নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালাতে সবাই ছাত্র-ছাত্রী, নিত্য নতুন শিখছি মোরা সদাই দিবা-রাত্রী!

নীল আকাশ

এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।এই ব্লগের সমস্ত লেখা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা অন্যকোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

নীল আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা ১২ঃ বিদ্যানন্দ না ধান্দানন্দ? সমাজসেবা, না টাকা লোপাট করার প্রতিষ্ঠান?

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯









'চল্লিশদিন চোরের আর একদিন গৃহস্থের!'

বাংলা ভাষার এই প্রবাদ প্রবচন পড়েননি এমন লোকজন মনে হয় খুব কমই আছে। এই প্রবাদ প্রবচনের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে এই বিদ্যানন্দ নামের তথাকথিত সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান। একই কুমিরের বাচ্চা সবাইকে বারবার দেখানোর পদ্ধতি অনুসরণ করে লোকজনের পকেটের টাকা লোপাট করার ধান্দায় আর মুসল্লিদের যাকাতের টাকা গায়েব করার অশুভ চক্রান্তে এরা যেভাবে মেতে উঠেছিল তা আজ গোপন সব তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ভন্ডুল হয়েছে।

নিজেদের নোংরা অপকর্ম ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এরা সংখ্যালঘুদের তকমা নিজেদের গায়ে লাগিয়ে নিয়েছে। বিপদে পড়লে নিজেকে ডিফেন্ড করার সবচেয়ে ঘৃনিত পদ্ধতি হচ্ছে ধর্মীয় পরিচয় নিজের সামনে নিয়ে আসা। আমি চুরি করবো কিন্তু কেউ আমাকে চোর গালি দিলে আমি আমার সংখ্যালঘু ধর্মীয় পরিচয় সামনে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবো, এটা অত্যন্ত বড় ধরণের একটা নোংরামি। গুজরাটের কসাই মোদিও কিন্তু হাজার হাজার মানুষ হত্যার হোলি খেলার পরে সনাতনী ধর্মীয় পরিচয় নিজের সামনে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিল।

একই কুমিরের বাচ্চার মতো একই গরু দেখানোর মতো করে এক ছবি বারবার লোকজনকে দেখিয়ে টাকা পয়সা তুলে লোপাট করার পরে যদি এখন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে নিতান্ত ভদ্র মানুষ সাজে, সব অপরাধ অস্বীকার করে ভাজা মাছটাও উলটে খেতে জানে না ইত্যাদি ভাব ধরার চেষ্টা করে, তাতে অন্তত সাধারণ মানুষজন যাদের বিন্দুমাত্র বুদ্ধিশুদ্ধি আছে, তারা কখনোই বিভ্রান্ত হবে না। একবার ভেবে দেখুন, যদি এভাবে টাকা পয়সা লুটপাট করার তথ্য ফাঁস না হতো, কত হাজার হাজার মুসলিমের যাকাত সুষ্ঠুভাবে আদায় করা হতো না। আর নন মুসলিম একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষজনের কাছে যাকাতের টাকা চায় তারা কোন হিসাবে? কোন যুক্তিতে? যাকাতের টাকা শুধুমাত্র যাকাত গ্রহিতা এবং যাকাতের ডিস্ট্রিবিউশনের কাজের নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য খরচ করার অনুমতি আছে। তবে সেক্ষেত্রে তাদেরের অবশ্যই মুসলিম হতে হবে। কোনোভাবে কোনো অমুসলিম এই যাকাত রিলেটেড কাজে মাঝে আসতে পারবে না। যদি কেউ সেটা দাবী করে তবে মিথ্যা বলেছে। যাকাত দেওয়ার ব্যপারে সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে। সেটার বাইরে কোনোভাবেই যাওয়া যাবে না।

এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো এই দেশের মুসলিমদের কাছে যাকাতের টাকা চাওয়া। যাকাতের টাকা লোপাট করার ধান্দাবাজি বুদ্ধি বের করার আগে এদের সম্পর্কে সমাজের সাধারণ মানুষজনের ভালোই ধারণা ছিল। “এক টাকার আহার” ক্যামোফ্লেজের আড়ালে আর সমাজে চিহ্নিত ধান্দাবাজ কিছু লোকজনকে সম্ভবত পেইড মার্কেটার হিসেবে নামিয়ে দিয়ে দুইনাম্বারী কাজ এতদিন ভালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছিল। এদের পিছনে অনেক বড় হাত আছে। অনেকেই আর পরে ঘাটাঘাটি করতে সাহস পায়নি।

ওই যে শুরুতে বলেছিলাম না একদিন হবে গৃহস্থের-
এদের ধান্দাবাজি ফাঁস হয়েছে মানুষের কাছ থেকে যাকাতের টাকা চাওয়ার পরে। নন মুসলিম হওয়ার কারণে যাকাতের ব্যাপারে এদের ধারণা ছিল সম্ভবত সামান্য। আমাদের জন্য যাকাত ইসলামের ফরজ বিধান। প্রতিদিন নিয়মিত সালাত আদায় করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্য পালনীয়। যাকাতের দেওয়ার নিয়ম, যাকাত দেওয়ার পরিমাণ, আর কোথায় দেয়া যাবে আর কোথায় দেয়া যাবে না কিছু সুস্পষ্ট ও পরিষ্কারভাবে নিয়মকানুন বলে দেয়া আছে। কারো উপর যাকাত ফরজ হলে তাকে সেটা দিতেই হবে, এটা নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। যাকাত দেওয়ার সময় তাকে নিশ্চিত হতে হবে যে যাকাতটা সঠিক মানুষকেই দেওয়া হচ্ছে। আর ঠিক এই কারণেই মানুষজন বিদ্যানন্দকে যাকাত দেওয়ার আগে তারা আসলে কী করছে? কীভাবে টাকা কোথায় ব্যবহার করছে? সেটা সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। যখন ভালোমতো এদের সম্বন্ধে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়, তখনই এদের গোমর ফাঁস হওয়া শুরু হয়ে যায়।

সোশাল মিডিয়ায় অনেক মানুষ এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে টাকা দেওয়ার পরে আর কিছুতেই কোথায় দিয়েছে সেটার হিসাব দেয় না। মেসেজ দিয়ে জানতে চাইলে সোজা ব্লক করে দেয়। ফোনও রিসিভ করে না। ভয় দেখানোর কিছু রেকর্ডও আছে। অলংকারের ছবি এরা উই এর এক মেয়ের পেজ থেকে নিয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় ধরা পড়ার পরে প্রথমে কিছুতেই স্বীকার করে না। মেয়ে আপত্তিও জানিয়ে মেসেজ পাঠানোর পরে সোজা মেয়েকে ব্লক করেছিল। ফেসবুকে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে তখন এটা স্বীকার করে নেয়। এদের অনেককিছুই এখন পেজ থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তাই এদের পেজের বেশ কিছু ছবি পোস্টের প্রথমেই দিয়ে দিয়েছি।

শুরুতে কিছুটা হইচই দেখে তবুও হালকা সন্দেহ হচ্ছিল, কিন্তু এদের পক্ষে সাফাই গাইতে যারা মাঠে নেমেছে, তাদের দেখার সাথে সাথেই এদের পরিচয় জেনে তখনই পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গেলাম, এরা পুরোপুরি ধাপ্পাবাজ একটা প্রতিষ্ঠান। কারণ একটা চোরে চোরে সব সময় মাশতুত ভাই হয়। সবসময় দেখবেন একজন চোর ধরা পড়লে বাকি চোররা এসে ধরা পড়া চোরের পক্ষে ক্রমাগত সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করে যায়। এটা নতুন কিছু না। একটা ওয়েলফেয়ার বা সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান পেইড মার্কেটিয়ারদের মাঠে নামাবে কেন? সোশাল মিডিয়ার একে পর এক এদের পক্ষে বানোয়াট পোস্ট দেওয়াবে কেন? ইদানীং আবার বাতাস প্রতিকূলে থাকার কারণে এইসব পেইড মার্কেটিয়াররা আবার ভোল পাল্টানো শুরু করেছে।

আল সুন্নাহ ফাউন্ডেশন একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং সারা বাংলাদেশে জনহিতকর ও মানবদরদী কাজগুলো করে বেড়ায়। সারা দেশ জুড়ে এদের এত এত সুনাম এবং এদের প্রতি মানুষের এত বেশি আস্থা দেখে, বিদ্যানন্দও ঠিক একই তকমা গায়ে লাগিয়ে কাক যেমন ময়ূর সাজার চেষ্টা করে, এরাও সেটা দেখানোর চেষ্টা করেছিল। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন, আস সুন্নাহকে যাকাত দিলে এদেরকে কেন দেওয়া যাবে না ইত্যাদি তেনা প্যাঁচানো বিভিন্ন ডায়ালগ এদের পেইড মার্কেটেদের কাছ থেকে নিয়মিতই শোনা যাচ্ছিল। একশটা মানুষের মধ্যে যদি একজনকেও বিভ্রান্ত করে যাকাতের টাকা আদায় করতে পারে, তাহলে সেই টাকাই মেরে দেওয়া যাবে। বলুন তো আস সুন্নাহকে কী কোনোদিন পেইড মার্কেটিং করতে দেখেছেন? আজ পর্যন্ত এদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠেছে?

