নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ-কবিতার স্তুপ থেকে-১৩

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪০

১।
প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে তোমাকে আঁকছি,
তোমার চোখ চুল ঠোঁট...., তুলে দিচ্ছি আজকের বিজ্ঞাপনের সব থেকে কমনীয় দৃষ্টি চোখের দু তারায়।
সময়ের সব থেকে আধুনিক ফ্যাশান সচেতন বেশভূষায় তুমি নিজেকে পাল্টাচ্ছো।
অথচ বন্ধ চোখে ঠোঁটের স্পর্শে বলতে চেয়েছি একটি শব্দ ভালোবাসি!



২।
জীবন এতো ছোট আর তার মাঝে এতো ছোট -যেন মুহূর্তের জন্য তোমাকে পাওয়া।
কি হবে একটু বড় করে বাঁচি।
একটা পুরো দিন তোমার হাতে হাত লুকিয়ে রাখি।
কেউ কি জানে কেন কাছে এলে দম বন্ধ হয়ে আসে!
একি লুকানো কথা- বলতে মানা, চাওয়ায় পাপ!
কেউ কি জানে ভালোবাসায় কেন এমন ভীষণ অভিশাপ!



৩।
শুন্যতা আর বিষাদের ফ্যান্টাসী শেষে
এক দিন ক্যালেন্ডারে দুপুর নেমে যাবে,
যেখানে সব ছায়া বিপরীতে যাবার আগে
বিশ্রামে যাবে সূর্যকে সাক্ষী রেখে।
সেদিন তীব্র এক শুন্যতা ট্যের পাবে তুমি।
সেদিন বুঝবে বিষাদের কোন রং নেই,
শুন্যতার নেই কোন সংজ্ঞা।
সংজ্ঞাহীন শুন্যতায় ভেসে যায়
চোখের সামনে অদৃশ্য সময়।



৪।
কখন যে ভালোবাসা চলে যায় গোপন বিজনে
কখন যে বিশাল রাতের কালো ক্যানভাসে শেষ হয় যৌথ নক্ষত্রের দিন
প্রস্থানের চিহ্নও রাখে না কোথাও-
যে পিছে পিছে যাবো
নাম ধরে ডাক কোন দিকে পাঠাবো !
সেখানে শুধুই দহন জ্বলে না চিতা
নিঃশেষ হয় না কিছুই তবু নিঃস্ব ভীষণ।



৫।
যে আমাকে প্রথম তুই বলে ডাকতো
তার জন্য কোন অনুভূতি ছিল না আমার।
অথচ হঠাৎ এতো বছর পর ভেতর থেকে
খুব গভীর থেকে কেউ
যেন ডেকে উঠলো তার কন্ঠে,
আর মুহূর্তের জন্য ছলকে উঠলো যেন একটা সমুদ্র।
এমন কি করে হয়?
এমন কি করে স্মৃতি তার খেলার পুতুল বানায়?!



৬।
নদী টা নিশ্চুপ ই ছিল,
রোদ পড়ে ছিল জলে
রোদ পড়েছিল তার সোনালী কপালে
কত রোদেলা বিকেল গেছে এসে চলে
কত হাওয়া ই ঝরেগেছে কত বসন্তের পাতা
নদী টা তবু নিশ্চুপ ই ছিল
আমাদের মুখর হবার ছলে ছিল লুকনো নীরবতা।



৭।
যন্ত্রণার বিষে নীল হয়ে আছে তোমার বিশ খন্ড হৃদয়
সেখানে তুমি প্রতীক্ষা রেখো না
ছড়িয়ে যাবে অনুতে
বিষাদে মরে যাবে চোখ
তছনছ হয়ে যাবে আরো বিশ টি বিশ্বব্রক্ষান্ড
অন্ধত্ব তোমাকে দিয়ে করাবে সে সব
তোমাকে নিয়ে খেলবে ধ্বংস ধ্বংস খেলা
প্রেমের ওপাশে ঘুমিয়ে প্রতিহিংসার বিষাক্ত ফণা।



৮।
যদি ভালোবাসো প্রতিদানে ভালোবাসা চেওনা
রেখেনো গোপন দেনা পাওনার হিসাব
নিঃস্বার্থ হও, নদী থেকেও আর একটু বেশি
সমুদ্র থেকেও আরো বিশালতায় হারিয়ে ফেলো স্বপ্নের খাঁজকাটা বীজ
নয়তো একদিন ছিঁড়ে খাবে আকাঙ্ক্ষার দুপুর।



৯।
হৃদয় একটা পারদ বাঁধানো আয়না
যা দেখে তাই বিশ্বাস করে হুবহু,
বিশ্বাস ভাঙতেই পারদ খসে পড়ে
বিষিয়ে ওঠে নিজের ই পারদে,
খুব সহজে ভাঙে, আর ভাঙলেই প্রতিহিংসায় হয়ে ওঠে আক্রমন প্রত্যাশি সহস্র ড্যাগার।



১০।
চারদিকে শুন্যস্থান বেড়ে যাচ্ছে হুটহাট করে
যে পাশে বসতো সে বসে না-
চেয়ার টা খালি,
দেখা হলে যে এগোতো সে দূরে থাকে
যেন ছোঁয়াচে অসুখ,
যেখানে কল গুলো জ্বালাতো খুব
সে কললগে খুব প্রয়োজনের দু চার টা নাম্বার,
পিসির এলইডি তে একগাদা সবুজ
জানি কি শূন্যতা মায়া হয়ে আছে সেখানে অস্পর্শী ইগোয়।



১১।
নদীর স্বপ্নে ভাঙন ছিল
মাতাল করা জোয়ার ছিল
মোহনার প্রতিরোধ ছিল
তবুও তাকে ভাঙতে গেলে গড়তে হয়
জোয়ার শেষে ভাটার টানে পড়তে হয়, সমুদ্রে জল সপতে হয়,
নদীও জানে জীবন মানে সমঝোতা
মাঝে মাঝে নিজের বিরুদ্ধে চলতে হয়।



১২।
অদৃশ্য স্ট্যাম্প আঁটা চিঠি আজো আসে ইনবক্স নামের ডাকবাক্সে
শুধু কেউ "প্রিয়" সম্বোধনে ডাকছে না;
দু চার দিনের আড়ি গুলো ব্লকলিস্টে চির বিচ্ছেদ হয়ে রয়,
রিলেশনসিপ স্ট্যাস্টাস টা বরাবর ই সিঙ্গেল তোমার
অথচ ম্যাসেন্জারে কত কিছুই না হয় !
কত বন্ধু হারিয়ে গেল নীল সাদার এ জগত্‍ এ
কত মুখোশ খসলো উঠলো
ভাঙলো গড়লো কত সম্পর্ক..
সবুজ সংকেত ও মাঝে মাঝে থেকেই যায় ভীষণ অপ্রবেশ্য।







মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১১

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: ৩নং কবিতাটি অসাধারন !
শুভ কামনা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.