নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিল্প ও সাহিত্য জগতের এক তৃষ্ণার্ত পথিক।

অনন্ত নিগার

বিজ্ঞানের সঠিক তথ্য বদলে দেবে আপনার জীবন!

অনন্ত নিগার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যরাতের সূর্য: দিন-রাত্রির বৃহৎ ব্যবধান যেখানে

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০০


আমাদের অনেকেরই এমন ধারণা যে, আমাদের দেশের মতো হয়তো গোটা পৃথিবীতেই রাত ও দিনের ভারসাম্য সব জায়গায় সমান। আমাদের দেশ নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত বলে আমাদের কাছে তাই মনে হয়। কারণ, নিরক্ষরেখা বা তার কাছাকাছি অবস্থিত দেশসমূহে সবসময় সাধারণত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ব্যবধানে রাত-দিন সংঘটিত হয়। ব্যতিক্রম ঘটে শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালের জুন মাসের ২১ তারিখে এবং শীতকালে ডিসেম্বরের ২১ তারিখে। ওই দুই তারিখে দীর্ঘতম দিন ও দীর্ঘতম রাত সংঘটিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা প্রদেশের নাম হয়তো শুনেছেন সবাই। আলাস্কা প্রদেশটি অবস্থিত হচ্ছে কানাডা ও রাশিয়ার উত্তরাঞ্চল বরাবর। মানে সুমেরুর আশেপাশে। আমরা জানি যে, পৃথিবীতে উত্তরমেরু ও দক্ষিণমেরু নামক দুই মেরু অঞ্চল রয়েছে। এর কারণ হল, পৃথিবীর জন্মের পরে অসম আকৃতি নিয়ে এটি সূর্যের চারিদিকে তার নিজ অক্ষ বরাবর ঘুরতে ঘুরতে কোটি কোটি বছর পরে আস্তে আস্তে এর উপর-নীচ চাপা হয়ে যায় এবং মাঝখানটা কিছুটা ফুলে বেরিয়ে আসে। তাই পৃথিবীর চেহারাটা বাইরে থেকে দেখতে অনেকটা কমলালেবুর মত চাপা গোলাকার। উত্তরের চাপা অংশটা উত্তরমেরু বা সুমেরু এবং বিপরীত দিকে অবস্থিত চাপা অংশটা দক্ষিণমেরু বা কুমেরু। এই সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে মাঝে মাঝে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে সূর্য না ডুবায় একটানা দিন কাটাতে হয় রাত্রি না দেখে। ভাবতেই কি অবাক লাগে, তাই না?
তো, সুমেরুর আশেপাশেই রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া ও কানাডার কিছু অঞ্চল এবং গ্রিনল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। আমেরিকার আংকর্যািজ ও আলাস্কা প্রদেশে গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে দীর্ঘতম দিন দেখে দিন কাটাতে হয় ওখানকার মানুষকে। জুন মাসের ২১ তারিখে ঐ সমস্ত অঞ্চলে সূর্য উঠে ভোর ৪ টা ২০ মিনিটে এবং সূর্য ডুবে রাত প্রায় ১১ টা ৪২ মিনিটে! এখানে রাত বলতে তাদের জন্য সন্ধ্যা বুঝায়। প্রায় মধ্যরাতে সূর্য অস্ত যায় বলে এই সমস্ত অঞ্চলগুলোকে বলা হয় মধ্যরাতের সূর্যাঞ্চল। এই দীর্ঘ দিবসকে বলা হয় উত্তরায়ন। ওই সময় ওয়াশিংটনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সূর্যোদয় হয় ৫টা ১১ মিনিটে এবং সূর্য ডুবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। ওই সময় আবার উল্টো ব্যাপার ঘটে কুমেরুতে, মানে অ্যান্টার্কটিকাসহ দক্ষিণমেরুর আশেপাশের অঞ্চলে। ওখানে তখন সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে থাকে অন্ধকার।
সুমেরুতে যখন আবার ডিসেম্বর চলে আসে, তখন শুরু হয় একটানা রাত্রিযাপন করার সময়। যেমন- ফিনল্যান্ডে শীতকালে ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখে দিনের সমাপ্তি ঘটে মাত্র সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায়, এবং বাকী পুরো সময়টুকুই রাত! আবার ওই সময় কুমেরুতে মানে অ্যান্টার্কটিকায় তখন শুরু হবে গ্রীষ্মকালের একটানা দিন।
ওই সমস্ত অঞ্চলে, মানে মধ্যরাতের সূর্যাঞ্চলের দেশসমূহের বাসিন্দাদের জীবন-যাপন, সমাজ ও সংস্কৃতির ওপরও এই দিন-রাত্রির বেশ প্রভাব পড়ে। কারণ, একটা অঞ্চলের সমাজ ও সংস্কৃতি গড়ে ওঠে মূলত ঐ অঞ্চলের আবহাওয়া ও পরিবেশকে কেন্দ্র করে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম..

নববর্ষের শুভেচ্ছা :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

অনন্ত নিগার বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন তবে প্রথম লাইনটা সঠিক নয়, আজকাল কারোরই এরকম ধারনা নেই!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

অনন্ত নিগার বলেছেন: প্রথম লাইনটি ভুল নয়। আপনিই ভুল বলছেন। কয়টা মানুষ এ তথ্য জানে যে, কোনও কোনও দেশে ২৪ ঘন্টাই দিন থাকে বা রাত থাকে? আমি এখনও খুব কম মানুষ পাই যারা এ তথ্য জানে। বরং আপনার কথা শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম। যদি এদেশের মানুষ এতোই জ্ঞানী হত, তাহলে আমাকে আজ এ ব্লগটাই লখতে হতনা। এদেশে এখনও এমন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক আছে যারা এটাই জানে না যে, পৃথিবীটা গোল।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫১

জগতারন বলেছেন:
এ প্রবন্ধটি খুব সুন্দরভাবে অল্প কথায় (বা সাধারনভাবে) এখানে উপাস্থাপন করেছেন লেখক। আমাদের মা পৃথিবী যে উত্তর ও দক্ষিন মেরুতে চাপা এবং মাঝামাঝি পেট ফুলা গোলাকার এর কারন-
এর কারণ হল, পৃথিবীর জন্মের পরে অসম আকৃতি নিয়ে এটি সূর্যের চারিদিকে তার নিজ অক্ষ বরাবর ঘুরতে ঘুরতে কোটি কোটি বছর পরে আস্তে আস্তে এর উপর-নীচ চাপা হয়ে যায় এবং মাঝখানটা কিছুটা ফুলে বেরিয়ে আসে।
আর একটি কারন হতে পারে; প্রথম অবস্থায় পৃথিবী যখন উত্তপ্ত অবস্থায় সূর্য থেকে বেড়িয়ে আসে, তখন ইয়া উত্তপ্ত বায়ুবিয় অকিছুটা তরল আকারে ছিল যার জন্য পৃথিবী নিজ অক্ষে ও সূর্যের চারি দিকে কোটী-কোটী বছর ঘুরার জন্য দুই অক্ষ বরাবর কিছুটা চাপা নিরক্ষরেখা বরাবর পেটটা কিছুটা ফুলে উঠে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫১

অনন্ত নিগার বলেছেন: আপনি যে কারণটি লিখেছেন সেটিই তো আমি একটু ভিন্ন ভাষায় প্রকাশ করলাম। কোনও তফাৎ নেই। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.