পোষ্টের শুরুতেই এদের ধান্দাবাজি পোস্টগুলো সব অ্যাটাচ করে দিলাম প্রমাণ হিসাবে। কীভাবে এর পেইড মার্কেটিং করে দেখুন? মূল ধান্দাবাজ আবার নিজেকে সমাজসেবী প্রমাণ করার জন্য নিজে বাচ্চা না নেওয়ার মতো নোংরা ও কলুষিত ধান্দাবাজিও মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে। কতটা নির্লজ্জ ধান্দাবাজ হলে একজন মানুষ এতটা নিচে নামতে পারে? কিশোরের ভাব দেখে মনে হয় সে একজন মাদার তেরেসা হতে চায়? তুমি যদি শুধু যদি সমাজসেবাই করতে চাও তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের গিয়ে জায়গা লিজ নেওয়ার কি দরকার? তোমার এই প্রতিষ্ঠান কি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান? তুমি তো দাবি করো তোমরা শুধু সমাজসেবা করো? জায়গা জমি লিজ নেওয়া কী ধরণের সমাজসেবা?

দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে জ্বলন্ত হারিকেন দিয়ে লোকজন এখন সমাজের কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেরাই দাবি করা শাহাবাগবাসীদের সব জায়গায় খুঁজে বেড়াচ্ছে। একবার ভেবে দেখুন, বিদ্যানন্দের মতো বিতর্কিত ঘটনা যদি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে ঘটতো তাহলে শায়েখ আহমদুল্লাহ সাহেব নির্ঘাত এতক্ষণে জেলের মধ্যে ইফতার ও সেহরি করতেন। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে সারাজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে দিনরাত উচ্চস্বরে মাইক হাতে আজ মুখরিত থাকতো শাহবাগ প্রাঙ্গনে বিরিয়ানীর প্যাকেটখোরদের প্রচারণায়। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি প্রতিকূলে এখন। তাই এই সময় এরা এখন মাথার উপর একগাদা লেপ কম্বল দিয়ে ঢেকে, কানের মধ্যে মোটা তুলা গুঁজে দিয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।

তবে এখনো কিছু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, বেকুব আর নির্বোধরা এই ধান্দাবাজ প্রতিষ্ঠানের স্বপক্ষে মিউ মিউ করে লেখা ছাপাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিভিন্ন বানোয়াট মিথ্যা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে আম জনতার চিন্তাধারা অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এদিকে যে এই প্রতিষ্ঠানের গায়ের সব কাপড় খুলে গেছে, তাতেও এদের এখনো টনক নড়েনি! সবাইকে তবুও এই ধান্দাবাজ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সবসময় সর্তক থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো!
মাহে রামাদান ও ঈদ উল ফিতর এর শুভেচ্ছা
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, এপ্রিল ২০২৩


মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৭

তানভির জুমার বলেছেন: এত তথ্য-প্রামাণ থাকা সত্বেও কিছু ব্লগার বিদ্যানন্দের পক্ষে সাফাই গায়। এইগুলো নাকি ছোটখাট ভুল। বিদ্যানন্দ একটি প্রতারক প্রতিষ্ঠান জনগণের আবেগ- টাকা নিয়ে তারা নিয়মীত প্রতারণা করে যাচ্ছে। তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

আজকে দেখলাম ভারতীয় হাইকমিশনার বিদ্যানন্দ পরিদর্শন করতে গেছে। দেশে পদভ্রষ্ট কিছু হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ কে ভারতীয় পুরো আধিপত্ববাদ কায়েম করতে চায়। ৯০% মুসলিমের দেশে মুদির নোংরা হিন্দুত্ববাদ কায়েমের স্বপ্ন দেখে। এই দেশের মুসলমানরা অবশ্যই এইসব প্রতিহত করবে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

নীল আকাশ বলেছেন: কিছু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, বেকুব আর নির্বোধ লোকজন আপনি সব জায়গায় পাবেন। এদের নিজেদের কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। অন্যের এগিয়ে দেয়া পা চাটাই এদের জীবনের একমাত্র মূল মন্ত্র।

এই বিদ্যানন্দ পরিদর্শন খুব স্বাভাবিক বিষয়। নিজে ইনভেস্ট করলে সবাই নিয়মিত খোঁজখবর খবর নেয় কাজকর্ম কেমন চলছে জানার জন্য। ইস* মতো আরেকটাস বিষফোঁড়া যদি এভাবে দাঁড়া করিয়ে দেয়া যায় দারুণ হবে তাই না?

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪৬

স্মৃতিভুক বলেছেন: ভাইজানের রিসার্চের ফলাফল দেইখা চউক্ষে পানি চইলা আসছে আবেগে। অবাক হইয়া খালি ভাবতেছি কি অপরিসীম মেধাবী হইলে এমন একটা গবেষণা-লব্ধ ফলাফল বাইর করন যায়!

(এই পর্যায়ে আইসা) চৌক্ষের পানি গামছা দিয়া মুইছা লইয়া গদ গদ চিত্তে আবারো ভাবনায় নিমজ্জিত হইলাম - ভাইজান আমার কি জ্ঞানী, কি গুণী, কি তিতিক্ষা আমাগো এইসব হাঁদা-ভোঁদাদের! যে পরিমান গবেষণা বিদ্যানন্দ নিয়া করতেছে, অন্য প্রোডাকটিভ কামে করলে নির্ঘাত নোবেল পাইয়া যাইতো।

আফসোস এই বিজ্ঞানীগুলান ভাত পায়না দেশে। খামাখা কি আর ব্রেইন-ড্রেইন হইতেছে! শুধুমাত্র আমাগো এই ভাইজানের মতো কলা -বিজ্ঞানীগো লাইগা দেশে প্রতিবছর "মদন-শ্রেষ্ঠ" পুরস্কার বিতরণীর ব্যবস্থা করতে হইবো।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: ঝোল মাখা ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না, দূর্মূল্যের যে বাজার এখন!
এটা আমি ধান্দানন্দকে লেখা শুরু করার পর থেকেই দেখে আসছি। এটা নতুন কিছু না, তবে এই গোলামীর লাইন অনেক বড়, অনেক পুরাতন পাপী ইতোমধ্যেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। এত লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দুই এক ফোঁটাও ঝোল ভাত কিছু মেলে নাকি বড়ই চিন্তার বিষয়! আহারে তু তু তু!

আমার পোস্টে এইসব পেইড নাকি কান্না কেটে কোনো লাভ নেই। তার চেয়ে বরং ধান্দাবাজির চুড়ান্ত এক টাকার আহারের পেজে গিয়ে এইসব লিখে দিয়ে আইসেন যদি তার বিনিময়ে সামান্য কিছু জোটে।

তবে নির্বোধের মতো আবেগে চউক্ষে চইলা আসা পানি মুছে ভালোমতো পোস্টটা আবার দেখে নিন। উপরের দেয়া সবগুলো ছবি এই ধান্দানন্দের বাটপারি পেজ থেকে নেয়া। এখন পাবলিকের কাছে ধরা খাওয়ার পরে চোরের মতো সব লুকিয়ে মুছে দিয়েছে।

ধান্দানন্দের জন্য আপ্নার এত আবেগ দেইখা অবাক হইনি। অন্যদেশের মানুষ ল্যাবে বসে বিজ্ঞান চর্চা করে। আপনাদের মতো মতো বঙ্গীয় পাচাটারা থিয়েটার, কলাভবন আর শাহবাগে বসে গঞ্জিকা সেবন করতে করতে বিজ্ঞান চর্চা করে।
আরজ আলী মাতব্বর হচ্ছে আপনাদের কাছে আইন্সটাইন,
হুমায়ুন আজাদ হচ্ছে আপনাদের কাছে নিউটন,
শাহরিয়ার কবির হচ্ছে আপনাদের কাছে ডারউইন,
তসলিমা নাসরিন হচ্ছে আপনাদের কাছে ম্যারি কুরি।

আপনাদের মতো সবার চরিত্র আর সার্বিক নিয়মিত আচরণ দেশে মানুষজন সবাই জানে। লুকানো চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

জটিল ভাই বলেছেন:
সব দোষ তাহসানের.......

