নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিল্প ও সাহিত্য জগতের এক তৃষ্ণার্ত পথিক।

অনন্ত নিগার

বিজ্ঞানের সঠিক তথ্য বদলে দেবে আপনার জীবন!

অনন্ত নিগার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীতে দুজন মানুষ দেখতে হুবহু একইরকম হয় না কেন?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

ফেসবুকে কোনও একটা গ্রুপে কোনও একজনকে আজ প্রশ্ন করতে দেখলাম- পৃথিবীতে দুজন মানুষ দেখতে হুবহু একইরকম হয় না কেন?
কিংবা হুবহু একইরকম চেহারার ও স্বভাবের দুজন মানুষ পাওয়া যায় না কেন?
দুঃখের ব্যাপার হল, সবাই ঘুরেফিরে একই উত্তর দিলেন, আর উত্তরটা হল- এটা স্রষ্টার কুদরত। কথা হল, স্রষ্টার কুদরত এটা সকলেই জানেন। প্রশ্নটার উদ্দেশ্য ছিল- কেন দুজন মানুষ একই চেহারার, একই বৈশিষ্ট্যের হয়না তার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া। জিজ্ঞেস করা হয়নি কে এমনটা করে। যদি কে করে জিজ্ঞেস করা হত, তাহলে উত্তরটা স্রষ্টা বললে খাটে। কিন্তু প্রশ্নটা ছিল- কেন এমন ঘটে? অর্থাৎ ব্যাখ্যা চাওয়া হচ্ছে।
আমি মনে করি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তরটি হওয়া উচিত ছিল এরকম-

একমুঠো বালি-কে আপনি মাটিতে একবার ছুড়ে মারলে যে প্যাটার্ন সৃষ্টি হবে, ওই একই প্যাটার্ন পুনরায় তৈরি করার জন্য আপনি লক্ষ কোটিবার বালি ছুড়ে মারলেও তৈরি করতে পারবেন না। কারণ, একমুঠো বালিতে বিলিয়ন বিলিয়ন বালিকণা থাকে। আর এই অসংখ্য কণা দিয়ে একটি প্যাটার্ন-এর হুবহু একই কপি তৈরি করার সম্ভাব্যতা বিলিয়ন বিলিয়ন ভাগের একভাগ! অর্থাৎ ভগাংশটাকে প্রায় শূন্যই বলা যায়। একই ব্যাপার ঘটে মানুষের ডিএনএ কনফিগারেশন-এর ক্ষেত্রে। মানুষের শরীরের যে ডিএনএ থাকে, তা চারটি নিউক্লিও এসিড বেস দিয়ে গঠিত। সেই বেসগুলোর আদ্যক্ষরগুলো হল A, G, C ও T অর্থাৎ এডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও থায়েমিন। এই চারটি বেস দিয়ে সজ্জিত হয় সন্তানের নতুন ডিএনএ। মা ও বাবার শরীর থেকে আসা ডিএনএর বেসগুলো দিয়ে যে নতুন ডিএনএ বিন্যাস তৈরি হবে, ওই একই বিন্যাস লক্ষ লক্ষ বছর ধরে প্রজনন চালিয়ে লক্ষ সন্তান জন্ম দিলেও হুবহু ডিএনএ-ধারী একটি শিশু পুনরায় জন্মানো যাবেনা, অর্থাৎ সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। আর তাছাড়া প্রতিনিয়ত প্রতিটি জেনারেশনেই ডিএনএ আপডেট হচ্ছে, নতুন নতুন তথ্যে সমৃদ্ধ হচ্ছে, সুতরাং পুরাতন ভার্সন রিক্রিয়েট হওয়ার তো কোনও সম্ভাবনাই নেই। আর এজন্যই একজন মানুষের যেকোনো বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন (যেমনঃ ফিঙ্গারপ্রিন্ট) আরেকজনের সাথে ম্যাচ হয়না। এই সাধারণ ব্যাপারটা বেশীরভাগ ফেসবুক গ্রুপের ব্যবহারকারীদের ধারণার বাইরে। আমাদের উচিত ফেসবুকে বা অন্যকোথাও কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হলে যদি সদুত্তর জানা থাকে তা প্রদান করা কিংবা না জানলে নীরব ভূমিকা পালন করা।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সবই জিন প্যাটার্নের কারণে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

