নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তো আমিই।

আধারে আমি৪২০

আধারে আমি৪২০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ে- এটাই একমাত্র সমাধান!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৫

ঘটনা-১: মিলা নামের এক মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় ঘটে ঔষধ কারখানায় কর্মরত কর্মী তরিকুল ইসলামের সাথে।তরিকুলের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গবরা চাঁদপুর গ্রামে ও মিলার কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে। মিলাকে বিয়ে করবে বলে ধামরাইয়ে আসতে বলে তরিকুল ইসলাম। তরিকুলের কথা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে মিলা চলে আসে ধামরাইয়ে। মিলাকে তাদের কাজের বুয়ার ভাড়া করা বাসায় রাখেন। কাজের বুয়ার বাসায় তরিকুল ও তার সহযোগী জুয়েলরানা ও তাইফুল ইসলাম ওই বুয়ার বাসায় যাতায়াত করতে থাকে। এতে স্থানীয়দের মনে সন্দেহ হয়। এ নিয়ে তাদের নামে সালিস বৈঠক হয়। এসময় জুয়েলরানা ও তাইফুলের সহায়তায় তরিকুল পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে মিলাকে গ্রামের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। পরে শুক্রবার রাতে মিলা থানায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। আটক করা হয় প্রেমিকের দুই সহযোগীকে। তাদের আটকের একদিন পর থানাতে হাজির করান প্রেমিক তরিকুলকে। পরে থানায় জুয়েল রানার ওকালতিতে ও তাইফুলের সাক্ষীতে তিন লাখ টাকা দেনমোহরনা ধার্য করে থানার সেকেন্ড অফিসারের অফিসিয়াল কক্ষে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে পৌরসভার নিকাহ রেজিষ্টার মাওলানা আলিম উদ্দিন নিকাহ রেজিষ্ট্রি করেন।
ঘটনা-২:
বরগুনার বামনা উপজেলার দক্ষিণ ভাইজোড়া গ্রামে ৪র্থ শেণীর ছাত্রী কে একই গ্রামের জব্বার খান এর ছেলে রাজু খা (১৮) ধর্ষণ করে। সেই ছাত্রীর বাবা জানান- তার মেয়ে প্রতি দিনের ন্যায় স্কুলে যাওয়ার পথে জব্বার খান এর ছেলে রাজু খান পূর্ব থেকেই ওৎ পেতে থাকে এবং ঐ কিশোরীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন কিশোরীকে উদ্ধার করলেও ধর্ষক রাজু পালিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় ৪র্থ শ্রেণীর ঐ ছাত্রীকে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয় ধর্ষিতার অসহায় পিতা। কিন্তু ধর্ষক রাজু বিয়ের তিন মাসের মাথায় ১৮ ডিসেম্বর ঐ কিশোরীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এই ঘটনা দুটি এরকম হাজারো ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিচ্ছি মাত্র। এইতো কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ে দেয়া হলো। সবাই প্রধানমন্ত্রীর ধন্য ধন্য করতে লাগলো। কেউ একবারও ভাবলো না, মেয়েটার ভবিষ্যত জীবন কি হবে? সে কি সারা জীবন সুখে থাকতে পারবে? সারাটা জীবন তাকে একটু পশুর সাথে কাটাতে হবে, মরতে হবে তিলে তিলে। সারাজীবন নরক যন্ত্রনা ভোগ করার চেয়ে মৃত্যই শ্রেয় নয় কি? সবাই ভাবে -যাক মেয়েটার একটা গতি হলো।
হ্যাঁ, গতিই তো! ধর্ষনের নির্মম শিকার হওয়া একটা চরিত্রহীনাকে কে বিয়ে করবে? সমাজে তো সে একটা মাগী, অস্পর্শ্যা। তার তো বেঁচে থাকাও পাপ। আর ধর্ষক তো ছেলে মানুষ। মাথায় না হয় একটু দুষ্ট বুদ্ধি চেপেছিল। সেটা নিয়ে চিল্লাচিল্লির কি আছে? ধর্ষকের সাথে বিয়ে হচ্ছে এটাই তো তার সৌভাগ্য।
দোররা মারা কিংবা মাথা ন্যাড়া করার মতো নির্মম অত্যাচারের শিকারও সে হতে পারত। আফগানিস্তানের মতো হলে- অনার কিলিংয়ের শিকার হতে পারত। সেগুলোরই কিছুই হতে হয় নি। সে হিসেবে ভাগ্যবতীই বটে!
একজন ভুক্তভোগী কখনোই মরতে চায় না কিন্তু আমরা, আমাদের এই সমাজই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেই। সমাজের একটু সহযোগীতাই পারে তাদের সেই দুর্বিষহ দিনের কথা ভুলে নতুন জীবন উপহার দিতে। তাদের ঘৃনা নয়, ভালোবাসি। পৃথিবীর নগ্নরুপটা নয়, ভালোবাসার রুপটা দেখাই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২১

