নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীড় রশ্নী

নিজেকে এবং জীবনকে বোঝার চেষ্টা করছি.....। কিন্তু বার বার ভূল হয়ে যাচ্ছে। ভূল গুলো থেকে শিখার চেষ্টা করছি। সমস্যা এখানেই - শিখতে পারছি না!!!!!

নীড় রশ্নী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মুক্তিযুদ্ধাকে একজন সন্ত্রাসীরসাথে তুলনা

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

১৯৭১ এর পূর্বে, পূর্ব ও পশ্চিম মিলিয়ে পাকিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্টই ছিল . পশ্চিম পাকিস্তানের একচেটিয়া মনভাব , দমন- নিপীড়ন নীতির কারনে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে স্বাধীনতা গামী করে তুলে .তাছাড়াও আরেকটি বড় কারন ছিল এই দুই অঞ্চলের মানুষের ভাষা ও সংস্কতির অমিল. স্বাধীনতা গামী ঐ সব মানুষকে পথ দেখান শেখ মুজিবর রহমান . তিনি জাতির কর্ণধার হয়ে জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট প্রধান করেন . তার ডাকে হাজার হাজার মানুষ স্বাধীনতার জন্য বন্দুক হাতে তুলে নেয় . আজ শেখ মুজিবর রহমান এবং ঐ অগণিত মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ,সার্বভৌমিক রাষ্ট . কিন্তু যদি ঐ যুদ্ধে পাকিস্তান জয়ী হতো, তবে হয়তো ( এই হয়তো তে জোর দিচ্ছি ) এই অগণিত মুক্তিগামী মানুষ গুলিকে পাকিস্তান সরকার বিছিন্নতাবাদী আখ্যায়িত করে এদের বিচার করতো , এবং শেখ মুজিবর রহমানকে বিছিন্নতাবাদীর প্রধান নেতা হিসেবে চিন্হিত করতো .

এবার একটু দৃষ্টিপাত করতে চাই নেপালের দিকে , এক সময় নেপালের মাওবাদীদের বিছিন্নতাবাদী জঙ্গী গুষ্টি হিসেবে আখ্যায়িত করা হত . আর তাদের নেতা পুস্প কমল দাহাল কে বলা হত বিছিন্নতাবাদীর প্রধান নেতা . কিন্তু তারা যখন ২০০৬ সালে রাষ্ট ক্ষমতা প্রহন করেন তখন এই বিছিন্নতাবাদীরা হয়ে গেল রাষ্টীয় বীর . আর ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত চলতে থাকা বিভিন্ন বিছিন্ন হামলা হয়ে গেল 'সিভিল ওয়ার' আর বিছিন্নতাবাদী নেতা ২০০৮ সালে দেশের রাষ্ট প্রধান .

এবার আসি লেখার মূল অংশে , অপরূপ সুন্দর্যের আদিকারী আসাম . পাহাড়, নদী, বন জঙ্গলে বেষ্টিত এ রাজ্যের মূল জনগন আধিবাসী . তাই হয়তো কেন্দ্র সরকারের সু -দৃষ্টি কখনই এ রাজ্যটিতে পরেনি । যার ফলশ্রুতি রাজ্যটিতে সবসময় অর্থনৈতিক মন্দা চলতে থাকে । এর ফলে সংঘটিত হয় বিভিন্ন আন্দলন . আর এই আন্দলনকে থামাতে কেন্দ্র সরকার একচেটিয়া মনভাব নিয়ে চালাতে থাকে দমন নিপীড়ন নীতি . তার সাথে রয়েছে ভাষা ও সংস্কতির বিরাট অমিল । এ সব কারনে আসাম বাসী স্বাধীনতা গামী হতে শুরু করে ( এ যেন ১৯৪৮ - ১৯৭১ সালের পূর্ব বাংলারই প্রতিছবি ) এবং তৈরী হয় বিভিন্ন স্বাধীনতা গামী দল . এবং দলগুলি স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র লড়াই শুরু করে . এমনই একটি স্বাধীনতা গামী দল ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা) (অসমীয়া: সংযুক্ত মুক্তি বাহিনী, অসম). যারা ভারত ফেডারেশন থেকে আসামের সার্বভৌমত্ব দাবি করে সশস্ত্র লড়াই করছে। যাদেরকে ভারত সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিসেবে চিন্হিত করছে .

এই উলফা দলের একজন প্রধান সারির নেতা অনুপ চেটিয়া , যিনি বাংলাদেশের কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দী ছিলেন একজন বিছিন্নতাবাদী জঙ্গিনেতা হিসেবে ( যেমনটা রাখা হয়ে ছিল শেখ মুজিবর রহমানকে পাকিস্তান জেলে পূর্ব পাকিস্তানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার দ্বায়ে ) . এমন এক জন স্বাধীনতা গামী নেতাকে বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সাথে বন্দী বিনিময় করলো একজন ৭ খুনের আসামী সন্ত্রাসীর সাথে !!!!!! একজন মুক্তিগামী মুক্তিযুদ্ধার সাথে একজন সন্ত্রাসীর তুলনা বা বিনিময় কি করে হয় . ( তাও আবার ঐ দলটির দ্বারা হলো যে দলটি এক সময় বাংলার মুক্তিগামী মানুষ গুলিকে মুক্তিযুদ্ধার রাজ তিলকটি পড়িয়েছিলেন ).

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এই ব্যাপারটাকে বড় করে দেখার কিছু নেই|
স্বাধীনতাকামী বলে তার যে সম্মান, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, একজন দ্রোহী হিসেবে তাঁর যে অবস্থান তা একচুলও নড়বে না এতে| সম্মান জিনিসটা এত ঠুনকো নয়|
আপনার লেখায় অনেক বানান ভুল আছে| ঠিক করে নিন| স্বাধীনতাকামী শব্দটা হবে বোধহয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.