নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। ফেসবুকে যুক্ত হোনঃ www.facebook.com/dev.d.nipun

...নিপুণ কথন...

সময়ের সাথে দৌঁড়ে পারিনা, জীবনের দৌঁড়েও পিছিয়ে আমি!খুঁজে ফিরি আপন মানুষ, মাঝে মাঝে হই বেহুঁশ...হৃদয়ে অবিরাম স্বপ্ন গাঁথন, বলব আজ নিপুণ-কথন।

...নিপুণ কথন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধুখালি-বোয়ালমারীর উগ্রবাদিদের হামলায় মরতে পারতাম আমিও!

২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:২১

ফরিদপুরের মধুখালিতে মন্দিরে আগুন ধরানোর অভিযোগে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে দুজন নির্মাণশ্রমিক মুসলিমকে। বিভিন্ন মিডিয়া থেকে যা জানলাম, তা শুনে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

তারা আসলেই মন্দিরে আগুন ধরিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও। তেমনটা নিশ্চিত হলেও প্রশাসন-পুলিশের কাছে তাদেরকে তুলে দেওয়া উচিত ছিলো। মামলা দিয়ে প্রতিকার চাওয়া যেতো। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি।

এ ঘটনা খুব খারাপ একটা বার্তা দিলো। সারা বিশ্ব দেখলো যে ক্ষেত্রবিশেষে হিন্দুরাও সংখ্যায় বেশি হলে জ*ঙ্গীগোষ্ঠীদের মতো হিংস্র হয়ে উঠতে পারে। ফরিদপুর শ্রী অঙ্গন দক্ষিণ পল্লীতে হিন্দু প্রভাবশালীদের অত্যাচার-নির্যাতন-হামলার শিকার আমরা অনেকদিন ধরেই। প্রতিকার পাচ্ছি না প্রশাসন-পুলিশ-নেতাদের জানিয়েও। উক্ত প্রভাবশালীদের সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণরা জিম্মি, তারা চাইলেও আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে না। সংখ্যায় বেশি বলে নেতারাও ওদের পক্ষে থাকে। আবার আশপাশের মুসলিমরা আমাদের শুভাকাঙখী হলেও হিন্দু পল্লীতে থাকি বলে কেউ এগিয়ে এসে আমাদের পক্ষ নিতে পারে না, শুধু দূর থেকে দু:খপ্রকাশ করে। কেননা তারা আসলে এটাকে শ্রী অঙ্গন মন্দির ও হিন্দু প্রভাবশালীরা সংখ্যালঘু অত্যাচার হিসেবে দেখাবে।

আবার মধুখালির ঘটনায় ফিরে আসি। মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও একটা হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ইউএনও ও থানার ওসি ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও প্রায় ৬ ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছে, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলা চালানো হয়েছে। এসব নিন্দনীয় কাজ। যারা আগুন লাগিয়েছে, যারা মানুষ খুন করেছে এবং যারা সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হামলা করেছে তাদের সকলের আইনত বিচার চাই।

কিছুদিন আগে মধুখালির পাশের উপজেলা বোয়ালমারী থেকে আমাকে ৪০০ কিমি দূরে বদলি করা হয় জনস্বার্থে। Pinaki Bhattacharya - পিনাকী ভট্টাচার্য এর উস্কানিমূলক মিথ্যা ভিডিওর সূত্র ধরে ঐ এলাকায় জামাত-শিবির-মৌলবাদিরা প্রভাবশালীদের ইন্ধনে আমার উপর এমন হামলার প্রস্তুতি নেয়, হুমকি দিতে থাকে। তা প্রশাসন-পুলিশকে জানিয়ে নিরাপত্তা চাইলে মাউশি ডিজি স্যারের কাছে মায়ের চিকিৎসার জন্য বহি:বাংলাদেশ ছুটি চাইতে গেলে ছুটি না দিয়ে ধমক দিয়ে আমাকে 'ভারতের দালাল বলে'(ভারতে চিকিৎসা করাতে যেতে চেয়েছি বলে) বদলি করে দেওয়া হয়। এর ফলে আমার আদরের বিড়ালের ছানা না খেয়ে পেয়ে মারা গেছে। চিকিৎসার অভাবে ভারতে আমার কাকিমা মারা গেছেন। আমার ফেসবুক পেইজ প্রশাসন মুছে দিয়েছে (হুমকিদাতাদের ভাষ্যমতে)।

