভুতিহাঁস বা রাঙ্গামুড়ি (Netta rufina) (ইংরেজি Red-crested Pochard) অ্যানাটিডি পরিবারের ন্যাটটা গণের অন্তর্ভুক্ত এক ধরনের বিরল হাঁস । এরা বাংলাদেশের পরিযায়ী পাখি । শীতকালে এদের বাংলাদেশের ঢাকা রাজশাহী সিলেট ও খুলনা অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যেত ।

লালঝুঁটি ভুতিহাঁস আকারে বড় হয় । পুরুষ হাঁসটির ওজন ১.১ কে জি এবং স্ত্রী হাঁসটির ওজন ১ কে জি ।পুরুষ হাঁসটির মাথা গোল এবং কমলা রঙের । এদের ঠোঁট লাল । বুকের রঙ কালো। পাঁজর সাদা । দেহের পিছনের অংশ বাদামী । লেজ কালো বর্ণের হয় । স্ত্রী হাঁসটি দেখতে ফেকাশে বাদামী । মাথার উপরের অংশ এবং দেহের পিছনের অংশ গাঢ় বর্ণের হয়ে থাকে । মুখ সাদাটে ।

লালঝুঁটি ভুতিহাঁস সাধারনত শাকাহারী স্বভাবের । এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বীজ মূল এবং বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ । তবে মাঝে মধ্যে এরা শামুক , উভচর প্রাণী ও ছোট মাছ খেয়ে থাকে । এরা দলবদ্ধ হয়ে থাকতে পছন্দ করে । এদের মিঠাপানির নদীতে ও লোনা পানিতে দেখতে পাওয়া যায় ।

লালঝুঁটি ভুতিহাঁসের প্রজনন মৌসুম হল মধ্য এপ্রিল থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ । এরা বাসা পানির কাছাকাছি তৈরি করে । স্ত্রী হাঁসটি ৬ থেকে ১২ টি ডিম পাড়ে । ডিমগুলো দেখতে সবুজাভ । ডিমে তা স্ত্রী হাঁসটি একাই দেয় । ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে ২৬ থেকে ২৮ দিন ।

● পিয়াং হাঁস
পিয়াং হাঁস বা পিয়ং হাঁস (Anas strepera) (ইংরেজি Gadwall) অ্যানাটিডি পরিবারের অ্যানাস গণের অন্তর্ভুক্ত এক ধরনের সুলভ প্রজাতির হাঁস । এরা বাংলাদেশের পরিযায়ী পাখি । শীতকালে এদের বাংলাদেশের ঢাকা সিলেট চট্টগ্রাম বরিশাল খুলনা রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় ।

হাঁস লাম্বায় ১৮ থেকে ২২ ইঞ্চি হয়ে থাকে । এদের পাখার বিস্তৃতি ৩১ থেকে ৩৫ ইঞ্চি । পুরুষ হাঁসটি আকারে স্ত্রী হাঁস থেকে সামান্য বড় হয়ে থাকে । পুরুষ হাঁসটির ওজন ৯৯০ গ্রাম এবং স্ত্রী হাঁসটির ওজন ৮৫০ গ্রাম হয়ে থাকে । পুরুষ হাঁসটি দেখতে খয়েরী বাদামী বর্ণের । এর সাদা রঙের পেট আছে । পাখিটির পিছনের অংশ দেখতে কালো বর্ণের । ডানার উপরের অংশ পিঙ্গল বর্ণের এবং নিচের অংশ ধবধবে সাদা । এর ঠোঁট নীলাভ ধূসর । পা এবং পায়ের পাতা দেখতে হলুদ রঙের । স্ত্রী পাখিটি দেখতে অনেকটা পুরুষ পাখিটির মতো । তবে এদের সারা দেহে বাদামী বর্ণের ছোপ ছোপ দেখা যায় । এদের ঠোঁট হলুদ সাথে কালো রঙের দাগ থাকে ।

