নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ-কবিতার স্তুপ থেকে-১৫

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩০

১।
চারপাশে এখন শুধু দালান উঠছে
আর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমাদের এক একটা জানালা,
হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয় মুখ,
রোদ,বৃষ্টি,চিরচেনা শহর,
অদৃশ্য শীতে ঝরে যাচ্ছে সবুজ।

তবু এইরাতে জানলার ওপাশে কোন বার্জার ওয়েদার কোর্টেড সুউচ্চ বড়ি নেই
ওখানে একটা বিশাল শিলকড়ই এর গাছ
আর তার ওপাশে রেখেছি পুকুরের পানিতে প্রায় তলিয়ে যাওয়া একটা জলামাঠ….
আপাতত শহরের ইতিহাস বদলে দিচ্ছি দু যুগ
আমার জানালা পাশে ফিরে আসছে কদমের সুবাস....!



২।
ধূসর পেঁচার ডানা মেলে আছে আষাঢ়ের মেঘ,
চারকূল একাকার, অবিরাম
ছায়াবৃত্ত এঁকে কোন দূর দূরতম দেশ থেকে ভেসে আসে অকাল সন্ধ্যা,
অস্তাচলে যায় অবেলায় দিন,
নির্জন ছায়াঘন আঁধারে
প্রেম, বিরহ, বিষণ্ণতা, অথবা কোনটি ই নয়
কোন এক সুদূর অতীত, কিংবা পরিণতির সাথে হয়ে যায় দৃষ্টি বিনিময়!



৩।
দূরন্ত স্রোত কেটে জেগে ওঠে গর্বিত চর
তবুও স্বপ্নের কাছে বিশাল সমুদ্র শুন্যতা নিয়ে
বিরান বালুচর দাঁড়িয়ে লাঙলের ফলার বিদ্ধ হবে বলে
সোনারং যৌবন ই সব নয় কিছুটা সবুজ হওয়া চাই
চাই বুকের নরম গভীরে শিকড়ের বিস্তার,
লেপাপোছা উঠোন, কাঁকনের বিচিত্র আওয়াজ, পাখিদের কলরব,
একটা যাদুমন্ত্র ঘর!



৪।
বাক্যগুলো স্বাধীন। বাক্য পেলে যে কেউ গল্পকথক হতে পারে।
কেউ পরাশ্রয়ী -বাক্যের গা বেঁয়ে ওঠে,
কেউ কেউ নজরুলের মত দাঁড়িয়ে যায় কাষ্ঠল গাছেদের মত,
কারো তো গল্প দূর্বা ঘাষের থেকেও ছোট দু চার টা বাক্য নিয়ে,
এমনোতো হয়- পরগাছা স্বভাব একবাক্যে ই গল্পশেষ!
আবার কেউ অসংখ্য বাক্যে শরৎ এর কাশফুলে একটা পুরো যমুনার চর!
বাক্য হলে গল্প কথক হতে সময় লাগে নাকি?
তুমি শুধু গল্পকথক হতে চাও!
আগে বাক্য গড় দেখি,
দেখি কেমন শব্দ সাজাও-
কেমন তুমি গল্পহয়ে ওঠো।



৫।
প্রগাঢ় স্থির ও নিঃশব্দ একটা রাত,
চারদিকে অন্ধকারের রাজত্ব অথচ যেন শান্তি নেই!
জমাট বাঁধা একটা অস্থিরতা লুকিয়ে আছে শহরের পথে পথে।
গভীর রাতে গান গেতে গেতে ঘরে ফেরা
সেইসব মানুষের দেখা পাওয়া যায় না এ শহরে অনেক দিন!