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: চোরে চোরে মাশতুত ভাই এরা। সব সময় দেখবেন এক চোর ধরা পড়লে বাকি চোররা এসে ধরা পড়া চোরের পক্ষে সাফাই গায়। এটা নতুন কিছু না।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২১

নাহল তরকারি বলেছেন: বিদ্যানন্দ হিন্দুদের সংগঠন না হয়ে যদি মুসলিমদের সংগঠন হতো, তাহলে কি হতো জানেন? না থাক। বললাম না। কারন আমি সব কিছু গুছিয়ে বলতে পারি না। আপনি বুঝে নিয়েন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: ধানানন্দের মতো বিতর্কিত ঘটনা যদি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে ঘটতো তাহলে শায়েখ আহমদুল্লাহ সাহেব নির্ঘাত এতক্ষণে জেলের মধ্যে ইফতার ও সেহরি করতেন। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে সারাজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে দিনরাত উচ্চস্বরে মাইক হাতে আজ মুখরিত থাকতো শাহবাগ প্রাঙ্গনে বিরিয়ানীর প্যাকেটখোরদের প্রচারণায়।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: লোবিং শুরু হয়ে গিয়েছিলো৷ আজ ভরতীয় লো কমিশনারা পরিদর্শন শেষে ভক্তদের সার্টিফিকেট দিয়ে গেছে। কিন্তু এক টাকাও দান দিয়ে যায় নাই :) সরকার আর চোরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে মনে হয়। তাই এখন ৪১ দিনই চোরের। এই সব ধান্দানন্দ প্রতিষ্ঠানে দান খয়রাত দেওয়া বন্ধ রাখুন। দেশের টাকা দেশে রাখুন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: ধান্দানন্দের পাছার কাপড় খুলে গিয়েছে আমজনতা ইতোমধ্যেই। এখন আর মজিদ চাচারে নিয়া নাকি কান্নাকাটি করে সাহায্য চেয়ে লাভ হবে না। যাকাতের টাকা মেরে খাওয়ার ধান্দাবাজির শাস্তি সৃষ্টিকর্তা নিজেই দিয়েছেন।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫০

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: ভারতীয় দূতাবাসের লোকজন এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে এত আগ্রহ দেখাচ্ছে কেন?
ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কিন্তু কলা খাই না! অবস্থা!

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: ছোটোবেলায় স্কুলে দেখতাম অনেক মারামারি হতো। আবার মারামারির একটা কমন প্যাটার্ন ছিল। একদিন কোনো গ্রুপের হাতে মাইর খাইলে পরের দিন বড় ভাইদের নিয়ে, যারা মারসে তাদের সামনে আরেক গ্রুপ শোডাউন দিত। বিদ্যানন্দের অবস্থা হয়ে গেছে এখন এরকম। বাংলাদেশের আম পাবলিকের কাছে ধরে পড়ে অনলাইনে মাইর খেয়ে এখন ভারতের বড় ভাইকে ডাইকা আনছে, যে এটা খোলার ইন্ধন দিয়েছে। আপনাকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৭

কিরকুট বলেছেন: বিশাল একখানা ঔপন্যাসিক গবেষনাপত্র দেখিয়া মন ভাড়াক্রান্ত হইয়ে ব্যাকুল হইয়া পরিলো।দেশ রসাতলে যাইতেছে। দেশের সজ্জন ব্যক্তিবর্গ দেশের তরে আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে গবেষনালব্ধ জ্ঞ্যান লইয়া ঘুমাইতে পারিতেছে না। তাহার মস্তিষ্কের চর্ম পিষ্ঠে চিন্তার ভাড়ে হাট্টিমাটিম টিমের ন্যায় শিং গজিয়ে যাচ্ছে তাহা নিয়ে দেশের মানুষের কোন বিকার আকার সকার নাই। বেইমান মোনাফেক বিধর্মী এক কিশরের থাবা হইতে বাচিবার কোন তাগিদ দেখাইতেছে না উলটা সেই তাগুদের সহিত গলা মিলাইয়া সারে গামা গাইতেছে। আহ আহা কি হইবে এই জাতির। জনগন নিদেনপক্ষে একটু সহানুভুতির অশ্রু ঝরাইতে পারতো কিন্তু তাহা না করিয়া গবেষকের লেজ নামক বস্তু ধরে হ্যাচকা টানে মোচাড়াইয়া দিতাছে যাহা আর চর্ম চৌক্ষে সহ্য করা যায় না।

ওহ বিধী কি হইবে এই জাতির।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট বহির্ভূত বিষয় নিয়ে এসব গরুর আর ছাগলের রচনা যা লিখেছেন সেগুলো নিজের পেজে আর নিজের ব্লগে দিবেন।
আমার ব্লগে কোন গরু ছাগলের রচনা ছাপাই না। আর এই সমস্ত গরুর রচনা লেখার জন্য আমার ব্লগে আসার দরকার নেই।

পোস্ট বহির্ভূত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হলো। এরপর এই ধরনের ভুল করলে আমার ব্লগ বাড়িতে ব্যান করা হবে।
আমার ব্লগ বাড়ি একটা সুন্দর করে সাজানো গোছানো সুসজ্জিত বাগান। এখানে আগাছা জাতীয় কোন কিছু রাখা হয় না।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

একটা জিনিস পরিষ্কার বোঝা গেল।
সামাজিক মাধ্যমের পরিচিত হিন্দু বিরোধীরা সবাই বিদ্যানন্দের বিরোধিতা করছে।

সাথে আছে পরিচিত স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানপন্থী, ভারত বিরোধী বঙ্গবন্ধু বিরোধী সেই পরিচিতরাই।
যারা বৈশাখ উদযাপন বিরোধিতা করেছিল, যারা বাংলাদেশের খেলায় পাকিস্তান সমর্থন করেছিল। সেই পরিচিত চিহ্নিত গোষ্ঠী।
এরা যুক্তি প্রমাণ নৈতিকতা এসবে ধার ধারে না। বিদ্যানন্দ বিরোধিতা এরা এক প্রকার জিহাদ হিসেবে ধরে নিয়েছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মত একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তির কাছ থেকে এই মন্তব্য পাওয়াটা আমি মোটেও আশা করিনি। আপনারই মন্তব্যের মধ্যে বুঝা গেল যে আপনি আপনার দলখানা মনোভাব এখানেও এগিয়ে যেতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়া নিউসপেপার এবং সব জায়গাতে বিদ্যানন্দের একের পর এক দুর্নীতি এবং লুটপাটের কাহিনী পড়ার পরও যদি আপনি এই ধরনের মন্তব্য লেখেন, তার অর্থ হচ্ছে যে শিক্ষা আপনার ভিতরে আসলে কোন মানসিক পরিবর্তন আনতে পারেনি।
একজন চোর চুরি করার পর ধরা পড়ে তার শাস্তি হবে সেই ভয়ে তাকে ধর্মীয় পরিচয় আরাল করা কিংবা রাজনীতিক পরিচয়ে আড়াল করা প্রচন্ড নোংরা একটা মানসিকতা। সারাদেশে এ সমস্ত দুর্নীতি লুটপাট করার প্রশ্রয় পায় আপনাদের মত শিক্ষিত মানুষজনের কারণেই।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাদের মতন যাদের চোখ থাকতেও অন্ধ হয়ে থাকেন, তাদের জন্য এই বিদ্যানন্দের কিছু অপকর্মের বিবরণ মন্তব্যে তুলে দিয়েছি, পড়ে দেখুন। যদিও জানি আপনাদের কোন উন্নতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি লেখক মানুষ। বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে লেখা পোস্টটিতে আপনি তথ্য, প্রমান ও যুক্তি সহকারে ভাষার ব্যবহার করলে পোস্টটি অনেক বেশি গ্রহনযোগ্যতা পেত। যেভাবে তুই, তোকারি নির্ভর আক্রমনাত্মক শব্দের ব্যবহার করেছেন, তা ফেসবুকেই শোভা পায় , ব্লগে নয়।

বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে , তা বেশ গুরুতর। একই ছবি কেন বিভিন্ন ইভেন্টে ব্যবহার করবে ? এতেতো তাদের টাকাপয়সা বিষয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠা খুব স্বাভাবিক । মজিদ চাচা শব্দটা তারা রুপক অর্থে ব্যবহার করেছে বলেছে , যাতে কারো আসল নাম পরিচয় প্রকাশ না পায়। এই ব্যখ্যাটাও গ্রহনযোগ্য নয়।সেবা দাওয়া দুস্থ , দরিদ্র মানুষদের নাম পরিচয় সোস্যাল মিডিয়ায় তা সে রুপক হোক বা আসলই হোক দেয়ারোইতো কোন দরকার নাই। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের একটি সেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশনকে করোনার মধ্যে ত্রান পাঠানোর নাম করে যে ধরনের হয়রানি করা হয়েছে সেটাতো খুবই গুরুতর অভিযোগ। সেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশনটি তাদের অভিযোগ তথ্য প্রমানসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। বঙ্গবাজারে পোড়া কাপড় ব্যবহার করে অলংকারের বেশ কয়েকটি ছবিও তারা অনলাইন থেকে নিয়েছে বলে নিজেরাই স্বীকার করেছে। এই অভিযোগের যে সাফাই তারা দিয়েছে তাও গ্রহনযোগ্য নয়। কেননা মানুষতো তাদের ইভেন্টের ছবি দেখেই অনুপ্রানিত হয়ে টাকা দিতে উদ্বুদ্ধ হবে। কিন্ত সেখানে যদি স্বচ্চছতা ও সত্যতা না থাকে তাহলে মানুষের বিশ্বাষে ঘাটতি হবেই।

