নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তো আমিই।

আধারে আমি৪২০

আধারে আমি৪২০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতা কি? ইহা কোথায় পাওয়া যায়?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

মানবতা কি? মানবতা কার জন্য? এগুলা কোটি টাকার প্রশ্ন।
যদিও মানবতা কথাটার অনেক গভীর তাৎপর্য আছে, তবুও সাধারন দৃষ্টিতে মানবতা হলো মানুষের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য যার দ্বারা একজন মানুষ পুর্নাঙ্গ মানুষে পরিনত হতে পারে। এক কথায় মানবতা হলো- মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসা,স্নেহ মায়া মমতা। সেটা হোক পাশের বাড়ীর কিংবা হাজার মাইল দুরের অপরিচিত কোন মানুষ।
মানবতা কি আপেক্ষিক? আসলে এটা আপক্ষিক না হলেও আমরা এটাকে আপেক্ষিক বানিয়ে ফেলেছি। স্থান, কাল, ধর্ম ইত্যাদির উপড় নির্ভর করে মানবতার রুপ ভিন্ন হতে পারে। একারনেই, আমরা রাস্তার পাশের ছেলেটি যখন ডাস্টবিনে খাবার খোঁজে, কিংবা দুই বছরের বাচ্চা যখন ক্ষুধার জালায় ভিক্ষার জন্য হাত পাতে, তখন মানবতার অবক্ষয় খুজে পাই না। কিন্তু হাজার মাইল দুরের শিশুর জন্য মানবতা উথলে পড়ে। পাশের বাসার অন্য ধর্মালম্বীদের জন্য মানবতা না থাকলেও শত মাইল দুরের নিজ ধর্মালম্বীর জন্য কষ্টে বুক ফেটে যায়।
আজকে যারা সিরিয়ান মুসলিম কিংবা মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য কেঁদে চোখের আর নাকের পানি এক করতেছে, এই মানুষগুলোই চুপ করে মজা দেখে যখন হিন্দু ,বৌদ্ধদের বাড়ীঘর কিংবা মন্দির ভাঙ্গা হয়। ধর্ম এমনেই এক অদ্ভুদ জিনিস, যে হাজার মাইল দুরের ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতির মানুষ একীভূত করলেও পাশের বাসার একই ভাষাভাষি, সংস্কৃতির মানুষকে এক করতে পারে না। সেই ধর্মই যখন মানবতার বানী শোনায়, তখন অবাকই হতে হয়।

এখন আসি ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্ব প্রসঙ্গে। সবাই সিরীয়ার এই অবস্থার জন্য পশ্চিমা বিশ্বকেই দায়ী করতেছে। এই কথা শুনে একটা কাহিনী মনে পড়ছে- রাতের বেলায় স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করার পরে, স্বামী রাগ করে বাড়ী থেকে বের হয়ে পাশের বাসায় ঘুমাতে গেলো। কিন্তু সেই বাসার গৃহস্বামী অসুবিধার জন্য সেই ব্যক্তিকে রাত যাপন করতে না দেওয়ায় পরবর্তীতে সেই ব্যক্তিই হয়ে গেলো খারাপ। তাদের স্বামী স্ত্রী সুখে বসবাস করলেও সেই ব্যক্তির সাথে তাদের শত্রুতার সৃস্টি হল।
একটা কথা সবসময় সবার মুখে শোনা যায়- মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই। অথচ মুসলিমরা মুসলিমের হাত থেকে বাচার জন্য বিধর্মী কাফের দেশে যেতে চায়। অথচ তাদের তারা মন থেকেই ঘৃনা করে। তারপরেও তারা যেতে চায় কিন্তু কেন? কারন সেদেশে জীবনের নিরাপত্তা আছে।
আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সিরীয়া থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছে। তারা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতেছে শরনার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য। যদিও তারা এটাও জানে, এদের দ্বারা দেশের ক্ষতি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভবনা আছে। ভবিষ্যতে এদের মধ্যেই কেউ কেউ আই .এস কিংবা অন্য কোন জঙ্গী গোষ্ঠিতে যোগ দেবে। হয়তোবা কেউ বোমা হামলা করবে ঔ দেশেরই বুকে।
তবুও ওদের মানবতা নাই কিন্তু সৌদি আরব কাতারের মতো দেশে অভিবাসীদের ব্যাপারে নিশ্চুপ থেকেও সেখানে মানবতা থই থই করছে। তারাই যে মুসলিমদের বুকের ভাই। কেন? তারা কি এই দুর্দশাগ্রস্থ সর্বহারা মানুষদের আশ্রয় দিতে পারত না? অবশ্যই পারত, তাদের সেই ক্ষমতা আছে, কিন্তু করে নি? এইখানে মানবতাবাদী মুসলিমরা নীরব কেনো? তারা কি জাত ভাই বলে?
মুসলিমরা কখনো অন্য দেশের সংস্কৃতিকে মেনে নিতে পারে না। তারা সবসময় আরবের সংস্কৃতিই ধারন করতে চায়। সে যে দেশেরই বাসিন্দা হোক, মনে প্রানে সে একজন আরবীয় হতে চায়। আমাদের এদেশেই হাজার বছরের শিকড় থাকা সত্ত্বেও অনেকে এদেশের সংস্কৃতিকে আপন ভাবতে পারে না।
কোন জাতি ধর্ম বিশেষে নয়, সব মানুষকে ভালোবাসি। মানবতার বুলি না আওড়িয়ে মানুষ হই।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