৬।
অরণ্যে যেতে পারি -গাছেদের রাজ্যে
সেখানে নীরবতা খুব হলে আমিও মূক হতে জানি,
তবু মানুষের দিকে নয়…

মানুষের ভীরেও মানুষ ভীষণ একা,
তার দুঃখগুলো একা,
তার সুখগুলোও জলে মাথা তোলা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত,
তার ক্ষত আর সুখ দুঃখের জীবন মানচিত্র
নিয়ে গড়ে উঠে এক একটা একান্ত গোপন সিন্দুক
একটা নিষিদ্ধ মহাদেশ
যেখানে প্রবেশাধিকার তার শুধু একার।



৭।
যে যেতে চাচ্ছে তাকে যেতে দাও,
জোর করলে বলবে দারোগা স্বভাব
ঘর কে ভাববে গারদ,
সোহাগ যে দিতে চাও- আগে দেখো সে কি খুঁজছে তাকে?
আগে চোখ খোল, হাত বাড়াও পরে,
মনের ভেতর প্রতারক অন্ধত্ব লুকিয়ে থাকে।



৮।
"আমি" হারিয়েগেছি অনেকগুলো মুখোশে
এখন কি আর খুঁজে পাওয়া যাবে?
আমি কি চিনতে পারবো তাকে(আমাকে) মুখোশের জঞ্জালে?
সে কি রুগ্ন কোন মানুষ? শিশুর মত ভীত?
মুখোশের আঁড়ালে প্রচ্ছন্ন কেউ?
নাকি সে বিস্তৃত কোন ছায়া
অপরাহ্নের মত দীর্ঘ, অবয়বহীন,
হঠাৎ ই মুখোশ ভেঙে ক্ষণিকের জন্য উন্মোচিত!



৯।
আমি আবার ফিরে আসবো
আমাকে নিয়েই,
যদিও তুমি ঠিক হাজার টা পরিবর্তন খুঁজে পাবে,
আমিও দেখবো তুমিও তুমি নেই
তোমার মত কেউ তুমি হয়ে আছে!
যদিও আমরা অভিযোগ করবো এ নিয়ে একে অপরকে
আসলে আমরা নয় আমাদের মত কেউ ততক্ষণে আমাদের প্রতিস্থাপন করে ফেলেছে গোপনে!



১০।
একবার মৃদু স্বরে নরম রোদের মত তোমার জানালায়
ডাকতে চাই প্রিয়তমা সম্বোধনে,
ব্যর্থ হয় বসন্তের আয়োজন, ব্যর্থ হয় যৌবন,
ব্যর্থ সব সময় -সমস্ত জীবন,
যদি শরীরী ভাষায় হারিয়ে যায় অনুভূতি যত
হারিয়ে যায় স্পর্শ ভিক্ষা চেয়ে অপেক্ষারত হাত
মনের ওমে আলো হয়ে থাকা তীব্র শীতল মরুসম দীর্ঘ প্রহর..



১১।
আমার একটা শহর ছিল,
একটা নদীও ছিল নিজের, নিজের একটা চিলেকোঠা ঘর,
একটা দু'টো ছাদের পায়রা
জানালা দিয়ে শহর সীমায় বন,
এখন কিছুই নেই
চোখের সামনে থেকে তারা সব
ভালোবেসে আপন হয়েছে চোখের ভেতর।



১২।
এ অকারণ ভালোবাসা- অকারণে,
অকারণ উথালপাথাল ঢেউ তুফান হাওয়া
তুমুল ঝড়ে বৈঠা বাওয়া,
এ ভীষণ অনিষ্ট আমার, ভয়াল ধ্বংস অতিক্রম,
অকারণে তোমার দিকে,
তোমার দিকে দুপুর চিড়ে দৌড়ে যাওয়া..
জ্যৈষ্ঠ দিনের আকাশ জানে এর কোন মানে?
জানে নাকি ঐ নক্ষত্রমালা?
দ্বীপান্তরী অচীন পাখি, অকারণের কারণ হওয়া?...
এ ভীষণ অনিষ্ট আমার, ভয়াল ধ্বংস অতিক্রম,
তবুও অকারণে তোমার দিকে,
তোমার দিকে.....





মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০১

নদীর মোহনা বলেছেন: আমি আবার ফিরে আসবো
আমাকে নিয়েই,
যদিও তুমি ঠিক হাজার টা পরিবর্তন খুঁজে পাবে,
আমিও দেখবো তুমিও তুমি নেই
তোমার মত কেউ তুমি হয়ে আছে!
যদিও আমরা অভিযোগ করবো এ নিয়ে একে অপরকে
আসলে আমরা নয় আমাদের মত কেউ ততক্ষণে আমাদের প্রতিস্থাপন করে ফেলেছে গোপনে!

দারুন বলেছেন। ভাল লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.