নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

⌂ শোকগাঁথা » ছবি ব্লগ ▪ চট্টগ্রাম ● অবহেলায় মলিন জিয়া স্মৃতি জাদুঘর

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৩


শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে জানতে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছে চট্টগ্রামের জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে। তবে অনাদর, অবহেলা আর অযত্নে মলিন হয়ে পড়েছে শতবছরের ঐতিহ্যবাহী এই জাদুঘর ভবনটি। দর্শনার্থী আগমনের দিক থেকে দেশের তৃতীয় স্থানে থাকা এই সরকারি জাদুঘরটিতে ২০০৬ সালের পর আর কোন বড়ধরনের সংস্কার কাজ হয়নি। ‘টেকনিক্যাল’ কারণ দেখিয়ে জাদুঘরটি সংস্কারে কোন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে জরাজীর্ণ ভবনটিতে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।



□ পটভূমি
ব্রিটিশ আমলে ১৯১৩ সালে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন পুরাতন সার্কিট হাউজ ভবনটি এখন জিয়া জাদুঘর। ৩৭ বছর আগে ১৯৮১ সালের ৩০ মে কালো রাতে এ ভবনে শাহাদাতবরণ করেন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেনানী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। অভিশপ্ত এ ভবনের শয়নকক্ষে ছোপ ছোপ রক্তে ভেজা কার্পেট, বুলেটে ঝাঝরা হয়ে যাওয়া দেয়ালের সেই ভয়াল বিভীষিকার চিহ্ন এখনও কাঁদায় জিয়াপ্রেমিক সাধারণ দর্শকদের। ভবনের প্রতিটি কক্ষে জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের অসংখ্য ঘটনাবহুল নিদর্শন স্থান পেয়েছে।


রয়েছে ঐতিহাসিক এবং দুর্লভ অনেক ছবি ও দর্শনীয় বস্তু। সৈনিক থেকে রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, সার্কের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা স্থান পেয়েছে এ জাদুঘরে। একজন পরিপূর্ণ জিয়াকে জানতে এবং বুঝতে এই যাদুঘরে আসছেন দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ। অনেকে আসেন দৃষ্টিনন্দন ভবনটি দেখতে। তবে ভবনের ভেতরে থাকা মানুষটির বর্ণাঢ্য জীবনগাথা তাদেরও নাড়া দেয়।


জাদুঘরটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের কিছুটা অবহেলা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরো ভবনটি মলিন হয়ে গেছে। জিয়া স্মৃতি জাদুঘর লেখা স্মৃতি ফলকটিতে কি লেখা তা বোঝার উপায় নেই। খসে পড়েছে ভবনের আস্তর। দরজা-জানালায় ধুলোবালির আস্তরণ। পর্দার নিচে ঝুলছে মাকড়সার জাল। জাদুঘরের ভেতরের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু আর নতুন সার্কিট হাউজের মাঝখানে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিনন্দন এ ভবনটির দৈন্যদশা খুবই বেমানান দেখাচ্ছে। এরপরও জাদুঘরটিতে দর্শর্নার্থীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।


জানা যায়, ২০০৬ এর পর ভবনটির কোন সংস্কার কাজ হয়নি। পুরাতন সার্কিট হাউজের এ ভবনটি শুধুমাত্র দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী নয়, ইতিহাসেরও অংশ। এ ভবনটি সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরী।

১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি সরকার জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণের স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। তার ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং জিয়াউর রহমানের পতœী বেগম খালেদা জিয়া এই স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বৃটিশ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত জিয়া স্মৃতি জাদুঘর ভবনটি এ অঞ্চলের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন একটি ভবন হিসেবে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নজর কাড়ছে। ভবনটিতে জিয়াউর রহমানের উপর প্রকাশিত বিভিন্ন বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পাঠাগারও। সেখানে রয়েছে অভিজাত একটি অডিটোরিয়াম।


□ দর্শনীয় বিষয়

জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের ১৭ গ্যালারীতে প্রায় সহস্রাধিক বস্তুগত নিদর্শন রয়েছে। এক নম্বর গ্যালারীতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধপূর্ব সময়ে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা। বিশেষ করে তার সৈনিক জীবনের বিভিন্ন দিক সেখানে স্থান পেয়েছে। দ্বিতীয় গ্যালারীতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নানা নিদর্শন। কালুরঘাটের বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার স্মৃতি বিজড়িত বেতারযন্ত্রসহ নানান সামগ্রী সেখানে স্থান পেয়েছে।