অনন্ত নিগার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: শিক্ষণীয় পোষ্ট।ভালো লেগেছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

অনন্ত নিগার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

সাগর শরীফ বলেছেন: হবহু হবে না। পার্থক্য অবশ্যই থাকবে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

অনন্ত নিগার বলেছেন: জী, ঠিক তাই। ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: DNA configuration

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

অনন্ত নিগার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে বাইওলোজীর ছাত্রদের উত্তর মিলবে না

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

ব্যাখ্যাটা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলেছেন।

বর্তমান ফেবু জেনারেশন সুন্দর সুন্দর ছবি দেখা কিংবা ফস্টিনস্টিতে ব্যস্ত। ওরা হলো জুম্মামুসলিম।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

চাঁদগাজী বলেছেনঃ
মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে বাইওলোজীর ছাত্রদের উত্তর মিলবে না
আপনার এমন ধারণা হলো কিভাবে। বায়োলজির উপর যারা অজ্ঞ তারাই কুদাইকে টেনে আনবে। সে মাদ্রাসার ছাত্র হোক কিংবা স্কুলের। বিজ্ঞান শুধু স্কুলে পোলারা শিখে তা না, বুঝিয়েছেন বাপু চাঁদগাজী।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

অনন্ত নিগার বলেছেন: সহমত। স্কুল-কলেজে পড়েও অনেকে বায়োলজী জানেনা, জানলেও পুরোটা বিশ্বাস করেনা।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো পোস্ট।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

অনন্ত নিগার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২০

নজসু বলেছেন: জানতে পারলাম ভাই।
সুন্দর পোষ্ট।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

অনন্ত নিগার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করে একই চেহারার সাত জন আছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

অনন্ত নিগার বলেছেন: জী, এটা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, কিংবা বিশ্বাস করাটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এই তত্ত্বের সত্যতা প্রমাণ করতে হলে তো তথ্য, প্রমাণ থাকা চাই। সাতটি হুবহু চেহারার মানুষ তো আগে এনে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। অন্যথায় এহেন তত্ত্বের তো কোনও ভিত্তি থাকেনা। ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

ফেইরি টেলার বলেছেন: জিনেটিক্স নিয়ে কৌতূহলী থাকলে প্রশ্নটা ফেসবুকে না দিয়ে একজন বায়োলজিস্ট এর কাছেই করা উচিত ছিল আপনার ।কারণ ফেসবুকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ থাকেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যারা ভাবেন তারা সৃষ্টিকর্তার কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক । ব্যপারটি নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল্য না করলেই শোভনীয় হতো

তাছাড়া বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ সৃষ্টিকর্তার কুদরতকেও খাটো করে না, কারণ সৃষ্টিকর্তা আদম আর ইভ এর জিনেটিক প্যাটার্ন আলাদাভাবে তৈরী করেছেন বলেই তাদের সন্তানদের জিনেটিক কোড আলাদা হয়েছে , এজন্য চেহারাতেও ভিন্নতা দেখা যায়

