নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের পণ্য বয়কটের তামাশা বন্ধ করুন

০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৩

একবার আমাদের মসজিদের ইমাম ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিলেন। শুক্রবারের খুতবায় অন্যদেরকেও এ কাজে উদ্বুদ্ধ করলেন। তিনি খাবার খেতেন আমাদের ঘরে। মাঝেমধ্যে দু'তলার একটি কক্ষে ঘুমাতেনও। আমার সাথে দেখা হতো কেবল খাওয়ার সময়।

একদিন খাবার টেবিল থেকে তিনি উঠে গেলেন। কারণ তিনি টের পেয়েছেন— তরকারিতে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়েছে। তার সামনেই নাকি আলুভর্তা মাখানো হচ্ছিলো ভারতীয় বড় পেঁয়াজ দিয়ে। অন্য বাড়ি থেকে তরকারি আনার পর তিনি খেলেন।

বিষয়টি আমার কানে এলো।

রাতের বেলা ইমাম সাহেবের কক্ষে গেলাম। বললাম— হুজুর, যে-জাজিমটিতে শুয়ে আছেন, সেটির তুলা ইন্ডিয়ান। যে-পাঞ্জাবী পরে আছেন, সেটির ইয়ার্ন ভারতীয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যে-ভাত খেলেন, সেটি ইন্ডিয়ান মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে ফলানো। আমি কি এখন জাজিমটি ফেলে দেবো? আঙুল ঢুকিয়ে ভাতগুলো পেট থেকে বের করে আনবো? কোরাইশদের সাথে এতো বিরোধ থাকার পরও নবী কোরাইশদের পণ্য বয়কট করতে পারেন নি। আপনি খুতবায় যে-বইটি ব্যবহার করেন, খুতবাতুল আহকাম, সেটিরও মূল কিতাব ভারতের। কাবা শরিফের ইমাম ভারতীয় বাসমতি চাল খান। আরবের খেজুর বাগানগুলোর সিংহভাগ শ্রমিক ভারতের। আমার ঘরে কয়েক লাখ টাকার ইসলামি কিতাব আছে যা ভারত থেকে আনা, এগুলো কি পুড়িয়ে ফেলবো? আমার হাতে যে কোরানটি দেখতে পাচ্ছেন, আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলির অনুবাদ, এটি দিল্লি থেকে আনা, ফেলে দেবো? আপনাকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের বুদ্ধি কে দিয়েছে?

ইমাম সাহেব কিছুক্ষণ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে রইলেন। তারপর বললেন— "আসলে অমুক দরবার শরীফের তমুক হুজুর আমাকে ইন্ডিয়ান জিনিস খেতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু বিষয়টা যে এতো জটিল আমি বুঝি নি।"

দেশটা গোল্লায় যাওয়ার একটি বড় কারণ হলো— এখানে মানুষ নিজের আক্কেলের চেয়ে অন্যের আক্কেলে চলতে বেশি পছন্দ করে। অমুকে এটা করতে বলেছে, তাই আমাকেও এটি করতে হবে— এই হলো বাঙালি মুসলমানের আন্ধাগলির শেষ রাস্তা। নিজের মগজটা কিছুতেই খাটাতে চায় না। হুজুগ ও বাস্তবতার ভেতর কোনো পার্থক্য করতে জানে না।

লিখেছেন: Mohiuddin Mohammad

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: বয়কট খেলার পুরাটাই রাজনিতী। তবে কিছু উপকার হচ্ছে, তরমুজের দাম কমেছে।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৪

এম ডি মুসা বলেছেন: বাংলাদেশে ধান চাষ না করে তরমুজ চাষ করা শুরু করছে, দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজেরা নিজেদের বাঁচার সরকারি পরিকল্পনা কিভাবে তৈরি করা হয় জানিনা যেখানে ধান উৎপাদন করার কথা সেখানে তরমুজ চাষে ব্যস্ত চাষী। ভারতীয় পণ্য বয়কট কেন? ইসরাইল - এত মানুষের অত্যাচার চালাইতাছে ইজরাইলের কোন পণ্য বয়কট করা হয় নাই। ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় যৌথ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানকে দেশ থেকে দূর করেছে। তাদের কিছু ভারতের সহ্য হয় না...

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৬

এম ডি মুসা বলেছেন: ভারত সাহায্য না করলে রাজাকার এর জয় হতো- তাই ভারত বিদ্বেষী মনোভাব এটা স্বাভাবিক। ভারত যদি বাংলাদেশের সামসময়িক বাংলাদেশ উপর জুলুম করছে, সেটার হিসেবে ভিন্ন কথা।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসলে বয়কট ভারতের সাথে যারা জড়িত তারা এন্টি ইন্ডিয়ান ও এন্টি আওয়ামী লীগ । বয়কট ভারতের ডাক দিয়েছে কারণ ভারত পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সাপোর্ট দিয়েছিল। এর পেছনে আছে রাজনৈতিক কারণ। একটা ব্যক্তিগত ঘটনা শেয়ার করি, আমার মেয়েটা জন্মের ৬ মাস পর থেকে অসুস্থ। করোনার কালো থাবায় মারাত্নক ব্যবসায়ীক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর চিকিৎসা খরচ চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলাম। বাংলাদেশী ডাকাত ডাক্তাররা নি:স্ব করে দিয়েছিল। এখন পর্যন্ত মারাত্নক লোন গ্রস্ত।এইতো গেলো বছর ভারত নিয়ে গেছি ধার দেনা করে।আল্লাহ সুবাহানা তাআলার অশেষ রহমতে ও ফেরেস্তার মতো ভারতীয় ডক্টরের চিকিৎসায় মেয়ে এখন অনেক সুস্থ। আমি ভারতীয় দেবতাদের চিকিৎসা না নিয়ে বাংলাদেশী কসাইদের চিকিৎসা নিব কেন?

