নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তো আমিই।

আধারে আমি৪২০

আধারে আমি৪২০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭.৫% ভ্যাট প্রসঙ্গ: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টেনে আনা এবং কিছু কথা-

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরোপিত ৭.৫% ভ্যাটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ছাত্ররা। খুবই ভালো কথা। রাস্তা অবরোধ করায় গোটা ঢাকা থমকে দাড়িয়েছে। সেটাও অনেক ভালো কথা। এদেশে আন্দোলন না করে, রক্ত না দিয়ে কোন অধিকার আদায় করা যায় নি। তাই এভাবেই অধিকার আদায় করতে হয়। এই আন্দোলনকে সাধুবাদ জানাই। কারন শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট কখনোই প্রযোজ্য নয়। এটা মানার মতো না।
কিন্তু একটা ব্যাপার বুঝলাম না, অনেকে এক্ষেত্রে পাবলিক ভার্সিটির ছাত্রদের টেনে আনছেন। এরা সরকারের টাকায় পড়াশোনা করে, এদের চেয়ে প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্ররা অনেক বেশি স্মার্ট, এরা চাকরি পায় না ইত্যাদি।
হ্যাঁ, একথাগুলো অনেকাংশে সত্যি। এবার কিছু কথা বলি, কেউ আবার মাইন্ড খাইয়েন না। পাবলিক ভার্সিটির ছাত্ররা ক্ষ্যাত। কিন্তু কেন? এটা কি কখনো ভেবেছেন? মনে হয় ভাবেন নি? তাহলে বলি- এরা আপনাদের অধিকাংশের মতো সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায় নি। এদের প্রায় ৭০-৮০% এসেছে নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। এদের অনেকের বাবা কৃষক, দিন মজুর, কাঠমিস্ত্রী, রিক্সাচালক বা শ্রমিক। যাদের গোটা মাসের ইনকাম আপনাদের দু একদিনের হাতখরচ। বাকীগুলো নিম্ন মধ্যবিত্ত অথবা মধ্যবিত্ত। হয়তোবা গুটি কয়েক উচ্চবিত্তের সন্তান পাওয়া যাবে। তাহলে এরা কিভাবে আপনাদের মতো স্মার্ট হবে? এদের বেশিরভাগের তিন- চার হাজার টাকায় এক মাস চলে যায়। সেখানে আপনাদের বেশিরভাগের এটা দু একদিনের পকেট খরচ। এরা ক্ষ্যাত কারন- এরা আপনাদের মতো কেএফসি, ম্যাকডোনাল্ডে যেতে পারে না। কোন নাইট ক্লাব কিংবা বারে যেতে পারে না। সত্যি কথা বলতে কি? অনেকে এসবের নামও জানে না। তাহলে তারা ক্ষ্যাত নাতো কি? আপনি যখন বন্ধুদের নিয়ে পার্টিতে ব্যস্ত কিংবা গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে অভিসারে ব্যস্ত, তখন এরা বইয়ে মুখ গুজে বসে আছে অথবা টিউশনির বাসায় দৌড়াচ্ছে। তো এরা ক্ষ্যাত নাতো কি? আপনি যখন আলিশান বাসায় কম্পিউটারে বসে গেমস খেলতেছেন, তখন এরা একরুমে ১০-১২ জন বসে 29 খেলতেছে। কিন্তু আপনি জানেন কি? এরা এই পরিবেশে থেকেও অনেক ভালো রেজাল্ট করে।
এবার আসি চাকরি না পাওয়া প্রসঙ্গে। এটাও হজম করিবেন। কারন এখানেও আমাকে কিছু রুঢ় বাক্য ব্বহার করতে হবে। হ্যাঁ, এটাও সত্য কথা যে- পাবলিক ভার্সিটির অনেক ছেলে চাকরির জন্য কেঁদে মরেও ভালো চাকরি পায় না। এ জায়গায় ব্যর্থতাটা আমাদের দেশের। আপনারা হয়তোবা এদের অনেক আগেই চাকরি পান। কিন্তু সব ক্ষেত্রে না। সেটাও নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে চাকরির জন্য সাবজেক্ট বিশাল একটা ফ্যাক্ট। এবং আরো একটা ফ্যাক্ট আছে, সেটা হলো- লোবিং। লোবিং ছাড়া আপনি যেখান থেকে পাশ করেন না কেন? চাকরি পাওয়াটা একটু মুশকিলই। এটা আপনাকেও মানতে হবে যে- এদের তুলনায় আপনার লোবিং টা একটু ভালো অবস্থানে থাকে। এদের অধিকাংশের বাপ, চাচা, মামা আপনাদের বাপ, চাচা, মামাদের মতো চাকুরিজীবি না। সেক্ষেত্রে এদের লোবিং বলতে কিছুই থাকে না। এদের যা করতে হয়, সেটুকু নিজের যোগ্যতায়। তাছাড়া পাবলিক ভার্সিটিতে বোটানি, সয়েল, সংস্কৃত, উর্দু এরকম বিষয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের সাথে আপনাদের বিবিএ, ল, কিংবা সিএসি পড়া ছাত্রদের তুলনা করলে চলবে কেন? আপনি প্রাইভেটে বিবিএ পড়ছেন কেন? নিশ্চয় ঢাবিতে আইবিএ কিংবা বিবিএ চান্স পান নি। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি? যে ছেলেটা দুর্বল সাবজেক্টে(চাকরির বাজারে) পড়তেছে তার ইচ্ছা ছিল এমন সাবজেক্টে পড়ার , যেখানে চাকরি আছে। কিন্তু তার সুযোগ বা সামর্থ্য কোনটাই ছিল না। আপনার ছিল আপনি পড়তেছেন। কিন্তু তার মেধা আপনার চেয়ে কোন অংশে কম না বরংচ বেশি।
একটা প্রশ্ন অনেকেই করে- পাবলিক ভার্সিটির ছাত্ররা এতো সুযোগ সুবিধা পায় কেন? ভাই, তারা সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেই সুযোগ নিচ্ছে। সেখানে কথা বলার তো কিছুই নেই। হ্যাঁ, তারাও অনেক সুযোখ সুবিধা থেকে বঞ্চিত , যা আপনারা পাচ্ছেন।
শিক্ষা কোন পন্য কিনা? অবশ্যই শিক্ষা পন্য। বিশেষ করে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা পন্য ছাড়া কিছুই না। এগুলোতে মেধার যোগ্যতায় নয়, টাকার যোগ্যতায় ভর্তি করানো হয়। যার টাকা আছে সে সেবা পাবে। যার নাই, তার কোন সুযোগ নাই। আমার অনেক পরিচিত ছেলে শুধু টাকার জোরেই প্রাইভেটে ভাল সাবজেক্টে পড়ছে, অথচ তার কোন যোগ্যতাই নাই। এর চেয়ে অনেক মেধাবী ছেলে জাতীয়তে ধুকে ধুকে মরছে অথবা পাবলিক ভার্সিটি থেকে দুর্বল কোন সাবজেক্টে( তথাকথিত) পড়ে চাকরি খুজছে। ততদিনে লোবিং এ চাকরি নিয়ে হয়তোবা বিয়ে করে ফেলেছেন। এটাই বাংলাদেশের নির্মম বাস্তবতা। এটা আপনাদের কোন কৃতিত্ব না।
আর রাজনীতির বিষয়ে বলি- এই ছাত্রনেতারাই দেশের ভবিষ্যত নীতি নির্ধারক। এদের হাত ধরেই দেশ অনেক কিছুই পেয়েছে এবং পাবে। এটা অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত তিন কালের জন্যই সত্য। আর বিশেষ কিছু বলার নাই।
আর একটা কথা। ব্যতিক্রম কখনো উদাহরন হতে পারে না। পাবলিক ভার্সিটিতে যেমন কিছু আবাল আছে, আবার প্রাইভেটেও কিছু মেধাবী আছে। কিন্তু কোনটাই উদাহরন হতে পারে না। চারা গাছের মধ্যে কিছু আগাছা থাকবেই আবার আগাছের মধ্যেও অনেক চারা গাছ থাকে। এটাই নিয়ম এটাই বাস্তবতা।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্ররা সব উচ্চবিত্তের-অতি সরলীকরণ হয়ে গেল না?

