নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তো আমিই।

আধারে আমি৪২০

আধারে আমি৪২০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুত্ব: শালা থেকে মামা...............

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

বন্ধুত্বকে সংজ্ঞায়িত করা যায় কি?
যায় না। বন্ধুত্ব এতো ক্ষুদ্র বিষয় না যে, একে একটি সংজ্ঞায় প্রকাশ করা যাবে। বন্ধুত্ব শুধু দুটি মনের মিলনই নয়, এর বাইরেও অনেক কিছু যা শুধু অন্তরেই অনুভব করা যায়। কখনো মুখে বলে বোঝানো যায় না। বন্ধুত্ব দুই বা ততোধিক মানুষের মহান এবং পবিত্রতম সম্পর্ক। পারিবারিক সম্পর্কের পরের স্থানই হলো বন্ধুত্ত্বের। কখনো কখনো এটা ভাই বোনের সম্পর্ককেও ছাপিয়ে যায়। এটা এমন এক সম্পর্ক, যেখানে আপনি অকপটে সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন। যা হয়তোবা আপনি নিজের পরিবারের সাথেও শেয়ার করতে পারবেন না। জীবনে তো অনেকেই আসে কিন্তু প্রকৃত বন্ধু হয় কয়জন? হাতেগোনা কয়েকজন এই সীমানায় আসতে পারে? অথচ মানুষ সর্বদাই বন্ধুর খোঁজে রেরিয়েছে। এটা শুরু হয়েছে সেই খেলার বয়স থেকে, এখনো চলছে, এবং আজীবন চলবে। কারন বন্ধু ছাড়া লাইফ ইমপসিবল। পরিবারের বাইরেও একটা বিশ্বাসের জায়গা, একটা নির্ভরতার প্রতীক হলো বন্ধুত্ব।
জীবনের তাগিদে সবাইকে নানান জায়গায় ঘুরতে হয়। তৈরি হয় নতুন বন্ধু। হয়তোবা পুরাতন বন্ধুদের স্মৃতি হালকা হয়ে যায়। কিন্তু সব বয়সেই বন্ধুত্বের মূলনীতিগুলো একই থাকে। এগুলো চিরন্তন।

আমিও জীবনে অনেক বন্ধু পেয়েছি। যাদের অনেকের স্মৃতিই ঝাপসা হয়ে গেছে। কতোদিন দেখা হয় না। কতদিন সেই খুনসুটিগুলো করা হয় না। চুপিচুপি পিছন দিক দিয়ে গিয়ে, কারো চোখ চেপে ধরা হয় না। কেউ বলে না- কোন শালা রে? কতদিন সবকটা বন্ধু মিলে কারো বাড়ীর লিচু, আম, কাঠাল চুরি করা হয় না। নদীতে ডিগবাজি খেয়ে পড়া হয় না। হয় না ঘন্টার পর ঘন্টা নদীতে কাটিয়ে চোখ লাল করা। কাউকে শালা বলে গালি দেয়া হয় না। হ্যাঁ, আমরা সবাই সবাইকে শালা বলেই ডাকতাম। এবং এখনো ডাকি যদিও ডাকার সুযোগ হয় না। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই সবাই দুরে। তবু তোদের সবাইকে মনে পড়ে রে- শালারা। তোদের মনে আমি আছি তো?

কিরে বেটা কালকে ক্লাসে আসিস নি ক্যান? কতোদিন কথাটা শোনা হয় না। বলা হয় না- আবে ব্যাটা, ঘুমিয়েছিলাম ডাকিস নি ক্যান? কি পড়াইছে বল?
এসব কিছু এখন স্মৃতি। জীবনের তাগিদে সবাই দুরে, সবাই ব্যস্ত। সেই কলেজ, ক্যান্টিন, সাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি সবই স্মৃতি। ঘন্টার পর ঘন্টা ব্রীজে বসে আড্ডা দেয়ার জায়গাটা হয়তোবা ফাঁকা নেই। কিন্তু আমরা কে কোথায়? এটা নিজেরাও জানি না। জীবন থেমে নেই। কিন্তু আগের মতোও নেই। সবকিছু বদলে গেছে। কিন্তু আশ্চার্য কেউ খারাপ নেই। শুধু মাঝে মাঝে মলিন স্মৃতিগুলো মনের জানালা দিয়ে উকি মারে। তখন সবাইকে ব্যাটা বলেই ডাকতাম। যদিও প্রথম দিকে কেউ ব্যাটা বললে প্রচন্ড রাগ হতাম। কিন্তু সময়ই সবকিছু ঠিক করে দিয়েছে। শেষে আমিই সবচেয়ে বেশি ব্যাটা বলে ডাকতাম। এটাই মনে হয় বন্ধুত্ব। সবকিছু সবার মতো না থাকলেও, হয়ে যায়। সেই জাউরা ব্যাটাদের আজ খুব বেশি মিস করি।

আর এখন তো বিন্দাস চলছে মামাদের নিয়ে। ঘুমানোর সময়- মামা, কালকে সকালে ক্লাস আছে ডেকে দিস। উঠার পর- মামা, এত সকালে না ডাকলেও পারতিস।
রাত দুপুরে- মামা, চল চা বিড়ি খেয়ে আসি।
এই বন্ধুদের নিয়েই চলমান জীবন। চলছে ভালই। বর্তমানে সুখ দুঃখের সঙ্গী এরাই। আড্ডা, ঘুম, পড়ালেখা, ক্যাম্পাস সর্বক্ষন এদের নিয়েই। রাগ অভিমান,হাসি- কান্না সবকিছুতে এরাই।

শালা থেকে মামা। ডাকটা ভিন্ন হলেও বন্ধুত্বের রুপটা একই। অনেকটা নতুন বোতলে পুরাতন মদের মতো ব্যাপারটা। বন্ধু সবসময় বন্ধুই। তোরা আছিস, তোরা ছিলি, জানি তোরাই থাকবি বন্ধু।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

শামীম আরেফীন বলেছেন: বন্ধুত্ব এমনই হয়!

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

বিপরীত বাক বলেছেন: বন্ধুত্বের ভিত্তি হল বিশ্বাস আর কৃতজ্ঞতা সাথে সহমর্মিতা, একাত্ববতা আর একতা।।

জাত টা এখানে বাঙাল।। এদের বিশ্বাসকরা খুবই বিপদজনক ( অভিজ্ঞতা আছে).।।
আর কৃতজ্ঞতা র ক্ষেত্রে বলতে এদের স্বভাব বিলাইর মত।।। কারও কোন উপকার করলে তারা ভাবে যে এতো আমাদের প্রাপ্য।।। আমি যে ওকে ( উপকারিকে) আমার উপকার করার সুযোগ দিছি এটাই ওর ( উপকারির) ভাগ্য।।
সহমর্মিত আর একাত্বতার তো প্রশ্নই আসে না এই দেশের হিংসুক আর পরশ্রীকাতর প্রজাতির বাঙালা জাতির।।। কারও কোন সাফল্য আসলে তারা মুখে হাসে আর মনে মনে ভাবে হ্যার। ( বন্ধুর) হয় আমার হয় না দে শালারে ডাউন কইরা।।।

আর বাঙালির একতা শুধু অবৈধ কাজে, অবৈধ অনৈতিক প্রাপ্তি তে।।।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: কথাটা একেবারে খারাপ বলেন নি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.