পিয়াং হাঁসকে সাধারনত খোলা জলাভূমিতে দেখতে পাওয়া যায় । বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে থাকতে এরা পছন্দ করে । এই প্রজাতির পাখিরা শাকাহারী স্বভাবের হয় । এরা পানিতে ডুব দিয়ে খাবার সংগ্রহ করে । এদের খাদ্য তালিকায় আছে বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ, শৈবাল, ঘাস, নল খাগড়া, হোগলা পাতা, আগাছা ও উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ যেমন পাতা, মূল, কাণ্ড, বীজ ইত্যাদি । প্রজনন কালে এরা মাংসাশী স্বভাবের হয় । এসময় এরা শামুক ও অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণী খেয়ে থাকে ।

পিয়াং হাঁসের প্রজনন মৌসুম শুরু হয় শীতকালে । এরা জমিতে বাসা বানায় যা পানি থেকে দূরে থাকে । এদের বাসা সহজে চিহ্নিত করা যায় না । স্ত্রী হাঁস টি বাসা বানানোর দায়িত্বে থাকে এবং পুরুষ হাঁসটি নিরাপত্তা প্রদান করে । গাছের পাতা ডাল খড় কুটা ইত্যাদি দিয়ে বাসা বানানো হয় । বাসা তৈরি হলে স্ত্রী পাখিটি ডিম পাড়ে । এরা একসাথে ৭ থেকে ১২ টি ডিম পাড়ে । ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে ২৪ থেকে ২৭ দিন ।

● উত্তুরে ল্যাঞ্জা হাঁস
উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস (Northern Pintail) শীতকালে দেশের বড় বড় নদী মোহনা, হাওর, জলজ উদ্ভিদপূর্ণ জলাশয় এবং উপকূলীয় জলাভূমি মুখরিত করে তোলে। এরা বড় আকারের উজ্জ্বল ও বর্ণিল জলচর পাখি। এরা দ্রুত উড়তে পারে এবং ঝাঁকে থাকতে পছন্দ করে। ভোরে, সন্ধ্যায় ও রাতে এরা বেশি সক্রিয় থাকে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে আলাদা। লেজের মাঝের পালক সরু ও লম্বা আলপিনের মতো, যা পুরুষ পাখিকে স্ত্রী পাখি থেকে আলাদা করে। প্রজননকালীন সময়ে পুরুষ পাখির মাথা ও ঘাড় পিঙ্গল রঙের হয়। ঘাড়ের দুদিকে সাদা পট্টি সরু থেকে চওড়া হয়ে বুক ও পেটের কাছে মিশে যায়। অপরদিকে স্ত্রী পাখির মাথা, লেজ ও ঘাড় অপেক্ষাকৃত ছোট হয়। মাথা ও ঘাড়ের পালক বাদামি রঙের। বাকি দেহের রং বাদামি। উভয় পাখির চোখের মণি বাদামি। এদের পা ও পায়ের পাতাগুলো কালচে রঙের।

উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস প্রধানত নিরামিষভোজী। পানিতে ভাসমান উদ্ভিদ এদের প্রধান খাদ্য। এছাড়া বীজ, শস্য, কন্দ, কচিকাণ্ড, পাতা, শামুক ইত্যাদি এরা খেয়ে থাকে। তবে প্রজনন মৌসুমে ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণীও খায়।
উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস সাধারণত পানি থেকে বেশ কিছুটা দূরে খোলা জলাশয় বা জলাভূমির মাটিতে বাসা বাঁধে। প্রজননের সময় সাইবেরিয়া ও মঙ্গোলিয়ার উত্তরাঞ্চলের আর্দ্রভূমির লতা-পাতার মধ্যে ঘাস, গাছ-গাছড়া ও পালক বিছিয়ে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে। ডিমের সংখ্যা ৭ থেকে ৯টি। ডিমের রং নীলচে ফ্যাকাসে। প্রায় ২১ থেকে ২২ দিনে ডিম ফোটে এবং প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ দিনে ছানার গায়ে ওড়ার পালক গজায়। অপ্রজননকালীন এরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে, দলে অন্যান্য প্রজাতির হাঁসও ঘুরে বেড়ায়। উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস বড় নদী, হ্রদ, মোহনা, উপকূলীয় লেগুন ও ঝিলে বিচরণ করে। সাধারণত ঝাঁকে চলে, মাঝে মাঝে অনেক বড় ঝাঁকেও দেখা যায়। এরা তীরে হেঁটে, অগভীর জলে সাঁতার কেটে অথবা পানিতে মাথা ডুবিয়ে খাবার খোঁজে।