অথচ বিজ্ঞজনদের ভাষ্য, উচিত ছিলো উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ব্যবস্থা নেওয়া। অসুস্থ মাকে ফরিদপুরে একা রেখে অসুস্থ আমি এতোদূরে কী করে চাকরি করবো তা কর্তারা ভাবেন নি। আমি চলে যাওয়াতে অনেকেই খুশি। যারা কলেজ ফান্ডের টাকা ভূয়া ভাউচারে তুলে জাতীয় দিবস পালন করতো না, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি কলেজে রাখতো না, জাতীয় শোক দিবসসহ অন্যান্য দিবস পালন করতো না, কলেজে জামায়াত-শিবিরের দূর্গ বানিয়েছিলো, যারা চায় না কলেজে গান-বাজনা-বইমেলা হোক, যারা চায় না উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজটিতে শিক্ষার্থীসংখ্যা দুশো ছাড়াক, যারা চায় ইচ্ছামতো সেখানে নকল হোক, যারা চায় সরকারি কলেজকে পঙ্গু বানিয়ে রেখে দুটি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করতে, তারা সবাই খুশি। স্থানীয় এমপি তথা মন্ত্রী মহোদয়, প্রশাসন-পুলিশও হয়তো খুশি, ইসলামপ্রেমী হিসেবে নিজেদেরকে জাহির করা গেছে বলে।

আমরা আবহমান কাল থেকে ফরিদপুরে হিন্দু-মুসলিম শান্তিতে বসবাস করছি। এখানে একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসে। গোয়ালচামট শান্তি-শৃংখলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি আমার বাবা কবি বাবু ফরিদী যখন শালিসে রায় দিতেন, সবাই তা শ্রদ্ধার সাথে মেনে নিতেন। ইদানিং সেই অবস্থান থেকে বিচ্যুতি দেখা যাচ্ছে। এই সম্প্রীতিতে যেন কেউ আঘাত হানতে না পারে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাক। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশটা আমাদের সকলের।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:১৩

অহরহ বলেছেন: না ভাইয়া, আপনার সাথে একমত না। মন্দিরে আগুন দিয়ে হিন্দুদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়া একদম ঠিক হয় নি।

যাই হোক, ঐ দুই মুসলিম জঙ্গিকে পিটিয়ে না মেরে বরংচ উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সদর্প করা উচিত ছিল।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:২৯

তানভির জুমার বলেছেন: অহরহ বলেছেন: না ভাইয়া, আপনার সাথে একমত না। মন্দিরে আগুন দিয়ে হিন্দুদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়া একদম ঠিক হয় নি। যাই হোক, ঐ দুই মুসলিম জঙ্গিকে পিটিয়ে না মেরে বরংচ উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সদর্প করা উচিত ছিল।

কোন সন্দেহ নাই আপনি আরেক উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসী।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৩১