তৃতীয় গ্যালারী সেক্টর ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের নানা কর্মকা- ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডার এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের প্রোট্রেট। চতুর্থ গ্যালারীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সংঘটিত ঐতিহাসিক যুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশলগত রণপ্রস্তুতির ঘটনা ডিউরমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।


গ্যালারি পাঁচে রয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে একটি পোস্ট অফিস স্থাপনের নিদর্শন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন জেড ফোর্সের অধিনায়ক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ওই এলাকায় একটি ডাকঘর স্থাপন করেন। গ্যালারি ছয়-এ জিয়াউর রহমানের সংগ্রামী সৈনিক জীবনের নানা চিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে জিয়াউর রহমানের সামরিক পোশাক, ব্যাগ, টুপি, ছড়িসহ নানা সামগ্রী।

সাত নম্বর গ্যালারিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্নে জিয়াউর রহমানর হাতে লিখা বিএনপির আদর্শ, উদ্দেশ্য সম্বলিত মেন্যুফেস্টু স্থান পেয়েছে। এছাড়া সেখানে আছে বিএনপির দলীয় পতাকা এবং মনোগ্রামের ছবি। আট নম্বর গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে জিয়াউর রহমানের বেশকিছু বিরল ছবি। নয় নম্বর গ্যালারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বঙ্গভবনে অফিসকরাকালীন দৃশ্য। যা ডিউরমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বঙ্গভবনে যে চেয়ার এবং টেবিলে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন সে চেয়ার টেবিলও এ গ্যালারিতে রাখা হয়েছে।


প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু করেন জিয়াউর রহমান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিষয় ভিত্তিক বাংলাদেশের কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে খাল খনন কর্মসূচি। দশ নম্বর গ্যালারিতে ডিউরমার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান নিজেই খাল কাটায় অংশ নেয়ার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
দেশ গড়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মনোযোগী হন জিয়াউর রহমান। এর ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত হয় সার্ক। এগার নম্বর গ্যালারিতে সার্কের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে রয়েছে সার্কভুক্ত ৭টি দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রোট্রেটসহ একটি ডিউরমা।


বার নম্বর গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিয়াউর রহমানের বিদেশ সফরের বেশকিছু দুর্লভ ছবি। এর পাশাপাশি সেখানে রাখা হয়েছে তাঁর নির্মম হত্যাকা-ের পর বিশ্ব প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত খবরাখবরের কাটিং। গ্যালারি তেরতে শোভা পাচ্ছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিদেশ সফরকালে বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের দেয়া উপহার সামগ্রী।

গ্যালারী চৌদ্দ এবং পনেরতেও বিভিন্ন উপহার সামগ্রীর পাশাপাশি বিদেশ সফর এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভা-সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বিদেশী সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের দুর্লভ অনেক ছবি। ষোল নম্বর গ্যালারিতে আসলেই দর্শকদের চোখ আটকে যাবে সেখানে রাখা একটি খাট তারপাশে রাখা ছোট্ট টেবিল এবং তার উপর একটি গ্লাসের দিকে।

শাহাদাতের পূর্বমুহূর্তে এ কক্ষেই রাত্রি যাপন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খাটের পাশে মেঝেতে রাখা কার্পেট এবং কক্ষ থেকে বের হওয়ার পথে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ এবং বুলেটে ঝাঝরা হয়ে যাওয়ার দৃশ্য জ্বলজ্বল করছে এখনও। ওই কক্ষেই ঘাতকের তপ্ত বুলেটে ঝাঝরা হয়ে যায় জিয়াউর রহমানের শরীর। শাহাদাত গ্যালারি হিসেবে পরিচিত এ গ্যালারি থেকে বের হলেই গ্যালারি নম্বর সতের। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের শাহাদাত বরণের পর জিয়াউর রহমানের লাশ গোপনে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার জিয়ানগরে দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় দাফন করা হয়। পরে সেখান থেকে লাশ তুলে নিয়ে ঢাকায় তাকে দাফন করা হয়। রাঙ্গুনিয়ার প্রথম মাজার এবং ঢাকার মাজারের চিত্র ডিউরমার মাধ্যমে এ গ্যালারিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