বিপন্নের তালিকাতে এখনো উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁসের নাম আসেনি। তবে আশংকা করা হচ্ছে পৃথিবী থেকে দ্রুত জলাশয়গুলো বেহাত হওয়া এবং শিকারির অপতৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় খুব শিগগিরই এরা বিপন্নের তালিকাতে স্থান করে নেবে।

● মান্দারিন হাঁস

মান্দারিন হাঁস (Mandarin Duck) বা সুন্দরী হাঁস Anatidae গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Aix গণের এক প্রজাতির বাহারি রঙের ছোট ডুবুরি হাঁস। মান্দারিন হাঁসের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ টোপরপড়া ডুবুরি (গ্রিক aix = ডুবুরি পাখি; ল্যাটিন galericulata = টোপর)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ১৮ লাখ ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার।গত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা কমে গেলেও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছায় নি। বাংলাদেশে এরা পরিযায়ী হয়ে আসে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত নয়।সমগ্র পৃথিবীতে আনুমানিক ৬৫ হাজার থেকে ৬৬ হাজার মান্দারিন হাঁস রয়েছে।

বিস্তৃতি

প্রায় সমগ্র ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু কিছু অঞ্চল পর্যন্ত এদের বিস্তৃতি। স্বভাবে এরা প্রধানত পরিযায়ী। তবে দূর দূর প্রাচ্যের মান্দারিন হাঁস সাধারণত স্থায়ী। চীন, জাপান, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান আর রাশিয়ায় এরা আবাসিক। যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, স্লোভেনিয়া আর সুইজারল্যান্ডে মান্দারিন হাঁস অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া, হংকং, বেলারুশ ও স্পেনে (ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ) এরা হয় অনিয়মিত (Vagrant) নয়তো পরিযায়ী হিসেবে আসে।

বিগত শতাব্দীতে রাশিয়া আর চীনে ব্যাপক হারে বনাঞ্চল ধ্বংস করা শুরু হলে মান্দারিন হাঁসের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করে। পরবর্তীতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উদ্যানের শোভা বর্ধনের জন্য এ হাঁস নেওয়া হয়। এছাড়া এর সৌন্দর্য্যের জন্য বাসাবাড়িতে পোষা শুরু হয়। উপযুক্ত পরিবেশে এরা দ্রুত বংশবিস্তার শুরু করে এবং পরবর্তীতে এদের সংখ্যা সন্তোষজনক অবস্থানে ফিরে আসে। ইউরোপে এরা বেশ ভাল অবস্থায় থাকলেও এশিয়ায় এদের অবস্থা মোটামুটি। সমগ্র এশিয়ায় সম্ভবত ২০ হাজার মান্দারিন হাঁস রয়েছে। এদের এশিয়ায় এখনও টিকে থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে এদের বিদঘুটে স্বাদ। স্বাদ ভালো না হওয়ায় শিকার হওয়ার হাত থেকে এরা অনেকাংশে বেঁচে যায়।


বিবরণ
পুরুষ মান্দারিন হাঁস অসাধারণ সুন্দর, রঙ-চঙে এক হাঁস। এদের দৈর্ঘ্য কমবেশি ৪৪ সেন্টিমিটার, ডানা ২২.৫ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ২.৮ সেন্টিমিটার, পা ৩.৮ সেন্টিমিটার ও লেজ ১১ সেন্টিমিটার। ওজন ৪২৮ থেকে ৬৯৩ গ্রাম। প্রজনন মৌসুমে স্ত্রী ও পুরুষ হাঁসের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর।