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ২০১৫ সালে এইচ এস সি ও সমমান পাস করেছে ৭,৩৮,৮৭২। বিপরিতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (রেগুলার বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সহ) এ এক শিক্ষা বর্ষে আসন রয়েছে আনুমানিক ১ লাখ মাত্র। সরকারিতে ভর্তি ১ লক্ষ বাদে বাকি ৬,৩৮,৮৭২ পরীক্ষার্থীর কি হবে?
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি মেডিক্যাল সম্মিলিত ভাবে ১,৫১,৯৩২ জন শিক্ষার্থী ধারন করছে সরকারের বিনা অনুদানে, যারা এই দেশেরই নাগরিক! এরও বাইরে রয়েছেন ৪,৮৬,৯৪০ জন পাশ করা এইচ এস সি শিক্ষার্থী যারা সরকারি বেসরকারি কোথাও ভর্তির সুযোগই পাবেন না, কারন আসনই নাই, এই সংখ্যাটি মোট পরীক্ষা দেয়া স্টুডেন্ট এর ৪৫.৩৪%, পাশ করাদের ৬৫.৯০%।
উচ্চ শিক্ষার এক্সেস যখন এত নিচু পর্যায়ে সেখানে ধনীর শিক্ষার কথা বলে বেসরকারি শিক্ষার উপর ৭.৫% ট্যাক্স অগ্রহণ যোগ্য। হয় পাশ করাদের জন্য সম পরিমান পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয় আসন তৈরি করুন, না হয় প্রাইভেটে ভ্যাট কমিয়ে উল্টো তাদের অনুদান দিন