বিদ্যানন্দের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারের বক্তব্যনুযায়ী তাদের যাকার দেবার খাত ও দিক নির্দেশনা ফেসবুকে দেখার পর আমি নিজেও তাদের পক্ষে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। যে কোন সেচ্ছা সেবক ফাউন্ডেশন যদি ইসলামের ধারা মেনে চলে মানুষকে সেবা দিয়ে থাকে তাহলেতো সেখানে মানুষের যাকাতের ক্ষুদ্র একটি অংশ দিলেতো কোন অসুবিধা দেখি না। কারো যাকাতের পরিমান যদি হয় ১০, ০০০ টাকা আর সে যদি এর মধ্যে ১০০/২০০ টাকা ফাউন্ডেশননে দেয় তাহলে এতে অসুবিধা কোথায়? বিদ্যানন্দ নিজেরাও কিন্ত এভাবেই বলেছে যে আপনার যাকাতের কিছু অংশ ফাইন্ডেশনে দিতে পারেন। যে কোন চ্যরিটির এখানেই সফলতা। বিন্দু বিন্দু জমে সিন্ধু হয়।তাই আপনার আমার সামান্য টাকা যদি বৃহত্তর গন্ডিতে মানুষের কল্যানে ব্যবহ্রত হয় তা মানবতার ধর্ম ইসলামের সাথে কোনভাবেই সাংঘর্ষিক হতে পারে না। কিন্ত ফেসবুকে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ তথ্য প্রমান সহকারে প্রকাশিত হবার পরপরই , আমি পোস্টটি ডিলিট করি।

তবে বিদ্যানন্দকে তুলোধুনা করতে গিয়ে মানুষ নীচুতা ও অনেকখানিই সাম্প্রদায়িকতার পরিচয় দিচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নাই। বেশ কিছু অনলাইন সেলিব্রিটি যে ধরনের বাজে ভাষা ব্যবহার করেছে , তাতে বিদ্যানন্দের পক্ষে বিপক্ষে দুটো দল দাঁড়িয়ে গেছে।

আপনি পোস্টটির আক্রমনাত্মক অংশগুলো পরিহার করে এডিট করলে এই ইস্যূ নিয়ে ভাল আলোচনার সুযোগ আছে বলে মনেকরি।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: বিদ্যানন্দের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারের বক্তব্যনুযায়ী তাদের যাকার দেবার খাত ও দিক নির্দেশনা ফেসবুকে দেখার পর আমি নিজেও তাদের পক্ষে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। যে কোন সেচ্ছা সেবক ফাউন্ডেশন যদি ইসলামের ধারা মেনে চলে মানুষকে সেবা দিয়ে থাকে তাহলেতো সেখানে মানুষের যাকাতের ক্ষুদ্র একটি অংশ দিলেতো কোন অসুবিধা দেখি না। কারো যাকাতের পরিমান যদি হয় ১০, ০০০ টাকা আর সে যদি এর মধ্যে ১০০/২০০ টাকা ফাউন্ডেশননে দেয় তাহলে এতে অসুবিধা কোথায়?
যাকাতের টাকা যাকাত গ্রহিতা এবং যাকাতের ডিস্ট্রিবিউশনের কাজের নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য খরচ করার অনুমতি আছে। তবে সেক্ষেত্রে তাদেরের অবশ্যই মুস্লিম হতে হবে। কোনোভাবে কোনো অমুসলিম এই যাকাত রিলেটে কাজে মাঝে আসতে পারবে না। যদি কেউ সেটা দাবী করে তবে মিথ্যা বলেছে। আপনি জানেন আমি ধর্মীয় বিষয়ে না জেনে কোন কিছুই বলি না। যাকাত দেওয়ার ব্যপারে সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে। সেটার বাইরে কোনোভাবেই যাওয়া যাবে না।

বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে , তা বেশ গুরুতর। একই ছবি কেন বিভিন্ন ইভেন্টে ব্যবহার করবে ? এতেতো তাদের টাকাপয়সা বিষয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠা খুব স্বাভাবিক ।
সোশাল মিডিয়া অনেক অনেক মানুষ এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে টাকা দেওয়ার পরে আর কিছুতেই কোথায় দিয়েছে সেটার হিসাব দেয় না। ব্লক করে দেয়। ফোন রিসিভ করে না। ভয় দেখানোর রেকর্ড আছে। এদের পিছে অনেক বড় হাত আছে। অনেকেই আর পরে ঘাটাঘাটি করতে সাহস পায়নি। ১ নাম্বার মন্তব্যে দেখেছেন তো এদের পিছে কে আছে?

অলংকারের বেশ কয়েকটি ছবিও তারা অনলাইন থেকে নিয়েছে বলে নিজেরাই স্বীকার করেছে।
উই এর এক মেয়ের পেজ থেকে নিয়েছে। প্রথমে কিছুতেই স্বীকার করে না। মেয়েকে মেসেজ পাঠানোর পরে ব্লক করেছিল। সারা ফেসবুকে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে তখন এটা স্বীকার করে নেয়। এদের অনেককিছুই এখন পেজ থেকে সরিয়ে নিয়েছে।

আপনি পোস্টটির আক্রমনাত্মক অংশগুলো পরিহার করে এডিট করলে এই ইস্যূ নিয়ে ভাল আলোচনার সুযোগ আছে বলে মনেকরি।
সোশাল মিডিয়া ও ব্লগে এত কিছুর পরেও অনেকের নির্লজ্জ দালালি দেখে রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি। ঠিক আছে, কিছু জায়গা আবার ঠিক করে দিচ্ছি।

শুভ ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা আপনাকে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট বড় হয়ে যাবে দেখে প্রমাণ গুলো আলাদাভাবে নিচের মন্তব্যে দিয়ে দিয়েছি। ‌ এরকম শত শত অভিযোগ আছে।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ২০১৫ এর এপ্রিলে প্রথম আলোর রিপোর্টের অংশের স্ক্রীণশট,

২০২০ এর এপ্রিলে কিশোর কুমার দাশের সাক্ষাৎকারের একটা অংশের স্ক্রীণশট,

বোন নিয়ে এই লুকাচুরির কারন কি এইটা?
২০১৭ এর মার্চে ইসকনের এক অনুষ্ঠানে শিপ্রা দাশ,

শিপ্রা দাশের লিংকডইন অনুসারে ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে সে বিদ্যানন্দের জেনারেল সেক্রেটারী; আবার একই জায়গায় 'ভলান্টারী এক্সপেরিয়েন্সে' লেখা সে বিদ্যানন্দের ইনিশিয়েটিভস ম্যানেজার এবং কো-অর্ডিনেটর, ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে বর্তমান পর্যন্ত। আসলে সে কি? ইসকনের সক্রিয় কর্মী হিসাবে সে বিদ্যানন্দে কি ভূমিকা পালন করে? ইসকনের এজেন্ডার বিষয়টা যারা জানে না, তাদের জন্য বিষয়টা বোঝা বেশ খানিকটা কঠিনই বৈকি!!! :P

জাকাত নিয়ে ইসলামের শত্রুদের চুলকানীর জায়গাটা জানতে হলে এই ভিডিওটা দেখেন।view this link

সব মিলায়ে আমাদের চুশীলদের (ব্লগেরগুলো সহ) চুলকানীর মিসিং লিঙ্কগুলো ধরতে পারিবেন আশা করি।

ঢাবিয়ানের মন্তব্য পছন্দ হইছে। সবার এমনভাবে বিবেক জাগ্রত হউক!!!!