পুরুষ মান্দারিন
পুরুষ মান্দারিন হাঁসের সারা শরীর জুড়ে নানান রঙের ছড়াছড়ি। প্রজনন মৌসুমে পুরুষ হাঁসের ডানা কমলা রঙ ধারণ করে, ডানায় নৌকার পালের মত দু'টি খাড়া পালক থাকে। মাথা গোল, মাথার চাঁদি বাদামি, চাঁদির সামনের দিকটা নীলচে সবুজ। চোখের উপর চওড়া সাদা ছিটা-দাগ, সাদা মোটা ভ্রু ঘাড়ে গিয়ে ঠেকেছে। গলা, ঘাড় ও চিবুক কমলা রঙের ঘন ঝালরের মত পালকে আবৃত। ঘাড়ের ও গলার বাকি অংশ ঘন নীলচে পালকে আবৃত। ডানার গোড়ায় কালো-সাদা বলয় থাকে। ডানা হালকা পাটকিলে বর্ণের। দেহতল সাদা। পিঠ,লেজ ও ডানার প্রান্তভাগের পালকগুলো কালো। ঠোঁট পীচ ফলের মত লাল, ঠোঁটের অগ্রভাগ হালকা গোলাপী। চোখ ঘন বাদামি। পা কমলা-পীতাভ বর্ণের আর লিপ্তপাদ। পায়ের পর্দাগুলো কালো। প্রজনন ঋতু ব্যতীত অন্যান্য সময়ে পুরুষ হাঁস পুরোপুরি স্ত্রী হাঁসের মত। কেবল পিঠ চকচকে আর ঠোঁট লালচে থাকে।

স্বভাব
মান্দারিন হাঁস মিঠাপানির আর্দ্রভূমি, প্লাবিত ধানক্ষেত, বনের জলধারা, পুকুর, হ্রদ ও তৃণময় জলাশয়ে বিচরণ করে। যেসব জলাশয়ের ধারেকাছে ঘন বন থাকে সেসব জলাশয় এদের পছন্দের জায়গা। সাধারণত অন্যসব প্রজাতির হাঁসের মিশ্র ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায়। এরা সামাজিক হলেও পুরুষ হাঁসেরা সচরাচর পরস্পরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এরা ভাল সাঁতারু ও দ্রুত উড়তে পারে, তবে ডুব দিতে পটু নয়। ঊষা আর গোধূলিবেলায় বেশি কর্মপটু থাকে। দিনের অন্য সময়ে ছায়ায় বিশ্রাম নেয়। অন্যান্য প্রজাতির হাঁসের পা যেখানে শরীরের পেছনে অবস্থিত, সেখানে মান্দারিন হাঁসের পা তুলনামূলক সামনে অবস্থিত। সেকারণে এরা ডাঙাতেও সচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে। এই সুবিধার জন্য এরা গাছের ডালেও বসতে পারে। বন্দী অবস্থায় এরা সহজেই ৬-৭ বছর বাঁচে, সর্বোচ্চ বাঁচে ১০ বছর পর্যন্ত।

বাসা
ঘন বনের মধ্যে জলাশয়ের কাছাকাছি এরা বাসা করে। সাধারণত গুহায়, গর্তে বা গাছের কোটরে ঘাস, উদ্ভিদাংশ ও পালক বিছিয়ে বাসা করে। বাসার উচ্চতা মাটি থেকে কমপক্ষে ৩০ ফুট উঁচুতে হয়। মূলত স্ত্রী হাঁসই বাসা বানাবার জায়গা পছন্দ করে আর বাসা বানায়। পুরুষ হাঁস এ ব্যাপারে স্ত্রী হাঁসকে সহায়তা করে।

মানুষের সাথে সম্পর্ক
চীনা ভাষায় মান্দারিন হাঁস ইউয়ান-ইয়াঙ নামে পরিচিত যা অনেকটা বাংলা চখা-চখির মত; ইউয়ান পুরুষ হাঁস বোঝায় আর ইয়াঙ বোঝায় স্ত্রী হাঁসকে। প্রতিটি মান্দারিন হাঁস জোড়ের বন্ধন বেশ শক্ত থাকায় চীনা সংস্কৃতিতে এরা ভালোবাসা আর পারস্পরিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। চীনা চিত্রকর্মে মান্দারিন হাঁস বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে। পুরুষ আর স্ত্রী হাঁসের মধ্যে পার্থক্য প্রবল হওয়ায় চীনা ভাষায় ইউয়ান-ইয়াঙ শব্দটি বাগধারা হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা মূলত দু'টি সম্পূর্ণ বিপরীত বিষয়ের সংমিশ্রনকে বোঝায়।

