নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে তো বলতে পারেন মহামানবই। আমি তো অতি নগণ্য।।।।

অসংজ্ঞায়িত নিঝুম

বিষাদের বহমান করুন স্রোতধারায় গা ভাসাইয়া দেয়া ক্ষুদ্র মানব আমি।

অসংজ্ঞায়িত নিঝুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলুন ভালো থাকি

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৯



চলুন ভালো থাকি। আচ্ছা আমরা কি যে যার অবস্থানে থেকেই ভালো থাকতে পারি? বলুনতো ভালো থাকা বলতে আপনি কি বোঝেন? বিত্ত নাকি ক্ষমতা? যাহোক আমি ভালো থাকতে চাই। প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে রয়েছে নেশা কারো বিত্ত আর কারো ক্ষমতার নেশা।

আপনি নিশ্চয়ই জানেন প্রত্যেকটা মানুষই স্বপ্ন দেখে। তবে মানুষের ভিন্নতায় স্বপ্নগুলোও ভিন্ন হয়।

যে সব মানুষ একাকীত্বে ভোগে তারা সদা-সর্বদা স্বপ্নে বিভোর থাকে। স্বপ্নের মধ্যে তারা সফলতার সিড়ি বেয়ে তর তর করে উপড়ে ওঠে কিংবা মেঘের ভেলায় নিজের কল্পনার বাড়ি বানায়। বলা যায় তারা বেশীরভাগই কল্পনাবিলাসী হয়ে থাকেন। অনেকে এসব স্বপ্নের সাথে নিজের বদ অভ্যাসগুলোকে এমনভাবে জুড়ে দিয়ে আপন ভুবনে হিরো হয়ে ওঠেন। ধরুন আপনার ধুমপানের মত বদ অভ্যাস আছে। আপনি আপনার এই চরিত্রকে এমন এক জায়গা দাড় করাবেন যেখানে আপনি কমফোর্টফিল (স্বাচ্ছন্দ্যবোধ) করবেন। আসলে বাস্তবে এরা একটু জীর্ন-শীর্ন প্রকৃতির হয়।


আপনি জানেন "জীবনের অর্থ কি?" আসলে এই প্রশ্নটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি করা দশটি প্রশ্নের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে। মানুষ জন্মগতভাবে কোন না কোন সময় জীবনের অর্থ নিয়ে সংশয়ী হয়। তবে মানুষ যখন খুব বেশী একাকীত্বে ভোগে কিংবা হতাশাগ্রস্থ থাকে তখনই বোধয় হন্যে হয়ে জীবনের অর্থ খোজে। জীবনের সংজ্ঞা খোঁজার জন্য বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন দার্শনিক তত্ত্ব ও মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেক সময় সংশ্লিষ্ট অন্য তত্ত্ব ও মতবাদ থেকেও জীবনের অর্থ বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে জীবনের অর্থ নিয়ে সবচেয়ে ভাল উক্তিটি হয়ত Colorado State University এর দর্শনের প্রখ্যাত প্রফেসর Donald A. Corsby এর দেয়া এই উক্তিটি, "There is no justification for life, but also no reason not to live. Those who claim to find meaning in their lives are either dishonest or deluded. In either case, they fail to face up to the harsh reality of the human situation". (অনুবাদঃ জীবনের কোন অর্থ বা যৌক্তিকতা নেই। তাই বলে জীবন উপভোগ না করারও কোন কারণ নেই। যারা জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছে বলে দাবী করে তারা হয় মিথ্যা বলছে অথবা কোন মিথ্যা বিষয়ে বিশ্বাস করছে। দু'টো ক্ষেত্রেই তারা মানব জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে মোকাবেলা করতে বিফল হয়।)

যাহোক মানুষ যেহেতু সৃস্টির সেরা জীব সেহেতু, আবেগ, বিবেক, উপলব্ধির ক্ষমতাটাও অনেক বেশী। প্রত্যেকটা মানুষই (শিশু থেকে বৃদ্ধ) কিন্ত আপাতদৃষ্টিতে স্বার্থপর। সবাই কিন্ত নিজেকে সুখী দেখতে চান। কিন্ত গুটিকয়েক মানুষ বাদে প্রায় অধিকাংশ মানুষই মানসিক অস্বস্তিতে ভোগেন। চলুন মানসিক চাপ থেকে কয়েক মুহুর্ত নিজেকে মুক্ত রাখার কয়েকটি উদ্ভট উপায় খোজার চেষ্টা করিঃ
*** আপনি খুব ডিপ্রেসড (বিষন্ন)?
১. আপনার সবচেয়ে কাছের কোনো মানুষের সাথে গল্প করুন।
২. আপনি যে ভাষা বোঝেন না সে ভাষার কার্টুন ছবি দেখুন।
৩. হাসির কোন গল্প পড়তে পারেন।
৪. খুব মনযোগ দিয়ে টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনগুলো দেখুন।
৫. আপনার নিকটবর্তী কোন স্থানে এক বা একাধিক পিপড়া থাকলে সেদিক লক্ষ্য করুন। খুব মনযোগ দিয়ে দেখবেন পিপড়াগুলো কিভাবে ছুটছে

পরিশেষে নিজের মধ্যে স্বস্তির অস্তিত্ব টের পেলে এক গ্লাস পানি পান করে সোজা হয়ে বালিশ ছাড়া শুয়ে পরুন। অতঃপর নিজেকে নিয়ে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যান। কল্পনায় ভাসতে ভাসতে হয়তো আপনি একসময় টুপ করে ঘুমিয়ে পরবেন। আজ এ পর্যন্ত ধন্যবাদ সবাইকে।

বিঃদ্রঃ মতামতগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত। কোন ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্রিয় ব্লগার ভাই/বোনেরা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন:
ভালোলাগা থেকে নলখাগড়ায় ফিরে যাওয়া কঠিন! অনেক বাধা !
টিপস্ গুলো ট্রাই করে দেখব।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৫

অসংজ্ঞায়িত নিঝুম বলেছেন: ধন্যবাদ ♥ ব্যানার্জী দা। জীবনকে জটিল না করে সহজভাবে কল্পনা করাই বোধয় শ্রেয়। যাহোক উদ্ভট ট্রিকসগুলো আপনাকে হয়তো কিঞ্চিত উদ্ভট আনন্দ দিবে। ♥♥

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.