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

অনন্ত নিগার বলেছেন: আমার পোস্টটি হয় আপনি ভালো করে পড়েননি, অথবা পড়লেও বুঝতে পারেননি। অনুরোধ রইল ভালো করে পোস্টটি আবার পড়ুন। প্রথম কথা হচ্ছে, প্রশ্নটি আমি করিনি, কেউ একজন করেছে, উত্তরগুলোও গ্রুপের অন্য সদস্যরা দিয়েছে, আমি কোনও উত্তর দেইনি, কিংবা আপনার মতো অশোভন কোনও মন্তব্য করিনি। উত্তরটা দিয়েছি আমি এখানে, বাইরে, এই ব্লগে। দ্বিতীয় কথাটা হল- জিনেটিক্স নিয়ে জিজ্ঞাসা থাকলে বায়োলজিস্টদের কাছে যেতে হবে? কেন? পুরো বায়লোজির স্বত্ব কি বায়োলজিস্টরা কিনে রেখেছেন? যেকেউ নিজ তাগিদে যেকোনো বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে পারে। আর ডিএনএ কি, বা ডিএনএ-র প্যাটার্ন কী, তা তো আমরা ইন্টারমিডিয়েট বায়োলজীতেই পড়েছি। ওইটুকু জ্ঞানের জন্য জীববিজ্ঞানীর দ্বারস্থ হতে হবে? বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ পদার্থবিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম একই সাথে অর্থনীতি ও দর্শন বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন, তিনি তো একাডেমিক অনুমতি নিয়ে অর্থনীতি কিংবা দর্শন পড়েন নি। পড়েছেন নিজ ইন্টারেস্ট থেকে।
এবার আসি স্রষ্টার প্রসঙ্গে। স্রষ্টাকে আমি তাচ্ছিল্য করেছি, নাকি আপনি করছেন? আমি লিখেছি স্রষ্টা কীভাবে মানুষকে আলাদা করেন তার ব্যাখ্যা। আমি তাকে অস্বীকার করে তো কিছু লিখলাম না। স্রষ্টা দুই ভাবে কাজ করেন। কুদরত ও ফিতরাত। কুদরত হল- প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো, মানে অলৌকিক ঘটনা। যেমন মা-বাবা ছাড়া আদমকে সৃষ্টি করা। আর ফিতরাত হচ্ছে প্রাকৃতিক স্বাভাবিক নিয়ম অর্থাৎ আমরা যেটাকে বিজ্ঞান বলি। আদমকে সৃষ্টি করা হল কুদরত। আর আদম সন্তানদের স্বাভাবিক নিয়মে আলাদা আলাদা চেহারা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে সেই নিয়ম পরিচালিত করা হচ্ছে ফিতরাত। তো, প্রশ্নটা যেহেতু ফিতরাত নিয়ে ছিল, মানে কীভাবে ঘটে, তাই আমি ফিতরাতমূলক ব্যাখ্যা দিলাম। কিন্তু আপনি ফিতরাতের জায়গায় কুদরত টেনে স্রষ্টার কর্মকে গুলিয়ে ফেললেন এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করলেন। তো কে কাকে খাটো করল?

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাহা জটিল তাহাকে কুদরত বললেই চুলকানী হতে হবে কেন? ব্যাখ্যা না পাওয়া এরকম হাজার হাজার ঘটনাই তো আছে...

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

অনন্ত নিগার বলেছেন: যাহা জানিনা, তাহা স্বীকার করিতে গেলে এতো চুলকানি কেন? যাহা জটিল, তাহা স্রষ্টার দায়ভার বলিয়া পলাইতে হইবে কেন? আর যেসমস্ত ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আবিষ্কৃত হইয়া গেছে, তাহা প্রকাশ করিতে কিংবা মানিয়া লইতে এতো আপত্তি কেন? যদি উক্ত ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না থাকিত, আর অজ্ঞতা বশত এই অধম যদি মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়া বিজ্ঞানের নামে চালাইয়া দিতো, তাহাতে হয়তো চুলকানী হইতো, কিন্তু যাহা আবিষ্কৃত, তাহা সবার সামনে মেলিয়া ধরাই কি আমার পাপ হইয়াছে??

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটা দেখতে পারেন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

অনন্ত নিগার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দারুণ পোস্ট লিখেছেন আপনি।

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ব্যাখ্যা ঠিক আছে ।এই ব্যাখ্যা সাধারন কোন মানুষের জানার কথা না । সেজন্য সাধারন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে আপনার এভাবে কটাক্ষ করা ঠি হয়নি ।

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: না জানলে নিরবতা পালন করা এটা আমাদের মধ্যে নাইরে ভাই! আমরা আজাইরা প্যাচাল করতে খুব ভালবাসি। বাঙালি বলে কথা!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

অনন্ত নিগার বলেছেন: একদম খাঁটি কথা বলেছেন ভাই। বাঙালিদের এই একটা বৈশিষ্ট্য চিরকাল বাঙালিদের ভুগাবে।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

ফেইরি টেলার বলেছেন: আপনি সম্ভবত আমার কথাটা বুঝতে পারেননি, আমার কথার সারমর্ম হচ্ছে আপনার আশে পাশে আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানী ব্যক্তি যেমন রয়েছেন, কম জ্ঞানী ব্যক্তিও রয়েছেন । যারা অপেক্ষাকৃত কম বোঝেন তাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলাটাই জ্ঞানী ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক । আর আমার কথায় আহত হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

অনন্ত নিগার বলেছেন: কোথাও কোনও মন্তব্য করার আগে দয়া করে উক্ত পোস্টটি ভালো করে পড়ে দেখবেন। এরচেয়ে বেশী কিছু বলার নেই আমার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.