□ লক্ষনীয়:
জাদুঘরের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার জাতীয় জাদুঘর ও আহসান মঞ্জিলের পর সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে। দেশের ৫টি জাদুঘরের মধ্যে দর্শনার্থী আগমনের হারে জিয়া জাদুঘর তৃতীয়।


Ω কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
• ভেতরে খাবার, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে প্রবেশ করা বারণ। এসব কাউন্টারে জমা দিয়ে একটি টোকেন নিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
• নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী নিয়োজিত আছে।
• জাদুঘরে থাকা বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়।
• অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে।
• বর্তমানে জাদুঘরটি সরকারী নিয়ন্ত্রনাধীন।
• গাড়ি পার্কিং সুবিধা নেই।

□ সময়সূচী
সপ্তাহে ৫ দিন খোলা থাকে জাদুঘর। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দুইদিন সরকারী ছুটি ছাড়া বাকি ৫ দিন দর্শনার্থীরা জাদুঘর পরিদর্শন করতে পারেন। তবে শুক্রবারে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকে জাদুঘরটি। গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে জাদুঘর।

□ কিভাবে যাবেন:
এই জাদুঘরটি জিরো পয়েন্ট থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে চট্রগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের কাছে কাজীর দেউরিতে অবস্থিত। ঢাকা থেকে চট্রগ্রামে আপনি সরাসরি সড়ক, রেল ও আকাশপথে পৌছাতে পারবেন। চট্রগ্রাম শহরের যেকোনো স্থান থেকে বাস, অটোরিকশা, টেম্পো অথবা ব্যাক্তিগত গাড়িতে আপনি এই জাদুঘরে আসতে পারবেন।

□ টিকেট
• এই জাদুঘরটির একটি মাত্র টিকেট কাউন্টার রয়েছে। ৩ বছরের কম বয়সীদের কোন টিকেটের প্রয়োজন হয় না।

⌂ অবস্থান
• এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও বেভিউ রেডিসন ব্লু হোটেলের পূর্ব পাশে। এস এস খালেদ রোড, চট্টগ্রাম।

● বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর


মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

বিজন রয় বলেছেন: চিন্তার কিছু নাই।
যখন তারা আবার ক্ষমতায় আসবে তখন আর অবহেলা থাকবে না।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার কথায় ঠিক, তবে এমন হীন মানসিকতা থেকে কি আমরা বের হতে পারবো না কখনো !

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

একাল-সেকাল বলেছেন: বি এন পি আমল আসলে এই দৃশ্য ধানমন্ডি ৩২ নং এর হবে, এই সার্কেল চলমান.....।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: তা হয়তো হবে, তখন হয়তো অন্য কারো টা রসাতলে রবে। এর থেকে কি মুক্তি মিলবে না আমাদের!!

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

সামু স্টার বক্স নিউজঅ বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন ভালো লাগল।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, অনুপ্রাণিত হলাম।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমি জানতাম না পৃথিবীতে এমন কিছু টিকে আছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, ও
এখন তো জানলেন।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: ছবি দেখে তো অবহেলা ও অযত্নের কোন ছাপ বোঝা গেল না ! পরিপাটি ভাবে ফুল বাগান মেইনটেইন করা হয়েছে , ঘাস ভালো ভাবে ট্রিম করা হয়েছে ছবিতে দেখা যাচ্ছে , তার মানি এগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করা হয় , এখানে তো কোন অবহেলার ছাপ দেখিনা ।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনি দেখেছেন তবে ভাসা ভাসা , খুব ভালো করে ছবিগুলো লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন। সবুঝ ঘাস আর শতবছরের পুরানো ভবনের নান্দনিক সৌন্দের্যে হয়তো অযত্নের ছাপ দেখা যাচ্ছে না।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

বিপরীত বাক বলেছেন:
তবে একটা বিষয় কি জানেন?
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্য ন্ত ওই খালেদা আর ওর হাউয়া পুত তারেক একবারও এই সার্কিট হাউসে আসেনি। এতটাই লুটপাট আর ভোগবিলাসে মত্ত ছিল মা আর পুতদ্বয়।
বিএনপি থেকে জিয়ার নাম তুলে দেয়া দরকার। কারণ না পার্টির লোকজন , না পরিবারের লোকজন কেউউ জিয়ার ন্যূনতম ছোঁয়া পায় নাই। উল্টা বরং চুরি-চামারি তে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে।
খালি জিয়াকে দেখায় দেখায় আর কত খাইতে চায় এরা।?