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

কিরকুট বলেছেন: ল্যাঞ্জা একটি বস্তু যাহা লুকিয়া রাখা বড্ড কঠিন। উহা প্রস্থদেশ ছেদন করিয়া বাহির হইয়া যাইবেই। কিন্তু সভাসদ আপনারা এই ল্যাঞ্জা লইয়া কিছু বলিত পারিবেন না। বলিলেই তাহা বিজ্ঞ ভ্লগারের অন্তরে কদবেল গাছের কাটার ন্যায় বিধিয়া যাইবে। নিরুপায় হয়ে ছুটিয়া যাইবে ওহে কে কোথায় আছো এরা আমার লুকায়িত ল্যাঞ্জা দেখে ফেলেছে এবং উহা লইয়া ছি বুড়ি খেলছে আমার ইজ্জতের বাড়টা বাজাইতেছে। দয়া করিয়া ইজ্জত বাচাও।

ল্যাঞ্জা ওয়ালারা যে ছি কাদুনে হয় উহা জানতাম তাই বলে রমনীয় ছিচকাদুনে ইহা জানতাম না।

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন:

আলিকদমে স্কুলের নামে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ম্রো সম্প্রদায়ের জমি দখল
হিল ভয়েস, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, বান্দরবান: বান্দরবানের আলিকদম উপজেলাধীন ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ২৯০নং মাংগু মৌজার পামিয়া কার্বারী পাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে ম্রো সম্প্রদায়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন-এর দ্বীপতরী অনাথালয়ের কর্তৃকপক্ষ আমাদের এলাকায় দামতুয়া ঝর্না পরিদর্শনে আসে। পরে এখানে তাদের জমি পছন্দ হলে তারা মাংগু মৌজার হেডম্যান লাংনেট ম্রোকে টাকা দিয়ে প্রথমে আমাদের ভোগদখলীয় ৫.০ একর জমি দানপত্র নামে কাগজ করে নিয়েছেন মোঃ মিজানুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি।
এলাকাবাসী আরো জানান, তারা আমাদের সাথে কোন পরামর্শ না করে তাদের মনগড়া জমি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে। এখানে পামিয়া কার্বারী পাড়া, লম্পু কার্বারী পাড়া, নামচাক ম্রো কার্বারী পাড়াসহ ৩টি গ্রামের বসবাস রয়েছে অনেক বছর ধরে। কিন্তু এই দ্বীপতরী অনাথালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের গ্রামের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে না।
চুংতাই ম্রো ও মেনওয়াং ম্রো অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের দ্বীপতরী অনাথালয়ের নাম দিয়ে আমাদের গ্রামের পাশের জমিগুলো দখল নিয়েছে। জমি দখল নেওয়ার কারণ আমাদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, যেমন আমরা জুম চাষ করতে পারি না, গবাদিপশু পালন করতে সমস্যা, গ্রামের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তারা প্রথমে ৫.০ একর জমি নিলেও এবছর আবার ৫.০ একর জমি দখল নিয়েছেন, সব মিলে ১০ একর পাহাড় দখল করে রেখেছেন।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দলিল গ্রহীতা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, লাংনেট ম্রো হেডম্যানের ছেলে লাংরাও ম্রো কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করি নাই। তিনি প্রতিষ্ঠানকে ৫.০ একর জমি দান করেছেন। তাই আমরা সেখানে জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠান করেছি।
পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ অথবা বান্দরবান জেলা পরিষদের অনুমতিপত্র আছে কিনা তখন মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের সরকারের অনুমতি আছে। আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের অনুমতি লাগে না।
দ্বীপতরী অনাথালয়ের পরিচালক মোঃ হাসান বলেন, আমরা বান্দরবান জেলায় ৩টি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠান স্হাপন করেছি, আলিকদমে ১টি, নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী ইউনিয়নে ১টি ও রুমা উপজেলার চিম্বুক পাহাড়ের পুরোন বাংলো এলাকায় ১টি। এখানে শুধুমাত্র এতিম ও অনাথ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে কোন বাঙালি ছাত্র-ছাত্রী রাখা হয় না, এখানে পঞ্চম শ্রেণি পড়ালেখা করে পাশ করলে রামুতে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে চট্রগ্রামে পাঠানো হয়। তিনি আরো বলেন, এখানে আরো প্রচুর জায়গা প্রয়োজন। কারণ বিভিন্ন ধরণের বাড়ীঘর নির্মাণ করতে হবে বলে জানান।
পামিয়া ম্রো মেম্বার ও হেডম্যানকে মোবাইলের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য কল দিলেও তাদেরকে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রসঙ্গ:- বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও তাদের প্রতারণা -
সময়টা তখন ২০২০ সালের এপ্রিল মাস। সারাদেশে লকডাউন চলে। রাস্তায় বাঁশের বেরিগেড। বাড়ি থেকে বের হওয়া, বাজারে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একদিন দুই তিন বন্ধু সন্ধ্যায় রাস্তায় বসে কথা বলছিলাম। অজপাড়াগাঁ এর রাস্তা। সুতরাং প্রশাসনের চোখের আড়ালে থাকারই কথা। কিন্তু হঠাৎ পুলিশের দৌড়ানি খেলাম। এমন পরিস্থিতিতে বিপদে পড়েছিল নিম্ন আর মধ্য আয়ের মানুষগুলো। আমরা বিবর্তন ফাউন্ডেশন এর সদস্যরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম অসহায় মানুষদের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দেবার। বিবর্তন ফাউন্ডেশন ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে স্বচ্ছতার সহিত টুকটাক সামাজিক কাজ করা হয়। যাহোক তা প্রসঙ্গ না।
অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজন, প্রিয় শিক্ষক ও বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে ফান্ড সংগ্রহের চেষ্টা করি। একদিন ফেইচবুক স্ক্রল করতে গিয়ে দেখলাম বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন একটা পোস্ট দিলো জেলা উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেন তাদের সাথে যোগাযোগ করে, তারা তাদের কাছে আসা ডোনেশন অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক পাচ্ছে না। তাই আমরা ইমেইলে তাদের নক করলাম। তারা আশাব্যঞ্জক উত্তর দিলো। আমর আশান্বিত হলাম। তারা কিশোরগঞ্জ জেলার অসহায় মানুশবদের তালিকা চায়লো, যারা নিতান্তই খাবারের কষ্টে আছে। তালিকা প্রস্তুত করার জন্য প্রার্থীদের নাম, জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, পিতার নাম, বয়স, সম্পূর্ণ স্থায়ী ঠিকানা সংগ্রহ করতে বলল। কিশোরগঞ্জ জেলার ৩ টি উপজেলা পাকুন্দিয়া, কটিয়াদি ও কুলিয়ারচরে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক আছে। তাদের মাধ্যমে তিনটি উপজেলা থেকে ৬৮০ জনের তালিকা আমরা প্রস্তুত করি। একেবারে নিতান্তই যারা অসহায় তাদের বাড়িতে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে একটি স্বচ্ছ তালিকা তৈরি করা হয়, বিদ্যানন্দের দেওয়া ফর্মেটে। তালিকা প্রস্তুত করতে আমাদের সপ্তাহখানিক সময় লেগে যায়। তারপর বিবর্তন ফাউন্ডেশনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কার্যক্রমের ডকুমেন্টসহ তাদের কে ইমেইল করি। তারা আমাদের ইমেইল পেয়ে তাদের ফেইচবুক পেইজে কয়েকটি ট্রাক ভর্তি মালামালের ছবি দিয়ে পোস্ট দেয় কিশোরগঞ্জের অসহায় মানুষদের জন্য ৫ টন খাবার প্রস্তুত হচ্ছে। বিতরণ করবে আমাদের সুহৃদ ও সহযোগী বিবর্তন ফাউন্ডেশনের একদল স্বেচ্ছাসেবক। আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত, আমারা অসহায় মানূষদের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে পারব। কিন্তু তাদের খাবার পাঠানো সেই পোস্ট পর্যন্তই ছিলো। তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে না। আমি আবার ইমেইল করলাম। তারা ব্যস্ততার কারণে যোগাযোগ করতে পারছে, তাই জানালো। আবার তালিকা পাঠাতে বলল, সাথে তিনটি থানা থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য তিনটি চিঠির কপি দিতে বলল। চিটিতে তারা অনুরোধ করে দিবে, যাতে পুলিশের সদস্যরা আমাদের হেল্প করেন। আমরা আবার তালিকা ও তিনটি চিঠি তাদের ইমেইল করলাম। ৩/৪ দিন হলো কোন রিপ্লাই নাই। ইমেইল করলাম। তারা জানালো তারা খুবই ব্যস্ত। খাবার কোথায় রাখব, সেই গোডাউনের ছবি দিতে। তাও দিলাম। এরপর তারা হাওয়া হয়ে গেলো। ইমেইল দিলাম। আর কোন রিপ্লাই আসলো না। হঠাৎ তাদের দেওয়া পোস্ট তাদের পেইজ থেকে ডিলেট হয়ে গেলো। তাই স্ক্রিনশট নিতে পারলাম না।
আমরা পড়লাম বিপদে!! এতো গুলো মানুষের তালিকা!!! কি করবো?? তাদের কে কি বলব? ডাক্তার Jahirul Hoq Jabed ডাক্তার Naimur Rahman Pulock , ইঞ্জিনিয়ার Ahasan Juwel , Md Sanuar Mahmud , Saklain Afride Durjoy তুষার, রুবেল, মুখলেছ সহ আরো অনেকে নিজেদের আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অর্থ কালেকশন শুরু করলো। প্রায় ৭০ হাজার টাকার মতো কালেকশন হলো। কাউকে ৫০০, কাউকে ১০০০, কাউকে ২০০০, কাউকে সর্বোচ্চ ৩৫০০ টাকা করে দিয়ে ৫০ ফ্যামিলিকে সহযোগিতা করতে পেরেছিলাম, তারা খুবই গরীব আর স্বেচ্ছাসেবকদের বাড়িত গিয়ে কান্নাকাটি করতেছিলো।
আমরা এতো বড় প্রতারণার স্বীকার কোন দিন হই নি। তাদের নিয়ে আরো আগেই লিখতাম। কিন্তু অনেক কিছু চিন্তা করে আর লিখা হয় নি। যখন তাদের জয়জয়কার তখন কয় জনই বা আমাদের কথা বিশ্বাস করবে!