রাােসল বলেছেন: আমরা যদি আজ একটি অপরাধকে প্রশ্রয় দেই, এটি আগামীকাল অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। তাই, অপরাধ উত্পাটন করার জন্য অবশ্যই প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়ার উদ্দেশ্য দুষ্ট লোকদের সমর্থন করা এবং সাধারণ মানুষের অধিকার উপেক্ষা করা।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই উগ্রবাদী জঙ্গি দের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যাবেনা। লিখলে মাদ্রাসা থেকে পাশ করা কচুঞ্জিনয়াররা আপিনাকে ভারতীয় রাজাকার বানাবে। ব্লগে প্রকাশে সন্ত্রাসী জঙ্গি মৌলবাদী দের পক্ষে দালালি করবে। তাদের বিরুদ্ধে লিখলে কথা বললে বিশেষ ক্ষমতায় মত প্রকাশে নগ্ন হস্তক্ষেপ করবে। এদের দাচু দিলে বলবে দেশের সং্খ্যাগরিষ্টদের প্রতি নাকি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছি। জঙ্গি মৌলবাদ জারজ রাজাকারদের বিরুদ্ধে লিখলে তাদের জ্বলার ফলে গদাম দিয়ে ছাগু বলে সম্বোধন করলে আপনাকে মুসলিম বিদ্বেষী, ভারতীয় রাজাকার ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে রাজাকার শব্দটির বিরুদ্ধে ঘৃণাকে হালকা করার চেষ্টা করবে ও ৭১ এ রাজাকাররা কোন ভুল করেনি ইনয়ে বিনিয়ে এমন বক্তব্য দেয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালাবে।

মসজিদ কিংবা মন্দিরে তারাই হামলা করে যারা ব্লগে ফেসবুকে ১লা বৈশাখে বৈশাখী পুজা, মঙ্গলশোভা যাত্রা এগুলোর বিরুদ্ধে নোংরা পোস্ট দেয়। এদের লাথি মেরে পাকিস্থান পাঠানো সময়ের দাবী।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মসজিদ কিংবা মন্দিরে তারাই হামলা করে যারা ব্লগে ফেসবুকে ১লা বৈশাখে বৈশাখী পুজা, মঙ্গলশোভা যাত্রা এগুলোর বিরুদ্ধে নোংরা পোস্ট দেয়।

এই ছবি দেখে মুসলিম বিদ্বেষী মোহাম্মদ গোফরান কী বলবে?


অহরহ বলেছেন: ঐ দুই মুসলিম জঙ্গিকে পিটিয়ে না মেরে বরংচ উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সদর্প করা উচিত ছিল।


অথচ মন্দিরে আগুন দেওয়ার সাথে উগ্র হিন্দুদের হাতে খুন হওয়া এই দুই ভাই এবং শ্রমিকদের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

সবাই জানে এই ঘটনার সাথে শ্রমিকদের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি, সামান্য মানবতাবোধও যদি থাকতো তাহলে মোহাম্মদ গোফরান এবং অহরহ উগ্র হিন্দুদের হাতে মজলুম শ্রমিকদের হত্যার নিন্দা জানাতো, তা না করে এরা নিরীহ শ্রমিকদের জঙ্গি-ফঙ্গি বলে পরোক্ষভাবে উগ্রবাদি হিন্দু খুনিদের পক্ষেই সাফাই গাচ্ছে । এরা মানবতার শত্রু X((

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

নতুন বলেছেন: মন্দীরে আগুন দেওয়া ঐ ২ জন মানুষ হত্যার বাহানা মাত্র।

মন্দিরে আগুন লেগেছে তারা পুলিশে যাবে, তদন্ত করে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

তারা কোন সাহসে মানুষ হত্যা করতে গেলো? এর পেছনে অন্য মটিভ আছে।

বর্তমানের পোলাপাইনেরা এতো বড় ধর্মভীরী হয়ে যায় নাই যে ধর্মের নামে জীবন দিতে যাবে।

এই সব ঘটনার পেছনে অন্য কারন আছে, ধর্মীয় রং দিয়েছে যাতে এটা পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে না হয়।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্ম এভাবেই কাজ করে, যেখানে যে ধর্মের জনসংখা বেশী সেখানে অন্য ধর্মের মানুষ নিপীড়িত। হিন্দু এবং মুসলিম একে অপরেকে সমানভাবে ঘৃণা করে।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