৯১-৯৬ যাই করুক ২০০১-০৬ ও মা আর পুতদ্বয় এদিকে ভুলেও পথ মাড়াত না। তারই অভিশাপ আজ মা-পোলার উপর। ঠিক শাস্তি হইছে বেটি আর বেটির পোলা গুলার।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

নিয়াজ সুমন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

বিজন রয় বলেছেন: না বের হতে পারবেন না।
কারণ আমরা খুব খারাপ।
কেউ বেশি কেউ কম, তবে সবাই খারাপ।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আমাদের ভালো রূপ শুধু মঞ্চ আর বক্তৃতায়, কথায় কথায়,,,,

৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাসে, শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমান এই দুটি নাম আজীবন অমলিন থেকে যাবে তাদের কর্মের দ্বারা।
বাকিরা অন্যদের ভিড়ে হারিয়ে যাবে।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার সাথে একমত । ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

সাইন বোর্ড বলেছেন: অামি সম্ভবতঃ ২০০০ সালে একবার গিয়েছিলাম, যাদুঘর এবং এর অাশেপাশটা খুব মনোরম মনে হয়েছিল । জানিনা, এখন দেখলে অাগের মত লাগবে কিনা । খুব পরিপাটি একটা পোষ্ট, ভাল লাগল ।

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকুন সময় পেলে একবার ঘুরে আসুন। তফাৎ টা বুঝতে পারবেন।

১০| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রান্তর মত আমিও জানতাম না এমন কিছু আছে, জানা হল।

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ভাই, শুভেচ্ছা নিবেন।

১১| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জাদুঘর একটি রাস্ট্রিয় সম্পত্তি । জাদু ঘরটির আশু যত্ন নেয়া প্রয়োজন ।

৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার সাথে একমত, আপনি আর আমি হয়তো তা বুঝি কিন্তু কর্মরত সরকারী কর্মকতারা তা বুঝে না।

১২| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

শাহাদাত নিরব বলেছেন: বিদেশী পর্যটকরা কোনো যাদুঘর বা স্থাপনা দেখে ইমপ্রেস হয় না বরং এমপি/মন্ত্রী রা কে কত টাকা দামের মোবাইল কিনে রাজস্ব থেকে মোবাইল বাবদ তাকে কত টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয় সেটা দেখে ইমপ্রেস হয় ।
সুন্দর লিখেছেন ।
দিন বদলের রোষানলে পড়ে আমরা জনগন হাউ মাউ করে কাঁদছি ।

৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: একদম হাছা কথা বলেছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা।

১৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: বি এন পি ক্ষমতায় এলে আবার ঝকমক করবে।

৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: তা হয়তো হবে, তখন অন্য কারো টা আবার মলিন হওয়া শুরু হবে। এই হীন সংস্ষকৃতি থেকে যে কবে রাজনৈতিক দলগুলো বের হবে !!!!!

১৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।

১৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

কাইকর বলেছেন: বাহ...অনেক কিছু জানতে পারলাম

৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনাকে জানাতে পেরে আমিও খুব আনন্দিত হলাম। শুভেচ্ছা রইলো।

১৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাক, এখনো শেখ হাসিনার দৃষ্টি পড়েনি। নাহলে আবার এটারও নাম পরিবর্তন করে দিত...

৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

নিয়াজ সুমন বলেছেন:
হা হা হা, তাই নাকি…

১৭| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে আগে জানতাম না যে এখানে যাদুঘর আছে। তবে চট্টগ্রাম কখনো গেলে একবার ডু মেরে আসবো ওখানে। আর সরকারের উচিত তার বাবার যাদুঘর যে ভাবে পরিপাটি করে রেখেছে ঠিক সেই ভাবে জিয়াউর রহমানের যাদুঘরটিও পরিপাটি করা উচিত। এগুলো ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। এটা তার মাথায় রাখা উচিত।

৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন। শুভ কামনা।

১৮| ০১ লা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে-পুড়ে এখনো যে এই জাদুঘর দিকে ধ্বংস করে ফেলা হয়নি এটাই আমাদের মহাভাগ্য।

চমৎকার পোস্টের জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।

০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও, শুভ কামনা।

১৯| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেলো

০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো মনিরুল ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.