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: আরেক ভদ্রলোক ফেসবুকে বিদ্যানন্দের অফিসে গিয়ে কথা বলে আসার পরে নিজের পেজে এটা তুলে দিয়েছে-

আমি বিদ্যানন্দে গিয়েছিলাম। ওদের ইমেজ এন্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার সালমান ইয়াসিনের সঙ্গে প্রায় ১৮ মিনিট কথা বলেছি। তবে বিদ্যানন্দের সব যুক্তিগুলো গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। কিছু বিষয় একদমই খোঁড়া মনে হয়েছে!
১. মজিদ চাচা, করিম চাচার গল্প বিদ্যানন্দ ইচ্ছাকৃতভাবে বানিয়েছে। এর পেছনে ওদের যুক্তি হলো- 'ওরা সাহায্যার্থীর নাম প্রকাশ করতে চায় না'। এটা অবশ্যই উত্তম সিদ্ধান্ত। নাম প্রকাশে সাহায্যার্থীর আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ হতে পারে। কিন্তু ওদের পেজে গিয়ে যখন দেখতে পাই ওরা হাজার হাজার সাহায্যার্থীর ছবি পোস্ট করে রেখেছে। তখন বিষয়টা আসলে 'লুঙ্গি খুলে মাথা ঢাকা'র মতো হয়ে যায়।
২. অলংকারের যে বিষয়টা সবশেষে ভাইরাল হলো এটা নিয়ে ওরা যুক্তি দিয়েছে। বিষয়টা অনিচ্ছাকৃত, ভুল হয়েছে, ক্ষমাও চেয়েছে। সবই বুঝলাম কিন্তু বিদ্যানন্দের মতো এতো বড় একটা প্রতিষ্ঠান এতো বড় ভুল করতে পারে? এই ভুল পোস্ট বিদ্যানন্দের পেজে কমপক্ষে বারো ঘণ্টা ছিলো! ভুলটা চোখে পড়তে তাদের বারো ঘণ্টা লাগল? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে, ওই গহনার ক্রিয়েটর নারী পোস্ট করেছে, রিউমার স্কানার বিষয়টা স্কান করেও জানিয়ে দিলো; ওটা ভুল ছিলো। তারপর বিদ্যানন্দের চোখে পড়ল? এই যুক্তিটাও আমি গ্রহণ করতে পারছি না। পাবলিকের কষ্টে অর্জিত টাকায় চলা সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের আরো দায়িত্বশীল ভুমিকা আশা করছি। স্কিপ্ট দূর্বল!
৩. একই গরু একাধিকবার ক্রয় করা বা খাওয়ানোর বিষয়টা নিয়েও প্রশ্ন করেছিলাম তাদের। তাদের উত্তর ছিলো- তারা তাদের পোস্টের জন্য গরুর ছবি লাগবে তাই ওটা ব্যবহার করেছে। সেক্ষেত্রে গরুর ছবির নিচে পুরনো ছবি বা প্রতীকী ছবি লিখতে হয় বিষয়টা তারা জানতেন না বলে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে এই বিষয়গুলো পরবর্তীতে উল্লেখ করে দেবেন বলেও তারা বলেছেন। কেউ না জানলে সেখানে বলার কিছু থাকে না। তাই এটা ধরেই নেয়া যায় যে, আসলে তারা বিষয়টা জানতেন না।
৪. সেন্টমার্টিনে সাজানো প্লাস্টিকের বিনিময়ে চাল, ডাল দেয়ার বিষয়েও প্রশ্ন করেছিলাম। এই বিষয়টার উত্তর সালমান সাহেব সরাসরি না দিয়ে অত্যন্ত চতুরতার সহিত আমাকে প্রথমে সেন্টে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে আসতে বলেন। এরপর আমি যখন তাকে বললাম, 'আমি একজন রিসোর্ট মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন এই প্রকল্পের জন্য তার রিসোর্ট থেকেও আপনাদের ৭০০ টাকায় ভাড়া করা লোক ৬ বস্তা প্লাস্টিক এনে তা রিসোর্টে ফেলেছে। যে প্লাস্টিক আপনারা পরিষ্কার করে ছবি তুলে পাবলিক সিমপ্যাথি নিয়েছেন। তখন সালমান সাহেব বিষয়টা স্বীকার করে বলেন, 'কে কোথা থেকে প্লাস্টিক এনেছে সেটা তো আমাদের দেখার বিষয় না। ওই প্রজেক্টের মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা দিতে চেয়েছি। এখন গিয়ে দেখেন, অনেক মানুষ আমাদের অপেক্ষায় থাকে, প্লাস্টিক জমা করে রাখে। আমরা গেলে তারা দেবে।'
আমি বিদ্যানন্দের এই খোঁড়া যুক্তির সঙ্গে একমত হতে পারছি না। টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে সেই লোকদের দিয়ে রিসোর্টে জমানো প্লাস্টিক এনে ভীচে ফেলে সেটা পরিষ্কার করাটা কোনভাবেই নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয় বলেই মনে হয় আমার কাছে।
৫. বিদ্যানন্দের ডোনেশন চেয়ে করা পোস্টগুলোর অধিকাংশই বানানো গল্প। এই ধরনের গল্প বানিয়ে লিখে ডোনেশন সংগ্রহ করাটাও এক ধরনের প্রতারণা বলে মনে হয় আমার কাছে।
৬. ওরা বলেছে, ওরা কোথাও কোনকিছু বিতরণ করলে আগে থেকে লোকেশন জানায় না। ভীড় এড়াতে ওরা এই কাজটা করে। তবে লোকেশন তো পরে জানানো যায়? সেটাও ওরা জানায় না। যেকারণে এখানেও প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। তারপর লোকেশনের স্থানিয় ব্যক্তিদেরও যদি না জানায় তাহলে ওরা কীভাবে টার্গেট লোকদের খুঁজে বের করে? সেখানে যে স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম হয় না সেটা পাবলিক কীভাবে বুঝবে? এখানেও প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিকই বলে মনে হয় আমার কাছে।
৭. বিদ্যানন্দ ওদের পোস্টে বলেছে, সারাদিন দেশের বিভিন্ন যায়গায় ওদের প্রোগ্রাম থাকে। সারা দেশের এতো ছবি পোস্ট করা সম্ভব হয় না। এটাও অত্যন্ত বাস্তব কথা। কিন্তু প্যাচ লাগে যখন দেখি এতো ছবি থাকতেও একই ছবি ওদের বার বার পোস্ট করতে হয়! বাংলা মুভির মারুফের ডায়লগের মতো বলতে মন চায়, 'অংক মেলে না'।

১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর এবং আপনার পোস্টে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। উভত জায়গাতেই সুস্থ বিতর্ক নয় , ব্যক্তি আক্রমের মহড়া চলছিল এবং চলছে।। যুক্তি সহকারে কমেন্ট করাতে কারোরই আগ্রহ নাই। ল্যঞ্জা, ফেঞ্জা শব্দ যারা ইউজ করে তারা যে ফ্যসিবাদী একটি দলের সমর্থক তা সবারই জানা আছে। যাই হোক এসব এড়িয়ে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় প্রতিউত্তর করুন ।


অট ঃ পোস্ট এডিটের জন্য ধন্যবাদ

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: এই ব্যক্তি একজন পুরোপুরি ফালতু মাল্টিনিক ব্লগার। এর পরিসংখ্যান দেখুন-
পোস্ট করেছি: ৪টি
মন্তব্য করেছি: ১৯৫টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৫২টি
ব্লগ লিখেছি: ২ সপ্তাহ ২ দিন
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ১ জন

এর মন্তব্য দেখে মনে হয়ে যে নতুন কোনো ব্লগার?

