নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুসূর্যকে লেখা রূপকথা

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য

অনুসূর্যকে লেখা রূপকথা

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয়তম ভুল

১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

তুমি শাদা, আমি কালো। আমাদের চারচোখ অশ্রু টলোমলো। তুমি সমুদ্রের ঢেউয়ের ফনায় নাচবে দুলে দুলে। তুমি আসবে। তুমি আসবে। তুমি আসবে। বাতাস কেঁপে উঠবে। আমি একা কেঁপে যাবো সুতীব্র শরীর। আমি স্বপ্নের দরোজায়। তোমার আগে এইখানে ঝড় ছিলো হাওয়া। আমার উত্থিত রক্তে ধরেছি সমুদ্র। ঝড়ের মৃত্যু হলো। ফেনাগুলি ভেসে আসছিলো আমার দিকে। তুমিতো উৎসে ছিলে তারও আগে। আমি আনন্দকে অতিক্রম করে সরে এলাম। ঘুমিয়ে জেগে উঠলাম আবার। কিছুই বলার নেই। মন্ত্রণারহিত সকল অন্ধকার। তুমি আসো বাহির হতে। তুমি দ্বার ভেঙে আসো। তোমার মুখে হাসি। তুমি কৃষ্ণপক্ষে একাদশী।

দেখো, এখানে নীলাভ ঘুম থির হয়ে আছে। তোমাকে ছুঁয়ে যাওয়া নদী হারিয়ে যাচ্ছে। তুমি একটি পাতায় কাঁপো তিরতির। শ্রীমতি, তুমি কোথাও বহুদূর প্রাচীন মন্দিরের গায়ে সারি সারি তন্দ্রা—কেঁপেছিলে রোদের কোমল। এমন নিভৃত সুন্দরের বিষ ছড়ালে চারিধারে—এইপাশে পাহাড় নামে। দুরন্ত দূরের টান এনেছিলো আয়োজন, এখনো আনে। ওইপাশে সকাল নামে। সকালের ক্ষতচোখ অবিমল সুর। ধরে থাকে বন্ধ্যা সুদূর।

এই লিপ্সা অযাচিত অক্ষরের গর্ভপাত। পুনর্বার মৃত্যুর পর জন্মের প্রতিবেশী হতে সাধ। তারও আগে রাত্রিকে ছুঁয়েছিলো শাদাহাত। পদতলে ধরেছে সে সবকটা রাত। রাত এখনো জ্বলছে দেখো। একজন নিজের আগুনে কেবলই পুড়ে যাচ্ছে ধীরে। ঘুম ছিঁড়ে যাক চোখের বারান্দায়। ক্লান্তি এসে শুয়ে থাকুক অপরাজিতা। কেউ কুড়িয়ে নেবে তাই ফুলগুলি ঝরে। মধুগন্ধে ডাকে উন্মাতাল ঝড়। বকুলও একটি ফুল। সে আমার মুঠোবন্দী আলো। কার কাছে গেলো জানতে পারিনি। কারো কেঁদে যাওয়া কান্নার ঋণ তিনটি বকুলের দামে শোধ হয়ে যায়। তারপরও সেই কান্নাগন্ধে কবিতা পাগল পাতাঝরার উৎসবে। কেউ মুছে দেবে তাই কান্না ঝরে।

প্রিয়তম ভুল, আমি নিদারুণ অগ্নি আবেষ্টন ভেঙে শীতের কাছে এসেছি। আমি স্বাহা ও অরুন্ধতীর রক্তলগ্ন বাসনা। যা কিছু শূন্যতা আছে আমার রক্তের ভিতর—কম্পমান সমুদ্র হয়ে দুলছো পূর্ণতার প্রতুলতায়। সুন্দর তুমি অন্ধ অসুখের দেশ হতে এসে ঝিরিঝিরি শয্যা জ্বেলে আমাকে বপন করলে আরোগ্য প্রান্তরে। সঘন সন্ধ্যা অস্থির শীতার্ত প্রতিবেশকে পরিতাপ দিলে তোমার হাতে ছিলো উষ্ণতার খড়কুটো বৈভব। তুমি চুপিচাপ ধরে রেখো চৈত্রের রাত, হয়তো আমি গ্রাস করতেও পারি।

আমরা জন্মান্ধ। তুমি হাঁটতে হাঁটতে থেমে গেলে। শিখতে চাইলে কেমন করে হাঁটতে হয়। যখন ঘুম আর শীত একসঙ্গে আসে, যখন চোখের ঘুম রাত্রিকে ভালোবাসে, যখন ঘুমের রাত্রি জাগরণকে ডাকে—আমি তোমার দিকে সরে আসি। তোমাকে শোনাই আঁধারের আখ্যান। তোমাকে শোনাই আলোর আখ্যান। তুমি শাদা, আমি কালো। আমাদের দুজনের চুল চির এলোমেলো।

--------------
‘আকাশ ফুরিয়ে যায়’ (২০১৭) বইতে আছে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

মেহবুবা বলেছেন: ভাললাগা রেখে যাই অনেক।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বইটা পাঠক পছন্দ করেছেন?

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: জানি না তো

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: দারুন তো, ,,

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

কয়েস সামী বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর শব্দের গাথুনি!!

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.