● ফুলুরি হাঁস

ফুলুরি হাঁস (বৈজ্ঞানিক নাম: Anas falcata) বা শিখাবিশিষ্ট হাঁস Anatidae (অ্যানাটিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Anas (অ্যানাস) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস। এরা বাংলাদেশের পরিযায়ী পাখি । শীতকালে এরা বাংলাদেশের ঢাকা বরিশাল সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থান করে । পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। ফুলুরি হাঁসের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ কাস্তের মত পলাকবিশিষ্ট হাঁস (লাতিন: anas = হাঁস; falcatus = কাস্তের মত)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

ফুলুরি হাঁস লম্বায় ৪৮ থেকে ৫৪ সে মি হতে থাকে । পুরুষ হাঁসটি দেখতে ধূসর বর্ণের হয় । উড়ার পাখা দেখতে কাস্তের মতো । মাথা গাঢ় সবুজ রঙের হয় । এদের গলা দেখতে সাদা । স্ত্রী হাঁসটি দেখতে গাঢ় বাদামি বর্ণের । এদের লম্বা ধূসর ঠোঁট আছে । এই ঠোঁট দিয়ে একে সহজে চেনা যায় । অপ্রাপ্তবয়স্করা আকারে ছোট হয় । এদের উড়ার লেজ ছোট আকারের হয় ।


ফুলুরি হাঁস দলবদ্ধভাবে বসবাস করে এবং অপ্রজননকালীন মৌসুমে বিশাল বিশাল দলে বিচরণ করে। বড় সংরক্ষিত জলাশয়ে এদের সহজে দেখা যায়। ফুলুরি হাঁস নিম্নভূমির জলাভূমি পছন্দ করে । এরা চরে বেড়ায় এবং উদ্ভিদ বীজ ও ছোট ছোট জলজ জীব এদের প্রধান খাদ্য। । এরা বাসা জমিতে বানায় যা পানির কাছাকাছি হয়ে থাকে । এরা বাসাকে অন্যদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখে । স্ত্রী হাঁসটি ৬ থেকে ১০ টি ডিম পাড়ে । পিয়াং হাঁস আর ইউরেশীয় সিঁথিহাঁস এর নিকটতম আত্মীয়।

● চখাচখি

বর্ষার শেষে যখন নদীর পানি কমতে থাকে তখনই দেখা যায় চখাচখির ঝাঁক। বড় নদী বা চরাঞ্চলের মানুষ ছাড়া এই পাখিকে খুব কম মানুষই চেনে। পাখিটি দেখতে কিন্তু বেশ মনোরম । হাঁস যেমন বিভিন্ন রংয়ের হয়, চখাচখি কিন্তু সেরকম নয়। এরা একই রংয়ের। রঙটিও খুব অনন্য। একদম দারুচিনির মতো, না কমলা না খয়েরী। মাঝামাঝি একটি রঙ। এরা আসলে পরিযায়ী পাখি। পৃথিবীতে বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বসবাস করে। পাখি শিকারীদের শিকারে বিপন্ন হতে থাকলেও আশংকাজনক পর্যায়ে এখনও পৌঁছে যায়নি। শীত মৌসুমে এরা পরিযায়ী পাখি হিসাবে বাংলাদেশে আসে। আমাদের দেশের বন্যপ্রাণী আইনে এরা সংরক্ষিত।

চখাচখি (Ruddy Shelduck), চকাচকি বা খয়রা চখাচখি Anatidae (অ্যানাটিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Tadorna (টাডোর্না) গণের এক প্রজাতির দারুচিনি রঙের বড় আকারের হাঁস।চখাচখির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ মরচে-রঙ চখাচখি (ফরাসি tador = চখাচখি; ল্যাটিন ferrugineus = মরচে-রঙ)।সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ৮৪ লাখ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার।গত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা কমে গেলেও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছায় নি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা ন্যুনতম বিপদযুক্ত বলে ঘোষণা করেছে। সংরক্ষিত।সমগ্র পৃথিবীতে আনুমানিক ১লাখ ৭০ হাজার থেকে ২ লাখ ২০ হাজার চখাচখি রয়েছে। চখাচখি বলতে আসলে একটিমাত্র হাঁসকে বোঝায় না, বরং এক জোড়া হাঁসকে বোঝায়। জোড়ার পুরুষ হাঁসটিকে চখা আর স্ত্রী হাঁসটিকে চখি নামে ডাকা হয়। চখাচখি সবসময় জোড়ায় জোড়ায় থাকে আর জোড়ের বন্ধন খুব শক্ত। একারণেই এদের এমন নাম।