S.M. SHAIN ALAM বলেছেন: দারুন লিখেছেন

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:
"এখন আসি ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্ব প্রসঙ্গে। সবাই সিরীয়ার এই অবস্থার জন্য পশ্চিমা বিশ্বকেই দায়ী করতেছে। এই কথা শুনে একটা কাহিনী মনে পড়ছে- রাতের বেলায় স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করার পরে, স্বামী রাগ করে বাড়ী থেকে বের হয়ে পাশের বাসায় ঘুমাতে গেলো। কিন্তু সেই বাসার গৃহস্বামী অসুবিধার জন্য সেই ব্যক্তিকে রাত যাপন করতে না দেওয়ায় পরবর্তীতে সেই ব্যক্তিই হয়ে গেলো খারাপ। তাদের স্বামী স্ত্রী সুখে বসবাস করলেও সেই ব্যক্তির সাথে তাদের শত্রুতার সৃস্টি হল।
একটা কথা সবসময় সবার মুখে শোনা যায়- মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই। অথচ মুসলিমরা মুসলিমের হাত থেকে বাচার জন্য বিধর্মী কাফের দেশে যেতে চায়। অথচ তাদের তারা মন থেকেই ঘৃনা করে। তারপরেও তারা যেতে চায় কিন্তু কেন? কারন সেদেশে জীবনের নিরাপত্তা আছে। "

-সঠিক লজিক

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

অসম্ভব আলো বলেছেন: মুসলমানরা শুধু আরবীয় হতে চায় কারণ তারা কখনোই মানুষ হবার শিক্ষা পায়নি।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: মুসলিমরা কখনো অন্য দেশের সংস্কৃতিকে
মেনে নিতে পারে না। তারা সবসময় আরবের
সংস্কৃতিই ধারন করতে চায়। সে যে দেশেরই
বাসিন্দা হোক, মনে প্রানে সে একজন আরবীয়
হতে চায়। আমাদের এদেশেই হাজার বছরের
শিকড় থাকা সত্ত্বেও অনেকে এদেশের
সংস্কৃতিকে আপন ভাবতে পারে না।
কোন জাতি ধর্ম বিশেষে নয়, সব মানুষকে
ভালোবাসি। মানবতার বুলি না আওড়িয়ে
মানুষ হই।

ব্যাপারগুলো সত্য

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

অদ্বিত বলেছেন: লিখছেন ভালই। কিন্তু কেউ আপনাকে গালিগালাজ করল না দেখে অবাক হচ্ছি। সাধারণত মুসলিমরা তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে এবং তাদের নিজেদের বিরুদ্ধে কোন কথাই সহ্য করতে পারে না। অথচ আপনার লেখাটা কিভাবে সহ্য করল, সেটাই ভাবছি। আপনি মুসলমানদের সমন্ধে যা লিখছেন, সত্য কথা। কিন্তু এতক্ষণে মুসলমান ব্লগারদের তো আপনাকে গালি দিয়ে আপনার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে দেয়ার কথা। কিন্তু গালি দেয়া দূরে থাক, কেউ আপনার কথা অস্বীকার করে কমেন্ট পর্যন্ত করল না। এই ব্যাপারটা আমার কাছে অবাক লাগছে। যাই হোক, আমি আপনার সাথে সহমত।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: আমি নিজেও অবাকই হয়েছিলাম। যাই হোক, আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.