এস.এম.সাগর বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই উগ্রবাদী জঙ্গি দের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যাবেনা। লিখলে মাদ্রাসা থেকে পাশ করা কচুঞ্জিনয়াররা আপিনাকে ভারতীয় রাজাকার বানাবে। ব্লগে প্রকাশে সন্ত্রাসী জঙ্গি মৌলবাদী দের পক্ষে দালালি করবে। তাদের বিরুদ্ধে লিখলে কথা বললে বিশেষ ক্ষমতায় মত প্রকাশে নগ্ন হস্তক্ষেপ করবে। এদের দাচু দিলে বলবে দেশের সং্খ্যাগরিষ্টদের প্রতি নাকি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছি। জঙ্গি মৌলবাদ জারজ রাজাকারদের বিরুদ্ধে লিখলে তাদের জ্বলার ফলে গদাম দিয়ে ছাগু বলে সম্বোধন করলে আপনাকে মুসলিম বিদ্বেষী, ভারতীয় রাজাকার ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে রাজাকার শব্দটির বিরুদ্ধে ঘৃণাকে হালকা করার চেষ্টা করবে ও ৭১ এ রাজাকাররা কোন ভুল করেনি ইনয়ে বিনিয়ে এমন বক্তব্য দেয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালাবে।

মসজিদ কিংবা মন্দিরে তারাই হামলা করে যারা ব্লগে ফেসবুকে ১লা বৈশাখে বৈশাখী পুজা, মঙ্গলশোভা যাত্রা এগুলোর বিরুদ্ধে নোংরা পোস্ট দেয়। এদের লাথি মেরে পাকিস্থান পাঠানো সময়ের দাবী।


উপরের লেখাগুলি পড়ে মনে হলো কোন এক গঞ্জিকা সেবন কারী লিখেছে। তোমাদের মোত গঞ্জিকা সেবন কারীরাই উগ্রবাদের জন্মদাতা!

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ মারাগেছে।মুসলমান না হিন্দু এটা লেখার দরকার নাই।ধর্মীয় পরিচয় লিখলে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াবে।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

সম্রাট সাদ্দাম বলেছেন: যে দুইটা ছেলেকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, জানি না তারা প্রকৃত অপরাধী কিনা। আজকে এই পিটিয়ে মারার পরিস্থতি একদিনে তৈরি হয় নি। দিনের পর দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয়, প্রায় প্রতি বছর ই তাদের পূজার সময় হামলা করা হয়। এতদিন যদি বিচার হত, তবে এদিন হয়ত দেখতে হত না। বাংলাদেশ হিন্দুদেরও দেশ।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১১

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @মোহাম্মদ গোফরান:
ঝেড়ে কেশে বলে দেন যে মধুখালীর নির্মান মুসলিম ধর্মাবলম্বী শ্রমিকরা ছিল জঙ্গী। তাই হিন্দু জনতা কর্তৃক তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলা আইনতঃ স্বিদ্ধ।

আপনি খুশি তো?

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০১

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @অহরহঃ
আপনি মধুখালীর নির্মান শ্রমিকদের মুসলিম "জঙ্গী" বলেছেন।

অন্যদিকে উত্তেজিত হিন্দু জনতার রোষের শিকার এবং গনপিটুনীতে গুরুতর আহত নির্মান শ্রমিক লিটন মোল্লার ভাষ্য নিম্মরূপঃ
Liton Mollah, one of the injured workers, said upon noticing the fire, they joined the locals to douse the fire."But the agitated locals suspected we had a hand in it, and tied our hands and feet and beat us up," he told local reporters.

