নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই

নীহারিক০০১

বিশ্বাস,বন্ধুত্ব,ভালোবাসায়পূর্ণ পৃথিবীর প্রত্যাশায়

নীহারিক০০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসাই নিজেরপ্রতি দায়বদ্ধ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

আপনার লেখা পরে মনে কিছু প্রশ্ন আসলও।

আমার নিজের অভিজ্ঞতাই বলি



সুব্রত সানি

বিলিভ ইট ওর নট! (পর্ব-৯২)

" " " " " " " " " " " " "

মোবাইলের ব্যবহৃত মামুলি একটা App

কে পর্যন্ত বন্ধ করতে চাইলে Screenএ

Notification আসে "If you force stop an app, it

may misbehave." অথচ চলমান ভালবাসাকে জোর করে বন্ধ

করে দিতে চাইলে কি misbehave এর

কোনো Notification আসে না হৃদয়ের Screen

এ ? মানুষের তৈরী করা একটা যন্ত্র

যদি এতটা মানবিক হয়, তবে মানষ কেন নয়? কেন ভালবাসায় misbehave হবে? কেন

মানুষের

সভ্যতাকে অবহেলা করে ভালোবাসার

মানুষের সাথে পশুর মতো আচরণ করতে হবে?

ভালবেসে চিরকাল কেন ইনজাস্টিসের

শিকার হবে মানুষ? পৃথিবীর আদালতে কেন এসব অপরাধের

বিচার হবে না কোনোদিন?

এসব কথা বলতে চাইলেই কেন "ক্ষমাই

মহত্ব" টাইপের ফালতু সুশীল বচনামৃত

শোণতে হবে? স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ

যেখানে বলেছেন, , "ক্ষমা যেথা দূর্বলতা, সেথা যেন আমি নিষ্টুর হতে পারি।"

সেখানে কেন তবে প্রেমকে হত্যা করার

দায়ে প্রেমীকাকে নির্দোষ

ঘোষণা করে ইনজাস্টিসের সাতকাহন

রচনা করবে প্রেমিক? হুমায়ুন আজাদ তার কবিতায় সত্যিকার

প্রেমের কথা লিখেছেন, "প্রেম, দ্বিতীয়

নিশ্বাস, এই অসময়ে তুমি হয়ত অমল/

থাকবে না।

ঘিনঘিনে নোংরা মাছি ঢুকতে পারে/

তোমার ভেতরে, পচন ধরাতে পারে, পচনের কাল আসে/ একদিন সব পুষ্পেরই,

পচে যেতে পারো তুমি, প্রেম/ অজস্র ওষ্ঠ

দিয়ে আমি চেটে নেবো সমস্ত পচন,

শুষে নেবো পুঁজ,/ শুদ্ধ

করে তুলবো তোমাকে।

পড়ে যেতে পারো তুমি অতলে পাতালে, ডুবে যেতে পারো উদ্ধারহীন আবর্জনায়,/

পাঁক থেকে তুলে আনবো অসংখ্য ওষ্ঠের

আদরে আমার দূষিত/ পতিত সুন্দর, পরিশুদ্ধ

করে তুলবো শুভ্র পদ্ম, সরবরে/

ভাসবে তুমি শুদ্ধ রাজহাঁস।

ক্ষয়ে যাবো আমি,/ খসে পড়বে ওষ্ঠ, গলে যাবে চোখ, বধিরতা হবে সঙ্গী, হৃ ত্

পি ন্ড ছেয়ে,/ যাবে ঘায়ে, পচবে মগজ,

তুমি থাকবে অনশ্বর বিশুদ্ধ অমল।" তাহলে এবার প্রেমিককেই ঠিক

করতে হবে সে ভালবাসার পক্ষে দাঁড়াবে,

না কি ভালবাসার মানুষের পক্ষে?

ভালবাসার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ভালবাসার

মানুষের পক্ষে দাঁড়াবার কোনো সুযোগ

কিন্তু নেই। আর হ্যা- প্রেমিকের

শ্রদ্ধা থাকবে প্রেমের প্রতি, প্রেমিকার

প্রতি নয়;

প্রেমিকাকে বাঁচাতে যে প্রেমকে হত্যা করে সে প্রেমিক

নয়- ভন্ড। আর ঐ ভন্ডরাই আজ মানবতার কথা বলে!

মহত্বের প্রেরণা দেয়! অন্যায়ের প্রতিবাদ

করে না! বরং নিরব সমর্থন করে!

তারা প্রেম ও প্রেমিকার

মাঝে কোনো পার্থক্য দেখতে পায় না!

ওদের মধ্যে না আছে প্রেম, না আছে মানসিক সততা!

ওদের

মতে একটা গেলে আরেকটা পাওয়া যাবে;

এতটাই স্থূল ওদের চিন্তা চেতনা! প্রতারক প্রেমিক/প্রেমিকাদের

দায়ি করলেই ওরা তেড়ে এসে মানবতার

বাণী শোণায়!

ছেড়ে যাওয়া বাসের

সঙ্গে যারা চলে যাওয়া প্রেমিকার

তুলনা করে! হায়! তারা কি প্রেমিক? আবার যারা প্রেমিকাকে দেবীর

মতো পুজা করে, তারাও প্রেমিক নয়;

তারা পুজারী। তাই প্রেমিকার অন্যায়

প্রতারণার প্রতিবাদ তারা করে না। লুতুপুতু

কবিতা লিখলেই যেমন রুদ্র হওয়া যায় না,

তেমনি অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে প্রেমিকও হওয়া যায় না। চিরকাল অসভ্য আর সুবিধাবাদীরাই ক্ষমার

পক্ষে কথা বলে।

আসলে ক্ষমা কোনো সভ্যতাকে ধারণ

করে না, যতক্ষণ পর্যন্ত

না অপরাধী নিজে অনুতপ্ত হয়। অপরাধীর প্রাপ্য একটাই, আর

তা হলো শাস্তি। অপরাধীকে বিচারের

আওতায় না এনে দূর

থেকে ক্ষমা করে দিয়ে কিছুতেই সভ্যতার

চাষ করা যাবে না। যারা প্রেমের

প্রতারণাকে হালকা ভাবে দেখে,

নানা রকমের

খোঁড়া যুক্তি দিয়ে তেনা প্যাচায়,

সেই

সমস্ত ভদ্দরলোকের বাচ্চাদের মুখের উপর

সুবিমল মিশ্রের এই শ্লেষ টুকু ছুঁড়ে দিলাম : "মশায় রাস্তার কুত্তাটাও

লাটি খাইয়া দাঁত বাহির করে,

তো আপনে তো হিউম্যান বিং...."



আমি.....

আপনার কথাও সত্যি তবু

যুগে যুগে প্রেমিকারা ক্ষমা করে আসছে।

যে ভালবাসে সে পারেনা। আমার মনে অনেক

কিছু আসে কষ্ট পাই তবু পারিনা।এত কিছু দেখেছি,শুনেছি যে বেঁচে আছি ভাবলেই অবাক হই। কেমন করে বুকের ভেতর পাথর চাপা দিয়ে রেখেছি শুধু আমিই জানি। তবু পারিনা।

ভালোবাসি বলেই কষ্ট ও অনেক।এখানে মহৎ নই আমি ভালোবাসাই নিজের

প্রতি দায়বদ্ধ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.