আমাদের ব্লগের ছ্যাঁচড়া কোনো বেহায়া ব্লগার, যে আমাদের মতো পুরাতন ব্লগারদের সামনে নিজের পরিচয়ে আসতে ভয় পায়, লজ্জা পায় তার মাল্টি নিক এটা। ব্লগে মাল্টি নিক বন্ধ করার জন্য আমি অনেক দিন আগে থেকেই বলে আসছি।

ল্যঞ্জা, ফেঞ্জা শব্দ যারা ইউজ করে খুব সম্ভবত নোংরা বস্তি এলাকা থেকে উঠে এসেছে। এদের ভাষা শুনেই বুঝা যায় কোন পারিবারিক আবহে এরা বড় হয়েছে, বাপ দাদাদের মুখে যা শুনে এসেছে তাই এদের মুখে ভাষা হয়ে গিয়েছে। এদের ব্লগে ভবিষ্যতেও ভদ্র হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। কারণ সারমেয় লেজ কোনোদিনও সোজা হয় না।

শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: যেইসব ব্লগাররা বিদ্যানন্দকে যাকাত দেওয়া যাবে বলে মুখে ফেলা তুলে ফেলেছেন তাদের জন্য নিচের ছবিটা দিলাম-

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: একটা ভালো প্রতিষ্ঠান কে খারাপ বানিয়ে দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।
আপনারা যদি এরকম করেন, তাহলে মানুষ আর সংগঠন করবে না, ফাউন্ডেশন করবে না এই দেশে। আসলে আপনারা নিজেরা ভালো কাজ করবেন না, অন্যকেও করতে দিবেন না।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২০

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য দেখে আমি মোটেও অবাক হয়নি। বরং উল্টোটা দেখলেই প্রচণ্ড অবাক হতাম।
মানুষ অবশ্যই সংঘটন করবে। তবে সমাজসেবার নামে কোনো ধান্দাবাজী চলবে না।

১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখানে মুখ্য বিষয় আমার কাছে মনে হয়েছে ইসকনের সাথে সম্পর্ক। অন্য বিষয়গুলি সম্পর্কে ব্যাখ্যা জানতে হলে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনতে হবে। এক পাক্ষিক কোন কথা শুনে সঠিক তথ্য পাওয়া নাও যেতে পারে। শিপ্রা দাস ইসকনের অনুসারী বা ইসকনের মন্দিরে পুজা করতে গিয়েছে বলেই বিদ্যানন্দ প্রতিষ্ঠানটি ইসকন দ্বারা পরিচালিত বা ইসকন প্রভাবিত বলে আমি মনে করি না। অনেক সাধারণ হিন্দু ইসকনের মন্দিরে যায় পুজার জন্য। ইসকনকে মুসলমানরা পছন্দ করবে না এটাই স্বাভাবিক। বিদ্যানন্দের সদস্যদের মধ্যে ইসকন সমর্থক থাকতে পারে, মুসলমান থাকতে পারে, নাস্তিক থাকতে পারে, খৃস্টান মিশনারি থাকতে পারে, জামাত শিবিরের লোক থাকতে পারে, জঙ্গিও থাকতে পারে। এটার দ্বারা প্রমাণিত হয় না যে বিদ্যানন্দ ইসলাম প্রচার করে, নাস্তিকতা প্রচার করে, খৃস্টধর্ম প্রচার করে, স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড করে বা জঙ্গি তৎপরতা চালায়। বিদ্যানন্দ ইসকন দ্বারা পরিচালিত এটা প্রমাণ করতে হলে দেখতে হবে ইসকনের কোন মতবাদ বিদ্যানন্দ প্রকাশ্যে বা গোপনে প্রচার করছে কি না। কিন্তু বিদ্যানন্দের কার্যক্রম ১০০% ধর্ম নিরপেক্ষ। বিদ্যানন্দের ৯০% সদস্য মুসলমান। কোন ধরণের হিন্দু আচার বা কর্মকাণ্ড তারা প্রচার বা পরিচালনা করে না। তারা তাদের আয় ব্যয়ের হিসাব তাদের সাধ্য মত দেয়ার চেষ্টা করেছে। হয়তো তাদের রিপোর্ট ততটা উন্নত মানের হয় নি কিন্তু তারা জমা খরচের স্বচ্ছতা প্রদর্শনের চেষ্টা করছে।

ইসকন মুলত হিন্দুদের ধর্ম প্রচার মুলক এবং সমাজ সেবা মুলক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এটার উৎপত্তি অ্যামেরিকায় এবং সারা বিশ্বে এদের কার্যক্রম আছে ১৯৬৬ সাল থেকে। অনেকে বলে এটার পিছনে নাকি এখন ইহুদিরা আছে। এদের মতবাদ আমাদের মুসলমানদের ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। কারণ এটা মুলত একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ইসকন সম্পর্কে একটা খারাপ ধারণা বেশীর ভাগ মুসলমান পোষণ করে। আমার পরিচিত এক হিন্দু কলিগ ইসকনের সমর্থক ছিল। তার মানে সে ক্রিমিনাল কাজে জড়িত বা দেশদ্রোহী এটা বলা ঠিক না। আমার ধারণা আমাদের দেশের সাধারণ হিন্দুদের অনেকে ধর্মীয় কারণে ইসকনের সমর্থক। এটা আমার কাছে দোষনীয় কিছু মনে হয়নি। কারণ ধার্মিক হিন্দুরা এটাকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে মনে করে এবং ধর্মীয় কারণে সমর্থন করে। যদিও মূল ধারার হিন্দু মতবাদের সাথে ইসকনের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির অনেক সংঘর্ষ আছে। মূল ধারার হিন্দুদের সাথে ইসকনের সাপে নেউলে সম্পর্ক। অনেক হানাহানির ঘটনা ঘটেছে। এই দলাদলি অনেকটা এই অঞ্চলের সুন্নি মুসলমানদের সাথে আহলে হাদিস, শিয়া, কাদিয়ানী, ওয়াহাবি ইত্যাদি ধারার সংঘর্ষের মত। আইসিস বা আনসার উল্লাহ বাংলা টিম বা আল কায়দার মত ইসকন কোন নিষিদ্ধ বা আন্ডার গ্রাউন্ড সংগঠন না। ধর্মীয় কারণে আমাদের কাছে এদের মতবাদ পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু এটার সদস্য হওয়া আমাদের দেশে অবৈধ কোন কাজ না। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় ইসকনের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত মন্দির আছে। ইসকন সদস্য ছাড়াও বহু সাধারণ হিন্দু এই মন্দিরে পুজা করতে যায়। যারা এই মন্দিরে পুজা করতে যায় তারাই তাহলে ক্রিমিনাল এমন ভাবার কোন কারণ নাই। আমি ইসকনের পক্ষে কিছু বলার চেষ্টা করছি না। কিন্তু আমার বলার উদ্দেশ্য হল ইসকনের সাথে জড়িত কোন হিন্দু যদি একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠানেও জড়িত থাকে তার মানে এই না যে এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড ইসকন দ্বারা পরিচালিত। বিদ্যানন্দের কর্মকাণ্ডে ইসকন কোন ভুমিকা রাখে বলে আমার মনে হয় না। ইসকন বিশাল আকৃতির একটা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সারা বিশ্বে। ইসকন যখন ফ্রি খাবার খাওয়ায় তখন তারা ইসকনের নামেই খাওয়ায়। বিদ্যানন্দের নামে তারা কেন প্রচার করতে চাবে। বাংলাদেশে ইসকন বৈধভাবে বহু হিন্দু ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তারা ছদ্মবেশে বিদ্যানন্দের আড়ালে কেন থাকবে এটা আমার একটা প্রশ্ন। ইন্টারনেটে ইসকনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে হচ্ছে। তাই তারা আরেক সংগঠনের ঘাড়ে কেন চাপতে যাবে। ইসকন কোন নিষিদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনও না। তবে মুসলমান হিসাবে এবং ধর্মীয় কারণে অন্য ধর্মের কোন সংগঠনকেই আমার সমর্থন করার কথা না। একই কথা ইসকনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

আরেকটা কথা হল বিদ্যানন্দ কোন হিন্দু প্রতিষ্ঠান না। একটা সেবা মুলক ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠনকে হিন্দু প্রতিষ্ঠান বলাটা ঠিক না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানকে হিন্দু প্রতিষ্ঠান বা মুসলমান প্রতিষ্ঠান বলা যায় না। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের কোন হিন্দু বা মুসলমান হয় না।

একটা ভালো উদ্যোগকে চালিয়ে যেতে হবে। যদি প্রমাণিত হয় যে কিশোর কুমার দুর্নীতি করেছে সেই ক্ষেত্রে তাকে বাদ দিতে হবে কিন্তু প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠান কারও একার না। কিশোর কুমার অবশ্য বলেছে মানুষের গড়া প্রতিষ্ঠান মানুষে গড়বে আবার মানুষেই ভাঙবে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: আমার লেখায় কোথায় ইসকনের সাথে সম্পর্ক থাকার জন্য এদের অভিযুক্ত করেছি?
উপরের মন্তব্য ১২,১৩,১৪ ও ১৬ দেখার পরেও আপনি কীভাবে এদের উদ্যোগকে চালিয়ে যেতে বলেন?
ইসকন নিয়ে আপনি আসল জিনিসটা জানেন না, এটার সাথে র' এর সরাসরি যোগাযোগ আছে। এই দেশের প্রতিটা সনাতনধর্মী অপরাধীদের সাথে ইসকনের সম্পর্ক খুজে পাবেন। ওসি প্রদীপের স্ত্রী কে ছিল খুজে দেখুন?

