নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোরবানি একটি ধর্মীয় দ্বায়িত্ব যার মুল অর্থ হচ্ছে হচ্ছে ত্যাগ শিকার। কিন্তু আমাদের দেশে যে কোরবানির ব্যবস্থা চালু আছে তা কি ত্যাগ শিকার না গরুর মাংশ খাবার প্রতিযোগিতা বলা মুশকিল। যেখানে একটা গরু সাতজন ভাগাভাগি করে দিতে পারে, সেখানে একাই একেকজন দুই তিনটা করে গরু কুরবানি দেয়। বাংলাদেশীদের গরুপ্রীতি কমাতে ভারত গরু রপ্তানি বন্ধ করেছে বহু আগেই। কিন্তু গরুর তুমুল চাহিদার কারনে সীমান্তের গরীব মানুষগুলো ভারত থেকে গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসেফ এর গুলির শিকার হচ্ছে।আজকেও সীমান্তে একজন বিএসেফ এর হাতে প্রান দিয়েছে।
আমরা কি গরুর মাংশের প্রতি আমাদের তীব্র আকর্ষন কমাতে পারি না? উন্নত দেশে মুসজিদগুলো কুরবানির ব্যবস্থা করে। মুসলিমরা মসজিদে কুরবানি বাবদ টাকা দিয়ে দেয়।মসজিদ কমিটিই কুরবানির যাবতীয় বিলি বন্টন করে থাকে। ইচ্ছে করলেই একজন দুইটা তিনটা গরু, ছাগল কুরবানি দিতে পারে না।
আমাদে দেশে ধর্ম পালন করার চাইতে দেখানোর মাঝেই আগ্রহ বেশি।মুখে যারা তুমুল ভারত বিরোধিতা দেখায় তারাই দেখা যাবে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা গরু কেনার জন্য হামলে পড়েছে। ডাবল স্ট্যন্ডার্ড এই জাতির জন্মগত বৈশিষ্ট কিনা কে জানে!
দেশকে ভালবাসলে ভারতীয় গরু কেনা বন্ধ করুন। দেশিয় পোল্ট্রি ফার্ম থেকে বরং একটু বেশি দাম দিয়ে গরু কিনে কয়েকজন ভাগাভাগি করে কুরবানি দিন। যে টাকা কুরবানি বাবদ বাজেট করেছেন তা দিয়ে গরীব দুঃখীর জন্য কিছু করুন। সারা বছর ফ্রীজ গরুর মাংশ দিয়ে বোঝাই করা বন্ধ করুন। এতে আপনার শরীর সুস্থও থাকবে, দেশ সেবাও হবে।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
নকশা মাকড়সা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। কুরবানি করারই বা দরকার কি?
গরু তো আপনাদের মা হয় মা, আমাদের আন্টি হয় আন্টি।
জয় বাংলা
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: গরু আপনার আন্টি হলেও হতে পারে ,আমার কাছে নিতান্তই একটা পশু।আপনি কুরবানির বিপক্ষে থাকলেও থাকতে পারেন। সেটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যপার। আমি যেহেতু মুসলিম ধর্মের অনুসারী তাই আমি কুরবানি ধর্মীয় একটা অনুসঙ্গ বলেই মনে করি। কিন্তু দেশে কুরবানির যে রেওয়াজ চালু তার বিপক্ষে আমি।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: দেশে কুরবানির যে চল চালু তা গোস্ত খাওয়ার উৎসব ছাড়া আর কিছুই না।
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এক সময় মানুষ বলি দেয়া হতো, এখন তা পশুতে নেমেছে; শীঘ্রই এটার অবান ঘটবে। এটা ইহুদীদের রেওয়াজ, ওরা শিক্ষিত, তাই ওদের দিক থেকে বন্দ্ধ
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ধর্মীয় বিতর্কে আমার কোন উৎসাহ নাই।
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবকিছুতে আপনার উৎসাহ কম, বিয়ের ব্যাপারে কি অবস্হা?
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১
প্রািন্ত বলেছেন: ধর্মীয় ব্যাপারগুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করা উচিত। আমাদের দেশের কুরবানীর যে রীতি সেটা অতিরঞ্জিত। কোরআনের জন্মভূমিতে কি গরু আছে? না, নেই। অতএব, কুরবানীকে গোস্ত খাওয়ার উৎসব না বানিয়ে বরং সেখান থেকে অর্থ দিয়ে অসহায় ও গরীবদের সহযোগীতা করা দরকার। কুরবানীর মাংসের যে ভাগবাটোয়ারা করে গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার রীতি হাদীসে আছে, বেশীর ভাগ মানুষ সেটাও অনুসরণ করেন না। বরং নিজের ফ্রিজ ভরাতেই তারা অভ্যস্ত।
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
আমজনতা১৬ বলেছেন: মাননীয় "চাঁদগাজি" আপনি কি খেয়ে বাঁচেন? মাছ, মুরগী ? যদি তাই হয় আপনি প্রতিদিন মাছ মুরগী বলি দেন? ওহ , বুঝি আপনি মনে হয় শাকসবজি খান, তাইনা?? বিজ্ঞান জানেন? বিজ্ঞান জানলে এটা ও বুঝার কথা যে , শাকসবজি খাইতে গেলে ও এদের বলি দিতে হয়.।.।.।.।.।.।।।
নাকি আপনি জন্মের পর থেকে না খেয়ে আছেন???
নাকি মুসলিমদের কিছু দেখলে চুলকায়??? মলম লাগান না কেন???
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
নকশা মাকড়সা বলেছেন: @নিরাপদ দেশ চাই
ঠাট্টা করে উপরের মন্তব্যটা করেছিলাম। বুঝতে পারেন নাই হয়ত।
যাই হোক, আপনার পোস্টের কথাগুলোর সাথে একমত। পোস্টে প্লাস ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
আহলান বলেছেন: হাম্বা প্রেম কমবার নয় ... ৭ ভাগে কোরবানী দেয়ার পরও প্রত্যেক ভাগকে ৩ ভাগে ভাগ করে তার থেকে এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য ও বাকি দুই ভাগ ফকির মিস্কিন কোরবানীতে অসমর্থবান ও গরীব আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিলিয়ে দিতে হয়। চামড়া বিক্রয় করে সে টাকা দান করতে হয়, গরু বাধার দড়িটা পর্য্যন্ত দান করে দিতে হয়। এর পরেও যদি বলেন কোরবানী মানে শুধু গোশ্ত খাওয়ার উৎসব, তাহলে আর কি বা বলার আছে।