শ্মশান বাসী বলেছেন: ভাল বলছেন, কিন্তু সহযোগিতাটা কিভাবে বলেন নি।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৬

বিপরীত বাক বলেছেন: মিলাকে বিয়ে করবে বলে
ধামরাইয়ে আসতে বলে তরিকুল ইসলাম।
তরিকুলের কথা অনুযায়ী
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে
মিলা চলে আসে ধামরাইয়ে।-------+ বাহ্।। মাগী কি গাছে ধরে
নাকি মাটিতে পয়দা হয়?


ধর্ষিতা গুলোর দুর্বিনীত লোভ আর সীমাহীন খায়েশ ও কম দায়ী নয়।।। সবকিছু একচোখে মাপেন দেখে কোনকিছুরই বিচার বা স্থায়ী সমাধান হয় না।।।।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০৯

রাফা বলেছেন: বাহ্ কি অবলিলায় গালি দিয়ে দিলাম। @বিপরীত বাক।কি চমৎকার অনুধাবন আমাদের।একবার ভাবছিনা ধর্ষণ করা হয় বলেই তারা ধর্ষিতা।যদি ধর্ষন না করা হোতো তাহোলে এসব কিছুরই অবতারনা হোতোনা।ধিক্কার এই মন মানসিকতার মানুষগুলোকে।
ধর্ষিতাকে ,ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেওয়া কোন সমাধানতো নয়ই।এটা তাকে হাত পা বেধে নদীতে ফেলে দেওয়ারই সমতুল্য।

এটা যদি সমাধান হয় ,মনে করুন একটি মেয়েকে আমার জিবনেও বিয়ে করার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই।কিন্তু তাকে জোড় করে ধর্ষণ করতে পারলেই কেল্লা ফতে।কে আর ঠেকায় আমাকে-আমার বিন্দুমাত্র যোগ্যতা না থাকা সত্বেও পেয়ে গেলাম সব কিছুই।

ধর্ষকের সাথে বিয়ে কোন সমাধান নয়।বরং ধর্ষকের জন্য এমন সাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে যাতে শিউরে উঠে সবাই।কেউ আর সাহস না করে কাউকে ধর্ষণ করতে।এমন ব্যাবস্থা করতে হবে জিবনেও যাতে কেউ বিয়ে না করে সেই ধর্ষণকারিকে।

আর ধর্ষিতাকে অন্য আর দশজন মেয়ের মতই সন্মান দেখাতে হবে।কারন এটা তার জিবনে শুধুই ১টা আর দশটি দুর্ঘটনার মত আরেকটি দুর্ঘটণা।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:২৭

বিপরীত বাক বলেছেন: ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ে তো কোন সমাধান নয় বরং বড় একটা সমস্যার শুরু ।।।।

কিন্তু আমি বলছি কিছু মেয়ের অতিরিক্ত সহজলভ্যতা।। যেমন ঢাাকার কিছু ঘটনা পেপারে পড়েছি।।।
এক মাইয়া প্রথম দেখাতেই প্রেমিকের সাথে পাচতালা বাড়ির পঞ্চমতলায় প্রেমিকের বন্ধুর বাসায় ডেটিং করতে চলে গেছিল।।
তারপর.....
আরেক মাইয়া ভার্সিটি এডমিশন করতে এলাকার বন্ধুর সাথে মগবাজারের হোটেলে নোট নিতে গেছিল.....

এখানে ধর্ষক এর বিচারের সাথে সাথে ওই ধর্ষিতাগুলোর চামড়া তুলে নেয়া দরকার ছিল।।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: আজাইরা পোস্ট, এটা কোন সমাধান হতে পারেনা। এরা জীবনেও সুখী হবেনা।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধর্ষকের শাস্তি দ্রুত বিচার আদালতে করা উচিত। আজীবন জেলখানায়। তবে সুশাসন নিশ্চিত না করলে কোন লাভ নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.