১,৫১,৯৩২ জন শিক্ষার্থীর সিংহ ভাগ মধ্যবিত্ত, দেশে ১,৫১,৯৩২ কোটি পতি নেই। গ্রাউন্ডে নেমে যাচাই করুন। সরলীকৃত ভুল ধারনার বশবর্তি হয়ে ভিভ্রান্তি না ছড়ানোই ভাল।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: রাষ্ট্র গড়ার যে মৌলিক ঊদ্দেশ্য তার সরাসরি বিপরিত শিক্ষার উপর ভ্যাট, হোক সেটা ধনীর শিক্ষা, হোক গরিবের।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন: "পাবলিক ভার্সিটিতে যেমন কিছু আবাল আছে, আবার প্রাইভেটেও কিছু মেধাবী আছে। কিন্তু কোনটাই উদাহরন হতে পারে না। চারা গাছের মধ্যে কিছু আগাছা থাকবেই আবার আগাছের মধ্যেও অনেক চারা গাছ থাকে। এটাই নিয়ম এটাই বাস্তবতা। "

খুব ভাল বলছেন, কিন্তু আপনি যদি এটা বুঝেই থাকেন তাইলে এতো বিতং কইরা পোস্ট দেয়ার দরকার কি ?

ভাই, প্রাইভেট এর পোলাপাইনের অবস্থা এম্নেই খারাপ, তাদের কোন ঠেকা পড়ে নাই আগ বাড়াইয়া এই ঝামেলাটা শুরু করার। পাবলিকের কিছু 'মেধাবী ও দেশপ্রেমিক' আইসা কয় ভ্যাট দিতে আমাদের সমস্যা কোথায়, তখন ই কথা বাড়সে। বাপের পয়সা কেন দেই না, সেটা যখন 'মেধাবী ও দেশপ্রেমিক' রা এসে বলে, তখন কি খুব ভাল লাগার কথা?

ভাই , আমরা স্বীকার করি আপনারা আমাদের থেকে ১০০ গুন মেধাবী, ইন্সাল্লাহ , আপনারা একদিন আমাদের দেশে নোবেল প্রাইয আনবেন, কিন্তু ভাই আমাদের আন্দোলনে আপনারা আর এই বিভেদ গুলা ঢুকায়েন না। আপনার মতো এই পোস্ট গুলা অনেকেই নিয়া শেয়ার/ কপি পেস্ট দিব(পক্ষে , বিপক্ষে) , বিভেদ আরও বাড়বে।

দয়া করে এই বিষয়টা নিয়ে গরম হইয়েন না।




৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ভাই, আমি বলছি বেশিরভাগ। কোন সরলীকরন করি নি।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ভাই মধ্যবিত্ত কিন্তু দুই প্রকার। উচ্চ মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্ত। আমি সরলীকরন করি নি। আমার পোস্টটা ভালো করে পড়তে পারেন। ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু এখানে পাবলিক ভার্সিটি টেনে আনার দরকার কি?

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রাইভেটের মালিক হবেন ছাত্রদের মা-বাবা, শমাধান সেটাই

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন।

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ভ্যাট না সরকার ভিক্ষা চাউক দিতে রাজি আছি কিন্তু শিক্ষাকে পণ্য বানানোর প্রচেষ্টা রুখবোই।৬২ তে পেরেছি ১৫তেও পারবো।ভ্যাট না সরকার ভিক্ষা চাউক দিতে রাজি আছি কিন্তু শিক্ষাকে পণ্য বানানোর প্রচেষ্টা রুখবোই।৬২ তে পেরেছি ১৫তেও পারবো।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

কালীদাস বলেছেন: লাস্টের দিকের এই দুই লাইনেই অনেক কিছু বলে ফেলেছেন, আর কিছু লাগেনা পাবলিককে ডোবাতে-
আর রাজনীতির বিষয়ে বলি- এই ছাত্রনেতারাই দেশের ভবিষ্যত নীতি নির্ধারক। এদের হাত ধরেই দেশ অনেক কিছুই পেয়েছে এবং পাবে। এটা অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত তিন কালের জন্যই সত্য। আর বিশেষ কিছু বলার নাই।
=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আর রাজনীতির বিষয়ে বলি- এই ছাত্রনেতারাই দেশের ভবিষ্যত নীতি নির্ধারক। এদের হাত ধরেই দেশ অনেক কিছুই পেয়েছে এবং পাবে। এটা অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত তিন কালের জন্যই সত্য।

হলে থাকাকালীন সময়ে যেসব নেতা দেখছি-এরা দেশের ভবিষ্যত হলে এদেশের ভবিষ্যত অন্ধকার।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৪

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: সেটা যেরকমই হোক। এটাই বাস্তবতা। তারা ভালো হলেও তারা, খারাপ হলেও তারাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.