● বৈকাল তিলিহাঁস

বৈকাল তিলিহাঁস (বৈজ্ঞানিক নাম: Anas formosa) বা বৈকাল হাঁস Anatidae (অ্যানাটিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Anas (অ্যানাস) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। বৈকাল তিলিহাঁসের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ সুন্দর হাঁস (লাতিন: anas = হাঁস; formosus = সুন্দর)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এই প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।

বৈকাল তিলিহাঁস আকারে পাতি তিলিহাঁস থেকে সামান্য বড় । এরা আকারে ১৫ থেকে ১৭ ইঞ্চি হয়ে থাকে । পাখার বিস্তৃতি ৭ থেকে ৯ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে । পুরুষ হাঁসটির গড় ওজন ৪৩৭ গ্রাম ও স্ত্রী হাঁসটির গড় ওজন ৪৩১ গ্রাম হয় । পুরুষ হাঁসের গলার পিছনের অংশ গাঢ় সবুজ বর্ণের । গলার সামনের অংশ হলুদ-কালো রঙের । বুকের রঙ হাল্কা বাদামি সাথে গাঢ় ফোঁটা থাকে । মাথার উপরের অংশ গাঢ় বর্ণের । পুরুষ হাঁসটি দেখতে খয়েরী রঙের । স্ত্রী হাঁস দেখতে অনেকটা স্ত্রী পাতি তিলি হাঁসের মতো । কিন্তু এদের ঠোঁটে সাদা দাগ থাকে । গলা সাদা রঙের হয় । মাথা গাঢ় বর্ণের হয়ে থাকে । অপ্রাপ্তবয়স্কদের দেখতে স্ত্রী হাঁসের মতো লাগে কিন্তু এরা আকারে ছোট হয় ।

বৈকাল তিলিহাঁস নিশাচর প্রাণী । দিনে বিশ্রাম নেয় ও রাতে খাবারের সন্ধানে বের হয় । বৈকাল তিলিহাঁস দলবদ্ধভাবে বসবাস করে এবং অপ্রজননকালীন মৌসুমে বিশাল বিশাল দলে বিচরণ করে। বড় সংরক্ষিত জলাশয়ে এদের সহজে দেখা যায়। এরা বীজ, শস্য, জলজ উদ্ভিদ এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন শামুক খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে । এরা পানির কাছাকাছি তৃণভূমিতে বাসা বানায় । শীতকালে এরা স্বাদু পানির নদী ও লেকে বসবাস করে ।

বৈকাল তিলিহাঁসের প্রজনন মৌসুম শুরু হয় মার্চের প্রথম দিকে। স্ত্রী পুরুষ উভয়ই ১ বছরের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয় । এরা সাধারনত একগামি স্বভাবের হয়ে থাকে । বাসা বানানো থেকে শুরু করে বাচ্চা প্রতিপালন স্ত্রী হাঁস একাই করে থাকে । স্ত্রী হাঁস ৪ থেকে ১০ টি ডিম পাড়ে । ডিমে তা দেয়ার ২৪ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটে বের হয় ।

শীতের পরিযায়ী পাখির পর্ব সমূহঃ
⌂ শীতের পাখি পরিচিতি » হাঁস ■ রঙ বেরঙের শীতের পরিযায়ী পাখি » পর্ব- ১
⌂ শীতের পাখি পরিচিতি » হাঁস ■ রঙ বেরঙের শীতের পরিযায়ী পাখি » পর্ব- ৩

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সবচেয়ে ভাল লাগলো মান্দারিন-কে।

শীত এসেছে দেশী হাঁসের মাংশ খেতে হবে....................................................নাকি খাওয়াবেন?

