নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সব সময় সুন্দর ■ www.facebook.com/niazuddin.sumon

নিয়াজ সুমন

ভালোলাগে ভ্রমন করতে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে ছবির ফ্রেমে নিজেকে আবদ্ধ করতে। অবসর কাটে সাহিত্যের আঙিনায় পদচারনা করে। ব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনের মাঝেও চেষ্টা করি নিজের অব্যক্ত কথামালা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।

নিয়াজ সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

⌂ ভ্রমণ » দীঘি » ফেনী ■ প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন বিজয় সিংহ দীঘি (Bijoy-Singh Dighi)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬


শত বছরের প্রাচীন রূপকথার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করছে বিজয় সিংহ দীঘি। তবে এ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। অনেকেই এই দীঘিকে প্রাচীন বাংলার বিখ্যাত সেন বংশের অমর কীর্তি মনে করেন। তাদের মতে, ৫০০-৭০০ বছর আগে সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেন এটি খনন করেন। আবার অনেকে মনে করেন, দীঘিটি খনন করেন স্থানীয় রাজা বিজয় সিংহ। তার নামানুসারেই এর নামকরণ হয়।


বাংলার বিখ্যাত সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেনের অমর কীর্তি ঐতিহ্যবাহী বিজয় সিংহ দীঘি (Bijoy Singh Dighi) দেখতে হলে ফেনী শহরের ২ কিলোমিটার পশ্চিমে বিজয় সিংহ গ্রামে যেতে হবে। ফেনী সার্কিট হাউজের সামনে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এই দীঘির আয়তন প্রায় ৩৭.৫৭ একর। অত্যন্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এ দিঘীর চৌপাড় খুব উঁচু ও বৃক্ষ শোভিত । বিজয় সিংহ দিঘী দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এখানে ঘুরতে আসেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পর্যটকের পদচারনায় বিজয় সিংহ দিঘীর চারপাশ মুখরিত হয়ে উঠে। বিকেল বেলায় শান্ত সুন্দর প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চাইলে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতে পারেন বিশুদ্ধ জল ও বাতাসের এই মিলনস্থলে। । ফেনীর ঐতিহ্যবাহী দিঘীর মধ্যে বিজয় সিংহ দীঘি অন্যতম । এ দিঘী দেখার জন্য জেলার এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীরা আসে । যারা এক বেলার জন্য প্রকৃতির কাছে যেতে চান কিংবা সময়টা কাটাতে চান শুদ্ধ জল ও বাতাসের সাথে তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান।


কথিত আছে, মাকে খুশি করার জন্য এই সুদীর্ঘ দীঘিটি খনন করেন রাজা বিজয় সিংহ। এতে একসময় সোনা ও রূপার থালা ভেসে উঠতো! একদিন এক ভিখারিনী একটি থালা চুরি করে। তারপর থেকে আর থালা ভেসে ওঠে না। আরও জনশ্রুতি আছে, দীঘিতে অনেক বড় বড় মাছ পাওয়া যেতো, সেগুলোর একেকটির ওজন ৮০-১০০ কেজি পর্যন্ত হতো।


ফেনীর কৃতি সন্তান প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক জহির রায়হান ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে কমলা সুন্দরীকে জিন দীঘিতে নামিয়ে ফেলার কথা উল্লেখ করেন। অনেকে মনে করেন, এই দীঘির কথাই রয়েছে উপন্যাসটিতে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত দীঘিটি পুরোপুরিভাবে সেচ করা সম্ভব হয়নি।


১৯৯৫ সালে ফেনীর প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব এ,এইচ,এম নূরুল ইসলাম প্রচুর বৃক্ষ চারা রোপন করে বর্তমান এ পরিবেশের সৃষ্টি করেন । কয়েক বছর আগে পাড়ের ভিতরদিকে পানি থেকে কয়েক ফুট উঁচু করে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ফলে পাড় ধরে হেঁটে পুকুরের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুবিধা পেয়েছে পর্যটকরা। পুকুরে পানকৌড়ি ও মাছরাঙা পাখি দেখাও যায়। আর স্বচ্ছ জলে মাছগুলো দেখলে ধরতে ইচ্ছে হবে।


দীঘির জলে সারা দিনের ক্লান্তি মুছে স্নান করে শ্রমজীবী মানুষ।রাতে স্ট্রিট লাইটের আলোয় মায়াজালে আচ্ছন্ন হয় দিঘীর চারপাশ। দেখে মনে হবে বিশ্বের নামিদামি কোনো টুরিস্ট স্পট।