/আপনার মুসলিম জঙ্গীরা কেন মন্দিরে আগুন লাগিয়ে আবার জনতার সাথে মিলে আগুন নিভাতে যাবে?
/আগুন লাগিয়ে আপনার মুসলিম জঙ্গীরা পালিয়ে গেল না কেন?
/সাধারনতঃ গ্রামে ডাকাত পড়লে, হয় গ্রামবাসীরা ডাকাতদের ঘটনাস্হল থেকে ধরে নয়তো পলায়নরত অবস্হায় ধরে। সেরকম কিছু মধুখালীতে ঘটেনি। যদি ঘটে থাকে তবে সূত্র সহ উল্লেখ করবেন কি?
/যাদের আপনি মুসলিম জঙ্গী বলছেন, তাদের অতীত কোন জঙ্গী কার্যক্রমের কারনেই হয়তো তাদের জঙ্গী ট্যাগ দিয়েছেন। তাহলে দয়া করে হিন্দু জনতা কর্তৃক গনপিটুনীর শিকার মানুষগুলোর অতীতের জঙ্গী কার্যক্রমের বিবরন যদি আমাদের দিতেন, আলোকিত হতাম।
/আপনি নিজেও কি যে "গুজবের" ভিত্তিতে কেবলমাত্র বিশেষ একটি ধর্মের ধর্মীয় পরিচয় ধারন করার জন্য, প্রকৃত দোষীদের যথাযথভাবে চিন্হিত না করে যাদের বিচারবর্হিভুতভাবে গনপিটুনী দেয়া হলো, সেই একই গুজব কি ছড়া্চ্ছেন না? ইংরেজিতে একটা Idiom আছে। তা হলো, "to give a dog a bad name"। যেহেতু মুসলি, তাই ঝটপট নগদে অপবাদ দিয়ে দাও, যাতে গনপিটুনী দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কাজটা সহজ হয়।

Two killed in Faridpur mob beating

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৫৬

অহরহ বলেছেন: "ঐ দুই মুসলিম জঙ্গিকে পিটিয়ে না মেরে বরংচ উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সদর্প করা উচিত ছিল"


বাহ!! থলের বিড়াল সব বের গেল ভাইয়া। মুমিন জঙ্গিরা এখন মায়া কান্নায় ঝাপিয়ে পরেছে। ও লে, কত কষ্ট রে্....??!!

অথচ এই বাংলাদেশি মুমিন জঙ্গিরাই ধর্মানুভুতিতে আঘাতের অজুহাত দেখিয়ে মানুষ পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি চালু করেছে। হিন্দুদের গ্রাম, ভিটেমাটি, মন্দির জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করেছে, দেশে ছাড়া করা হয়েছে। শত শত রামু, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া .... এখন শুধুই ইতিহাাস। ভিন্ন মতের ব্লগারদের চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। একম কী শিয়া-আহম্মদিয়া মুসলিমদের কচুকাটা করেছে এই সুন্নি জঙ্গির দল।

কথায় বলে : চোরের দশ দিন, গৃহস্তের এক দিন। হা হা হা।

১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: দেবতা, ঈশ্বর, আল্লাহ কেউই নিজ বাসস্থান নিজে রক্ষা করতে পারে না। এরা সবাই হয়ত অক্ষম আথবা এরা আর কেউই বেঁচে নেই। দেবতা, ঈশ্বর, আল্লাহের নামে যারা মারামারি করে তারা আর যাই হোক মানুষ নয়।

১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৩১

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @অহরহ

/তাহলে সজ্ঞানে, জেনে বুঝে আপনি বলছেন যে শুধুমাত্র মুসলিম নাম ধারনের একজন ব্যাক্তিকে হিন্দু জনতা কর্তৃক পিটিয়ে হত্যা করা প্রচলিত আইন ও হিন্দু ধর্মের বিধান অনুযায়ী সিদ্ধ?

কথায় বলে : চোরের দশ দিন, গৃহস্তের এক দিন। হা হা হা।

মানে আগের ঘটে যাওয়া কোন অপকর্মের জন্য সরাসরি দায়ী না হওয়া সত্ত্বেও মধুখালীতে গুজবে উত্তেজিত হিন্দু জনতার ঘটানো হত্যাকান্ডকে আপনি সমর্থন করেন?

মানে আপনি যা বলেছেন তা আবার পরবর্তিতে পরিস্হিতির কারনে অস্বীকার করবেন না তো?


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.