হা. হা. হা..............................................

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: হা হা হাা !!! তাই নাকি—
আমি হাঁসের মাংস কম পছন্দ করি কারণ হাঁসের মাংস শক্ত বেশি তাই খেতে ভালো লাগে না।
চলে আসেন দেখি খাওয়াতে পারি কি না---

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ২-১ টা বাদে প্রত্যেকটা ছবিই দারুণ!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ অয়ন ভাইয়া, সাথে থাকুন সবসময়।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

কালীদাস বলেছেন: সুন্দর পোস্ট এবং কালারফুলও বটে :) ছবিগুলো মনে হয় নেট থেকে নেয়া। নাকি আপনার তোলা?

আল্পসের গোড়ার শহরগুলোতে শীত পড়ে গেছে মুটামুটি, সকাল আটটা নয়টা পর্যন্ত জিরোর নিচে থাকে আমার শহরে; দিনের সবচেয়ে গরম সময়টাতে বেড়ে ৫/৭ হয়। আকাশে পাখি তেমন একটা দেখা যায় না বললেই চলে। আরও উত্তরে গেলে ভয়ংকর অবস্হা, সাইবেরিয়ার ইয়াকুটস্কে এখন চেক করে দেখলাম -৩৯! পাখির ঠেকা পড়েছে ঠান্ডায় মরতে? এরচেয়ে বাংলাদেশে যেয়ে শিকারীদের হাতে মরা ভাল :((

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনি দারুন বলেছেন। এমনি এমনি মরার চেয়ে আমাদের মতো ছোট খাটো দেশের মানুষের পেটে গিয়ে মরা অনেক উত্তম।
যাই হোক, আপনার ধারনায় সঠিক।
পরিযায়ী পাখি সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে গিয়ে ছবি গুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি। এক সাথে এত্তগুলো পরিযায়ী পাখির ছবি যদি নিজে তুলতে যায় তাহলে বাহারি হাঁস সর্ম্পকে ছবি সহ ব্লগ লিখা আমার এই জীবনে আর হবে না।
হা হা হা !!!

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

আশিক হাসান বলেছেন: খুব সুন্দর একটা বিষয়কে তুলে ধরেছেন পোস্টে তবে এই সুন্দর ছবিগুলোর সাথে যদি দু একটা গুলিতে অথবা শিকারীর ফাঁদে মরা হাঁসের ছবি দিতেন তাহলে অনেকেরই হয়ত এই শীতের অতিথি পাখিগুলো মেরে খাওয়ার ইচ্ছে হতনা। আবারও ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামত ব্যক্ত করার জন্য। যারা নিষ্টুর প্রকৃতি তারা ছবি দিলেও শিকার করবে। যারা প্রকৃতি প্রেমী তারা কখনো তা করবে না। সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: হাঁস সম্পর্কে ভালো তথ্য! শেয়ারের জন্যে ধন্যবাদ।

তবে, ছবিগুলোর রেফারেন্স দিলে ভালো হতো। ছবির কপিরাইট নিয়ে অনেক বিপদে পড়তে হয় লেখকদের।

ধন্যবাদ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার অভিমতের জন্য। রেফারেন্স দিতে চাইছিলাম কিন্তু ছবির পরিমান এত্ত বেশি যে কখন কোনটা কোথায় থেকে সংগ্রহ করেছি তালগোল পাকিয়ে পেলেছি।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



গরমের সময় এডের কি রকম দেখায়?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: হাঁস তো উভচর জলে ও স্থলে সব জায়গায় থাকতে পারে। বেশির ভাগ সময় তো পানির মধ্যে থাকতে পছন্দ করে। তবে অতিরিক্ত শীত হয়তো হাঁস সহ্য করতে পারে না আর তাই শীত প্রধান দেশ থেকে কম শীত পড়া দেশে তারা দেশান্তরী হয়।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারন অসাধারন !!!!!
প্রিয়তে নিচ্ছি পোষ্ট ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু, ভালোবাসা নিবেন। ভালো থাকবেন।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: চমৎকার হাঁস ব্লগ :-P



০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহিম ভাইয়া, শুভেচ্ছা রইলো আপনার তরে। ভালো থাকুন সবসময়।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



চমৎকার ! হাঁস দেখলে আমার মধ্যে এক অদ্ভুত স্নিগ্ধতা কাজ করে। ওরা বেশি কিউট !