■ কিভাবে যাওয়া যায়:
১) ট্রাংক রোড জিরো পয়েন্ট কিংম্বা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিএনজি যোগে যাওয়া যায়
২) রিক্সা যোগে মহিপাল ট্রাফিক পয়েন্ট হয়ে দক্ষিণ- পশ্চিম দিকে সার্কিট হাউজ রোড দিয়ে যেতে হবে


■ কোথায় থাকবেন
‘বিজয় সিংহ দীঘির অত্যন্ত কাছে ফেনী সার্কিট হাউস গড়ে তোলা হয়েছে। আর দীঘি হতে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে মিজান রোডে ফেনী জেলা পরিষদ ডাক বাংলোর অবস্থান। এছাড়া চাইলে এলজিইডি রেস্ট হাউস, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউস এবং পল্লী বিদ্যু সমিতির রেস্ট হাউসে রাত্রিযাপন করতে পারবেন।


অথবা ফেনী শহরে রাত্রি যাপনের জন্য আবাসিক হোটেলের মধ্যে বেছে নিতে পারেন-
হোটেল মিড নাইট (0331-62223, 01733-585956)
কিংবা
হোটেল গাজী ইন্টরন্যাশনাল (0331-62415, 01711-123545, 01714-267305)।

■ কোথায় খাবেন
ফেনীর মহিপালে ভালো মানের বেশকিছু রেস্তোরাঁ আছে। এগুলোতে স্বল্পমূল্যে খাওয়া যায়। যেমন ফাইভ স্টার হোটেল, শাহিন হোটেল, ফুড পার্ক রেস্তোরাঁ, আলমাস হোটেল ইত্যাদি।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
গিয়েছিলাম দেখতে বিশাল এই দীঘিটিকে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনি যাননি এমন কোন শহর আর অবশিষ্ট নেই মনে হচ্ছে। যাই হোক আপনার জন্য শুভ কামনা। আপনার মতো আমি যেন পুরা বাংলাদেশ ভ্রমন করার তৌফিক দান করে আল্লাহপাক।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর জায়গা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: রাজীব ভাই, ঠিক বলেছেন। ঘুরে আসার আমন্ত্রন রইলো।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আমার দেশের আনাচে-কানাচে
কত হিরে মনি মুক্তোর দানা
রক্তকোমল নয়ন রুবি-হার

চেয়ে আছি অবাক হয়ে
সবুজবিথী, সলাজ তীথি,
ঢেঊখেলানো জলাধার....

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

নিয়াজ সুমন বলেছেন: শুভেচ্ছা রাশি রাশি
শুভকামনা অনেক বেশি
ভালো থাকুন সব সময়
মাতিয়ে রাখুন আমাদেরকে
এমন চমৎকার ছন্দময় বর্ণনায় !

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বর্তমানেও বিজয় সিংহ দীঘিকে ঘিরেই ফেনী সদর থানা, ফেনী কোর্ট মসজিদ, জেলা পরিষদ, অফিসার্স ক্লাব, শিশু পার্ক এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে। স্থাপনাগুলি শহরের ভিতর রাজাজী দিঘীর পাড়ে অবস্থিত। বিজয় সিংহ দীঘির পাড়ে নয়। দুই দিঘির দুরত্ব প্রায় ৪ কিলো।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই, আপনার দৃষ্টিতে পড়ার জন্য। আমি ভুল তথ্যটি সরিয়ে নিয়েছি।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


@গিয়াস উদ্দিন লিটন ,

কোনদিন দীঘিতে নেমেছিলেন?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: গাজী ভাই, হস্থক্ষেপ করার জন্য দুঃখিত- @লিটন ভাই, নেমেছেন কিনা এখনো উনার উত্তর পেলাম না। আমি বেশ কয়েকবার দিঘীর জলে পা ভিজিয়েছিলাম।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

নীল প্রজাপ্রতি বলেছেন: কোন এক শীতের দিনে আমিও গিয়েছিলাম এই দিঘীর পাড়ে!!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

নিয়াজ সুমন বলেছেন: এই শীতের বিকেলে প্রজাপ্রতির জন্য আমার পক্ষ থেকে একগুচ্ছ ফুলের মিষ্টি সুভাস !!

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: @চাঁদগাজী , হাত,পা ভিজিয়েছি।

৮| ১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একবার গেছি এখানে, চমৎকার যায়গা, অনেকটা সময় কাটিয়েছি এর পারে।

১৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: একদম ঠিক । বিশেষ করে পড়ণ্ত বিকেল বেলা কাটানোর জন্য উপযুক্ত স্থান। সবুজের মাঝে খোলামেলা আর নিরিবিলি পরিবেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.