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

নাহল তরকারি বলেছেন: গোফরান ভাই দেখছি ভারতের পক্ষে কথা বলছেন। গোফরান ভাই সহ অন্যান ব্লগারদের বলছি, দেশীয় পন্য ব্যাবহার করলে আপনার কি সমস্যা? যেগুলা আমাদের দেশে উৎপন্ন হয় সেগুলো ব্যাবহার করুন। যেমন তীর ও এসিআই এর লবন ব্যাবহার করতে পারেন। ফ্রেশ, তীর, ও বসুন্ধরার আটা ময়দা, সূজি ও তেল ব্যাবহার করতে পারেন। কুল সেভিং ক্রিম ব্যাবহার করতে পারেন। রাধুনি গুড়া মসলা ব্যাবহার করতে পারেন। কত কিছু দেশে উৎপন্ন হয়!!

এখন তুলা, ট্রাক্টর, মাইক এগুলোর বিকল্প প্রোডাক্ট তো আমাদের দেশে নাই। তাই ওগুলো না হয় ব্যাবহার করেন। আমার কথা হলো যে গুলো পন্য দেশে উৎপন্ন হয় সেগুলো ব্যাবহার করলে কি আপনাদের মান ইজ্জত চলে যাবে? বরং দেশের পন্য ব্যাবহার করলে দেশের উপকার হবে। দেশের ইন্ড্রষ্টি পরিপুষ্ট হবে। দেশ এগিয়ে যাবে।

রাজাকারদের দেখে মনে হয় ওরা বাংলাদেশ কে পাকিস্তানের প্রদেশ বানাতে চায়। আর কিছু কিছু ব্লগারদের ভারত প্রেম দেখে মনে হয় তারা সুযোগ পেলে মীর জাফরের মত বাংলাদেশ কে ভারতের প্রদেশ বানাবে। কিছু কিছু ভুল বুঝাবুঝির জন্য, সাধারন মানুষ আমাদের (ব্লগারদের) ঘুণা করে। সাধারন মানুষ চায়, ভারতের পন্য ক্রয় করবে না। ভারত ও অন্যানদেশের আমদানীকৃত পন্য দেশে উৎপন্ন হউক। আমরা সেগুলো ব্যাবহার করি। দেশের শিল্পের বিকাশ হলে, আপনাদের কোন সমস্যা হবে? এই বয়কট আন্দোলন সাধারন মানুষ কিভাবে দেখছে? সাধারন মানুষ যা চায় আমাদের উচিৎ তাদের ইচ্ছায় সায় দেওয়া।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১

ঊণকৌটী বলেছেন: এক পাকিস্তানী আর ইন্ডিয়ান মুসলিম এর বক্তব্য শুনুন লিঙ্ক দিচ্ছি Click This Link

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১১

আরিফ রুবেল বলেছেন: পাকিস্তানের জন্য যাদের মন কাদে তাদেরকে আমরা ছাগু ডাকতাম। ভারতের জন্য যাদের মন কাদে তাদের কি ডাকা যায় ?

আপনার ব্লগ পড়ে একটা বিষয় আবার পুনরায় উপলব্ধি করলাম ভারত প্রথমে আমাদের চিন্তার জগতে উপনিবেশ স্থাপন করেছে বলিউডি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দিয়ে আর তারপর ধীরে ধীরে আমাদেরকে ভারতীয় পণ্যের বাজারে পরিণত করেছে। তাই চাইলেও আমরা ভারতের পণ্য থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারছি না। যদিও ভারত আমাদের কখনই তাদের অন্তর্ভুক্ত করবে না কারণ এতে ঝুকি অনেক বেশি কিন্তু আপনাদের মত প্রো ইন্ডিয়ানদের কাজে লাগিয়ে তারা বাংলাদেশের মাথায় লবন রেখে বড়ই খেয়েই যাবে।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

অপর্ণা সেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। পোষ্টটি যিনি লিখেছেন আর যিনি প্রচার করেছেন উভয়কে ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: এইসব ফটকা মার্কা হুজুরদের জন্যই ইসলামী লেবাসধারী মানুষেরা প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেনা। উনি একজন প্রকৃত আলেম হলে আপনার কথা শুনে ভড়কে যাবার কথা না। একজন যথার্থ ঈমানদার হলে জাজিমটি আপনাকে ফেরত দেবার কথা। দেশি তুলার জাজিম বাংলাদেশে খুবই এ্যাভেইল্যাবল।

পাঞ্জাবীর ইয়ার্ন ভারতীয় হবার সম্ভাবনা খুবই কম। গার্মেন্টসে উৎপাদিত ফেব্রিকের ৭৮% ইয়ার্ন আমাদের দেশেই উৎপাদিত হয় - তার জন্য প্রয়োজনীয় কটনের বেশিরভাগেরই যোগানদাতা ইরান, মিশর আর উজবেকিস্তান।

কাবা শরীফের ইমাম ভারতীয় বাসমতির চাল খান - এরকম একটা চাপাবাজি উনি বিনা প্রমাণে বিশ্বাস করতে পারলেন? এরকম হুজুর মুসুল্লীদেরকে কি শেখাবে? এরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

উনি আসলে বুঝতেই পারেননি কেন ইন্ডীয়ান প্রডাক্ট বয়কট করতে হবে। আর তাকে বোকা পেয়ে আপনিও একটা পার্ট নলেন।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৯

রুদ্র আতিক বলেছেন: সহমত.।.।.।.।.।.।

১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আফসোস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.