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার কথায় ঠিক। হাঁস যে এত্ত কিউট হয় আর এত্ত রকম যে হাঁস আছে তাও জানতাম না যদি হাঁস সর্ম্পকে ব্লগ লিখার আগ্রহ সৃষ্টি না হতো।

১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

শায়মা বলেছেন: ল্যাঞ্জা হাস দেখে তো আমি মুগ্ধ!!!!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, আপনার মতো আমিও যে পরিযায়ী হাঁসের প্রেমে মজেছি।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:


চমৎকার পোষ্ট !


দারুণ হংসমেথুন যেন দিঘীর জলে !

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো জাহিদ ভাই।

১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

রাসনা মিথি বলেছেন: ছবিগুলো আমার একটু দরকার। কোন লিংক দিতে পারবেন ভাইয়া?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার মেইল আইডি টা দেন আপনাকে বিস্তারিত পাঠিয়ে দিবো..

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:



ভালোলাগা জানবেন।

ছবিগুলো কি আপনার ক্যামেরার?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: না ভাই, আমার না,

১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার শীতের পাখি পরিচিতি হাঁস জাতি নিয়ে পোস্টে পড়লাম | আমার বাসার খুব কাছেই বিড়াট পার্ক আর পার্কের ফাউন্টেন ও পন্ডটা | সেই সুবাদে আপনার বর্ণনা করা এই ল্যাঞ্জা, ম্যান্ডারিন,লালঝুটি ভুতি, বৈকাল তিলিসহ হাঁস সম্প্রদায়ের আরো অনেকেই আমার পড়শী | আমার বাসা আর পার্কার মধ্যকার বড় কিলগোর রোডটায় চলতে গিয়ে মাঝে মাঝেই এই হাঁস সম্প্রদায়ের জন্য এমন ঝামেলায় পড়তে হয় ! এরা আবার খুবই গোত্রভুক্ত একাএকা চলা ফেরা করে না | অনেক সময় হয়তো খুব দ্রুত যাওয়া দরকার কিন্তু পার্কের সামনে এসেই সব অচল | ব্যস্ত রাস্তায় সব গাড়ি স্থির | কি হয়েছে ? ল্যাঞ্জা হয়তো ম্যান্জা মেরে রাস্তা পার হচ্ছে সদলবলে ! এই আমেরিকানরা বোমা মেরে আফগানিস্তান, ইরাক সিরিয়ায় লাখ লাখ মানুষ যতই মারুক এই সব হাঁসের ব্যাপারে কিন্তু দারুন মানবিক ! এদের রাস্তা পার হতে দিতে সব গাড়ি চুপ চাপ দাঁড়িয়ে থাকবে | কোনো হর্ন নেই, কোনো শব্দ নেই ! নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা পালনের মতো চুপচাপ পার হতে দিতে শ্রদ্ধা জানানোর মতো আর কি ! সেদিন এক দীর্ঘ্য জ্যামে পরে গেলাম এই ল্যানজাদের জন্য | মাঝে মাঝেই তাড়াতাড়ির সময় এরকম আটকে গেলে একটা হেলিকপ্টর নেই কেন তার জন্য আফসোস হয় ! যাক আমার দুঃখের কাহিনী বলে আর কি হবে আপনার লেখাটা এই ঝামেলার জন্য অন্যদের তুলনায় একটু কম ভালো লাগলেও খুব ভালো হয়েছে |

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জ্ন্য। আমরা মানুষ না হয়ে হঁস হলে মনে হয় ভালো হত। হাঁসের প্রতি যত মানবিক মানুষের প্রতি মানুষ তত অমানবিক। কারণ হেতু বুঝলাম না!!
যাই হোক শুভেচ্ছা জানবেন। আর দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ভালথাকুন সবসময় আপনার পাড়ার প্রতিবেশীদের নিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.