বিদ্যানন্দের কার্যক্রম ১০০% ধর্ম নিরপেক্ষ হলে এরা মুসলিমদের পবিত্র যাকাত নেয়ার জন্য ফন্দি ফিকির করেছে কেন? এটা নিয়ে দুইনাম্বারি করতে যেয়েই তো এরা ধরা খেয়েছে। কিশোর কোথায় থাকে জানেন? সেখানে ওর ব্যবসা ও পরিচিত কারা জানেন? এখানে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু বলা যাচ্ছে না। এর ধান্দাবাজীর নমুনা আবার দিলাম আপনার কাছে-


১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: এক মজিদ চাচারে এরা কয়বার কুরবানী দিছেরে...........

২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০

তানভির জুমার বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর, আপনারা এত নির্লজ্জ আর নির্বোধ কিভাবে হন আমি ভেবে পাই না। ত এত সাক্ষী-্ প্রমাণ থাকার সত্ত্বেও একটা প্রতারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কথা বলেন। আজ যদি মুসলিম কোন প্রতিষ্ঠান হত তাহলে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে জেলে থাকতে হত। আরব দেশের অনেক দাতব্য এনজিও এই দেশ দেকে বের করে দেওয়া হয়। এবং তাদের কার্যক্রমে নিয়মিত বাধা দেওা হয়।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: যে কোনো বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিট লোকজনের কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকে। সম্ভবত উনি সেটা প্রকাশ্য বলতে লজ্জা পাচ্ছেন। যাই হোক ধান্দানন্দের মতো বাটপার প্রতিষ্ঠানের স্বপক্ষে উনি বারবার যুক্তি দিয়ে বেড়াচ্ছেন যেটা মারাত্মক দৃষ্টিকটু। উনি সম্ভবত কী করছেন নিজেই টের পাচ্ছেন না।
অন্য অনেক ব্লগার হলেই পাত্তা দিতাম না। তবে উনার এই উল্টোমুখী আচরণ আমাকে খুব অবাক করেছে। উনার এই আচরণ উনার ব্লগে দেয়া বাকি ইসলামিক পোস্টগুলোর সাথে মানাচ্ছে না।

২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বিদ্যানন্দের সাথে কোকাকোলার সর্ম্পক কি ?
একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান বানিজ্যিক লেভেলে আসতে চায় কেন ?

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: শুনুন, এরা বানিজ্যিক উদ্দেশ্যেই মার্কেটে এসেছে। সমাজসেবা হচ্ছে এদের মুখোশ। এর আড়ালে এদের কার্যক্রম কী জানলে শিউরে উঠবেন। অনেক গভীর উদ্দেশ্য আছে এদের। আর এদের পিছনেও অনেকেই আছে। তবে আশার কথা এই যে, এদের মানুষ এখন চিনে ফেলেছে। নিজেদের রঙ বদলানো এখন আর এত সোজা হবে না।

২২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন:

২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

জু েয়ল বলেছেন: কেউ অন্যায় করলে সেটা তার দায়, সেখানে ধর্মকে ডেকে আনাটা একটা নোংরামি। অন্যায়কারী যে ধর্মেরই হোকনা কেনো তার পরিচয় সে অন্যায়কারী। আর এই পোস্টের আলোচ্য বিষয়ের ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই বলে তাদের সম্পর্কে কিছূ বলছি না। তারা যদি কোনো ছলনার আশ্রয় নিয়ে থাকে সেটার জন্য অবশ্যই তাদের কে বর্জন করা উচিৎ। সমাজে মুখোশ পড়া মানুষের সংখ্যাই বেশি, তাই আমাদের মনে সন্দেহটাও বেশি।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে সুস্বাগতম। আপনার ব্লগ নিক নামের বানান ইচ্ছা করলে মডুকে ইমেলে জানালে ঠিক করে দিতে পারবে।
এই প্রতিষ্ঠান ছলনার আশ্রয় নিয়ে আকাম করে ধরা পড়ার পরে এখন সনাতনী সংখ্যালঘুর থিওরি এনে নিজেকে বাচাতে চাইছে। এই ধরণের কাজের প্রতি সবার তীব্রভাবে ঘৃণা থাকা উচিৎ।

২৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:৩১

কিরকুট বলেছেন: মচৎকার বলেছেন। সাজানো গোছানো সচিত্র গভেষনাপত্র। তো নোবেল খানা কবে পাচ্ছেন?

২৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

নতুন বলেছেন: ছবি নিয়ে এতো গবেষনা করে বিদ্যানন্দ বন্ধ করে কি হাসিল হবে?

আমাদের দেশের মানুষ কেন অন্যকে ন্যাংটা করতে এতো ততপর?

যদিও বিদ্যানন্দ মানুষকে স্বর্নভির বানাতে কাজ করছেনা। ( এটা কোন চ্যারিটিই করেনা কারন তাতে তাদের লাভ কম)

কিন্তু সমাজের খুবই দরিদ্র একটা অংশ ১ বেলা ভালো খেতে পারছেন, কিছু ছেলে.মেয়েরা পড়াশুনা করতে পারছে সেটাও বা কম কিসে?

কিশোর কুমার হিন্দু বলে তারা র এর এজেন্ড/ হিন্দু প্রতিস্ঠান ভেবে নেওয়া মানুষিক দৈনতা মাত্র।

আমাদের দেশের কোন জিনিসই প্রফেসনাল স্টাইলে করা হয়না। তাই মজিদ চাচার নাম বার বার দিলে কিছু মানুষ এটা রুপক অর্থ না বুঝে এটার সাথে ষড়যন্ত্র খুজে পাবে সেটা অবশ্যই ভলেয়ান্টিয়ারটা বুঝে নাই।

বিদ্যানন্দের মিডিয়ার পেছনে অবশ্যই ৫০ জনের উচ্চবেতন/উচ্চ শিক্ষিত/উচ্চ অভিঙ্গতা সম্র্পন সোসাল মিডিয়া এক্সপার্ট/মারকেটিং এক্সপার্ট নাই এটা অবশ্যই বুঝতে হবে।

কিশোর কুমারের সবচেয়ে বড় ভুল হইছে যাকাতের টাকাতে ভাগ বসাইতে চেস্টা করা। তাতে মোল্যা গোস্টি নাখোশ হইছে এবং এতো কিছু হচ্ছে।

কিশোর কুমার এখন মাদ্রসাতে দান শুরু করুক ১ বছরেই ওয়াজবাজেরা কিশোর কুমারের বদন্দনা শুরু করবে। তার জন্য দোয়া করবে... ;)

বিদ্যান্দ ভুল করতেই পারে, তাকে ন্যাংটা না করে তার সমালোচনা করে তাদের ভালো ভাবে কাজ করতে উতসাহিত করতে এগিয়ে আসা উচিত।

আরেকটা জিনিস যারা বিদ্যান্দের কাজের এতো সমালোচনা করছে তাদের কত ভাগ বিদ্যানন্দে ১ টাকা দান করেছে বলে আপনার মনে হয়????

২৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভাই, আপনি কেমন আছেন? অনেক দিন হলো আপনাকে ব্লগে দেখি না। একটি ছোট মন্তব্য করে আপনার কুশলাদি জানাবেন। আপনাকে বিলম্বিত ঈদ মোবারক।



৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে আসলাম শুধু আপনাকে প্রতি উত্তর দেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ আমি ভালো আছি তবে অফিসের কাজ নিয়ে এখন মারাত্মক ব্যস্ত।
ব্লগে মনে আগের মতো আর সময় দিতে পারবো না।
আপনি আপনার পরিবার নিয়ে ভাল থাকবেন ইনশা আল্লাহ।

২৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



বিশাল গার্বেজ!

২৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: নীলাকাশ ভাই ,অনেকদিন ব্লগে দেখি না আপনাকে। নিয়মিত ব্লগাররা হঠাত করে উধাও হয়ে গেলে তাদের অনুপস্থিতিটা খুব অনুভুত হয়। ব্লগার জুলভার্ন ও আপনার অনুপস্থিতি খুব বোঝা যায়। ফিরে আসুন দারুন একটা পোস্ট দিয়ে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: ইদানীং অফিসের কাজ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে লেখালিখি প্রায় পুরোটাই বন্ধ করে দিয়েছি। মাঝে মাঝে হুট করে ব্লগে এসে দেখে যাই। আপাতত আর কিছুই করার নেই।

আমাকে মনে রাখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.